আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী জিয়াউর রহমান ও তার পরিবার। এটি সত্য, এটিই বাস্তবতা।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের প্রসিডিং যদি কেউ পড়েন, সেখানে সাক্ষীদের ও আসামীদের জবানবন্দি থেকে জানতে পারবেন কে কিভাবে এই ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্ত ছিল। বিশেষ করে জিয়াউর রহমান কিভাবে এই ষড়যন্ত্রের অন্যতম প্রধান কুশীলব ছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর খন্দকার মোশতাক জিয়াউর রহমানকে বেছে নিয়েছিলেন প্রধান সেনাপতি করার জন্য। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর জিয়াউর রহমান ইমডেনিটি অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তর করে, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর হত্যাকারীদের পালানোর সুযোগ করে দেয় এবং পরবর্তীতে তাদেরকে বিভিন্ন দূতাবাসে রাষ্ট্রদূতের চাকরি দিয়ে পুণর্বাসন করে।’
রবিবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে তাদের আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী একথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সাবেক প্রধান তথ্য অফিসার গোলাম রহমান, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, সিনিয়র সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল, দৈনিক যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুক, ডিইউজে সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল আলম স্বাগত বক্তব্য দেন ও কোষাধ্যক্ষ শাহেদ চৌধুরী আলোচনায় অংশ নেন।