ভৈরবে রেল দুর্ঘটনায় নিহত ১৭ জনের প্রত্যেকের পরিবারকে রেল মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক লাখ করে টাকা সহায়তা দেওয়া হবে। আহত প্রায় ১০০ জনের চিকিৎসার পুরো খরচও মন্ত্রণালয় বহন করবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
এসময় মাত্র ১ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের যৌক্তিকতা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, বর্তমান নীতিমালায় এটিই রয়েছে। তবে রেলের কারণে দুর্ঘটনা ঘটলে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ পাঁচ লাখে উন্নীত করে নতুন আইন হচ্ছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
রেলমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকভাবে মালবাহী ট্রেনের চালকের দোষে এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, ওই ট্রেন পরিচালনায় সংশ্লিষ্টদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে দোষী বিবেচিত হলে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোমবার ভৈরবে সংঘটিত ভয়াবহ দুর্ঘটনার তৃতীয় দিনের মাথায় বিদেশ সফর থেকে এসে নিজ দপ্তরে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, রেলে ভয়াবহ জনবল সংকট রয়েছে। জটিলতার কারণে লম্বা সময় ধরে জনবল নিয়োগ দেওয়া যায়নি। এসব কারণে অবসরে যাওয়া অনেক লোকোমাস্টারকে চুক্তিতে নিয়োগ দিয়ে ট্রেন চালানো হচ্ছে।
এ দুর্ঘটনায় রেলের সঙ্কেত বা ট্রাফিক বিভাগের দায় দায়িত্ব আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সম্পূর্ণ দিনের আলোতে এই ঘটনা ঘটেছে। দিনের আলোতে সব দেখা যায়। সংকেতে ভুল থাকলেও চালক মালবাহী ট্রেনটি থামানোর কথা ছিল।
এ দুর্ঘটনায় নাশকতার বিষয়টিও খতিয়ে দেখা উচিত বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, এর আগেও নির্বাচন সামনে রেখে জ্বালাও পোড়াও হয়েছে। ট্রেনেও আগুন দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া প্রায়শই ট্রেনে পাথর ছুড়ে মারা হয়।
গত সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে ভৈরবের জগন্নাথপুর এলাকায় ঢাকাগামী আন্তঃনগর এগারসিন্দুর (গোধুলী) ট্রেনের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা কন্টেইনারবাহী একটি ট্রেনের সংঘর্ষে ১৮ জন নিহত ও শতাধিক আহত হন। দুর্ঘটনায় এগারসিন্দুর ট্রেনের তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে দুমড়ে-মুচড়ে যায়।