বিভাগ: প্রবাস

সংহতির সংবাদ সম্মেলন: রজত জয়ন্তী ও সাহিত্য সম্মেলন পহেলা আগষ্ট

001যুক্তরাজ্য বাঙালিদের সাহিত্য সংস্কৃতির চারণভূমি। যার ফলে যুক্তরাজ্যকে তৃতীয় বাংলা বলেও অভিহিত করা হয়ে থাকে। এখানকার ঐতিহ্যবাহী সাহিত্য সংগঠন সংহতি সাহিত্য পরিষদ। এই সংগঠনটি দুই যুগের বেশী সময় ধরে সাহিত্য-সংস্কৃতির নিরলস চর্চা করে যাচ্ছে। যা বাঙ্গালীদের জ্ন্য গর্বের ও আনন্দেন বিষয়।

২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশ ও পশ্চিম বঙ্গের বাহিরে সর্ব প্রথম বাংলা কবিতা উৎসব ও বহির্বিশ্বের বাংলা ভাষার কবি সাহিত্যিকদের মূল্যায়নের লক্ষ্যে সাহিত্য পুরষ্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করে। সংহতির কবিতা উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে অংশ গ্রহণ করেছেন কবি ও সাহিত্যিকরা।

২৩ জুলাই বৃহস্পতিবার পূর্ব লন্ডনের মন্টিফিউরি সেন্টারে সংহতির রজত জয়ন্তী ও সাহিত্য সম্মেলন উপলক্ষ্যে এক সংবাদ সম্মেলন ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। লন্ডনের বসবাসরত কবি সাহিত্যিকদসহ স্থানীয় গণমাধ্যমের কর্মীদের উপস্থিতিতে সংহতির সভাপতি কবি ইকবাল হোসেন বুলবুলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সামছুল হক এহিয়ার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইকবাল হোসেন বুলবুল।

সারাদিনব্যাপি উৎসবের অনুষ্ঠানমালার মধ্যে থাকবে সকাল সাড়ে ১১টায় লন্ডনের আলতাব আলী পার্ক থেকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও সেই সাথে র‌্যালী যা টয়নবী হলে গিয়ে শেষ হবে। মূল অনুষ্ঠানস্থলে থাকবে আলোচনা সভা, কবিতা পাঠ, আবৃত্তি ও সঙ্গীতানুষ্ঠান, সংহতি সাহিত্য ও গুনীজন সম্মাননা পদক প্রদানসহ আকর্ষনীয় সব অনুষ্ঠানমালা।

সভায় অন্যানর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংহতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ফারুক আহমত রনি, প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছড়াকার আবু তাহের, লেকখ গবেষক ইসহাক কাজল, কবি তুহিন চৌধুরী, কবি হেলাল উদ্দিন, কবি গোলাম কবির, কবি ও সাংবাদিক মিল্টন রহমান, মজিবুল হক মনি, আনওয়ারুল ইসলাম অভি, কবি ময়নুর রহমান বাবুল, কবি কাজল রশিদ, কবি মোশাহিদ খান, কবি আরাফাত তানিম, একে আব্দুল্লাহ, সাংবাদিক মুরাদ কাদির, রুবি হক, চ্যানেল আই রিপোর্টার আব্দুর রাশিদ, এন টিভির ফারুক সুমন, শীর্ষবিন্দুর নিজস্ব প্রতিনিধি রনি চৌধুরীসহ আরো অনেকে।

সংহতি সাহিত্য পরিষদ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮৯ সালে। জন্মলগ্ন থেকে এই সংগঠন তার কর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। থেকে বিভিন্ন সময় সাহিত্য সম্মেলন, কবিতা পাঠ, আবৃত্তি, নাঠক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কবিতা উৎসব, সাহিত্য গল্প কবিতা সংকলন প্রকাশ করে থাকে। এছাড়াও বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন দিবসগুলো পালনসহ নানান কর্মতৎপরতার মাধ্যমে বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চা লালন করা পাশাপাশি ভাষা ও সংস্কৃতিকে বিশ্বের দরবারে ধরার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

আজ সময়ের সংহতি সময়ের হাত ধরে ২৫ বছর পূর্তি পালন করতে যাচ্ছে। বহু জাতীয় সংস্কৃতির বর্তমান তীর্থ ভুমি বিলেতে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করে এই দীর্ঘ পথ চলে আসা একটি সংগঠনের জন্য বিশাল আনন্দের এবং গর্বের। সংহতির এই আনন্দ উৎসবকে পালন করার প্রয়াস নিয়েই আগামী পহেলা আগষ্ট পূর্ব লন্ডনের টয়নবী হলে আয়োজন করা হয়েছে রজত জয়ন্তী ও সাহিত্য সম্মেলন অনুষ্ঠান।

আয়োজিত এই অনুষ্টানে বাংলাদেশ থেকে উপস্থিত থাকবেন নন্দিত কথা সাহিত্যিক কবি নাট্যকার আনিসুল হক, কবি ও সাংবাদিক মুস্তাফিজ শফি, কবি শোয়াইব জিবরান, বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী বাদশা বুলবুল, ও রানা শেখ। এছাড়াও কলকাতা থেকে উপস্থিত থাকবেন সানতুর শিল্পী কুনাল সাহা, আমেরিকা থেকে কবি জিয়া উদ্দিন, কানাডা থেকে মোহাম্মদ আব্দুল হাসিব।

অন্যান্য মধ্যে উপস্থিত থাকবেন বিলেতের মূল ধারার লেখক স্টিফেন ওয়াটস এবং বিলেতের স্বনামধন্য বাঙ্গালী কবি, সাহিত্যিক লেখক ও শিল্পীবৃন্দ। তাছাড়াও যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেক কবি, সাহিত্যিক ও সাহিত্য প্রেমীরা উক্ত সম্মেলনে এসে অংশগ্রহণ করবেন বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।

বিশ্বনাথে ৬ লক্ষ টাকা চুক্তিতে খুন করা হয় সুজিনাকে : রহস্য উদঘাটন

বিশ্বনাথে যুক্তরাজ্য প্রবাসীর ২য় স্ত্রী সুজিনা বেগম হত্যাকান্ডে রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ঘাতক গয়াছ কে গ্রেফতারের পর তার স্বীকারোক্তিতে সজলু নামের আরো ১ ঘাতককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত গয়াছ শনিবার সিলেট জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট জেরিন আক্তারের আদালতে কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
জবানবন্দিতে ঘাতক গয়াছ জানিয়েছে, যুক্তরাজ্য প্রবাসী মুরাদ আহমদের ১ম স্ত্রী সাবিনা বেগমের পরিকল্পনায় ৬ লক্ষ টাকার চুক্তিতে প্রবাসীর ২য় স্ত্রী সুজিনা বেগমকে হত্যা করা হয়েছে।
সুজিনার পরিচয় : বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর (পশ্চিমপাড়া খালপাড়) গ্রামের মৃত হাজী আব্দুর রউফের সৎ মেয়ে ও জগন্নাথপুর উপজেলার শ্রীরামসি (সাতহাল) গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী মুরাদ আহমদের ২য় স্ত্রী সুজিনা বেগম (১৯)। প্রায় সাড়ে ৩মাস পূর্বে মুরাদের সাথে বিয়ে হয় সুজিনার। বিয়ের পর থেকে সুজিনা তার মায়ের সাথে পিত্রালয়ে বসবাস করে আসছিলেন।
যেভাবে হত্যা করা হয় সুজিনাকে : ১৯ জুলাই রবিবার সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজের পরপরই অতিথি পরিচয়ে হাতে বনফুলের মিষ্টির বক্স নিয়ে সুজিনার পিতার বাড়িতে আসে অজ্ঞাতনামা ৪ ঘাতক। ঘাতকরা দরজায় নক করলে সুজিনার মা তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা জানায় সুজিনার স্বামী মুরাদের পূর্ব পরিচিত। এরপর তাদেরকে বসতে দেওয়া হয় এবং তাদের জন্য সুজিনা ও তার মা রেজিয়া বেগম লাচ্ছি তৈরী করেন। কিন্ত আপ্যায়নের পূর্বেই ঘাতকরা ঝাপটে ধরে সুজিনাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করতে থাকে। এসময় সুজিনার মা এগিয়ে এলে তাকেও আঘাত করে ঘাতকরা। এক পর্যায়ে আঘাতে আঘাতে জর্জরিত সুজিনা ও তার মা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ঘাতকরা পালিয়ে যায়। এসময় সুজিনার একমাত্র ছোট ভাই জহির উদ্দিন (১২) ঘর থেকে বের হয়ে চিৎকার শুরু করলে আশপাশ বাড়ির লোকজন ছুটে আসেন এবং সুজিনা ও তার মাকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে প্রেরণ করেন। কিন্ত হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানেই সুজিনার মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার রাতে সুজিনার মামার বাড়ি উপজেলার বাহাড়া দুভাগ গ্রামে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
স্বীকারোক্তিতে যা বললো ঘাতক গয়াছ : গ্রেফতারের পর শনিবার সিলেট জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট জেরিন আক্তারের আদালতে হাজির করা হয় ঘাতক গয়াছ মিয়াকে। কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে গয়াছ বলে, ৬লক্ষ টাকা চুক্তির বিনিময়ে হত্যা করা হয়েছে সুজিনাকে। প্রবাসী মুরাদের ১ম স্ত্রী যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাবিনা বেগম তার সৎ ভাই জুনাব আলীর মাধ্যমে গয়াছসহ অন্য ৫জনের সাথে হত্যার এই চুক্তি করা হয়। সাবিনার সৎ ভাই জুনাব আলী, চাচাতো ভাই আওলাদ, গ্রেফতারকৃত গয়াছ ও সজলু সহ আরো অজ্ঞাতনামা ৩জন এই হত্যাকান্ডে সরাসরি জড়িত ছিলো। ১৯ জুলাই সন্ধ্যায় একটি মিষ্টির বক্স হাতে নিয়ে সুজিনার বাড়িতে যায় ঘাতকরা। ওই সময় জুনাব আলী ও আরো অজ্ঞাতনামা ২জন বাড়ির বাইরে অবস্থান করে এবং আওলাদ, গয়াছ, সজলু ও অন্য অজ্ঞাতনামা আরো একজন সুজিনার ঘরে অতিথি পরিচয়ে প্রবেশ করে। স্বীকারোক্তিতে গয়াছ জানায়, সুজিনাকে ধারালো ছুরি ও চাকু দিয়ে কুপাতে থাকে আওলাদ, সজলু ও অন্য আরেকজন এবং সুজিনার মা রেজিয়া বেগমের পেটে ছুরি দিয়ে কুপ দেয় সে (গয়াছ) নিজে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। গয়াছ জানায়, ৬লক্ষ টাকার চুক্তির মধ্যে তার (গয়াছের) সাথে ২০ হাজার টাকার চুক্তি হয়। এর মধ্যে ঘটনার পূর্বে তাৎক্ষণিক তাকে ২হাজার টাকা প্রদান করে সাবিনার ভাই ঘাতক জুনাব আলী।
ঘাতকদের পরিচয় : স্বীকারুক্তিতে ঘাতক গয়াছ জানায়, হত্যার ঘটনায় সে (গয়াছ) সহ মোট ৭জন ঘাতক সরাসরি জড়িত ছিলো। ঘাতকরা হলো- জগন্নাথপুর উপজেলার আব্দুল্লাহপুর গ্রামের সুন্দর আলীর ছেলে ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী মুরাদ আহমদের ১ম স্ত্রী ছাবিনা বেগমের সৎ ভাই কুখ্যাত ডাকাত জুনাব আলী, ছাবিনার চাচাতো ভাই একাধিক ডাকাতি ও হত্যা মামলার সাঁজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী আওলাদ আলী, জগন্নাথপুর উপজেলার শ্রীরামসী গ্রামের মৃত জহির উল্লার পুত্র গয়াছ মিয়া, একই উপজেলার জহিরপুর গ্রামের মৃত মন্টু রাজা চৌধুরীর পুত্র কুখ্যাত ডাকাত সজলু রাজা চৌধুরী। এছাড়া আরো অজ্ঞাতনামা ৩ ঘাতক হত্যায় জড়িত রয়েছে বলে আদালতে স্বীকারোক্তিতে গয়াছ জানায়।
কে এই সাবিনা : জগন্নাথপুর উপজেলার আব্দুল্লাহপুর গ্রামের সুন্দর আলীর মেয়ে যুক্তরাজ্য প্রবাসী ছাবিনা বেগম। প্রায় ১৪ বছর পূর্বে পার্শ্ববর্তি শ্রীরামসি সাতহাল গ্রামের মুরাদ হোসেনের সাথে বিয়ে হয় সাবিনার। বিয়ের পর তাদের পরিবারের জন্ম নেয় একে একে ৩টি সন্তান। বিয়ের প্রায় ৫বছর পর থেকে সাবিনা-মুরাদের মধ্যে সৃষ্টি হয় মনোমালিন্য। একপর্যায়ে পৃথক বসবাস শুরু করেন সাবিনা ও মুরাদ। কয়েক বছর ধরে এই বিরোধ আরো জটিল হয়ে পড়ে। এরপর প্রায় সাড়ে ৩মাস পূর্বে দেশে এসে সুজিনাকে বিয়ে করেন মুরাদ। আর এই বিয়েটাকে কিছুতেই মেনে নিতে পারেন নি মুরাদের প্রথম স্ত্রী সাবিনা। মুরাদ বিয়ে করে লন্ডন চলে যাবার পর দেশে আসেন সাবিনাও। এসময় মুরাদ-সুজিনার বিয়ে ভেঙ্গে দিতে মুরাদের পরিবারকে চাপ সৃষ্টি করেন সাবিনা। কিন্ত এই চাপের কাছে কিছুতেই রাজি হননি মুরাদের পরিবার। এরপর প্রায় ১মাস দেশে অবস্থান করে লন্ডন চলে যান সাবিনা। থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সাবিনার ৪ ভাইয়ের মধ্যে আপন ভাই সাজ্জাদ হোসেন (২৮) ও শাহাজান মিয়া (৩৩), সৎ ভাই শুকুর আলী (৫৫) ও জুনাব আলী (৫২)। জুনাব আলী এলাকার চিহিৃত একজন ডাকাত। তার বিরুদ্ধে একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে। এছাড়া শাহজাহানকে তার মা নিজেই নেশাদ্রব্য সেবনের অভিযোগে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। সে বর্তমানে জেলহাজতে আটক রয়েছে।
মামলা দায়ের : সুজিনাকে হত্যার ঘটনায় তার মামা ক্বারী আব্দুন নূর বাদি হয়ে গতকাল মঙ্গলবার সুজিনার সতিন সাবিনা বেগম, তার মা ও ২ভাই এর নাম উল্লেখ করে ও আরো ৪/৫ জন অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলা নং ১৪।
যেভাবে গ্রেফতার করা হয় ঘাতক গয়াছ ও সজলুকে : ঘটনার পর থেকে হত্যার রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের গ্রেফতারে হর্ন্য হয়ে খুঁজতে থাকে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত ভোর রাতে গোপন সংবাদের জগন্নাথপুর উপজেলার শ্রীরামসী গ্রামের মৃত জহির উল্লার পুত্র গয়াছ মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর গত শুক্রবার দিবাগত রাতে গ্রেফতারকৃত গয়াছকে সাথে নিয়ে অভিযানে নামে পুলিশ। বিশ্বনাথ থানার ওসি রফিকুল হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের ৪৮ ঘন্টার রুদ্ধদ্বার সফল অভিযানে শনিবার ভোর ৪টায় জগন্নাথপুর উপজেলার জহিরপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ঘাতক সজলু রাজা কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। গতকাল গ্রেফতারকৃত গয়াছকে সিলেট জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে সে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
যেভাবে সনাক্ত করা হয় ঘাতক গয়াছ কে : শুক্রবার ভোর রাতে ঘাতক গয়াছ মিয়াকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। এসময় নিহত সুজিনার ছোট ভাই জহির উদ্দিন (১২) কে হাজির করা হয় গ্রেফতারকৃত গয়াছের সামনে। ঘাতকদের এক হিসেবে গয়াছকে তখন সনাক্ত করে জহির। এরপর নিশ্চিত হওয়ার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুজিনার মায়ের সামনে হাজির করা হয় ঘাতক গয়াছ কে। এসময় সুজিনার মা রেজিয়া বেগম গয়াছকে দেখে চিৎকার শুরু করেন। তিনি হাউমাউ করে কান্নাকাটি করতে থাকেন এবং পুলিশকে বুঝাতে চেষ্টা করেন ঘাতক গয়াছই তার (রেজিয়া) পেটে ছুরি বসিয়েছিল।
গয়াছ ও সজলু গ্রেফতারে এলাকায় স্বস্তি : কুখ্যাত ডাকাত একাধিক হত্যা মামলার আসামী গয়াছ মিয়া ও সজলু রাজা গ্রেফতার হওয়ায় এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে। শনিবার জগন্নাথপুর এলাকা থেকে এই প্রতিবেদককে একাধিক ব্যক্তি ফোন করে জানান, এলাকায় ঘন ঘন ডাকাতি সংঘঠিত হয়েছে। অনেক প্রবাসী এই ডাকাতদের ভয়ে দেশে আসা থেকে বিরত রয়েছেন। দেশে থাকা প্রবাসীদের স্বজনেরাও রয়েছেন আতংকে। গয়াছ ও সজলু গ্রেফতার হওয়ায় তাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে বলে তারা জানান।

যুক্তরাজ্য বিএনপির নতুন কমিটি নিয়ে ক্ষোভ

001গোলাম মোস্তফা ফারুক, লন্ডন থেকে যুক্তরাজ্য বিএনপির ১০১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের পর নতুন করে দলের মধ্যে চলছে অসন্তোষ। দক্ষ ও ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে নিজেদের পছন্দের লোক ১০১ কমিটিতে অন্তর্ভুক্তি নিয়ে চলছে নানা সমালোচনা। এক্ষেত্রে আঞ্চলিকতার চাপ রয়েছে। আর ত্যাগী নেতারা বাদ পড়ায় খোদ দলের সিনিয়ার ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানও হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়েছেন। অনেক ক্ষেত্রে তার পরামর্শও উপেক্ষা করা হয়েছে।
দলের সিনিয়ার সহ-সভাপতি তারেক রহমান চিকিৎসার জন্য লন্ডনে রয়েছেন। সেখান থেকে তিনি দল পরিচালনায় যেমন দেশে পরামর্শ দিচ্ছেন, তেমনি যুক্তরাজ্য কমিটিতে প্রধান প্রধান পদে কে থাকবে কে বাদ পড়বে তার অনুমতি ছাড়া সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব নয়। নতুন কমিটি গঠনের পূর্বে যদিও বলা হয়েছিল, যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহরের কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করে তাদের পরামর্শ নিয়ে যুক্তরাজ্য কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হবে। বৈঠক করেছেন ঠিকই কিন্তু নেতাদের অধিকাংশের অভিযোগ, তাদের পরামর্শ কিংবা মতামতের কোনো প্রতিফলন ঘটেনি বিএনপি যুক্তরাজ্য কমিটিতে।এর আগের কমিটিতেও দলের ত্যাগী ও নিষ্ঠাবানদের বাদ দিয়ে তারেক রহমান নিজের একক সিদ্ধান্তে সাইস্তা চৌধুরী কুদ্দুসকে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক পদে কয়সর এম আহমদকে বসিয়েছিলেন।
তখনও দলের গঠনতন্ত্র কিংবা জোনাল কমিটির ভোটাধিকার না নিয়ে নিজস্ব সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়ার অভিযোগ তার প্রতি ছিল। তেমনি চলতি নতুন কমিটি বাছাইয়ে তিনি একক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পরে কমিটিতে ১০১ সদস্য অন্তর্ভুক্তিতে সভাপতি এমএ মালেক, সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমদের তত্ত্বাবধানে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে অন্তর্ভুক্তি চলছে। আর এতেই নেতাকর্মীরা বেশি হতাশা ব্যক্ত করছেন।
অভিযোগ রয়েছে, কমিটিতে নিজেদের পছন্দের লোকজন বেশি স্থান পাচ্ছেন। বিশেষ করে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক কয়সর আহমদের সুনামগঞ্জ জেলার লোকজন বর্তমান কমিটিতে বেশি স্থান পাচ্ছেন। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, সাধারণ সম্পাদকের প্রতি অনুগতরাই সুযোগ পাচ্ছেন। এতে পদাধিকারীদের অতীত রাজনৈতিক পরিচয়ও জানা হচ্ছে না। অতীতে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে কোনোরকম সম্পর্ক ছিল না বরং যারা আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে পরিচিত তারাও স্থান পাচ্ছেন ১০১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে। যুক্তরাজ্য বিএনপির সিনিয়র কয়েকজন নেতা এ প্রতিবেদককে বলেন, আঞ্চলিকতার ছায়া এত ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছে যে, নতুন কমিটির ৩৭ জন সদস্যই সুনামগঞ্জ জেলার। উপদেষ্টা কমিটিতেও ২২ জন স্থান পেয়েছেন এ জেলার। সাধারণ সম্পাদকের বাড়ি এ জেলাতে হওয়ায় এমনটি হয়েছে বলে তাদের ধারণা। অপরদিকে এসব নেতা আরও অভিযোগ করেন, অতীতে দলের একজন সিনিয়র নেতা তারেক রহমানের নাম ভাঙিয়ে সাধারণ নেতাকর্মীদের কাছ থেকে সুবিধা আদায় করেছেন। এ নিয়ে প্রত্যক্ষ প্রমাণও তারেক রহমানের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছিল। সেই নেতা এখনও তার পুরাতন দেয়া-নেয়া ব্যবসায় সক্রিয়। যুক্তরাজ্যে বিএনপির সিনিয়র নেতারা কর্মীদের এ ক্ষোভ মিটাতে ঘন ঘন বৈঠক করে যাচ্ছেন। আরও কয়েকজন পদত্যাগের হুমকি দেয়ায় তা সামাল দিতে ব্যস্ত সিনিয়র নেতারা।
তারেক রহমানের নাম ভাঙিয়ে এখনও তিনি দলীয় কর্মীদের কাছ থেকে সুবিধা নিচ্ছেন বলে তারা অভিযোগ করেন। এর আগে একই অভিযোগে তাকে আহ্বায়কের পদ থেকে তারেক রহমান ক্ষুব্ধ হয়ে নিজেই সরিয়ে দেন। এ নিয়ে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। নানা কথা চাউর হতে থাকে। কয়েকটি অভিযোগও পড়ে তার বিরুদ্ধে তারেক রহমানের হাতে। এতে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে ওই নেতাকে বাদ দেন। বর্তমানে আবার তাকে গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন করায় নেতাকর্মীরা হতাশ। নাম ভাঙিয়ে ফায়দা নিতে গিয়ে বেকায়দায় পড়া এ নেতা কিছুদিন যুক্তরাজ্য বিএনপি কার্যক্রমে নিস্তব্ধ ছিলেন। কিন্তু দলে তার ত্যাগী অবদান রয়েছে। তিনি যুক্তরাজ্য বিএনপির পুরাতন নেতাদের অন্যতম।
এদিকে ১০১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে যোগ্য স্থানে পদ না পেয়ে বিশিষ্ট আইনজীবী বিপ্লব কুমার পোদ্দার ও রাজিব আহমদ পদত্যাগ করেছেন। তাদের মতে ত্যাগী যোগ্যদের বাদ দিয়ে অপেক্ষাকৃত নবাগত লোকদের স্থান দেয়া হয়েছে কমিটিতে। অপরদিকে সম্প্রতি তারেক রহমানের উপদেষ্টা পদে থাকা তমিজ উদ্দিনকে আবারও পদ দেয়ায় ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। তমিজ কিছুদিন আগে প্রতারণার দায়ে লন্ডন পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার হয়েছিলেন। তখন তারেক রহমান তাকে বহিষ্কার করেন। তার পূর্ণ নিয়োগে দলে হতাশা দেখা দিয়েছে। এ নেতা বর্তমানে জামিনে রয়েছেন এবং তার আইনি প্রাকটিস সনদ বাতিল করা হয়েছে। নতুন কমিটি নিয়ে হতাশা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে তারেক রহমানও ক্ষুব্ধ। দলকে গুছিয়ে আনার প্রাণপন চেষ্টা করেও তিনি কিছু লোভী সুযোগসন্ধানী নেতাদের খপ্পর থেকে যেন বেরিয়ে আসতে পারছেন না।
আরও জনা দশেক নেতা কাক্সিক্ষত পদ না পেয়ে পদত্যাগের হুমকি দিয়েছেন। তাদের সুবিধাজনক পদে স্থান দিতে তদবির চলছে সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে।

যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতিবেদন : বাংলাদেশে বিনিয়োগের সম্ভাবনা অনেক

9e0fdb18da132f49f9d3a05ef4fac2f3যুক্তরাজ্য মনে করে বাংলাদেশে বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে দুর্নীতিকে বড় বাধা হিসেবে দেখছে। ‘ডুয়িং বিজনেস ইন বাংলাদেশ: বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড এক্সপোর্ট’ শীর্ষক সরকারি এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দেশটির সরকারি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয় এই প্রতিবেদনটি। এটি তৈরি করা হয়েছে বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশ সম্পর্কে ব্রিটিশ বিনিয়োগকারীদের ধারণা ও পরামর্শ দিতে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা, স্থিতিশীল ক্রেডিট রেটিং এবং প্রতিযোগিতামূলক শ্রমবাজার রয়েছে। এর ফলে দেশটিতে বিনিয়োগের ভালো সম্ভাবনা আছে। এ ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তি, জ্বালানি, জলবায়ু পরিবর্তন রোধ কার্যক্রম, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবাকে সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এর কারণ হিসেবে এ খাতগুলোতে ভবিষ্যৎ চাহিদার কথা উল্লেখ করা হয়।

তবে প্রতিবেদনে ব্রিটিশ বিনিয়োগকারীদের জন্য ‘স্পিড মানি’কে (অনানুষ্ঠানিক অর্থ প্রদান বা ঘুষ) বড় ধরনের বাধা বলে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশে দুর্নীতি নিত্যদিনের সমস্যা। দেশটির রাজনীতিবিদ, আমলা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রায়ই ক্ষমতার অপব্যবহার করে। এ ছাড়া স্বচ্ছতার অভাব এবং আমলাতন্ত্রের বাড়াবাড়ি রয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

ব্রিটিশ কোম্পানিগুলোর জন্য যেকোনো অবস্থায় ঘুষ লেনদেন যে যুক্তরাজ্যের আইনে অপরাধ-এ বিষয়টিও প্রতিবেদনে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়াও বাংলাদেশের বাজারকে মূল্য সংবেদনশীল উল্লেখ করে একে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের তালিকায় রাখা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, চীন ও ভারত থেকে আসা স্বল্পদামের পণ্য অনেক সময় বাংলাদেশের বাজারে প্রভাব বিস্তার করে।

এতে পণ্যের গুণগত মান, স্থানীয় মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয়, প্রশিক্ষণ এবং বিক্রয়োত্তর সেবার মতো বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে ব্রিটিশ কোম্পানিগুলোকে ব্যবসার পরামর্শ দেওয়া হয়। পাশাপাশি বাংলাদেশে ব্যবসার ক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষার প্রচলন, মাত্র ১১ দিনে ব্যবসা শুরু করার সুযোগ এবং ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পরিকল্পনাকে—বিনিয়োগের জন্য ইতিবাচক হিসেবে তুলে ধরা হয়।

ওই প্রতিবেদনে ব্রিটিশ বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের কৃষ্টি সম্পর্কেও সতর্ক করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কারও প্রতি অনাকাঙ্ক্ষিত আঘাত এড়াতে ব্রিটিশ নারীরা যাতে বাংলাদেশে ভ্রমণের সময় হাত-পা ঢাকা পোশাক পরিধান এবং আঁটসাঁট পোশাক পরিহার করেন। এ ছাড়া ব্যবসায়িক বৈঠকগুলোতে মোবাইল ফোন কল কিংবা কর্মকর্তাদের হাঁটাহাঁটি ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। কেননা, বিষয়টি সেখানকার স্বাভাবিক রীতি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। তা ছাড়া দেশটিতে কারও ফোন কলের দ্রুত জবাব না দেওয়া অভদ্র আচরণ হিসেবে বিবেচিত হয় বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।

ইস্ট লন্ডন মসজিদ সংলগ্ন সিনাগগ ভবনটি এখন মসজিদেরই সম্পদ ,১১ লাখ পাউন্ড ক্বরজে হাসানা পরিশোধে সহযোগিতা কামনা

5631ইস্ট লন্ডন মসজিদ ও লন্ডন মুসলিম সেন্টারের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত সিনাগগ ভবনটি এখন মসজিদেরই সম্পদ। এতোদিন এখানে ইয়াহুদী ধর্মাবলম্বীরা উপাসনা করলেও এখন থেকে এখানে ধর্মীয় কর্মকান্ড পরিচালনা করবেন মুসলমানেরা। গত ১৫ জুলাই সিনাগগ ভবনটি ১৫ লক্ষ পাউন্ডে ক্রয় করে ইস্ট লন্ডন মসজিদ। সিনাগগ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তা বিক্রয়ের প্রস্তাব আসার মাত্র একমাসের মধ্যে কমিউনিটির মানুষের সার্বিক সহযোগিতায় এটি ক্রয় করা সম্ভব হয়েছে। এ জন্য মসজিদ কমিটির নেতৃবৃন্দ কমিউনিটির সর্বস্তরের মানুষের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। ২১ জুলাই মঙ্গলবার বিকেলে সিনাগগ ভবন সম্পর্কে আপডেট দিতে ইস্ট লন্ডন মসজিদ আয়োজন করে এক প্রেস ব্রিফিং।
এ সময় দ্বিতল বিশিষ্ট সিনাগগ ভবনটি সাংবাদিকদের ঘুরে দেখানো হয়। প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রজেক্টারের মাধ্যমে ইস্ট লন্ডন মসজিদের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরে মসজিদের বহুমুখী সেবা কার্যক্রমের বর্ণণা দেয়া হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইস্ট লন্ডন মসজিদ ও লন্ডন মুসলিম সেন্টারের সেক্রেটারি আইয়ূব খান। বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন মসজিদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান ও নির্বাহী পরিচালক দেলওয়ার খান। প্রেস ব্রিফিংয়ের পূর্বে সিনাগগের ভেতরে আজান দেন মসজিদের মুয়াজ্জিন হাফিজ সাঈদ মোহাম্মদ। এতে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, রামাদ্বানে লাইভ টিভি ফান্ডরেইজিং, মসজিদের দৈনন্দিন আয় এবং শবে ক্বদরের বিশেষ কালেকশনের মাধ্যমে প্রায় ১৫ লাখ পাউন্ড সংগৃহিত হয়।
এর মধ্যে ১১ লাখ পাউন্ড ক্বরজে হাসানা (সুদমুক্ত লোন) আর বাকী ৪ লাখ পাউন্ড হচ্ছে ডনেশন। এই ১৫ লাখ পাউন্ড দিয়েই সিনাগগ ভবনটির ক্রয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। এখন পর্যায়ক্রমে ক্বরজে হাসানার ১১ লাখ পাউন্ড মানুষকে ফিরিয়ে দিতে হবে। আর এ জন্য বিভিন্ন ফান্ডরেইজিং কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। উল্লেখযোগ্য ফান্ডরেইজিং ক্যাম্পেইনের মধ্যে আগামী ৯ আগষ্ট রোববার পূর্ব লন্ডনের ভিক্টোরিয়া পার্কে আয়োজন করা হয়েছে মুসলিম চ্যারিটি রান ক্যাম্পেইন। বিগত তিন বছরের সফল ফান্ডরেইজিং ক্যাম্পেইন ‘রান ফর ইউর মস্ক’ই এ বছর ‘মুসলিম চ্যারিটি রান’ হিশেবে পরিচালিত হবে। যে ক্যাম্পেইনে মসজিদের জন্য ফান্ডরেইজিং ছাড়াও বিভিন্ন রেজিস্টার্ড চ্যারিটি তাদের সংগঠনের জন্য ফান্ডরেইজিংয়ের সুযোগ পাবে। ক্যাম্পেইনের রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রম চলছে। আগ্রহীদেরকে মসজিদের রিসেপশন থেকে ফরম সংগ্রহ করে অথবা ওয়েবসাইট ভিজিট করে নাম রেজিষ্ট্রি করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে মসজিদের সাহায্যে এগিয়ে আসতে কমিউনিটির সর্বস্তরের মানুষের প্রতি আহবান জানিয়েছেন মসজিদ নেতৃবৃন্দ। প্রেস ব্রিফিংয়ে মসজিদের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরে বলা হয়, আজকের যে জায়গায় ইস্ট লন্ডন মসজিদ কমপ্লেক্স সেখানে একসময় শুধু এই সিনাগগ ভবনটিই দন্ডায়মান ছিলো। সিনাগগের আশপাশ ছিলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বোমা আক্রান্ত অব্যবহৃত জায়গা। ১৯৭৫ সালে কমার্শিয়াল রোড থেকে মসজিদটি এখানে স্থানান্তরিত হয়। প্রথমে অস্থায়ী ঘরে মসজিদের কার্যক্রম চলে। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠা হয় আজকের ইস্ট লন্ডন মসজিদের মূল হল। এরপর পর্যায়ক্রমে প্রতিষ্ঠা লাভ করে লন্ডন মুসলিম সেন্টার ও মারিয়াম সেন্টার। আর এবার সর্বশেষ সংযোজন হলো সিনাগগ ভবন। তখনকার দিনে মসজিদ কমিটি যা ভাবতে পারেনি আজ শুধু তা বাস্তবায়নই হচ্ছে না বরং ভবিষ্যতের জন্য তাঁরা আরো নতুন কিছু করার স্বপ্ন দেখছেন। সিনাগগ ভবন থেকে কমিউনিটির মানুষ কীভাবে উপকৃত হবেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মসজিদ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, প্রস্তাব আসার সাথে সাথেই এক মাসের মাথায় এটি ক্রয় করতে হয়েছে। এখন বোর্ড অব ম্যানেজমেন্ট কিভাবে এখানে মানুষের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে পারে সে লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে। তবে এই ভবনের নিচতলা কমিউনিটির বহুমুখী সুযোগ-সুবিধার জন্য ব্যবহৃত হবে। তাছাড়া উপরতলায় মসজিদের দীর্ঘমেয়াদী আয়ের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। যা মসজিদকে মোটা অংকের ঋণ থেকে মুক্ত করতে সহযোগিতা করবে বলে। রামাদ্বানে মসজিদের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে বর্ণণা দিয়ে গিয়ে আইয়ূব খান বলেন, এ মাসে ইস্ট লন্ডন মসজিদ সবচেয়ে ব্যস্ত সময় পার করে। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও রামাদ্বানে প্রায় ৩০০ হাজার মানুষ ইস্ট লন্ডন মসজিদ ভিজিট করেছেন। তারা বিভিন্নভাবে মসজিদের সেবা গ্রহণ করেছেন। রামাদ্বানে ৫ জন হাফিজ নিয়মিত তারাবিহ নামাজ পড়িয়েছেন। সারা মাসে প্রায় ২০ হাজার মানুষ ইফতার করেছেন। শতাধিক মানুষ এতেক্বাফ করেছেন। প্রতিদিন জোহর ও আসরের নামাজের পর রামাদ্বান বিষয়ক নিয়মিত আলোচনা হয়েছে। বলতে গেলে চবিবশ ঘন্টাই মসজিদে ছিলো ধর্মপ্রাণ মানুষের পদচারণা। তিনি বলেন, আমরা প্রতিনিয়তই মসজিদের সেবা কার্যক্রমকে আরো উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। এক বছরের চেয়ে অন্য বছর কীভাবে আরো ভালো করা যায়- এটাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। কমিউনিটির মানুষের সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে এই মসজিদ আরো অনেকদূর এগিয়ে যাবে বলে আমরা আশাবাদী।

ফ্রান্স বাংলাদেশী কমিউনিটিদের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

00ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে বাংলাদেশী কমিউনিটি ব্যক্তিদের জম্পেশ ঈদ আড্ডা ও ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে ।বৃহস্পতিবার বিকেলে প্যারিসের গার দো নোর্দের একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে প্যারিস-বাংলা প্রেস ক্লাব এই ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

প্যারিস -বাংলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক আবু তাহিরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক এনায়েত হোসেন সোহেলের পরিচালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন,সিলেট বিভাগ সমাজ কল্যাণ সমিতির সাবেক সভাপতি সালেহ আহমদ চৌধুরী ,বাংলাদেশ ইয়থ ক্লাব প্যারিসের সাধারণ সম্পাদক টি এম রেজা,ফ্রান্স আওয়ামীলীগের উপদেষ্ঠা মিজান চৌধুরী মিন্টু,বঙ্গবন্ধু পরিষদ ফ্রান্সের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম,সামাজিক সংগঠন মাটির সুরের সভাপতি আমিন খান হাজারী,সিলেট শাহ জালাল স্পোটিং ক্লাবের সভাপতি ফয়ছল উদ্দিন ,উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী ফ্রান্সের সাধারণ সম্পাদক আহমদ আলী দুলাল,মহিলা দল ফ্রান্সের সভানেত্রী মমতাজ আলো,ফেন্চুগঞ্জ ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশনের সভাপতি খসরুজ্জামান ,বরিশাল বিভাগ সমিতির সহ সভাপতি ফারুক আহমদ,স্বরলিপি সাংস্কতিক শিল্পী গোষ্ঠী ফ্রান্সের সভাপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী, স্বরলিপি শিল্পী গোষ্ঠী ফ্রান্সের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক স্বপন,ফ্রান্স যুবদলের সভাপতি আরিফ হাসান,সাংগঠনিক সম্পাদক সালাহ উদ্দীন বালা,বিএনপি নেতা ইলিয়াছ কাজল,ওমর গাজী ,চাদপুর সমিতি ফ্রান্সের হাবিব খান।

প্যারিস- বাংলা প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক লুৎফুর রহমান বাবুর শুভেচ্ছা বক্তব্যর মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে ঈদ আড্ডায় বক্তব্য রাখেন,লন্ডন প্রবাসী বাবর হোসেন ,সেলিম আল দিন,প্যারিস -বাংলা প্রেস ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ ফেরদৌস করিম আখন্জি,সহ সাধারণ সম্পাদক মাম হিমু,সৈয়দ সাহিল,প্রচার সম্পাদক নয়ন মামুন,প্রকাশনা সম্পাদক দোলন মাহমুদ,সম্মানিত সদস্য ফরিদ আহমদ পাটুয়ারী রনি,জুনেদ ফারহান ও মাজহার প্রমুখ।

ঈদ আড্ডা ও পুনর্মিলনীতে বক্তারা বলেন, পরবাসের ঈদ যতই আমাদের আনন্দ দিয়ে যাক না কেন,দেশের পরিবার পরিজনের সাথে ঈদ না করার ব্যথা মনের মধ্যে উকি দিয়ে যায়। শেকড়ের টান আমাদের মনে নাড়া দিয়ে যায়। কিন্তু যখন প্রবাসী বাংলাদেশীরা একে অন্যের সাথে হাতে হাত ,বুকে বুক মিলিয়ে আলিঙ্গন করি তখন সকল দুঃখ ভুলে যাই। এতেই আমাদের সুখের বহিপ্রকাশ ঘঠে। বক্তারা প্রথমবারের মত প্যারিসে বাংলাদেশী কমিউনিটি নিয়ে এ রকম ঈদ পুনর্মিলনী ও জম্পেশ আড্ডার আয়োজন করায় ধন্যবাদ জানান।

চীনের সেরা ধনী সম্পর্কে জেনে নিন ১৫টি দারুণ তথ্য

c2d75b789065f8db5618513864a410c9চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির সাবেক সেনা ওয়াং জিয়ানলিন। আজ তিনি চীনের রিয়েল স্টেট মোগল এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় সিনেমা চেইন অপারেটর। তিনিই চীনের সেরা ধনী। হংকংয়ের বিজনেস ম্যাগনেট লি-কা শিংয়ের সঙ্গে ধনীর প্রতিযোগিতায় এগিয়ে ওয়াং। তিনিই এশিয়ার শীর্ষ ধনী। এখানে এই মানুষটি সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নিন।

১. ১৯৭০-১৯৮৬ পর্যন্ত ওয়াং চীনের সেনাবাহিনীতে কাজ করেন। সেখানকার অভিজ্ঞতা তাকে দিয়েছে স্ট্রেস দূর করার শিক্ষা এবং লক্ষ্যে অটল থাকার সক্ষমতা।

২. ১৯৮৮ সাল থেকে ওয়ান্দা গ্রুপের চেয়ারম্যান ওয়াং। আজ ওয়ান্দা গ্রুপ চীনের সর্ববৃহৎ রিয়েল এস্টেট ডেভেলপমেন্ট। দালিয়ান ওয়ান্দা গ্রুপকে নিজের করতে তিনি ৮০ হাজার ডলার ধার করেছিলেন।

৩. এখন পর্যন্ত ওয়ান্দা হোটেলস অ্যান্ড রিসোর্টস কোং লি. গোটা চীনে ৭১টি ফাইভ স্টার এবং বিলাসী হোটেল বানিয়েছে। সিডনি, লন্ডন, শিকাগো এবং লস অ্যাঞ্জেলসে ওয়াংয়ের বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ রয়েছে। তিনি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পাঁচতারকা হোটেলের মালিক।

৪. বর্তমানে ওয়ান্দা গ্রুপ লন্ডনে একটি হোটেল ও অ্যাপার্টমেন্ট ভবন বানাচ্ছে যা ৬০তলা হবে। এটা থেকে লন্ডন আই এবং ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবে দেখা যাবে।

৫. এ গ্রুপের একটি অংশ ওয়ান্দা কালচার ইন্ডাস্ট্রি গ্রুপ। এটি থিম পার্ক, পারফরমিং আর্টস এবং ফিল্ম টেকনোলজির ব্যবসা করে। এটাই চীনের বৃহত্তম সাংস্কৃতিক এন্টারপ্রাইজ। এদের বছরে রেভিনিউ ৫.৫ বিলিয়ন ডলার।

৬. ওয়াংয়ের ট্রেডমার্ক সম্পত্তি হলো ওয়ান্দা প্লাজা। চীনের প্রধান প্রধান শহরে ১০০টি স্থানে ওয়ান্দা প্লাজা রয়েছে। এটাই চীনের সবচেয়ে বড় চেইন স্টোর।

৭. শুধু চীনেই ওয়ান্দা গ্রুপের ১৫০টি সিনেমা থিয়েটার রয়েছে। এ ছাড়া আমেরিকা, কানাডা, জাপান এবং অন্যান্য দেশে রয়েছে ৩৮০টি থিয়েটার।

৮. চীনের বৃহত্তম কারাওক চেইন ‘সুপারস্টার’ ওয়ান্দা গ্রুপের। বর্তমানে ৯০টি স্থানে এর শাখা রয়েছে। এ বছরের শেষ নাগাদ আরো ৪০টি স্থানে নতুন শাখা খুলে যাবে।

৯. এ বছরের প্রথম দিকে ওয়াং স্প্যানিশ ফুটবল ক্লাব অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের ২০ শতাংশ স্টেক কিনে নিয়েছেন যার মূল্য ৫২ মিলিয়ন ডলার।

১০. ওয়াংয়ের একটিমাত্র ছেলে ওয়াং সিকং। চাইনিজ মিডিয়া ২৭ বছর বয়সী এই তরুণের নাম দিয়েছে ‘দ্য ন্যাশনাল হাজবেন্ড’। তার চাল-চলনের জন্যে বাবা পশ্চিমা সংস্কৃতিকে দোষারোপ করেন।

১১. ওয়াং সিকং অতিমাত্রায় অর্থ, সেক্স এবং ভায়োলেন্সের সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ তোলেন অনেকে। সম্প্রতি সিকং তার কুকুরের ছবি দেন সোশাল মিডিয়ায়। কুকুরটি দুটো সোনার অ্যাপল ওয়াচ পরেছিল যার প্রতিটির দাম ১০ হাজার ডলার।

১২. ২০১৩ সালে ৫০৩ মিলিয়ন ডলার দিয়ে সানসিকার ইয়ট কেনেন ওয়াং। ব্রিটেনের বিলাসী ইয়ট নির্মাতা এটি বানিয়েছে। জেমস বন্ডের সিরিজে এই ইয়টটি কয়েকবার দেখানো হয়েছে।

১৩. আকাশপথে ভ্রমণের জন্যে ওয়াংয়ের রয়েছে দুটো গাল্ফস্ট্রিম ৫৫০ জেট। এদের প্রতিটি রোলস রয়েস ইঞ্জিন দিয়ে বানানো। এগুলো দিয়ে তিনি বেইজিং থেকে জাপানে ভ্রমণ করেন।

১৪. সম্প্রতি শিল্প সংগ্রহের দিকে ঝুঁকেছেন ওয়াং। ২০১৩ সালে পিকাসোর ‘ক্লড অ্যান্ড পালোমা’ কিনেছেন ২৮ মিলিয়ন ডলারে।

১৫. সম্প্রতি তিনি লায়নসগেট এবং মেট্রো-গোল্ডউইন-মেয়ার ফিল্ম স্টুডিওর বড় একটি অংশের মালিক হতে কথা-বার্তা বলছেন।
সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার

কানাডায় দুই দিন ঈদ

1437238387কানাডায় শুক্র, শনিবার দুই দিন ঈদ উদযাপিত হলো। টরন্টোতে ঈদের আমেজে প্রবাসী বাঙালিরা ড্যানফোর্থের ডেনটনিয়া পার্ক ছাড়াও বায়তুল মোকারম, বায়তুল আমান মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করে। মেয়েরাও ঈদের নামাজে অংশ নেন। এদিকে শহরের বিভিন্ন স্থানে গত সপ্তাহ থেকে চলছে ঈদমেলা। শনিবার ছুটি থাকার ফলে ঈদের আনন্দ আমেজে যুক্ত হয় ভিন্ন মাত্রা।
যদিও এনভায়রনমেন্ট কানাডা শনি ও রোববার টরন্টোতে ‘হিট এলার্ট’ ঘোষণা করা হয়েছে। কারণ, আবহাওয়ার তাপমাত্রা হচ্ছে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর তাতে হিউমিডিটি যুক্ত হয়ে অনুভূত হবে ৩৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। রোববার তাপমাত্রাটা আরো বেড়ে যাবে, হবে ৩১ ডিগ্রী সেলসিয়াস, যার অনুভূতির পরিমাণ ৩৯ ডিগ্রি!

নিউ ইয়র্কে শেষ হলো বাংলা উৎসব

NY-poet-peeary-1রবাসে বাঙালি সংস্কৃতি বিকাশের যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে আয়োজিত তিনদিনের আন্তর্জাতিক বাংলা উৎসব ও বইমেলা শেষ হয়েছে।

স্থানীয় সময় ২২ মে থেকে শুরু হয়ে ২৪ মে রাতে এ উৎসব ও বইমেলা শেষ হয়।

উদ্ধোধনী দিনে বাংলা উৎসবের পক্ষ থেকে মার্কিন লেখক ও চলচ্চিত্রকার লেয়ার লেভিনকে এবং সমাপনীতে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদকে সম্মাননা জানানো হয়।

মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত বইমেলার এটি ছিল দুই যুগ পূর্তি উৎসব।

এবারই প্রথম মেলা চলাকালীন সময়কে নিউ ইয়র্কের গভর্নর এন্ড্র্যু ক্যুমো ‘বাংলা উৎসব সপ্তাহ’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন বলে জানান মেলার উদ্যোক্তা মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের প্রধান বিশ্বজিৎ সাহা।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “একই সঙ্গে নিউ ইয়র্ক সিটি মেয়র বিল ডি ব্লাসিয়ো উৎসব উপলক্ষে একটি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন। এতে বাঙালির এ উৎসব প্রবাসের মূল ধারাতেও বিস্তৃত হয়েছে বলা যায়।”

বই মেলায় বাংলাদেশের ১৬টি প্রকাশনী অংশ নেওয়ার পাশাপাশি উৎসবে বিভিন্ন পর্বের আলোচনায় বাংলাদেশ, ভারত, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জার্মানি, ভিয়েনা, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কবি-লেখক, সাংবাদিক-শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী, অর্থনীতিবিদ-সমাজকর্মী ও সাংস্কৃতিক সংগঠকরা অংশ নেন।

এছাড়া উৎসবের বিভিন্ন পর্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তিকে রুখে দেওয়ার সংকল্পে কবিতা আবৃত্তির পাশাপাশি গান ও নৃত্য পরিবেশিত হয়। সর্বস্তরের প্রবাসীর বিপুল সমাগম ঘটায় এবার সর্বাধিক সংখ্যক বইও বিক্রি হয়েছে বলে জানান উদ্যোক্তা বিশ্বজিৎ সাহা।

শেষদিনে ‘মুখোমুখি’ নামে সমাপনী অনুষ্ঠানে অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ ও পশ্চিমবঙ্গের বিশ্বভারতীর পরিচালক রামকুমার মুখোপাধ্যায় একই মঞ্চে দর্শক শ্রোতার মুখোমুখি হন।

যুক্তরাষ্ট্রে বড় হওয়া বাংলাদেশি প্রজন্মের ব্যাপক অংশগ্রহণকে এবারের ‘বিশেষ দিক’ উল্লেখ করে বিশ্বজিৎ বলেন, “তারা বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতি এবং বাংলাদেশের এগিয়ে চলার ঘটনাবলী গভীর মনোযোগের সঙ্গে শুনেছেন। বিভিন্ন আলোচনায় কৌতুহল নিয়ে প্রশ্ন করেছেন।”

এছাড়া উৎসবে ‘বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বৈধভাবে অর্থ প্রেরণ’ শীর্ষক এক আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. বীরুপাক্ষ পাল এবং নির্বাহী পরিচালক মিজানুর রহমান।

রুশনারা আলীর পক্ষে প্রভাবশালী নেতারা সমর্থন

Rushanara-Ali1লেবার পার্টির ডেপুটি লিডার প্রার্থী ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বাঙালি বংশোদ্ভুত প্রথম এমপি রুশনারা আলীর পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন লেবার পার্টির প্রভাবশালী নেতারা। গতকাল লেবার পার্টির লিডারশীপ নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানো চোকা ঊম্মুনা রুশনারার পক্ষে তার সমর্থন ঘোষণার পাশপাশি ত’াকে সমর্থন করার জন্য অন্যান্য সহকর্মি এমপিদের আহ্বান জানিয়েছেন। এর পূর্বে রুশনারা আলীর পক্ষে কীথ ভাজ ও ট্রিসট্রাম হান্ট তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেন।
গত ৭ মে ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে পূর্ব লন্ডনের বেথন্যাল গ্রীন ও বো নির্বাচনি আসন থেকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে তার প্রতিদ্বন্দিদের পরাজিত করে ২য় বারের মত নির্বাচিত রশনারা আলী। বিগত বিটিশ পার্লামেন্টে ছায়া মন্ত্রী সভায় রুশনারা আলীর অভিজ্ঞতার আলোকে তার সমর্থনকারিরা ত’াকে দলের ডেপুটি লিডার পদে প্রার্থী হওয়ার অনুপ্রেরণা দেন। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে লেবার পার্টির নির্বাচনে লেবার পার্টির লিডার ও ডেপুটি লিডার নির্বাচিত করা হবে। লিডার ডেপুটি লিডার পদে অংশ নিতে হলে ৩৫জন এমপির সরাসরি সমর্থন নিতে হবে

Developed by: