
সভাপতির বক্তব্যে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সম্মানিত নাগরিকদের মতামত নিয়েই নগরীর উন্নয়নে এক যোগে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, নতুন পরিষদের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো আজ। আমরা যে মতের হইনা কেন, সিলেট নগরীর উন্নয়নে আমরা সকলে এক ও অভিন্ন। সকল রাজনৈতিক দল মতের ঊর্ধ্বে থেকে নগরবাসীর প্রত্যাশা পূরণে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই। সিলেট নগরী দেশের অন্যান্য নগরীর জন্য দৃষ্টান্ত স্বরুপ উল্লেখ করে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, আগামীতে নগরীর প্রত্যেকটি ওয়ার্ড কার্যালয় নিজস্ব ভূমিতে আধুনিক সকল সুবিধার সংমিশ্রনে তৈরী করা হবে। এছাড়া ওয়ার্ড কার্যালয়ে সিটিজেন চার্টার স্থাপন, রাজস্ব কার্যক্রমকে অটোমেশনের আওতায় আনা, উন্নয়ন প্রকল্প শুরু ও শেষের চিত্র ধারণ ও সংরক্ষণ করা, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিচয়পত্র, ফিঙ্গার প্রিন্টে হাজিরা নিশ্চিতকরণ, ওয়ান স্টপ সার্ভিসের সেবা কার্যক্রম গতিশীলকরণে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি।
সভায় কাউন্সিলরগণ নগরীর উন্নয়নে বিভিন্ন প্রস্থাবনা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন। মেয়র তা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের আশ্বাস প্রদান করেন।
নির্বাচনে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ মোট ৩৭ জন ভোটার ছিলেন। এদের মধ্যে ভোট প্রদান করেছেন ৩৪জন। এরা হচ্ছেন কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, আজাদুর রহমান আজাদ ও কাউন্সিলর আফতাব হোসেন খান। তবে সভার শেষ পর্যায়ে কাউন্সিলর আফতাব হোসেন খান সভায় উপস্থিত হন। এসময় কাউন্সিলর সৈয়দ তৌফিকুল হাদি ও কাউন্সিলর এবিএম জিল্লুর রহমান উজ্জ্বলের মধ্যকার লটারির টিকিট তুলেন আফতাব হোসেন খান। অন্য দুই জন কাউন্সিলর সভায় উপস্থিত ছিলেন না।
সভার শুরুতে কোরান তেলাওয়াত করেন নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আকবর ও গীতা পাঠ করেন কর কর্মকর্তা চন্দন দাশ।
সভায় বক্তব্য রাখেন, কাউন্সিলর মখলিছুর রহমান কামরান, ফরহাদ চৌধুরী শামীম, রেজওয়ান আহমদ, আজম খান, শান্তনু দত্ব সন্তু, শাহানারা বেগম, সৈয়দ তৌফিকুল হাদি, এ্যাডভোকেট সালেহ আহমদ সেলিম, ইলিয়াছুর রহমান ইলিয়াছ, এসএম সওকত আমীন তৌহিদ, আবুল কালাম আজাদ লায়েক, র্যাব-৯ এর মিডিয়া কর্মকর্তা এ্যডিশনাল এসপি মঈন উদ্দিন চৌধুরী, ফায়ার সার্ভিসের উপ পরিচালক দিনামোনি শর্মা সহ সিটি কর্পোরেশনের অন্যান্ন কাউন্সিলরবৃন্দ ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।