বিশাল এ পৃথিবী। পৃথিবীটাকে গুরে দেখতে যেমন অনেক টাকার প্রয়োজন। ঠিক তেমনি টাকা আয় করতেও অনেক সময়ের প্রয়োজন। তাই টাকা আয় করে পৃথিবী ঘুরে দেখার চিন্তা বাদ দিয়ে সহজ কৌশল অবলম্বন করলেন আমেরিকার এক তরুণী।
বয়স মাত্র ২৫। এরই মধ্যে অনেক দেশই ভ্রমণ করে ফেলেছেন বিনা পয়সায়। ভাবছেন বিনা পয়সায় কীভাবে বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করা যায়। শরীরের বিনিময়ে।
মনিকা লিন নামের ওই তরুণী এর মধ্যেই দুবাইয়ে ক্যামেল ট্রেকিং থেকে শুরু করে হংকং-এ শপিং সেরে ফেলেছেন। কিন্তু এর জন্য কানাকড়িও তিনি খরচ করেননি। মনিকাকে টাকাও জমাতে হয় না।
মনিকা স্রেফ অনলাইনে পুরুষ বন্ধু জোগাড় করেন।
মনিকার কথায়, ন’টা-পাঁচটা চাকরি করলে এই সব দেশ ঘুরতে দশ বছরের বেশি সময় লেগে যেত। অত অপেক্ষা করার সময় নেই। তাই বিকল্প এবং অভিনব পন্থা নেয়া।
জানা গেছে, বিভিন্ন দেশে একের পরে এক পুরুষ বন্ধু জোগাড় করেন মনিকা। একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তিনি নিত্যনতুন বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সেই সব ‘বন্ধু’ বিত্তবান এবং বেড়াতে যাওয়ার জন্য তারা নারীসঙ্গকে আবশ্যক বলে মনে করেন। মনিকার পুরো খরচ (মায় শপিং-ও) তারাই বহন করেন। পরিবর্তে মনিকাকে দিতে হয় তার শরীর।
মনিকা বলছেন, প্রথমে ভেবেছিলাম, ঠিক করছি তো? একটা দ্বিধা ছিলই। তার পরে একদিন শুরু করেই দিলাম।
আমেরিকার বাসিন্দার সাফ কথা, এইভাবে বেড়ানোর আগে কোনওদিন আমেরিকার বাইরে পা রাখিনি। এখন পাসপোর্ট ভরে এসেছে। পুরো দুনিয়াটাই আমার সামনে উন্মুক্ত।
শুরুটা হয়েছিল বার্বাডস দিয়ে। একটি বহুজাতিক সংস্থার ৩১ বছর বয়সি ম্যানেজিং ডিরেক্টরের সঙ্গে এক সপ্তাহের জন্য ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে কাটিয়েছিলেন।
শারীরিক সম্পর্ক কি আবশ্যিক শর্ত?
মনিকা জানান, না। শারীরিক সম্পর্কের কথা প্রথমে বলা হয় না। কিন্তু দু’জন নারী-পুরুষ বেড়াতে যাবেন একসঙ্গে, এক বিছানায় শোবেন আর শারীরিক সম্পর্ক হবে না, এটা হয়?
এমন লোকও আছেন যিনি মনিকার সঙ্গে একবার বেড়াতে যাওয়ার পরে তার ফ্যান হয়ে গিয়েছেন। যেখানেই বেড়াতে যান, মনিকাকে চাই-ই। সূত্র: এবেলা।