বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, দেশের প্রায় ১৩ লাখ শিশু দৃষ্টিত্রুটিতে ভুগছে এবং ১ লাখ ৫৩ হাজার ৬শ শিশু ক্ষীণদৃষ্টি সমস্যায় আক্রান্ত। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হলে এসব শিশুর মধ্যে ৭৮ হাজার ৩৩৬ জন এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেত।
বর্তমানে দেশে মোট প্রায় ৪৮ হাজার শিশু অন্ধ উল্লেখ করে বিশেষজ্ঞরা বলেন, এদের মধ্যে ১৬ হাজার জনেরই অন্ধত্ব প্রতিরোধ করা যেত।
এছাড়াও প্র্রতি এক হাজার শিশুর মধ্যে দশমিক ৭৫ জন শিশুই অন্ধত্বের শিকার হচ্ছে বলে তারা উল্লেখ করেন।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত ”শিশু অন্ধত্ব” শীর্ষক এক অরিয়েন্টশন কর্মশালায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বরাত দিয়ে বক্তারা এসব তথ্য তুলে ধরেন।
অরবিস ইন্টারন্যাশনাল এবং নারী সাংবাদিক কেন্দ্র যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে।
বিশেষঞ্জরা বলেন, প্রতিরোধযোগ্য শিশু অন্ধত্ব এবং দৃষ্টি প্রতিবন্ধিতা বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রে একটি বড় সমস্যা, যা আর্থ-সামাজিক বৈষম্য বৃদ্ধিরও অন্যতম কারণ।
তারা জানান, শিশু অন্ধত্বের ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে অন্ধ ও ক্ষীণদৃষ্টি শিশুরা শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়াসহ সামাজিক বিচ্ছিন্নতা এবং অধিক দারিদ্র্যের কবলে পড়ার ঝুঁকির মধ্যে থাকে।
জাতীয় শিশু অন্ধত্ব কর্মসূচির আওতায় আয়োজিত এ কর্মশালায় প্রধান বক্তা ছিলেন জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক অফথালমোলোজী বিভাগের প্রধান অধ্যাপক এনায়েত হোসেন।
অরবিস ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. মুনীর আহমেদ অনুষ্ঠানে বিশেষ বক্তা ছিলেন।
তিনি বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে সংশ্লিষ্টদের সচেতনতা, প্রাথমিক পর্যায়ে লক্ষণ নির্ণয়, চিসিৎসা এবং চিকিৎসা-পরবর্তী যত্ন এসব শিশুর দৃষ্টিশক্তি রক্ষা বা পুনরুদ্ধার করতে পারে ।
অন্যান্যের মধ্যে অরবিস ইন্টারন্যাশনালের ডিরেক্টর (প্রোগ্রাম) মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, জাতীয় অন্ধত্ব হ্রাস কর্মসূচির সমন্বয়কারী ডা. নাহীদ ফেরদৌসী, প্রোগ্রাম ব্যবস্থাপক মহসিনা আফরোজ, অরবিস ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়ার স্টাফ অফথালমোলোজী ডা. লুৎফুর হোসেন ও বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক পারভীন সুলতানা ঝুমা কর্মশালায় বক্তৃতা করেন।

