হার দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু করল বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার মাটিতে স্বাগতিকদের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ১৬৪ রান করেছিলেন সাকিব আল হাসানরা। সেই রান সহজেই করে জয় তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা।
বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয় ১৬৪ রানে। দলের পক্ষে নাজমুল হাসান শান্ত সর্বোচ্চ ৮৯ রান করেন। মাথিসা পাথিরানা একাই চার উইকেট নেন।
টসে জিতে ব্যাটিং শুরুর পর থেকেই উইকেট হারাচ্ছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওভারেই আউট হয়ে যান ওপেনার তানজিদ হাসান। অভিষেক ম্যাচে কোনও রান না করেই আউট হয়ে গেলেন তিনি। অন্য ওপেনার মোহাম্মদ নইম ১৬ রান করেন। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান আউট হন পাঁচ রান করে। ৩৬ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় ওভারেই স্পিনার মাহিশ থিকসানাকে নিয়ে এসেছিল শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় বলেই উইকেট তুলে নেন তিনি। স্পিনার দিয়ে আক্রমণ শুরু করার পরিকল্পনা কাজে লাগে শ্রীলঙ্কার। এতে লঙ্কানরা যেমনি উইকেট পেতে থাকে, তেমনি বাংলাদেশের রানও আটকে যায়।
শান্তর হাত ধরে কিছুটা ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু, অন্য কোনও ব্যাটার তাকে সাহায্য করতে পারেননি। নাইম আগে ব্যাট চালিয়ে পরাস্ত হন। হাসান বলের লাইন বুঝতে পারেননি। সাকিবকে আউট করেন তরুণ পাথিরানা। তোহিদ হৃদয়কে আউট করেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শনাকা।
রান করতে পারেননি অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমও। মাত্র ১৩ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। পাথিরানার বাউন্সারে আপারকাট মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন মুশফিকুর। মেহেদি হাসান মিরাজ রান আউট হয়ে যান। তার উল্টো দিকে থাকা নন স্ট্রাইকার শান্ত ক্রিজ় ছেড়ে বেরিয়ে যান। পৌঁছেও যান উল্টো দিকের ক্রিজ়ে। কিন্তু, মিরাজ সেই ডাকে সারা দেননি। কিন্তু শান্তকে উল্টো দিকের ক্রিজ়ে পৌঁছে যাওয়ায়, নিজেই ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে রান আউট হন মিরাজ।
১৬২ রানে সাত উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তারপর আর বেশি ক্ষণ টিকতে পারেনি সাকিবের দল। শান্তকে আউট করেন থিকসানা। ৮৯ রান করে বোল্ড হয়ে যান তিনি। পরের ওভারে পাথিরানার বল সামলাতে পারেননি তাসকিন আহমেদ এবং মুস্তাফিজুর রহমান। ফলে, ১৬৪ রানে শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের ব্যাটিং ইনিংস।