পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করলেন শাবির শিক্ষক তাহমিনা

তার গবেষণার বিষয় ছিল, Need deficits and challanges experienced by acid assault victims in Bangladesh during the rehabilitation process.

 

ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জনের পর অনুভূতি ব্যক্ত করে তিনি জানান, পিএইচডি ডিগ্রি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তবে করোনাকালীন সময় হওয়ায় এটি আমার জন্য চ্যালেঞ্জিং হয়ে গিয়েছিল। আমি যার দরুন দেশে চলে আসি এবং শিক্ষা ছুটিও শেষ হয়ে যায়। ভাবলাম ছুটি নিয়ে আবার যাবো কিন্তু তখন সব ফ্লাইট বন্ধ হয়ে গেলো। যার কারণে পিএইচডি শেষ করতে কিছুটা দেরি হয়ে যায়। কিন্তু এসময়ে আমার কলিগসহ শিক্ষার্থীরা আমার বড় শক্তি ছিল। এছাড়াও আমি এসময়ে পিএইচডি পড়াশোনা নিয়ে বেশ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। যার দরুন আমার এই জার্নিটা অন্যরকম ছিল। আর আমার কলিগ ও শিক্ষার্থীসহ সিলেটের অনেকের সাপোর্টের ফলে এই এওয়ার্ড টা অর্জন করতে পেরেছি। যার কারণে আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো লাগছে।

 

আর আমার এই পিএইচডি ডিগ্রিতে  গবেষণা বিষয় ছিল এসিডদগ্ধ নারীদের নিয়ে। বর্তমানে এসিড সন্ত্রাস  কমে গিয়েছে। কিন্তু ৩ হাজারের মত এসিডদগ্ধ নারী রয়েছে। তাদের অবস্থাটা কি সেটি আমি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। শুধু এসিডই নয় যেকোনো ভায়োলেন্সের শিকার নারীদের আমরা  কিভাবে হেল্প করতে পারি এবং তারা  ঘুরে দাঁড়াতে পারে সেই বিষয়টিই দেখিয়েছি। উল্লেখ্য, অধ্যাপক ড. তাহমিনা ইসলাম শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগ থেকে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এছাড়াও তিনি সুইডেনের গেটবার্গ ইউনিভার্সিটি থেকে ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার অব সাইন্স ইন সোস্যাল ওয়ার্কের উপর দ্বিতীয় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। আন্তর্জাতিক মানের জার্নালে তাঁর প্রকাশিত গবেষণা-প্রবন্ধের সংখ্যা ১৩টি।অধ্যাপক ড. তাহমিনা ইসলামের গ্রামের বাড়ি সিলেটের ওসমানীনগরের খাদিমপুরে। তিনি মরহুম লেফটেন্যান্ট কর্নেল অব. ডা. নুরুল ইসলামের মেয়ে।

Developed by: