১২৫তম জন্মাবার্ষিকী উদযাপন লোকসাহিত্যের ইতিহাসে মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন এক উজ্জ্বল নাম — প্রফেসর নন্দলাল শর্মা

DSC_0801 copyবিশিষ্ট গবেষক, মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি, সিলেট-এর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর নন্দলাল শর্মা বলেছেন, বাংলাদেশের লোকসাহিত্যের ইতিহাসে মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন সাহিত্যরতœ এক উজ্জ্বল নাম। যিনি শত প্রতিকূলতার মধ্যে থেকেও লোকসাহিত্যের গবেষণা, সংরক্ষণ এবং প্রসারে উজ্জ্বল ভূমিকা রেখেছেন। সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি সমাজের উন্নয়নে তার বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। বিশেষ করে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিয়ে মানুষের মধ্যে আলোকবর্তিকা হয়ে আছেন।
লোকসাহিত্য গবেষক সংগ্রাহক মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন সাহিত্যরতœ, কাব্যবিনোদ, পুরাতত্ত্ববিদ-এর ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কৈতর সিলেট আয়োজিত আলোচনা সভা ও নিবেদিত কবিতা পাঠের আসরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
গত ২৯ অক্টোবর রোববার দরগাহ গেইটস্থ সিলেট কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাহিত্য আসর কক্ষে মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন সাহিত্যরতœ-এর ১২৫ জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন পর্ষদের আহবায়ক কবি লাভলী চৌধুরীর সভাপতিত্বে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পর্ষদের সদস্য সচিব সাংবাদিক সংগঠক সেলিম আউয়ালের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেট সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজের অধ্যক্ষ কবি কালাম আজাদ, আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক মুহম্মদ বশিরুদ্দিন, কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মাহমুদ রাজা চৌধুরী, কবি-গবেষক মুসা আল হাফিজ এবং মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন কবি নাঈমা চৌধুরী।
সিলেট এক্সপ্রেসের স্টাফ রিপোর্টার তাসলিমা খানম বীথির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কলামিস্ট বেলাল আহমদ চৌধুরী, শিক্ষাবিদ এডভোকেট আব্দুল মালিক, শিল্পকলা একাডেমি সিলেট-এর সাবেক সেক্রেটারি, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মাহবুব আহসান চৌধুরী, ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির সভাপতি আব্দুল বাতিন ফয়সল।
সভায় মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন সাহিত্যরতœকে নিবেদিত কবিতা পাঠ করেন আমিনা শহীদ চৌধুরী মান্না, কামাল আহমদ, মো. আব্দুল বাছিত, সৈয়দ মুক্তদা হামিদ, আমির হোসাইনী এবং মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন-এর জীবনী পাঠ করেন নাজিয়া আহমদ। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মাওলানা শামসীর হারুনুর রশীদ।
মূখ্য আলোচকের বক্তব্যে অধ্যক্ষ কবি কালাম আজাদ বলেন, মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন সাহিত্যরতœ বাংলা লোকসাহিত্যের ইতিহাসকে অনেকদূর নিয়ে গেছেন। সত্যিই তিনি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে এক রতœ। লোক সাহিত্যের গবেষণায় তাঁর অবদান অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
সভাপতির বক্তব্যে কবি লাভলী চৌধুরী বলেন, মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন সাহিত্যরতœ অন্যায়কে প্রশ্রয় দিতেন না। নিজের এলাকার মানুষকে শিক্ষার আলোকে গড়ে তোলার পাশাপাশি তাদের স্বাস্থ্যকে সুন্দর রাখার জন্য পরামর্শ এবং উপযুক্ত নির্দেশনা দিয়েছেন। তাঁর সার্বিক কর্মকান্ড ছিল অত্যন্ত গোছানো, তাই তিনি নিজেকে সাহিত্য ক্ষেত্রে রতœ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন।

Developed by: