বিভাগ: প্রবাস

প্রবাসী কবি আসমা মতিনের মাতৃবিয়োগ বিভিন্ন মহলের শোক প্রকাশ

001যুক্তরাজ্য প্রবাসী কবি আসমা মতিনে মা বদরুননেছা বেগম গত ২৭ মার্চ রাত ১১.৩০মি সময় ঢাকার এপোল হসপিটালে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি দুই মেয়ে ও এক ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে মারা যান।
কবি আসমা মতিনের মায়ের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন- মাসিক বাসিয়া পত্রিকার সম্পাদক গীতিকার মোহাম্মদ নওয়াব আলী, কবি ও সাংবাদিক সাইদুর রহমান সাঈদ, মাসিক মাকুন্দা সম্পাদক গীতিকার মো. খালেদ মিয়া, দণি সুরমা সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবি দেওয়ান মতিউর রহমান খান, গল্পকার হাবিব আহমদ এহসান, এডভোকেট মিজানুর রহমান মিজান, প্রভাষক ইব্রাহিম কয়েস, কবি ও সাবেক কমিশনার নাজনিন আক্তার কনা, কবি আবু জাফর মোহাম্মদ তারেক, কবি কামরুন নেহার চৌধুরী শেফালী, কবি রাশিদা বেগম, কবি ও শিক কানিজ আমিনা কুদ্দুস, প্রভাষক ও ছড়াকার বদরুল আলম খান, প্রভাষক ও কলামিষ্ট জ্যোতিষ মজুমদার, সাংবাদিক শাহ সুহেল আহমদ, কবি সিএম মনসুর, শিল্পী জহুর আলী শাহ, কবি মিজান মোহাম্মদ, ছড়াকার সুব্রত দাশ, কবি এইচ এম আরশ আলী, গল্পকার শাহানারা বেগম ইমা, ক্রীড়াবিদ ও সংগঠক মতিউর রহমান মতি, ছড়াকার মতিউল ইসলাম মতিন, গীতিকার এমরুল কয়েস, চান্দুবিন্দু সম্পাদক কবি মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, কবি বিভাংশু গুণ বিভু, কবি আবদুল হান্নান ইউজেটিক্স ও কবি আহমদ আলী হিরন প্রমুখ। তারা মরহুমা আত্মার শান্তি ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদন জ্ঞাপন করেন।

‘স্বদেশ আমার স্বদেশ তোমার’ গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠান আমাদের সবাইকে স্বস্ব অবস্থান থেকে দেশের জন্য কাজ করতে হবে এস এম জাহিদ হোসেন

Neswar-02আমাদের সবাইকে স্ব স্ব অবস্থান থেকে দেশের জন্য কাজ করতে হবে। দেশকে ভালোবাসতে হবে। প্রবাসী গীতিকার ও নাট্যকার নেসওয়ার দেশকে ভালোবাসেন বলেই স্বদেশ, মা, মাটি, মানুষকে নিয়ে তার গানের বই ‘স্বদেশ আমার স্বদেশ তোমার’। বইয়ের প্রতিটি লেখা যে কাউকে মাতৃভূমির প্রতি আরো গভীর মমত্ববোধ বাড়িয়ে দিবে। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে। স্বদেশের প্রতি গভীর মমত্ববোধ থাকায় গীতিকারকে আমরা অভিনন্দিত করি।
গীতিকার ও নাট্যকার আশরাফ মাহমুদ নেসওয়ার রচিত ‘স্বদেশ আমার স্বদেশ তোমার’ গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ বেতার সিলেটের আঞ্চলিক পরিচালক এস এম জাহিদ হোসেন উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
গত ২৩ মার্চ বুধবার সন্ধ্যায় দরগাহ গেইটস্থ কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের বইমেলা মঞ্চে স্বদেশে আমার স্বদেশ তোমার’ গানের বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। দণি সুরমা ডিগ্রি কলেজ অধ্য মো. শামছুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বেতার সিলেটের আঞ্চলিক পরিচালক এস এম জাহিদ হোসেন। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও লেখক অধ্যাপক সুনির্মল কুমার দেব মীন। অনুষ্ঠানে যোগ দেন দেশের বিশিষ্ট কবি রবীন্দ্র গোপ।
দণি সুরমা সাহিত্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল আহমদের সাবলিল উপস্থাপনায় প্রকাশনা অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কবি ও অধ্যাপক শিউল মনজুর। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বইটির প্রকাশন ও বাসিয়া প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী গীতিকার মোহাম্মদ নওয়াব আলী।
দণি সুরমা সাহিত্য পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত প্রকাশনা অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন কবি ও শিশু সংগঠক তাজুল ইসলাম বাঙালী, কবি লায়েক আহমেদ নোমান, প্রবাসী সাংবাদিক রহমত আলী, সাবেক কমিশনার ও কবি নাজনিন আক্তার কনা, নাট্যলোক সিলেটের সভাপতি আফজল হোসেন, কবি সুমা জায়গীরদার, গল্পকার হাবিব আহমদ এহসান ও কবি সীয়েম মনসুর প্রমুখ।
উল্লেখ বইটি প্রকাশন করেছে সিলেটের বাসিয়া প্রকাশনী। বইটিতে ৭৬টি গান রয়েছে। বইয়ের প্রচ্ছদ একেছেন সুভাষ চন্দ্র নাথ।

‘স্বদেশ আমার স্বদেশ তোমার’ গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠান আগামী ২৩ মার্চ

0003গীতিকার ও নাট্যকার আশরাফ মাহমুদ নেসওয়ার রচিত ‘স্বদেশ আমার স্বদেশ তোমার’ গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠান আগামী ২৩ মার্চ ২০১৬ বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় দরগাহ গেইটস্থ কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের বইমেলা মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ বেতার, সিলেটের আঞ্চলিক পরিচালক এস এম জাহিদ হোসেন। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক সুনির্মল কুমার দেব মীন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সিলেট প্রেসকাবের সভাপতি ইকরামুল কবির। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন কবি ও অধ্যাপক শিউল মনজুর। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন দণি সুরমা ডিগ্রি কলেজ অধ্য মো. শামছুল ইসলাম।
দণি সুরমা সাহিত্য পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত প্রকাশনা অনুষ্ঠানে সকলকে উপস্থিত থাকার জন্য পরিষদের সভাপতি গীতিকার মোহাম্মদ নওয়াব আলী ও সাধারণ সম্পাদক কবি দেওয়ান মতিউর রহমান খান অনুরোধ জানিয়েছেন।

একুশে গ্রন্থমেলার নজরুল মঞ্চে মনোরতœ কাব্যগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন

Asma-03গত ১৫ ফেব্রয়ারি সোমবার সন্ধ্যায় প্রবাসী কবি আসমা মতিনের মনোরতœ
কাব্যগ্রন্থের মোড়ক উন্মাচন করা হয় বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক লেখক ও
মুক্তিযুদ্ধ গবেষক জেবউননেছা গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করেন।
কবি টিমুনী খান রীনোর সাবলিল উপস্থাপনায় মোড়ক উন্মোচনে উপস্থিত ছিলেন
বইটি প্রকাশক ও বাসিয়া প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী গীতিকার মোহাম্মদ নওয়াব
আলী, জাতীয় গীতিকবি পরিষদের সভাপতি গীতিকার এম আর মনজু, মাসিক সরগম
পত্রিকার সম্পাদক রওনক জাহান, বাংলা একাডেমির প্রটকল অফিসার তারেক সজিব
ও কবি এ এস আকরাম হোসেন প্রমুখ।

প্রবাসী কবি মোহাম্মদ ইকবালকে নিয়ে বাসিয়া পত্রিকার অন্তরঙ্গ আড্ডা

00000000000000000000প্রবাসী রোমান্টিক কবি মোহাম্মদ ইকবালকে নিয়ে মাসিক বাসিয়া পত্রিকার উদ্যোগে গত ১২ ফেব্র“য়ারি শুক্রবার সন্ধ্যায় স্টেশন রোডস্থ পত্রিকার কার্যালয়ে এক অন্তরঙ্গ আড্ডার আয়োজন করা হয়। পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মোহাম্মদ নওয়াব আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আড্ডায় আলোচনা লেখাপাঠে অংশ নেন কবি ও সাংবাদিক সাইদুর রহমান সাঈদ, শিশু সংগঠক তাজুল ইসলাম বাঙালি, এমরুল কয়েস লোক উৎসবের প্রতিষ্ঠাতা গীতিকার এমরুল কয়েস, প্রভাষক ও কবি ফজলুল হক দোলন, সাবেক সিটি কমিশনার কবি নাজনীন আক্তার কনা, প্রভাষক ও ছড়াকার বদরুল আলম খান, মাসিক মাকুন্দা সম্পাদক গীতিকার মো. খালেদ মিয়া, বড়তলা মাজহারিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ডা. নাজমুল ইসলাম, কবি দেওয়ান মতিউর রহমান খান, কবি সীয়েম মনসুর, কবি রাশিদা বেগম, কবি সুব্রত দাস, গীতিকার হরিপদ চন্দ, রাজনীতিবিদ মোসাদ্দিকা চৌধুরী, কণ্ঠশিল্প সাজ্জাদ আহমদ, কবি এ.এইচ এমরান, কবি মোহাম্মদ মিজান, মাজেদুর রহমান শিপন, আকরাম হোসেন, নাবিদ হাসান, রাহেল আহমদ, এল এম নুরুল ও সজিব আহমদ প্রমুখ।

মালয়েশিয়ায় যাবেন ১৫ লাখ কর্মী

মিজান মোহাম্মদ : আগামী তিন বছরে ১৫ লাখ কর্মী মালয়েশিয়ায় যাবেন। এক মাসের মধ্যেই চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার পর এ কার্যক্রম শুরু হবে। এ লক্ষ্যে মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সমঝোতা স্মারকের খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।

সকালে সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব বলেন, জিটুজি প্রক্রিয়ায় (সরকার টু সরকার) কর্মীপ্রতি অভিবাসন ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৪ থেকে ৩৭ হাজার টাকা। এছাড়া বিমান ভাড়া, ইন্স্যুরেন্স, স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ সংশ্লিষ্ট খরচ বহন করবেন নিয়োগকর্তা (মালয়েশিয়া)। নিয়োগকর্তা কর্মীর (যোগ্যতাভিত্তিক) চাহিদা জানাবে বাংলাদেশ সরকারকে।

ভিসা প্রসেসিংসহ কর্মীর ডাটাবেজ এবং অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালিত হবে অনলাইনে। কর্মীদের বেতন পরিশোধ করা হবে ব্যাংকের মাধ্যমে।- এএস

সাড়ে ৩ বছরেও কাটেনি ইউএই’র ভিসা জটিলতা

মিজান মোহাম্মদ : নানামুখি উদ্যোগেও বাংলাদেশিদের জন্য খুলছে না সংযুক্ত আরব আমিরাতে বন্ধ শ্রমবাজার। সরকারি পর্যায়ে এ নিয়ে দফায় দফায় আলোচনা হয়েছে, আশ্বাসও মিলেছে ইউএই সরকারের পক্ষে। আলোচনা, আশ্বাস কোনটাই কার্যকর হয়নি গত সাড়ে তিন বছরে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে জনশক্তি পাঠানো বন্ধ হয়ে যায় ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে। ওই সময় পর্যন্ত দেশটিতে জনশক্তি রপ্তানির সংখ্যা ছিল মাসে ৩০ থেকে ৩৩ হাজার। বর্তমানে দেশটিতে ১০ লক্ষেরও বেশি বাংলাদেশি কর্মরত আছেন। বন্ধ না হলে এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারতো।

অপরাধ প্রবণতায় জড়িয়ে পড়ার অভিযোগে বাংলাদেশের জনশক্তি আমদানির ওপর ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইউএই সরকার। আরো কারণ থাকলেও এটাকেই প্রধান হিসেবে দেখছেন ইউএইতে বসবাসরত বাংলাদেশিরা। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে আর কোনো শ্রমিক না নেয়ারও সিদ্ধান্ত আছে দেশটির সরকারের, যা সম্পর্কের কারণে গোপন রাখতে চাইছে তারা।

ইউএইতে কর্মরত ব্যক্তিদের অভিযোগ, একশ্রেণির জনশক্তি রপ্তানিকারক ভালো চাকরির লোভ দেখিয়ে মুক্ত ভিসায় ৩ থেকে ৪ লাখ টাকায় শ্রমিক পাঠানোর ব্যবস্থা করতো। কিন্তু কর্মস্থলে গিয়ে দেখা গেছে বেতন মাত্র ৫ থেকে ৬’শ দেরহাম। চাকরির মেয়াদ দুই বছর। এসময়ে থাকা-খাওয়ার খরচ শেষে আমিরাতে আসার খরচ বাবদ নেয়া ঋণ শোধ করাই কঠিন হয়ে উঠে। ফলে কর্মস্থল ছাড়ার আগে শ্রমিকরা বাড়তি টাকা আয়ের জন্য জড়িয়ে পড়ত নানা অপরাধমূলক কাজে।

ভিসা বন্ধ থাকায় কর্মী না আনতে পারায় বাংলাদেশি অনেক ব্যবসায়ী তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছেন। পরিচালক দেখিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কিছু সংখ্যক কর্মি আনার ব্যবস্থাএখনো আছে। তবে এ প্রক্রিয়া বেশ ব্যয়বহুল হওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষের পক্ষে সেভাবে আসা সম্ভব হচ্ছে না। গেল ডিসেম্বর ওই সুযোগও অনেক কমিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সরকার।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরের সময় আশা করা হয়েছিল যে, ভিসা জটিলতা কাটবে। আশ্বাসও মিলেছিল সেইমত। ঢাকায় আমিরাতের ভিসা অফিস খোলারও কথা হয়েছিল। আমিরাতে নিয়োজিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান জানান, ঢাকায় ভিসা অফিস খোলার পরিবেশ তৈরি হয়েছে।কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি।

ভিসা জটিলতা অবসানে সংযুক্ত আরব আমিরাতে কর্মরত বাংলাদেশিরা আশা করছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবেন এবং সুরাহার উদ্যোগ নেবেন।

ক্রিমিনাল লিগ্যাল এইড সিস্টেম পরিবর্তনে পিছু হটলো ব্রিটিশ সরকার

ব্রিটেনে বিদ্যমান ক্রিমিনাল লিগ্যাল এইড সিষ্টেমে এ বছর বড় ধরনের পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা করা হলেও আপাতত তা হচ্ছে না।

ব্রিটেনের জাষ্টিস সেক্রেটারি মাইকেল গ্রোভ বলেছেন,পুলিশ স্টেশন ও ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে বর্তমানের চেয়ে দুই তৃতীয়াংশ ডিউটি সলিসিটর কমানোর ক্ষেত্রে সরকারের যে পরিকল্পনা ছিল তা আপাতত আর এগুচ্ছে না। একই সাথে লিগ্যাল এইড ফি ৮.৭৫ ভাগ কাট করার যে সরকারি পরিকল্পনা ছিল আগামি ১ বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।

ব্রিটেনের মিনিষ্ট্রি অব জাষ্টিস বিষয়টি নিয়ে এখন আলাদা ৯৯টি আইনী চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে বলে জাষ্টিস সেক্রেটারি মাইকেল গ্রোভ লিখিত মিনিষ্ট্রিয়াল স্টেটম্যান্টে উল্লেখ করেছেন।

উল্লেখ্য, পুলিশ স্টেশন ও ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ডিউটি সলিসিটরদের কন্টাক্টস কাটের সরকারী পরিকল্পনা কার্যকর হলে ক্রিমিনাল বিভিন্ন মামলা বা অভিযোগে অভিযোগযুক্ত বা আটককৃতরা আইনী সেবা থেকে বঞ্চিত হবার ঝুঁকি বাড়ত। একই সাথে আইনী সেবায় লিগ্যাল এইডের বরাদ্ধ কমলে এক্ষেত্রে বিচারপ্রার্থীর ব্যয়ও বেড়ে যেত।

এটি বাস্তবায়ন হলে, আর্থিক সীমাবদ্ধতা ন্যায় বিচার পাবার ক্ষেত্রে বিচারপ্রার্থীর জন্য বাধাঁর কারণ হয়ে দাঁড়াতো বলেও অনেকে মত দিয়েছেন। ব্রিটেনে এশিয়ান এবং বিশেষ করে বাঙ্গালী কমিউনিটিতে ডমেস্টিক ভায়োলেন্স, এস্যাইলামের মতো স্পর্শকাতর আইনী ক্ষেত্রসহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও সুবিধাবঞ্চিতরা সরকারের ডিউটি সলিসিটরদের কাছ থেকে আইনী সেবা পেয়ে আসছেন।

লেবারের শ্যাডো জাস্টিস সেক্রেটারি লর্ড ফ্যালকনার এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, সরকারের পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে।

যেখানে বিয়ের আগেই মা হতে হয়!

ডেস্ক রিপোর্ট : যৌন সম্পর্কের বৈধতা দিয়ে থাকে বিবাহ। এটা সামাজিক ও ধর্মীয় রীতি। তবে এর ব্যতিক্রম লক্ষ্য করা যায় টোটো সমাজে। সেখানে বিয়ের আগেই নারীকে গর্ববতী হতে হয়। টোটো ভারতের এক অতি ক্ষুদ্র জন গোষ্ঠী। পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার উত্তর প্রান্তে ভুটান সীমান্তে তোর্ষা নদীর ধারে টোটোপাড়া গ্রামে এঁদের বাস।

সে অঞ্চলে মেয়েদের বিয়ের আগে মা হওয়াটা কিন্তু বাধ্যতামূলক। সেখানে মাতৃত্বই দেয় পছন্দের সেই পুরুষকে বিয়ের অধিকার। এটাই রেওয়াজ টোটো সমাজে। সেখানে সবমিলিয়ে ১ হাজার ৫৮৪ টোটোর বাস। এখনো নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছেন এই উপজাতিরা।

টোটো সমাজের পুরুষদের কোনো মেয়েকে বেছে নেয়ার অধিকার রয়েছে। ছেলেটির পছন্দ হলে প্রথমে ছেলের বাবা মেয়ের বাবার বাড়িতে দু’হাঁড়ি ‘ইউ’ ও একটা লাল মুরগি নিয়ে গিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। একে বলে ‘বাগদান’ পর্ব। আগে সাত-আট বছর হলেই বাগদান পর্ব সেরে ফেলা হতো। তারপর কয়েকবছর পর মেয়ে শ্বশুরবাড়ি চলে আসতো এবং স্বামী-স্ত্রীর মতো বসবাস করতো। মেয়ে গর্ভবতী হলেই বিয়ের পর্ব সারা হতো। অনেকসময় বাগদানের পরেই মেয়ে ছেলের বাবার সঙ্গে শ্বশুরবাড়ি চলে আসে। নিজেদের পছন্দমতো বিয়ের ব্যাপারটা টোটো সমাজে অনেক আগে থেকেই প্রচলিত আছে। এই ধরনের বিয়েকে বলা হয় ‘নিয়াংকোষা’প্রথা।

টোটোদের মধ্যে পণপ্রথা নেই। বিবাহ বিচ্ছেদ বা বিধবা বিবাহ বরাবরই স্বীকৃত। তবে এইসব বিষয়ে সমাজ কতগুলি নিয়ম বেঁধে দিয়েছে। কোনো অবস্থাতেই টোটো সমাজ ব্যাভিচারিতা সহ্য করে না। এক্ষেত্রে সমাজপতিদের শাসন বড় কড়া। তবে শিক্ষার উন্নতি হওয়ার ফলে আগের অনেক নিয়মই এখন শিথিল হয়েছে।

সাহিত্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে হবে ….আবু জাহিদ

01 copyসুরমা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবু জাহিদ বলেছেন, আমাদের লেখালেখির মূল ভিত্তি হতে হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। লেখকদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আদর্শ মূল্যবোধের বিকাশের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যেতে হবে। তিনি বলেন, সাহিত্যের মাধ্যমে সামাজিক অসংগতিকে তুলে ধরে গণমানুষকে সচেতন করার জন্য লেখকদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। জাতির বিবেক হিসেবে খ্যাত লেখক সমাজের কাছে সাধারণ মানুষের অনেক প্রত্যাশা রয়েছে।
তিনি গতকাল ৮ জানুয়ারি শুক্রবার মাসিক বাসিয়া পত্রিকার উদ্যোগে পত্রিকার স্টেশন রোডস্থ কার্যালয়ে যুক্তরাজ্য প্রবাসী মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও লেখক মো. কাচা মিয়া এবং প্রবাসী কবি এম মোসাইদ খানকে নিয়ে এক অন্তরঙ্গ আড্ডায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
মাসিক বাসিয়া পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক গীতিকার মোহাম্মদ নওয়াব আলীর সভাপতিত্বে ও মোহাম্মদ নুরুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আড্ডায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দণি সুরমা ডিক্রি কলেজের অধ্য মো. শামসুল ইসলাম, প্রবাসী সমাজসেবী এম এ হাসিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আব্দুস সুবহান। কবি ও সাংবাদিক সাইদুর রহমান সাঈদ ও শিশু সংগঠক তাজুল ইসলাম বাঙালি।
শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সাংস্কৃতিকর্মী মো. আনহার আলী। আলোচনা, লেখাপাঠ ও গানে অংশ নেন মাকুন্দা সম্পাদক মো. খালেদ মিয়া, কবি উত্তম কুমার চৌধুরী, প্রভাষক জ্যোতিষ মজুমদার, গল্পকার জসিম আল ফাহিম, কবি আবদুল হান্নান ইউজেটিক্স, ছড়াকার তারেশ কান্তি তালুকদার, কবি এম আলী হোসাইন, কবি মোহাম্মদ মিজান, কবি সুব্রত দাশ।
অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কবি আবদুল বাসিত মোহাম্মদ, কবি কানিজ আমেনা কুদ্দুস, শিক ইউনুছ আলী, চিত্রশিল্পী টিটন কান্তি দাশ, রিয়াদ আকন্দ, সাকিব মিজি, মো. পংকি মিয়া, মাছুম আহমেদ, মুকিত খান, মো. মোস্তাক খান, মো. আখতার আলী, বিজয় সজিব, রাহেল আহমদ, নুরুল হক, মো. আব্দুল মালিক ও মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।

Developed by: