হবিগঞ্জ জেলার বাহুবলে গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মিরপুর তুগলী এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় দÿÿণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজার এলাকার হরিনাথপুর গ্রামের তিনজনের অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তিনজনের মৃত্যুতে তাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আহাজারিতে সেখানকার পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে। নিহতরা হচ্ছেন- হরিনাথপুর গ্রামের তুলা মিয়া (৪৫), কনাই মিয়ার পুত্র আমির আলী, লাল মিয়ার পুত্র জসীম মিয়া। এই তিনজনের নামাজে জানাজ আজ শনিবার বাদ জোহর জামেয়া তুয়াক্কুলিয়া রেঙ্গা মাদরাসা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে এ দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। জানা যায়, হরিনাথপুর গ্রামের তুলা মিয়ার ভাগিনা বালাগঞ্জ উপজেলার সোনাপুর গ্রামের মখলিছ মিয়ার পুত্র শিপন মিয়া লন্ডন থেকে একটি বিমানে ঢাকা শাহজালাল আমত্মর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌছে। তাকে রিসিভ করার জন্য তুলা মিয়া সিলেট থেকে একটি মাইক্রোবাস ভাড়া নিয়ে ঢাকায় যান। ঢাকা যাওয়ার পথে তার গ্রামের আমির আলী ও জসীম মিয়াকে সাথে নিয়ে রওনা হন। ভাগিনা শিপনকে নিয়ে সিলেট ফেরার পথে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাহুবল উপজেলার মিরপুর তুগলী এলাকায় বাস-মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষে লন্ডন প্রবাসী শিপন, মাইক্রোবাস চালক দেলওয়ার ও মোটর সাইকেল আরোহী দুইজন সহ ৭ জন ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়। তুলা মিয়ার ভাগিনা শিপন তার পিতা মখলিছ মিয়ার মৃত্যুর খবর পেয়ে দাফন-কাপনের জন্য দেশে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় পিতার দাফনের পূর্বেই তার মর্মামিত্মক মৃত্যু হলো। নিহত তুলা মিয়ার নিকট আত্মীয় মইনুল ইসলাম মঞ্জু ঘটনাস্থলে গিয়ে জানান, তুলা মিয়া, আমির আলী ও জসীমের লাশ নিয়ে তারা মোগলাবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। প্রবাসী শিপনের লাশ বালাগঞ্জে ও চালক দেলওয়ার হোসেন ইমনের লাশ রাজনগরে রাত ১০টায় পরিবারের লোকজন বাড়ির উদ্দেশ্যে নিয়ে যায়।