পুলিশী হেফাজতে ছাতক পৌরসভার মেয়র কালাম আহমদ চৌধুরীর ভাই কামাল আহমদ চৌধুরীকে নির্যাতনের ঘটনায় হাইকোর্টের দেয়া আদেশের স্থগিতাদেশ চেয়ে আপিল করেছেন অভিযুক্তরা। কোতোয়ালী থানার ওসি আতাউর রহমানসহ অন্য অভিযুক্তদের পে সুপ্রিম কোর্টের অ্যাপিলেড ডিভিশনের চেম্বার জজ আদালতে মঙ্গলবার আপিল আবেদন করেন ওসি (তদন্ত) শ্যামল বণিক। দুই পরে শুনানী শেষে আদালতের বিচারপতি সৈয়দ মো. মাহমুদ হোসেন আপিল আবেদন খারিজ করে দেন।
নির্যাতিত কামাল আহমদ চৌধুরীর পে হাইকোর্টে রিট আবেদনকারী তার ভাই শামীম আহমদ চৌধুরীর পে শুনানীতে অংশ নেন আবদুন মতিন খসরু ও ফয়জুর রহমান।
তিনি জানান- গত ১৭ জুলাই সিলেট কোতোয়ালী থানা হেফাজতে কামাল আহমদ চৌধুরীকে নির্যাতনের ঘটনায় ২৪ জুলাই তার ভাই শামীম আহমদ চৌধুরী হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। ওই আবেদনের প্রেেিত বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও হাবিবুল গণির সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ কোতোয়ালী থানার ওসি আতাউর রহমান, ওসি (তদন্ত) শ্যামল বনিক, এসআই রহিম, কনস্টেবল অধীর চন্দ্র ও এএসআই তাহেরের বিরুদ্ধে থানায় মামলা রেকর্ডে পুলিশের আইজিপি ও সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দেন।
হাইকোর্টের এই আদেশের স্থগিতাদেশ চেয়ে মঙ্গলবার অভিযুক্তদের পে সুপ্রিম কোর্টের অ্যাপিলয়েড ডিভিশনের চেম্বার জজ আদালতে আবেদন করেন। উভয় পরে শুনানী শেষে বিচারপতি সৈয়দ মো. মাহমুদ হোসেন তাদের আবেদন খারিজ করে দিয়ে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন।
এদিকে, ওসি আতাউরের একটি ঘনিষ্ট সূত্র জানায়- রবিবার রাত প্রায় ৯টার দিকে ওসি আতাউরসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পর, রাত প্রায় ১০টার দিকে একটি মাইক্রোবাসে করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান আতাউর। এরপর এখনো পর্যন্ত তিনি আর বাড়িতে ফিরেননি।
এদিকে আতাউরের খোঁজে সোমবার কয়েক দফা জকিগঞ্জস্থ তার বাড়িতে হানা দিলেও তার কোনো খোঁজ পায়নি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। সূত্র জানায়- ডিবি পুলিশ ও স্পেশাল ব্রাঞ্চের সদস্যরার কয়েক দফা আতাউরের বাড়িতে হানা দিয়েছে।
এদিকে আতাউরের নিজ গ্রামের বাড়ি জকিগঞ্জের নোয়াগ্রামের বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন- আতাউর আইনশৃঙ্খলা রাকারী বাহিনীর সদস্য হওয়ার সুযোগ নিয়ে গ্রেফতার এড়াতে হয়তো পালিয়ে গেছেন। তারা অভিযোগ করে বলেন- পুলিশের কতিপয় অসৎ সদস্য হয়তো আতাউরকে পালাতে সাহায্য করছেন।
সিলেটে কর্মরত একটি গোয়েন্দা সংস্থার উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, রবিবার দিবাগত রাত ১০টা থেকে আতাউরের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। সে একেবারেই লাপাত্তা হয়ে গেছে। তবে তার অবস্থান জানতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। খুব শীঘ্রই তার অবস্থান সনাক্ত করা সম্ভবপর হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।