সিলেট নগরীর তালতলাস্থ হোটেল গুলশানে গ্রেণেড হামলা মামলায় পিযুষ কান্তি পুরকাস্ত, বিজিত শীল, সমিরণ বণিক ও সৈয়দ মাছুম আদালতে স্বাক্ষ্য দিয়েছেন। বুধবার সকালে অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ ইফতেখার বীন আজিজ তাদের এ সাক্ষ্য নেন। এ মামলায় মোট ৬৮ জন সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত ১৬ জনের স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ সম্পূন্ন হলো। আদালতের বিচারক ইফতেখার বিন আজিজ আগামী ১২ আগষ্ট মামলার পরবর্তী স্বাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেন।
আদালত সুত্রে জানা গেছে, কোতোয়ালী থানার ৩৬ (০৮-০৮-০৪) ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৭৪/২০১৩ নং গুলশানে গ্রেণেড হামলা মামলার মোট আসামী ৮ জন। এর মধ্যে আসামী হরকাতুল জিহাতের জেএমবি হুমায়ুন কবির হিমু ও আলহাজ্ব মাওলানা তাজ উদ্দিন পলাতন রয়েছে।
মঙ্গলবার হাজতী দেলোয়ার হোসেন রিপনকে জেল হাজত থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মুফতি আব্দুল হান্নান, শরীফ সাহেদুল আলম বিপুল,মুফতি মঈন উদ্দিন শেখ ওরফে জান্দাল, মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজর রহমান ওরফে মফিজ ওরফে অভি ও মোঃ আব্দুল মাজেদ ভাট ওরফে ইউসুফ ভাটদেরকে গতকাল মঙ্গলবার জেল হাজত থেকে আদালতে হাজির করা হয় নাই।
মামলা সূত্রে জানা যায়,২০০৪ সালের ৭ আগস্ট হোটেল গুলশানে মহানগর আওয়ামী লীগের সভা শেষে নেতাকর্মীরা বের হয়ে যাওয়ার সময় গ্রেণেড হামলা চালানো হয়। হামলায় নিহত হন মহানগর আওয়ামী লীগের তৎকালীন প্রচার সম্পাদক মোঃ ইব্রাহিম। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (তৎকালীন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক) এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজসহ বেশ
কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। বিস্ফোরণের কিছুক্ষণ আগে হোটেল চত্বর ত্যাগ করায় বেঁচে যান মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। এ ঘটনায় সিলেট কোতোয়ালী থানার তৎকালীন এসআই এনামুল হক বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী করে ৩৬ (০৮-০৮-০৪) নং মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে সর্বশেষ ২০১৩ সালের ১৭ জুলাই ঢাকা সিআইডি’র অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার
রওনকুল হক চৌধুরী জেএমবি’র শীর্ষ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানসহ ৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ চাঞ্চল্যকর মামলা চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন এবং গত বছরে এ মামলার চার্জগঠন করে বিচার কাজ শুরু হয়। বর্তমানে ২ জন বাদে ওই মামলায় মুফতি হান্নানসহ ৬ জঙ্গি কারাগারে রয়েছে।