জনপ্রিয় গীতিকার শাহ আব্দুল ওদুদের ৫১তম জন্মদিন আজ

ছন্দময় উচ্চারণ, সুর ও বাণীর ঝংকার মানুষের মনে অনুরণন সৃষ্টি করে যার গান শুনলে তিনি হলেন বাংলাদেশ বেতারের অনুমোদিত গীতিকার শাহ আবদুল ওদুদ। ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দের ১২ সেপ্টেম্বর সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার সিঙেরকাছের বুবরাজান গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা আলহাজ সিরাজুল ইসলাম, মাতা আলহাজ খোরশেদা বিবি। ৩ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে তিনি জ্যেষ্ঠ।
তার গান মাটি, মানুষ ও প্রকৃতির গভীর সন্নিকটে মিশে থাকায় কোন কৃত্রিমতার ছোঁয়া নেই। তিনি সহজ, সরল, সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় হৃদয়ের সকল ভালোবাসা দিয়ে অত্যন্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে চিত্রায়ন করেছেন জাগতিক ও মহাজাগতিক অনেক বিষয়াশয়। ধ্যানী ব্যক্তি শাহ আবদুল ওদুদ অবসর সময়ে ধ্যানমগ্ন থেকে নিজের সাথে নিজে কথোপকথন করেন। স্রষ্টা-সৃষ্টি নিয়ে ভাবেন।
শাহ আবদুল ওদুদের এ যাবৎ প্রকাশিত গানের বই ৪টি। ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দের ৯ নভেম্বর ১০১টি গান নিয়ে প্রকাশিত হয় ‘দিলতরঙ্গ’। ২০০২ খ্রিষ্টাব্দের ১ জানুয়ারি ১২৩টি গান নিয়ে প্রকাশিত হয় ‘প্রেমের মরা’। ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দের আগস্ট মাসে ১০৬টি গান নিয়ে প্রকাশিত হয় ‘মধ্যে মায়া নদী’। অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৬ খ্রি. ৫৭টি গান নিয়ে প্রকাশিত হয় ‘পরশমণি’। ‘দিলতরঙ্গ’ ও ‘প্রেমের মরা’ গ্রন্থ দুইটির ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকায় ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় পরিমার্জিত করে আবার প্রকাশ করা হয়।
শাহ আবদুল ওদুদ ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত। তার সহধর্মিণী আম্বিয়া বেগম একজন সুগৃহিণী। লেখালেখির জগতে সহধর্মিণীর যথেষ্ট প্রেরণা রয়েছে বলেই তিনি সফলতার দ্বারপ্রান্তে যেতে পেরেছেন।
তিনি ৬ ছেলে ও ৩ মেয়ে সন্তানের সফল জনক। তার ছেলে মেয়েরা হলেন যথাক্রমে শাহ আলিমুল ইসলাম, শাহ তাহেরা খাতুন শিউলী, শাহ আমিনুল ইসলাম রুবেল, শাহ হাজেরা খাতুন চামেলী, শাহ আরিফুল ইসলাম জুবেল, শাহ আমিরুল ইসলাম শাকিল, শাহ আনিসুল ইসলাম শাহিন, শাহ আজিজুল ইসলাম জামিল ও শাহ সোনিয়া বেগম জুই।

Developed by: