সিলেটের বন্যাকবলিত মানুষ ভয়াবহ দুর্ভোগ

সিলেট ও সুনামগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে বন্যার পানি ধীরে ধীরে কমছে। পানি সরে যাওয়ার রাস্তা, ফসলের খেত, বসতভিটার ক্ষত বেরিয়ে পড়েছে। পানিতে তলিয়ে থাকা জিনিসপত্রের পচন ধরায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে প্রতিটি এলাকায়। পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। পানি একটু একটু করে নামতে থাকায় মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। বসতভিটা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ও বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় অনেক বানভাসি পরিবার বাড়ি ফিরতে পারছে না। চরম দুর্ভোগ বাড়ছে।

এছাড়া প্রত্যন্ত অঞ্চলে ত্রাণ তৎপরতা কম থাকায় বন্যাকবলিত মানুষ ভয়াবহ দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে। পানিবন্দি দশা দীর্ঘায়িত হচ্ছে। অনেকের চোখে-মুখে বাড়ি ফেরার আকুতি থাকলে ফিরতে পারছে না। নিজের ঘরে অনাহারে থাকলেও ভালো। এ মানবেতর জীবন আর ভালো লাগছে না।

কুশিয়ারা নদীর পানি ধীরে নামায় সিলেটের ছয়টি উপজেলায় বানভাসিদের দুর্ভোগ বেড়েছে। সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও দুর্ভোগ কমছে না।

সোমবারও কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ার তীরবর্তী গোলাপগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, জকিগঞ্জে সাত দিন আগে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ উপচে পানি যেসব এলাকায় ঢুকেছে সেসব এলাকায় এখনো সেই আগের মতোই রয়েছে।

সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও ধীরগতিতে পানি কমায় দুর্ভোগ বাড়ছে। এদিকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির গতি মন্তর হতে পারে। সোমবার দিনভর ভারি বৃষ্টি হয়েছে।

 

Developed by: