কারা কর্তৃপক্ষ ডেকে পাঠানোর পর শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় ছয়টি মাইক্রোবাসে করে কাশিমপুর কারাগারের ফটকে উপস্থিত হন মীর কাসেমের স্ত্রী, মেয়ে, পুত্রবধূসহ মোট ৪৬ জন। তাদের মধ্যে মোট ২৩ জনকে কাসেমের সঙ্গে দেখা করার জন্য ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়ে বলে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেলার নাশির আহমেদ জানান।
সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটে তারা যখন বেরিয়ে আসেন, গাজীপুরে তখন বৃষ্টি চলছে। কারা ফটক থেকে বের হওয়ার পরপরই গাড়িতে উঠে চলে যান তারা।
আজ শনিবার সকাল থেকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা কাশিমপুর কারাগারের সড়কে এবং আশপাশের এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন। সেই সঙ্গে রয়েছে কমিউিনিটি পুলিশের সদস্যরা।
গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ জানান, শুধু কাশিমপুর এলাকা নয়, নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুরো গাজীপুর জেলায় নেয়া হয়েছে। এজন্য টঙ্গী, স্টেশন রোড, বোর্ডবাজার, ভোগড়া বাইপাস মোড়, চান্দনা চৌরাস্তা, গাজীপুর শহর, রাজেন্দ্রপুর, কোনাবাড়ি ও চন্দ্রা এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এসব এলাকায় সর্বাত্মক সতর্কতা বজায় রাখার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রায় কার্যকরকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকায় নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কাশিমপুর কারাগারের সামনে মূল কারা ফটকে বাড়ানো হয়েছে অতিরিক্ত কারারক্ষীর সংখ্যা।