যে কবিতাটি আমি একটি জাতীয় দৈনিকে
পাঠিয়েছিলাম, তা আর কেউ পড়েনি।শুধু
পড়েছিলেন ঐ দৈনিকের সাহিত্য সম্পাদক।
তারপরে ছুঁড়ে দিয়েছিলেন ডাস্টবিনে।সেই
থেকে আমার ঐ কবিতাটির পাঠক সংখ্যা
একজনই ।
তিনি ফেলে দিয়েছিলেন ,কারণ তার ভালো
লাগেনি কবিতাখানি।
এই ভবের বাজারে ,অনেকের অনেক কিছুই
ভালো লাগে না।
কারো ভালো লাগে না যোগাত্মক যন্ত্রনা।
আবার, কারো ভালো লেগে যায় বিয়োগাত্মক বন্দনা ।
তা নিয়ে আমার কোনো অনুযোগ নেই
প্রকাশিত কথা হচ্ছে এই ……
যারা কবিতা বুঝতে জানে তারা প্রজাপতির পাশে দাঁড়াবেই ।
।।।।।।।।
ছিটমহল
ছড়িয়ে আছে পাথরদানা।জানা- অজানার বনভূমি ছুঁয়ে শিশুরা খেলে
যাচ্ছে সাপ-লুডু খেলা। বেলা দাঁড়িয়ে দেখছে জীবনের গমনদৃশ্যরূপ।
চুপ করে থাকি। আঁকি আমিও সম্প্রসারিত ভুলের কোলাজ। আওয়াজ
দেবার কথা ছিল যাদের, তারাও ছিটমহলের বাসিন্দা এখন। দ্রবণ
শেষ হলে প্রেমও কি তবে ছিটকে পড়ে পরাকাশের ,প্রান্তে অবশেষে!
ভালোবেসে মাটির মরম, দেখে যেয়ো … জমাট পাথর বাঁধা বুকের প্রদেশে।
।।।।।।।।
ঘাসগল্প
কিছুটা গৌরবগরজ নিয়ে আছি। কিছুটা রক্তাক্ত রাতের শরীরে মিশিয়ে শরীর।
এভাবে থেকে যেতে হয় । বিনয়ের কবিতা পড়ে শিখেছি বিনয়।
আর শক্তির কাছ থেকে ধার নিয়ে শক্তি, খুঁজেছি নির্জনতার ছায়া।
শনাক্ত করতে পারলে বুঝা যায় জলভাষা। দৃষ্টির দিগন্ত ছুঁলে ধরা যায়
বৃষ্টিবর্ণ । প্রতিবেশী প্রেমিকাকে ঘাসগল্প শুনিয়ে ঘুরা যায় নক্ষত্রনগর ।
কিছুটা মৌনতা নিয়ে আছি। গৌণ ভুলগুলোর চূড়ায় গোলাপ পাপড়ি
সাজিয়ে বার বার হয়েছি বশ্য। পারলে দিয়ে যেতাম এর অধিক কিছু।
এই শৌর্যের সন্ধ্যাতারার মেলায়, ভার্চুয়াল জোসানারা যেমন ভাসে দ্যোতনায়।
।।।।।।।।
এ্যাটাচম্যান্ট
মেঘের আলোয় লুকিয়ে রাখি মেঘালয়। অনাদি ঈশ্বর এসে ঢেকে দেবেন
আমাদের কামঘুম , সে প্রত্যয় নিয়ে গোণি প্রহর । বুঝে , না বুঝে আমরা
যারা খেলি প্লাস-মাইনাস খেলা ,তাদের সমবেত তাঁবুতে ছিটাই কুয়াশামন।
সংগ্রহ শেষ হলে পাঠিয়ে দেবো তোমার ঠিকানায়। লগো দেখে তুমি তা
যুক্ত করে নিতে পারবে তোমার ডেস্কটপে।তারপর ম্যাচমেকিং করে দূর
আকাশের রঙের সাথে মিলিয়ে নিতে পারবে গৃহীত উত্তরের রঙ। চাইলে
ডিলিট ও করতে পারবে । তবে বলি ,তার আগে শিখে নিও ‘সেভ ইয়র
সোল’। এ্যাটাচম্যান্ট করে পাঠিয়ে দিও অন্য কারো কাছে।যে জন যতনে
শিলং শহরে ……..
একজন অনিমিতা দেবরায়ের খোঁজে দিবানিশী ঘুরে ।
।।।।।।।।
মাস্তুল
এই বাঁকে কী এর আগে দাঁড়িয়েছিল কেউ। মাস্তুল কাঁধে ফেরারী মাঝির
মন নিয়ে দেখেছিল ভাঙনের সপ্তদৃশ্য ! এবং ওপারের মানুষের বিরহে
ঢেকেছিল দু’চোখ !
এমন প্রশ্ন নিয়ে জল খেলে ঘূর্ণি ঘূর্ণি খেলা
বেলা বয় ধীরে-
যমুনার দুই পাড়ে স্মৃতিমেদ বসিয়েছে মেলা