সিলেটে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মাঠে নামছে ম্যাজিস্ট্রেট, লার্ভা পেলে ব্যবস্থা

সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যাপক প্রচারণার পাশাপাশি আজ থেকে মাঠে নামছে ম্যাজিস্ট্রেট। ডেঙ্গুর লার্ভা পেলেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

তিনি বলেন, কোনো কিছু প্রকট হলে আমরা দৌঁড়ঝাপ শুরু করি।প্রকট না হওয়ার আগ পর্যন্ত সচেতন হতে চাই না।আমাদের দেশে নিয়ম হচ্ছে যখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় তখন মিডিয়াতে কাভারেজের জন্য জোরে সুরে কাজ শুরু করি।কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হলে তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।তাই সবাইকে সচেতন হতে হবে।মঙ্গলবার থেকে জেলা প্রশাসনের দুজন ও সিসিকের দুজন করে মোট চারজন ম্যাজিস্ট্রেট মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবেন। আমি বলে দিয়েছি জরিমানা ২০০ বা ৫০০টাকা করলে হবে না। জরিমানা করলে যাতে ঘায়ে লাগে তেমন জরিমানা করতে হবে। আমাদের সোজা আঙ্গুলে যখন ঘি উঠে না,তখম আঙ্গুল একটু বাঁকা করতে হয়।

সোমবার(২৪জুলাইল) বিকাল ৩টায় নগরভবনে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সিলেট সিটি করপোরেশন কর্তৃক গৃহীত কার্যক্রম বিষয়ক সংবাদ সম্মেলন এসব কথা বলেন।

সম্মেলনে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে এতোদিন ধরে আমরা মানুষকে সচেতন করেত মাইকিং করছি। রিপোর্ট দিচ্ছি কিন্তু কেউই কর্ণপাত করছে না। যখন পরিবারের কেউ আক্রান্ত হবে, বাচ্চা আক্রান্ত হবে বা মৃত্যু হবে তখন আমরা এজন্য দুঃখ প্রকাশ করবো। মঙ্গলবার সকাল থেকে আমাদের অভিযান শুরু হবে। এগুলো মিডিয়া ফলোআপ করে প্রকাশ হলে মানুষের মাঝে কিছুটা হলেও সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম ডেঙ্গু বিষয়ক কার্যক্রমের বর্ণনা দেন।

তিনি জানান, ডেঙ্গু বিষয়ক সচেতনতা সুষ্টির লক্ষে নগরের ৪২ ওয়ার্ডে নিয়মিত মাইকিং করা হচ্ছে, বিতরণ করা হচ্ছে লিফলেট। ওয়ার্ড কাউন্সিলদের মাধ্যমে সচেতনামূলক প্রচারণা করা হচ্ছে। এডিস মশার লার্ভা অনুসন্ধানে অভিযান চলছে। বেসরকারি সেবা সংস্থার সহায়তায় লার্ভা অনুসন্ধান পরিচালিত হচ্ছে এবং যেসকল বাসা-বাড়ি, ভবনে লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে তাৎক্ষনিকভাবে সেগুলো ধ্বংস করা হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, যেসব বাসা-বাড়ি, দোকান, ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাবে সেসব স্থাপনার মালিকদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এছাড়া মশক নিধনে সিসিকের পক্ষ থেকে নিয়মিতভাবে লার্ভিসাইড ও এডাল্টিসাইড প্রয়োগ করা হচ্ছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

Developed by: