মক্কা, ২৩ মে- মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা মোবারক জিয়ারত শেষে সোমবার সন্ধা ৭:৩০ মিনিটে জেদ্দায় অবতরণ করেন এবং প্রধানমন্ত্রী তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে রাত ৯ টায় জেদ্দা থেকে মক্কায় পৌঁছান। হারাম শরীফ সংলগ্ন মক্কা গেস্ট প্যালেসে কিছুক্ষণ অবস্থানের পর প্রধানমন্ত্রী তাওয়াফ শুরু করেন।
ওমরাহ শেষে প্রধানমন্ত্রী দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করেন এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় মোনাজাতে অংশ নেন।
প্রধানমন্ত্রীর ওমরাহ পালন শেষে তিনি মক্কায় গ্রেনেড প্যালেসে অবস্থান করবেন এবং আজ মঙ্গলবার রাতে জেদ্দা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ বিমানে রওনা দেবেন।
ওমরাহ পালনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং ওআইসিতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি গোলাম মসীহ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল আব্দুল নাসের চৌধরী, পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক, প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব সাজ্জাদুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর সহকারীর একান্ত সচিব সাইফুজ্জামান শেখর, প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব নজরুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা ওমরাহ পালনে অংশ নেন।
এর আগে সৌদি বাদশা সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সউদের আমন্ত্রণে আরব ইসলামিক আমেরিকান সামিট (এআইএ) সম্মেলনে যোগ দিতে চারদিনের সরকারি সফরে গত ২১ মে রাতে প্রধানমন্ত্রী রিয়াদ পৌঁছান। প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় রাত ১১টা ১৫ মিনিটে বাদশাহ খালিদ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করেলে থাকে লাল গালিচার উষ্ণ অভ্যর্থনা দেওয়া হয়।
সৌদি শুরা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ ফয়সাল বিন আবু সাদ এবং সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ বিমান বন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান।
সফরকালে শেখ হাসিনা মদিনায় হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা মোবারক জিয়ারত করবেন এবং মক্কায় হারাম শরিফে পবিত্র ওমরাহ পালন করেন। আজ ২৪ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা সৌদি রাজধানীতে বাদশাহ আবদুল আজিজ ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে আরব ইসলামিক-আমেরিকান সামিট (এআইএ) সম্মেলন যোগ দেন। এতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ৫৬ আরব ও মুসলিম দেশের নেতারা যোগ দিয়েছেন।
‘জয় আমাদেরই হবে’ এই স্লোগান নিয়ে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলাও জঙ্গিদের অর্থায়ন খুঁজে বের করার বিষয় সম্মেলনে আলোচিত হয়।
শেখ হাসিনা গ্লোবাল সেন্টার ফর কমব্যাটিং এক্সট্রিমিস্ট থট উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও যোগ দেন। তিনি সৌদি বাদশার আমন্ত্রণে ভোজসভায় অংশগ্রহণ করেন।
শেখ হাসিনা সম্মেলনে অনেকগুলো প্রস্তাব উত্থাপন করেন। সম্মেলনের মূল বিষয় বৈশ্বিক সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় নতুন অংশীদারত্ব প্রতিষ্ঠা, সহনশীলতা এবং সহাবস্থানের মূল্যবোধের প্রসার এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিতের উদ্যোগ জোরদার করা।