বলিউডে নারী-পুরুষের পারিশ্রমিক-বৈষম্য নিয়ে কম আলোচনা-সমালোচনা হয় না। বছরের পর বছর অনেক অভিনয়শিল্পীই এ ইস্যুতে মুখ খুলেছেন। অনেক নারীর মত, একই কাজ করেও পুরুষের চেয়ে তাঁরা কম পারিশ্রমিক পান।
আবার কিছু অভিনয়শিল্পী তাঁদের এই অভিযোগ উড়িয়ে দেন। এবার একটু পেছনে ফেরা যাক। ২০১৮ সালে অভিষেক বচ্চন বলেছিলেন, স্ত্রী ঐশ্বরিয়া রাইয়ের সঙ্গে করা নয়টি সিনেমার আটটিতেই তাঁর চেয়ে কম পারিশ্রমিক পেয়েছেন অভিষেক।
২০১৮ সালে এক অনুষ্ঠানে চলচ্চিত্র নির্মাতা সুজিত সিরকারের সঙ্গে আলাপচারিতায় ওই কথা প্রকাশ করেছিলেন অভিষেক বচ্চন।
অভিষেকের ভাষ্য, ‘চলচ্চিত্র ব্যবসায়ে লিঙ্গবৈষম্য নিয়ে প্রচুর তর্ক হয় এবং অন্য অঙ্গনেও হয়। আমি আমার স্ত্রীর সঙ্গে নয়টি সিনেমায় কাজ করেছি এবং এর মধ্যে আটটিতেই সে আমার চেয়ে বেশি অর্থ পেয়েছে। পিকু সিনেমায় সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পেয়েছে দীপিকা (পাড়ুকোন)। এটা ব্যবসা এবং আপনি যদি বিক্রয়যোগ্য অভিনেতা হন, তবে অবশ্যই ভালো পারিশ্রমিক পাবেন। আপনি যদি নবাগত অভিনেত্রী হন এবং শাহরুখ খানের মতো পারিশ্রমিক চান, তাহলে তো হবে না।’
‘কুছ না কাহো’, ‘গুরু’, ‘রাবণ’, ‘ধুম টু’, ‘ধাই অক্ষর প্রেম কে’, ‘সরকার রাজ’, ‘উমরাও জান’ ও ‘বান্টি অউর বাবলি’ সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করেছেন অভিষেক ও ঐশ্বরিয়া। ১৯৯৭ সালে তামিল সিনেমা ‘ইরুভার’ দিয়ে সিনে-অঙ্গনে অভিষেক হয় ঐশ্বরিয়ার। আর এর তিন বছর পর ২০০০ সালে জে পি দত্তের ‘রিফুজি’ দিয়ে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশ করেন অভিষেক।
২০০৭ সালে রাজকীয় আয়োজনে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন অভিষেক ও ঐশ্বরিয়া। ২০১১ সালে তাঁদের কন্যা আরাধ্যার জন্ম হয়।
এন এইচ, ২৭ জুন