বিভাগ: বিনোদন

সালমানের মামলার রায় কাল

২০০২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ভোররাত। ‘ব্যাড বয়’ সালমান খানের টয়োটা ল্যান্ডক্রুজার গাড়ির চাপায় ঝরে যায় নিরীহ একটি তাজা প্রাণ। আহত হন ফুটপাতে ঘুমিয়ে থাকা হতদরিদ্র আরও চারজন মানুষ। সালমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মদ্যপ অবস্থায় বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাতে গিয়েই এই দুর্ঘটনা। কিন্তু তাঁর দাবি, দুর্ঘটনার সময় তিনি গাড়ি চালাচ্ছিলেন না। এরপর এক যুগেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। বছরের পর বছর ধরে ঝুলে আছে সালমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা গাড়িচাপা দিয়ে মানুষ হত্যা মামলার বিচার কার্যক্রম। অবশেষে মামলাটির রায় হতে যাচ্ছে। আগামীকাল ৬ মে মামলার রায় দেওয়ার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত মুম্বাইয়ের স্থানীয় একটি আদালত। দোষী প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড পেতে পারেন সালমান।
রায়ের তারিখ ঘনিয়ে আসায় চলচ্চিত্রশিল্পের সঙ্গে জড়িতরা মহাদুশ্চিন্তায় পড়ে গেছেন। কারণ সালমানের ওপর রয়েছে বিশাল অঙ্কের বিনিয়োগ। অবিশ্বাস্য শোনালেও, এই অঙ্কটা প্রায় ২০০ কোটি রুপি। চলচ্চিত্রের বাজার গবেষক কোমল নাহাতার মতে, ‘চলচ্চিত্রশিল্পের সঙ্গে জড়িতরা আশা করছেন, ভয়ংকর কিছু ঘটবে না। সবার প্রত্যাশা, হয় সালমান নির্দোষ প্রমাণিত হবেন, নয়তো লঘু সাজা পাবেন।’ এক খবরে এমনটিই জানিয়েছে পিটিআই।
সালমান অভিনীত ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ ও ‘প্রেম রতন ধন পাও’ ছবির শুটিং প্রায় শেষ পর্যায়ে। এ ছাড়া ‘দাবাং ৩ ’, ‘নো এন্ট্রি মে এন্ট্রি’সহ আরও মোট চারটি ছবির কাজ আছে তাঁর হাতে। গত কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে বক্স অফিসে ঝড় তোলা ছবি উপহার দিয়ে চলেছেন সালমান। কারাদণ্ড হলে তাঁর হাতে থাকা ছবিগুলোর কাজ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। আর এমনটা হলে মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়তে হবে ছবিগুলোর বিনিয়োগকারীদের।
অস্ত্র মামলায় সাজা খাটছেন ‘খলনায়ক’ তারকা সঞ্জয় দত্ত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সঞ্জয়ের পর সালমান দ্বিতীয় প্রভাবশালী তারকা যার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ মামলার বিচারকার্যক্রম চলছে। গাড়িচাপা দিয়ে মানুষ হত্যা মামলার পাশাপাশি বিরল প্রজাতির ব্ল্যাকবাক হরিণ শিকারের মামলাও ঝুলছে সালমানের ওপর।
এদিকে গাড়িচাপা দিয়ে মানুষ হত্যা মামলার রায় হতে যাচ্ছে জানার পর সালমানের পক্ষ নিয়েছেন তাঁর একাধিক বন্ধু ও সহকর্মী। বর্ষীয়ান অভিনেতা অনুপম খের বলেন, ‘সালমান চমৎকার একজন মানুষ। আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছি, মামলার রায় হওয়ার পর সালমান যেন খুশি থাকেন। মানুষ হিসেবে তাঁর কোনো তুলনা হয় না। আমার প্রত্যাশা, সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।’
বলিউডের অভিনেত্রী সোহা আলী খান বলেন, ‘সৃষ্টিকর্তার কাছে আমার প্রার্থনা, তিনি যেন সালমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের মনোবল শক্ত রাখেন। আমার পরিবারের কাছে সালমান অনেক ঘনিষ্ঠ। বরাবরই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।’ বলিউডের অভিনেতা জ্যাকি ভাগনানি বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে সালমানের সঙ্গে আমার সম্পর্ক অনেক কাছের। কিন্তু আদালত কী রায় দেবেন তা নিয়ে আমি বেশি কিছু বলতে পারি না। আমি চাই, সালমান যেন সুবিচার পান।

শাহরুখ – গৌরীর প্রেম: সিনেমার গল্পকেও হার মানায়

অভিনয় জগতের ব্যক্তিদের প্রেম, বিয়ে, বিচ্ছেদ নিয়ে তারা বরাবরই মিডিয়ায় আলোচিত হয়ে আসছেন। তাদের এই প্রেম-ভালোবাসা এবং বিয়ে সাধারণ দর্শকদের কাছে অনেকটাই নেতিবাচক হিসেবে উপস্থাপিত হয়। এর কারণ তাদের অনেকেই সকালে একজনের সাথে প্রেম করে তো বিকেলে আরেকজনের সাথে ঘর বাঁধেন তো তার পরের দিন তাকে ছেড়ে অন্য আরেকজনের প্রেমে হাবুডুবু খান। তবে বলিউড কিং শাহরুখ খানের ক্ষেত্রে তা সম্পূর্ণই ব্যতিক্রম। দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে স্কুল জীবনের প্রেমিকা গৌরীর সাথে সংসার করছেন বলিউড কিং শাহরুখ। তবে মাঝখানে অনেক ঝড় তাদের সুখের সংসারে হানা দিয়েছিল। বিশেষ করে শাহরুখ খান হলেন একজন মুসলমান এবং গৌরী হলেন হিন্দু। ধর্মীয় এই দেওয়ালটিই তাদের জীবনে সবচেয়ে বড় বাঁধা ছিল। কিন্তু তাদের অকৃত্রিম ভালোবাসার কাছে কোনো ঝড়ই টেকে নি।

সময়টা ছিল ১৯৮৪ সাল। শাহরুখ ও গৌরী একই স্কুলে পড়াশোনা করতেন। শাহরুখের বয়স তখন প্রেম কি জিনিস তা বুঝতে পারলেও গৌরীর বয়স এসময় একেবারেই অপরিপক্ক ছিল। সে সময় শাহরুখের বয়স ছিল ১৯ বছর এবং গৌরীর বয়স ১৪ বছর। তাদের পরিচয়টা কিন্তু স্কুল থেকে হয় নি। একটি অনুষ্ঠানে তাদের দুজনের প্রথম দেখা হয়। প্রথম দেখাতেই গৌরীকে মনে ধরে যায় শাহরুখের। সেই অনুষ্ঠানেই গৌরীকে প্রেম প্রস্তাব দেওয়ার জন্য এক বন্ধুর সহায়তা নেন। বন্ধুর মাধ্যমে সে গৌরীকে জানায় যে শাহরুখ তার সাথে নাচতে চায়। কিন্তু গৌরী শাহরুখের সে প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। গৌরী বলেছিল সে তার প্রেমিকের জন্য অপেক্ষা করছে। কিন্তু পরে জানা যায় গৌরী তার ভাইয়ের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। পরবর্তীতে শাহরুখ নিজে গিয়েই গৌরীকে জানায় সেও তার ভাই হতে চায়। এভাবেই শুরু হয় শাহরুখ-গৌরীর প্রেম কাহিনী।

শাহরুখের সাথে গৌরীর প্রেমের সম্পর্ক হয়ে গেলেও গৌরী ভয়ে তা তার পরিবারকে জানাতে পারেন নি। কারণ গৌরীর বাবা ছিলেন আগাগোড়া একজন ব্রাহ্মণ। এজন্য তাদের এই প্রেম-ভালোবাসা লুকিয়েই চলছিল। তবে ভয় সবসময় তাদের সাথে সাথেই থাকতো। সবচেয় ভয় ছিল গৌরীর ভাই।

এভাবে কিছুদিন চলার পর একদিন শাহরুখ গৌরীদের বাড়িতে অনুষ্ঠিত এক পার্টিতে চলে যান। শাহরুখ সেখানে নিজেকে হিন্দু বলে পরিচয় দেন। এভাবে দীর্ঘ ৫ বছর লুকিয়ে লুকিয়ে প্রেম চলে তাদের দুজনের মধ্যে।

ভালোবাসার সম্পর্কে টানাপোড়েন:
শাহরুক গৌরীকে নিয়ে অনেক বেশি আধিপত্য বিস্তার করতো। চুল খোলা অবস্থায় গৌরীকে দেখলেও তার উপর চটে যেতেন। আরও অনেক ছোটখাটো বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। গৌরী শাহরুখের আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে তাকে ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং শাহরুখকে না জানিয়েই বন্ধুদের সাথে মুম্বাই চলে যায়। এরপর শাহরুখ গৌরীর মাকে তাদের ভালোবাসার কথা জানান। শাহরুখের কথা শুনে গৌরীর মা শাহরুখকে ১০ হাজার রুপি দিয়ে বলেন ‘যাও তোমার প্রেমিকাকে খুঁজে নিয়ে আসো’।

এরপর শাহরুখ চলে যায় মুম্বাই। কিন্তু এত বড় মুম্বাই শহরে কোথায় খুঁজবে গৌরীকে। শাহরুখ আগে থেকেই জানতেন সমুদ্র গৌরীর খুব পছন্দ। এজন্য বিভিন্ন সমুদ্র সৈকতে খুঁজতে থাকেন গৌরীকে। একদিন আকসা সমুদ্রসৈকতে ঠিকই তিনি গৌরীর সন্ধান পেয়ে যান। সামনাসামনি হতেই তাঁরা দুজনই কাঁদতে শুরু করেন। সেই মুহূর্তে গৌরী উপলব্ধি করেন, শাহরুখ তাঁকে কতটা ভালোবাসেন! মূলত তখনই আজীবনের সঙ্গী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন এই প্রেমিক যুগল।
এরপর গৌরী সিদ্ধান্ত নেন সে তার বাবা-মাকে তাদের সম্পর্কের কথা বলবেন। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গৌরী তার বাবা-মাকে তাদের সম্পর্কের কথা জানান। বাবা-মা আপত্তি না করলেও তার পরিবারের অন্য সদস্যরা এ নিয়ে আপত্তি তোলেন। কিন্তু শাহরুখ – গৌরীর ভালোবাসার কাছে সকল বাঁধা হার মেনে যায়।

বিয়ে:
১৯৯১ সালের ২৫ অক্টোবর হিন্দু রীতি অনুযায়ী শাহরুখের হাতে মেয়েকে তুলে দেন গৌরীর বাবা-মা। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার পর গৌরীকে উদ্দেশ করে শাহরুখ বলে ওঠেন, ‘চলো, নামাজের সময় হয়েছে।’ শাহরুখের মুখে এই কথা শুনে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যান বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত গৌরীর পরিবারের সদস্য ও বন্ধু-বান্ধবরা। তখন হাসতে হাসতে শাহরুখ বলেন, ‘আমি স্রেফ মজা করার জন্যই এটা বলেছি।’ তবে দুজনের ধর্ম ভিন্ন ভিন্ন হলেও কারো ধর্মকেই কেউ অবহেলা করেন না। দুজনেই যেমন ঘটা করে পূজা পালন করেন তেমনি ঘটা করে ঈদও পালন করেন।
সংসার
তাদের দুই সন্তান, ছেলে আরিয়ান খান (জন্ম ১৯৯৭) ও মেয়ে সুহানা খান (জন্ম ২০০০)। ২০১২ সালে শাহরুখের তৃতীয় সন্তান আব্রাম জন্মগ্রহন করে। মাঝে বলিউডের অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে ঘিরে শাহরুখের ঘনিষ্ঠতার খবর চাউর হওয়ায় শাহরুখ-গৌরীর সংসারে অশান্তির ঝড় উঠলেও, পারস্পরিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে সমস্যা মিটিয়ে পারিবারিক বন্ধন আরও দৃঢ় করেছেন শাহরুখ-গৌরী। দীর্ঘদিন এক ছাদের নিচে বসবাস করে ভালোবাসা, পারস্পরিক সমঝোতা এবং বিশ্বস্ততার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন সফল এ দম্পতি।

বলিউডের সেরা দম্পতি:
বলিউডের সেরা দম্পতি নির্বাচিত হয়েছেন বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান ও গৌরী। এ দম্পতি ৪৫.৩ শতাংশ ভোট পেয়ে শীর্ষস্থান দখল করে নিয়েছেন। ২০১৩ সালে ভারতের ম্যাট্রিমোনিয়াল ওয়েবসাইটের করা এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। ম্যাট্রিমোনিয়াল ওয়েবসাইটটি বলিউড সেলিব্রেটি দম্পতিদের মধ্যকার সম্পর্কের ধরনের ওপর এ জরিপ চালিয়েছে।
f

যে ৭ ভুলে শুধুই আফসোস ঐশ্বরিয়ার

বিশ্বের সবচেয়ে সাকসেসফুল নায়িকাদের মধ্যে একজন বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। কিন্তু লোকে তাঁকে যাই বলুন না কেন নিজের ক্যারিয়ারে সাতটি ভুলের জন্য আফসোস করেন অ্যাশ। এই অভিনেত্রী তাঁর ফিল্মি ক্যারিয়ারে অনেক চরাই উতরাই দেখেছেন। তবে নিজেই কিছু ভুল সিদ্ধান্তের জন্য তাঁর ক্যারিয়ারগ্রাফ নিচে নেমে আসে।

১৯৯৬ সালে রিজি হয় ‘রাজা হিন্দুস্থানি’। এই ছবি সেসময় ব্যপক হিট করে বক্স অফিসে। তবে এই ছবিতে পরিচালকের ইচ্ছে ছিল ঐশ্বরিয়াকে নেওয়ার। কিন্তু অ্যাশ এই অফার ফিরিয়ে দিলে শেষমেশ করিশমা কাপুর এই ছবিতে অভিনয় করেন ও এই ছবি সুপারহিট হয়।

১৯৯৮ সালের ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ ছবিতে টিনার চরিত্রে অভিনয় করার ছিল ঐশ্বরিয়ার। কিন্তু এই ছবিও ফিরিয়ে দেন তিনি। তার পরিবর্তে ছবিতে অভিনয় করেন রানি মুখোপাধ্যায়। ছবির সাফল্যের কথা আশাকরি আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

‘অশোকা’ ছবিতে কারিনা কাপুরের অভিনয় সকলেই খুব প্রশংসা করেন। ছবি খুব একটা হিট না হলেও করিনার ক্যারিয়ারগ্রাফ কিন্তু এই ছবির হাত ধরেই উপরে উঠেছিল।এই ছবিতেই অভিনয় করার কথা ছিল অ্যাশের। কিন্তু এই ছবির অফারও ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।

২০০৩ সালে ‘মুন্নাভাই এমবিবিএস’ ছবিতে শাহরুখ ও ঐশ্বরিয়াকে অফার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা দুজনেই এই ছবিতে না করে দেন। তার পরেই এই ছবিতে অভিনয় করেন সঞ্জয় দত্ত ও গ্রেসি সিং। পরে এই ছবি বলিউডের বেস্ট কমেডি ছবির তালিকায় আসে।

২০০৬ সালের মুক্তি প্রাপ্ত ছবি ‘কর্পোরেট’র জন্য ঐশ্বরিয়াকে সাইন করানোর কথা ছিল। যদিও পরে এই ছবিতে অভিনয় করেন বিপাশা বসু। এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য ভুরি ভুরি প্রশংসা পান বিপাশা।

হরর ফিল্ম ‘ভুল ভুলাইয়া’য় বিদ্যা বালন অভিনয় করেছিলেন। কিন্তু এই ছবিতে পরিচালকের প্রথম পছন্দ ছিলেন ঐশ্বরিয়া।কিন্তু এই ছবিতেও অভিনয়ে না করে দেন ঐশ্বরিয়া।

এবছরেই মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘বদলাপুর’য়ে ইয়ামি গৌতমের আগে ঐশ্বরিয়াকে অফার করা হয়েছিল। ছবির স্ক্রিপ্ট পছন্দ হলেও শেষে এই ছবিতেও না করে দেন ঐশ্বরিয়া। তার বদলে সঞ্জয় গুপ্তার ছবি ‘জসবা’ ছবিতে অভিনয়ের সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

ভারতীয় টিভি চ্যানেলে মুক্তি পাচ্ছে জয়া আহসানের ছবি

দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান এবার কলকাতার টিভি চ্যানেল জি বাংলা সিনেমায় উপস্থিতি ঘটাচ্ছেন নিজের অভিনীত একটি ছবি নিয়ে। তাও সেটি তরতাজা নতুন একটি ছবি। আগামী ১৭ই মে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় জি বাংলা সিনেমায় জয়া আহসান অভিনীত ‘একটি বাঙালি ভূতের গপ্পো’ নামে কলকাতার একটি বাংলা ছবি মুক্তি দেয়া হবে। শুক্রবার চ্যানেলটির ফেসবুক পেইজে ছবিটির ট্রেলার প্রকাশ করে এ ঘোষণা দেয়া হয়। ‘একটি বাঙালি ভূতের গপ্পো’ পরিচালনা করেছেন ইন্দ্রনীল রায় চৌধুরী। তিনি এর আগে কলকাতায় ‘ফড়িং’ নামের একটি ছবি নির্মাণ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। এবারও তার কাজ প্রশংসিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। রহস্যময় গল্পে নির্মিত এই ছবিটি নিয়ে কলকাতার দর্শকদের মধ্যে ইতিমধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। ছবিটি প্রসঙ্গে জয়া আহসান বলেন, ‘একটি বাঙালি ভূতের গপ্পো’ পুরোপুরি রহস্যময় একটি গল্প। এর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রহস্যেই ঘেরা । উল্লেথ্য, কলকাতার ছবিতে জয়ার যাত্রা শুরু হয় অরিন্দম শীলের পরিচালনায় ‘আবর্ত’ ছবির মাধ্যমে। এছাড়া সৃজিত মুখার্জির ‘রাজকাহিনি’ এবং নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘কণ্ঠ’ নামে আরও দুটি ছবিতে অভিনয় করেছেন এই অভিনেত্রী।

মেয়ের সিনেমায় নামার খবরে বিরক্ত শচীন

মেয়ে সারার সিনেমায় নামার খবরে বিরক্তি প্রকাশ করেছে ভারতের কিংবদন্তী ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার। এই খবরকে গুজব হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ‘আমার মেয়ে সারা তার লেখাপড়ায় ভালো করছে। তার সিনেমায় নামার ভিত্তিহীন গুজবে আমি বিরক্ত।’ সোমবার এক টুইটে তিনি এ কথা লেখেন।

নবাবী সম্পত্তিতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা

ভোপাল, ২৬ এপ্রিল- আলাদতের নির্দেশে জারি করা হল পতৌদির ছোট নবাব সাঈফ আলী খানের পৈত্রিক সম্পত্তির উপর দখলদারির নির্দেশ। প্রায় দুই মাস আগে কাস্টোডিয়ান অফ এনিমি প্রোপারটি অফ ইন্ডিয়া নবাবের ভোপাল এস্টেট নিয়ে সরকারের মামলা করে পতৌদি পরিবারের বিরুদ্ধে।

সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভোপালের এই এস্টেটি সরকারি জমির অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু তা মানতে নারাজ নবাব পরিবার। সাঈফ আলী খানের ভাষ্যমতে, সম্পত্তিটি উত্তরাধিকার সূত্রে অর্জন করেছেন। তাই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলন তিনি।

পতৌদির এই এস্টেটের মধ্যে রয়েছে প্যালেস, কিছু বাড়ি ও কৃষিজমি। ১৯৬১ সালে এই বিশাল এস্টেটটি পান সাঈফ আলী খানের দাদী সাজিদা সুলতান। সম্পত্তিটি তার আগে ছিল ভোপালের শেষ নবাব হামিদুল্লা খানের অধিকারে। সাজিদা তার দ্বিতীয় সন্তান। হামিদুল্লার মৃত্যুর পরে সম্পত্তির মালকিন হয় সাজিদা। আর সাজিদার সঙ্গে বিয়ে হয় ইফতিকার আলির সঙ্গে। ইফতিকার ছিলেন পতৌদি পরিবারের অষ্টম সন্তান। বংশক্রমের এই সূত্র ধরে বিশাল এই সম্পত্তির মালিক এখন সাঈফ।

১৯৬৮ সালে তৈরি একটি বিশেষ আইনে বলা হয়েছে, ১৯৪৭ সালের পর মহারাজা বা নবাবদের সম্পত্তি রাজ্য সরকারের মালিকাধীন হয়ে যাবে। আর এই আইন অনুসারে নবাবদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছেন সরকার। আইনানুযায়ী সরকারের তরফ থেকে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ‘ভারত স্বাধীন হওয়ার পর মহারাজা ও নবাবদের সম্পত্তি আইন বলে সরকারের অধীনে চলে আসা উচিত। তাই নবারের এই সম্পত্তি সরকারের প্রাপ্য’।

তবে নিজের অধিকার হাতছাড়া করতে নারাজ সাঈফ। তাই তিনিও চলছেন আইনের পথে। তাই এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়। আপাতত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলেও বেশ কিছু আইনি জটিলতা কাটিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আদালতকে।

‘বানসালী’র সাথে কিছু হয়নি’

00‘বাজিরাও মাস্তানি’ নিয়ে এই নির্মাতা অনেককিছুই পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন। কিন্তু প্রিয়াঙ্কা আগেই তা ফাঁস করে দিয়ে নির্মাতার সব পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছেন।

প্রিয়াঙ্কা তার ভক্তদের কয়েকদিন আগেই টুইটারে জানান, তিনি এবং দীপিকা পাডুকোন মিলে ‘লাভনি’ ড্যান্সে অংশ নিচ্ছেন। অথচ সঞ্জয় লীলা বানসালি চেয়েছিলেন আরও বড় পরিসরে সিনেমা মুক্তির প্রচারণার সময় সিনেমার এই তথ্য দিয়ে সকলকে চমকে দিতে।

আর এ নিয়ে মনোমালিন্যের খবর বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রচার হলে এবারে প্রিয়াঙ্কা বলছেন উল্টো কথা। প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘বানসালী’র সাথে কিছু হয়নি। এটা স্রেফ একটা মান অভিমান।’

বিয়ের পিঁড়িতে হ্যাপি

ঢাকা, ২২ এপ্রিল- বর্তমানে মিডিয়াতে আলোচিত সমালোচিত এবং বিতর্কিত নামের মধ্যে সর্বাগ্রে নাজনীন আক্তার হ্যাপি নামটাই চলে আসে। কত খবরের জন্ম দিয়েছেন হ্যাপি তার কোন ইয়াত্তা নেই।
সব ঘটনা পেছনে ফেলে নতুন খবরের জন্ম দিতে চলেছেন তিনি। আর সেটা হচ্ছে, শেষ পর্যন্ত রুবেলকে বাদ দিয়েই অন্য পুরুষকে বিয়ে করতে যাচ্ছেন অভিনেত্রী হ্যাপী।
আগামী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটায় গুলশান-১ হবে এ বিয়ের অনুষ্ঠান। আর এ খবর দিয়েছেন হ্যাপী নিজেই। মঙ্গলবার রাতে হ্যাপী তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, ২৩ এপ্রিল আমার বিয়ে। সন্ধ্যা ৭টায় প্রোগ্রাম শুরু। এর জন্য আমি খুবই এক্সাইটেট।

যদিও তিনি পাত্রের নাম উল্লেখ করেননি। তবে বেশ কিছুদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং অনলাইন গণমাধ্যমে রীতিমত জাবর কাটছে তার জীবনে নতুন সঙ্গী হিসেবে ডেড লাইনের পরিচালক ফাহিম ইসলামের নাম। তাই ধারণা করা হচ্ছে পাত্র তিনিই।

অবশ্য এই স্ট্যাটাসেই আগের এডিশনে হ্যাপী লেখেন, সাত দিন পরে তারা বিয়ে করতে যাচ্ছেন। তাই আসল বিষয়টা নিয়ে ধোঁয়াশা থেকেই যায়।
এ ব্যাপারে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ভাইবারে হ্যাপি জানান, যেটা স্ট্যাটাসে দিয়েছি সেটা সত্য কি মিথ্যা তার প্রমাণ পেতে একটা দিন অপেক্ষা করেন। সব পরিষ্কার বুঝতে পারবেন। এখন এর বেশি কিছু জানাবো না।

হ্যাপির এমন স্ট্যাটাসের কথাগুলো কতটুকু বাস্তবে রূপ নেয় কিংবা আদেও তিনি বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন কি-না সেটা দেখা এবং জানা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষামাত্র।

প্রিয়াঙ্কাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন শাহরুখ

একটা সময়ে প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার সঙ্গে শাহরুখ খানের সখ্যের কারণে অশান্তির ঝড় উঠেছিল শাহরুখ-গৌরীর সংসারে। অবশ্য গৌরীর শক্ত অবস্থানের কারণে শেষ পর্যন্ত শাহরুখ-প্রিয়াঙ্কা সখ্যের ইতি ঘটে। সম্প্রতি ১৫ বছর আগের একটি ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ার পর আবারও আলোচনায় এসেছেন শাহরুখ-প্রিয়াঙ্কা। প্রকাশিত ভিডিওতে শাহরুখ প্রিয়াঙ্কাকে বিয়ের প্রস্তাব দিচ্ছেন। অবশ্য স্রেফ মজা করেই প্রিয়াঙ্কাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন কিং খান। তার পরও বিষয়টি নিয়ে অনলাইনে হইচই পড়ে গেছে।

২০০০ সালের ঘটনা। তখনো বলিউডে যাত্রা শুরু হয়নি প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার। সে বছর বিশ্বসুন্দরী খেতাব পান তিনি। প্রতিযোগিতার আসরে বিচারকদের মধ্যে ছিলেন শাহরুখ খান। প্রতিযোগিতার প্রশ্নোত্তর পর্বে শাহরুখ ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে প্রিয়াঙ্কাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন।

প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রিয়াঙ্কাকে শাহরুখ জিজ্ঞেস করেন, তাঁর মতো অভিনেতা, আজহারউদ্দিনের মতো খেলোয়াড় এবং সরোভস্কি জুয়েলারির মালিকের মতো শৈল্পিক ব্যবসায়ীর মধ্যে কাকে বিয়ে করার জন্য বেছে নেবেন প্রিয়াঙ্কা। শাহরুখ এও বলেন, তাঁকে বিয়ে করার জন্য রাজি হলে অন্য দুই বিচারক (আজহারউদ্দিন ও সরোভস্কি জুয়েলারির মালিক) বিচারকাজে পক্ষপাতিত্ব করবেন না। এভাবে ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে প্রিয়াঙ্কাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন ‘বলিউড বাদশাহ’। এক খবরে এমনটিই জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে ‘ডন ২’ ছবি মুক্তি পাওয়ার পর শাহরুখ এবং প্রিয়াঙ্কার ঘনিষ্ঠতা নিয়ে নানা কেচ্ছা-কাহিনি চাউর হয়। দুজনের ঘনিষ্ঠতার এসব খবরে প্রচণ্ড চটে যান শাহরুখের স্ত্রী গৌরী খান। এমনকি তাঁদের দীর্ঘদিনের সাজানো সংসারে অশান্তিও নেমে আসে। ভবিষ্যতে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে এক ছবিতে অভিনয় করতে পারবেন না-শাহরুখের ওপর এমন অলিখিত নিষেধাজ্ঞাও জারি করেন গৌরী। পরবর্তী সময়ে শাহরুখ-প্রিয়াঙ্কার দূরত্ব বাড়তে থাকে। এক ছবিতে অভিনয় করা তো দূরের কথা, কোনো অনুষ্ঠানে হাজির হলেও একে অন্যকে এড়িয়ে চলতে দেখা যায় তাঁদের।

প্রিয়াঙ্কাকে শাহরুখের বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার ভিডিও

হাজারও মানুষের মিলন মেলায় শেষ হলো জামালগঞ্জের এমরুল কয়েস লোক উৎসব

DSC03024সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার এমরুল কয়েস লোক উৎসর হাজারও মানুষের মিলন মেলায় পরিনত হয়। সিলেট সুনামগঞ্জ হবিগঞ্জ মৌলভীবাজারের বিভিন্ন এলাকা থেকে কবি সাহিত্যিক, বাউল শিল্পীদের প্রানান্তর আড্ডায় উৎসবের আমেজকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছিল।
গত ১৮ মার্চ ভোর ৬টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলবে এ লোক উৎসব। বাউল গানের ফাঁকে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা ও ‘আমরা বাউল’ এর মোড়ক উন্মোচন।
প্রভাষক তোয়াহেদ মিয়ার প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত এ লোক উৎসবে আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন জামাল উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. মিছবাহ উদ্দিন। প্রধান আলোচক ছিলেন মাসিক মাকুন্দার সম্পাদক বহুগ্রন্থ প্রণেতা মো. খালেদ মিয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি ও সংগঠক সাইদুর রহমান সাঈদ, মাসিক বাসিয়া সম্পাদক গীতিকার মোহাম্মদ নওয়াব আলী, কবি আবদুল ওয়াহিদ, মরমি কবি ও শিল্পি ফকির সমছুল, কবি ও প্রভাষক ফজলুল হক দোলন, জামালগঞ্জ প্রেসকাবের সভাপতি অরুণ পুরকায়স্থ, কবি ও গীতিকার কামরুন নাহার চৌধুরী শেফালী, কবি রাশিদা বেগম ও কবি মো. সহিদ মিয়া। লোক উৎসবে সভাপতিত্ব করবেন উৎসবের প্রতিষ্ঠাতা ডা. এমরুল কয়েস। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন লোক উৎসবের চেয়ারম্যান প্রভাষক ইব্রাহিম কয়েস মামুন। লোক উৎসবে সংগীত পরিবেশন করেন বাউল শিল্পী সামছুন্নুর, শিল্পী জহুর আলী, মনির উদ্দিন পাগলা, শিল্পী সমর উদ্দিন, শিল্পী সাজ্জাদ আহমদসহ অসংখ্য বাউল শিল্পী।

Developed by: