আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বাতাসের আর্দ্রতা কমে বাতাস শুষ্ক হয়ে যাওয়ার ফলে সূর্যের তাপ শরীর থেকে পানি শুষে নিচ্ছে। ফলে আমাদের ত্বক জ্বালাপোড়া করছে। এরই মধ্যে গরম নিয়ে কোনো সুসংবাদ দিতে পারেনি আবহাওয়া অফিস। গতকাল আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহধিককালেরও বেশি গরম অব্যাহত থাকবে। গত কয়েক দিনে স্বাভাবিকের তুলনায় ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি তাপদাহ রেকর্ড হয়েছ।
১৪ জুন পর্যন্ত সিলেট, চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়া অন্য বিভাগগুলোতে বৃষ্টির সম্ভাবনা অতি সামান্য।
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, জাপানের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে থেকে প্রাপ্ত চিত্রমালায় বাংলাদেশের আকাশে খুব সামান্য পরিমাণের মেঘের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাস্পযুক্ত বাতাস রাজশাহী ও চট্রগ্রাম বিভাগের ওপর দিয়ে বাংলাদেশের স্থলভাগে প্রবাহিত হচ্ছে। যে কারণে দেশের সকল জেলায় আর্দ্রতা ৪০-৮০% বিরাজ করছে। আগামী ১৫ জুনের পর থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত বর্ষা মৌসুমের বৃস্টিপাত পুরোদমে শুরু হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, চলতি সপ্তাহে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু তথা বর্ষা টেকনাফ উপকূলে পৌঁছাতে পারে। সেক্ষেত্রে বাড়বে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা। এই সময় জুড়ে তাপপ্রবাহের সঙ্গে থাকবে ভ্যাপসা গরমও। তবে কোথাও কোথাও বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হলে সাময়িকভাবে কমবে গরম অনূভূতি। তবে দেশের বেশির ভাগ জায়গায় আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে ৪০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এ ব্যাপারে আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, গতকাল ঢাকার স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকার কথা ছিল। কিন্তু রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর মানে ঢাকার তাপমাত্রা ৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল।