গতকাল ১০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ছিল গণমানুষের কবি দিলওয়ারের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে সিলেটের ভার্থখলাস্থ কবিভবনে ‘কবি দিলওয়ার ফাউন্ডেশন’ কর্তৃক আয়োজিত কবিতা পাঠ ও স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশের বিশিষ্ট ভিজুয়াল আর্টিস্ট আয়েশা সুলতানা বলেন, “বাংলা আধুনিক কবিতা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি দিলওয়ার-এর রচনা এবং তাঁর স্মৃতিধারক সকল সৃজনশীলতাকে রক্ষা করা একান্ত জরুরী। বৃহত্তর সিলেটের বর্তমান মন্ত্রী-এমপিদের আশু কর্তব্য হলো এ বিষয়ে এগিয়ে আসা এবং কবি দিলওয়ার ফাউন্ডেশনকে সহযোগিতা করা। নিজেদের ঐতিহ্য ও সম্মানকে সমষ্টিগতভাবেই রক্ষা করতে হবে।..”
সন্ধ্যা ৭ টায় অনুষ্ঠিত এ স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন ‘কবি দিলওয়ার পরিষদের’ কোষাধ্যক্ষ হাফসা খানম। এছাড়া কবিকে স্মরণ করে দীর্ঘ ইংরেজী কবিতা পাঠ করেন মার্কিন কবি ও ভিজুয়াল আর্টিস্ট ওয়ালিউর রহমান নাবিল।
দিলওয়ার মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গণসংগীতকার। মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক কবি’র প্রতিষ্ঠিত ‘সমস্বর লেখক ও শিল্পী সংস্থা কর্তৃক ৬৯-এর গণআন্দোলনের সফল সংগঠন। তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ: ঐকতান (১৯৬৪), উদ্ভিন্ন উল্লাস (১৯৬৯), স্বনিষ্ঠ সনেট (১৯৭৭), রক্তে আমার অনাদি অস্থি (১৯৮১), দুই মেরু, দুই ডানা (২০০৯)। উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধগ্রন্থ: বাংলাদেশ জন্ম না নিলে (১৯৮৫)। ছড়াগ্রন্থ: দিলওয়ারের শত ছড়া (১৯৮৯)। ইংরেজি কাব্যগ্রন্থ:
ফেসিং দি মিউজিক (১৯৭৫)। উল্লেখযোগ্য সংগীতগ্রন্থ: বাংলা তোমার আমার (১৯৭২)। উল্লেখযোগ্য সম্মাননা : ৭ মার্চ ১৯৭৮-এ সিলেটের সর্বস্তরের নাগরিক কর্তৃক গণসংবর্ধনা, ১৯৮০ সালে কবিতায় বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও ১৯৮১ সালে একাডেমির ফেলোশীপ লাভ, ২০০৮ সালে একুশে পদক ও সম্মাননা, ২০০১ সালের ৯ ফেব্রæয়ারি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে ‘ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সংঘ’ কর্তৃক সংবর্ধনা।… অন্যান্য : ‘সিলেট খেলাঘর’ ও ‘সিলেট উদীচী’র প্রতিষ্ঠাতা
সভাপতি; ‘ভার্থখলা স্বর্ণালী সংঘ’-এর প্রতিষ্ঠাতা: ‘সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার’-এর প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক।