জীবন সংগ্রামে টিকে থাকতে দীর্ঘদিন আগে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ থেকে সিলেটে এসেছিলেন মাসুক মিয়া (৩৫)। বসাতি গড়েছিলেন নগরীর মিরাবাজারস্থ জাহান হোটেলের পাশে। জীবিকা নির্বাহ করতে ধোপাদিঘীর পূর্বপারে বাসিয়েছিলেন চায়ের টং। প্রতিদিনের রোজগারে স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে ছোট সংসারে সুখের ঝিলিকও লেগেছিল। কিন্তু শুক্রবার সকাল ৯টায় সুখের সেই নীড়ে নেমে আসে অন্ধকার। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী মাসুক মিয়াকে একটি যাত্রীবাহী বাস চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এর সাথে সাথে সমাপ্তি ঘটে চায়ের কাট ঘিরে চলা তার জীবনযুদ্ধের।
প্রতিদিনের মত শুক্রবার সকালে মাসুক মিয়া দোকান খোলার জন্য বাসা থেকে বের হন। মিরাবাজার বাজারে আসামাত্রই জাফলং থেকে সিলেট আসা একটি যাত্রীবাহী বাস চাপা দেয় মাসুক মিয়াকে। বাস চাপায় চা বিক্রেতা মাসুক ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
মাসুক মিয়ার স্ত্রী তান্নি বেগম স্বামীকে এভাবে হারানো কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। একদিকে স্বামী হারানোর শোক, অপরদিকে দুই মেয়ে সন্তান নিয়ে কোথায় ঠাঁই নেবেন, এ নিয়ে চিন্তায় অথৈ সাগরে পড়েছেন তান্নি বেগম। অঝর ধারায় পড়ছে তার চোখের জল।
মাসুক মিয়ার মামাশ্বশুর রাজ্জাক মিয়ার সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, মাসুক মিয়া ছিল খুবই নম্র ভদ্র। কারো সাথে কোনো দিন ঝগড়া-বিবাদ করতে শুনা যায়নি।
নিহত মাসুক মিয়া মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উত্তর বালিগাঁও গ্রামের জমির মিয়ার ছেলে।