বিভাগ: প্রবাস

বাসিয়া পত্রিকা কার্যালয়ে প্রবাসী সমাজসেবী জিলানী

Jilani- 04যুক্তরাজ্য প্রবাসী সমাজসেবী মাসিক বাসিয়া পত্রিকার উপদেষ্ঠা এ কে এম জিল্লুর রহমান জিলানী। গত ১০ আগস্ট সন্ধ্যায় তিনি বাসিয়া পত্রিকার স্টেশন রোডস্থ কার্যালয়ে যান এবং সম্পাদকের সাথে মতবিনিময় করেন। বাসিয়া পত্রিকা ও বাসিয়া টুয়ান্টিফোর ডট কম নিয়ে তাদের সাথে গুরুত্বপূর্ণ আলাপ হয়। প্রবাসী জিলানী ঢাকা খুলনা সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সফর করবেন।
উল্লেখ প্রবাসী জিলানী দণি সুরমার কুচাই ইউনিয়নের পশ্চিমভাগ গ্রামের অধিবাসী।

কবিতাভাবনার বিন্দুগুলো ফকির ইলিয়াস |

05কবিতাভাবনার বিন্দুগুলো
ফকির ইলিয়াস

অর্জনের ছায়া মানুষকে জাগিয়ে রাখে। হাতে তুলে দেয় মোমবাতির আলো।
বলে দেয়- তুমি এগিয়ে যাও মানুষ। জীবনের সন্ধানে। প্রেমের সন্ধানে। সৃষ্টির সন্ধানে। আমি আজীবন একটা ঘোরলগ্ন কাল কাটিয়েছি। যা, আমার কবিতায় চিত্রিত হয়েছে বিবিধ আয়তনে।
আমি আমার শব্দবুননে নিজস্ব ছাপ রেখে যেতে চেয়েছি। ভেবেছি- তৃণলতায় ঘেরাই
হোক- তারপরও এটাই আমার সুশীতল নীড়।

ফকির ইলিয়াস এর পাঁচটি কবিতা

জয়াগৃহ

যারা ছেড়ে যাচ্ছে, তারা জানে না যাচ্ছে কোথায়। যারা ফিরে আসছে
তারা খুঁজে পাচ্ছে না ভিটের মাটিচিহ্ন। একটি শালিখের ছায়া দেখে
একজন ফেরারি পথিক চিনতে পারছে- জয়াগৃহের ছাদ। বাঁশের চালা,
নডবড়ে খুঁটি, বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া শ্রাবণরাতের ঝড়মায়া।

মায়া, মানুষের করতলে নদীঘোর রেখে যায়। তার রেখাগুলো দেখে
তারা তাকাতে পারে প্রিয়তমার গমনদৃশ্যের দিকে।
যে ঢেউসমগ্র ভাগ করা যায় না-
তার বুকেই আছড়ে পড়ে প্রচণ্ড ভালোবাসার শেষ ঝাপটা।

ভার্চুয়াল ভোরের দক্ষিণে

বার বার ভুলে যাই পাসওয়ার্ড। ভোরের উত্থান দেখে
আবারও নির্ণয় করি আমার চারপাশে জাগ্রত দক্ষিণ।
কে রেখে গেছে ছায়া, ভার্চুয়াল উষ্ণ আকাশে,- তা
খুঁজে উঁচু করি শির। তাকাবার কৌশল জানা ছিল বলে,
খুব সহজেই দেখে নিতে পারি মেঘাবৃত মনের গহীন।

গ্রামলিপি পাঠ করে ক`জন কিশোর কিশোরী এসে
দাঁড়িয়েছে এই ভোরের উত্তরে। ইচ্ছে হয়, জানতে চাই
তাদের কুশল। প্রশ্ন করি, তাদের মতো এই বন্ধ্যানদীও
কী শিখেছে আদৌ জুমল্যান্সের ব্যবহার ! দূর থেকে
কাছে দেখার গোপন বিনয়।

বার বার ল্যাপটপের আলো দেখে চিনে ফেলি , হারিয়ে
যাওয়া মুখবইয়ের ছবি। ডাকযোগে হাতে আসা
প্রাচীন চিঠিগুলো টেবিলের এককোণে স্থির, ঝাপসা
অক্ষরের বেদনায় দ্রবীভূত হয়।

আরতিপর্ব

রূপেরও রহস্য থাকে সাগরের বিনম্র কসমে
ঢেউগুলো হাত তুলে ডাক দেয় পূবের হাওয়ায়
আমিও তোমার হাতে হাত রেখে দেখি পুনরায়
পাখির বুকের দীঘি প্রেম হয়ে দূরাকাশে জমে।

জমে থাকি সারারাত, পাঁজরে পাঁজর রেখে হিম
প্রবাহের চারপাশে তুলে রাখি ফাগুনের রঙ
জাগে ভোর, নামে সন্ধ্যা- আরো কিছু তৃষ্ণা এবং
তুষারের মুখোমুখি লিখি নাম কামের অসীম।

সে কথা তুমিও জানো, ঋতুবতী মেঘের পরশে
সিক্ত পাথরগুলো ডানা মেলে মাটির গহীনে
মানব কুড়ায় বীজ, মানবীর দখিনা বাগানে
আবার হবেতো দেখা,সে আশায় পুষ্পজলে ভাসে।

আমার আরতি নাও, হে রমণী – বিপুল বিধানে
ঢেকে রাখো এ আকাশ ,কাছে থাকো সৌরভ্রমণে।

/
জ্যামিতিক ঝড়জীবন

ক.
ভেতরে গ্রহাণু জীবন। কেন তবে এলে এই রূপের নগরে
কেন তবে অশ্রুআলোয় দেখা কোনো মোম ও মন
চাইলে গলিয়ে দিতে ! কিংবা নিতে চাইলে শরতস্মৃতি
সবাই কি নিতে আসে ? সবাই কি দেখতে চায় অন্তঅধিকার !

জালুয়ারা জাল বিছিয়ে একদিন ধরতে চাইতো নদীদের মন
এখন আমরা ডট.নেটে পরস্পরের মুখোমুখি হই
শালুক সংশ্লেষণে আমাদের প্রতিবেশী পাতারা ও
ভেসে ভেসে জানিয়ে যায় তাদের নীরব একাকীত্ব

আরেকটু ভালোবাসা চাই
আরেকটু শব্দসোঁদামাটি
জীবন বিনিময় করে করে ,
আর বলে –
আমরাও রেখে যাবো ছিন্ন জলস্তুপ ……

খ.
রীতিতে সিদ্ধি নেই আমার। বিবিধ বন্দনা গাই । একহাতে
স্রোত ,অন্যহাতে সমুদ্র নিয়ে খেলে যাই রচনাখেলা। কখনো
চাঁদ বিষয়ক , কখনো চাষী বিষয়ক। বিষয় নির্বাচনে আমি
সবসময়ই আদিম। যদিও হিংস্র নই ,তবু ভাঙতে ভালো লাগে
আমার । কলাতন্ত্র , ঢেউবিদ্যা , আঁচড়ের প্রাণ।
যে পড়ে স্রোতসংবিধান
তার সাথে মিতালী খুঁজে
মাঝে মাঝে বিলবোর্ড বাঁধি।
আর পঠনে বসে চেয়ে দেখি তারে , সপ্তঅনাদি।

সূর্যের পরিণত ঘর

একটি রক্তজবা হাতে নিয়ে মা বললেন, আজ বৃষ্টি হবে। ভিজে যাবে
সবটুকু সবুজ জমিন। ঘেরুয়া নদীর জল থেকে রক্তবাষ্প উড়ে দেবে
জানান, এই মাটিতে আততায়ী রাত নেমেছিল। হায়েনা পিশাচদের
উল্লাস কাঁপিয়েছিল এই আকাশ। সূর্যের পরিণত ঘর। মানুষের বিত্ত
বিবর। আর লুকিয়ে থাকার সাঁকো খুঁজে শরণার্থী তরুণ-তরুণী
গিয়েছিল উত্তরের বাঁকে। অগ্রজ পূর্বসূরীর হাতের লাঠি গর্জে উঠেছিল
`থামো ঝড়, থামো বজ্র` এমন আওয়াজে।

সেই প্রভাতে আমি ছিলাম মায়ের বাম হাত ধরা অবুঝ বালক। বালিকা
বোনটি কেঁদেছিল,`বাবা ,বাবা `-বলে।

বাবা যুদ্ধে গিয়েছিলেন। একটি গ্রেনেড চার্জ করতে গিয়ে উড়ে গিয়েছিল
তার ডান হাত। তাই নিজ ডানহাতটিকে ভয়ে লুকিয়ে রাখতেন
আমার মা। আর বলতেন, দেখিস- আমার হাতটা যেন কেউ না দেখে।

তার ভয় ছিল খুব। বাবার হারানো ডানহাতটিকে তিনি মনে করতেন
নিজের হাত। বাবার চোখগুলোকে মনে করতেন নিজের চোখ।

সেই প্রভাতে আমার মায়ের নিজস্ব কোনো দৃষ্টি ছিল না। বৃষ্টি আসবে বলে
সকল মুক্তিযোদ্ধার দৃষ্টি দিয়ে তিনি তাকিয়েছিলেন আকাশের দিকে।

আর বলেছিলেন, বৃষ্টি আসুক। তবু মুছে যাবে না এই বাংলা থেকে
থোকা থোকা রক্তগোলাপের দাগ।
@

কবি পরিচিতি
ফকির ইলিয়াস আশির দশকের কবি । প্রাবন্ধিক,গল্পকার,গ্রন্থসমালোচক। সাংবাদিক হিসেবেও রয়েছে তার ব্যাপক পরিচিতি। কয়েকটি সাহিত্যপত্র, ওয়েবম্যাগাজিনের সম্পাদনা পরিষদের সাথে যুক্ত। প্রবাসে বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতি, কৃষ্টি- লালন ও চর্চায় তিনি নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা তেরোটি। উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ-`অবরুদ্ধ বসন্তের কোরাস`, `বৃত্তের ব্যবচ্ছেদ`, `গুহার দরিয়া থেকে ভাসে সূর্যমেঘ`, `ছায়াদীর্ঘ সমুদ্রের গ্রাম` ` গৃহীত গ্রাফগদ্য` , `অনির্বাচিত কবিতা`। এছাড়াও `কবিতার বিভাসূত্র` (প্রবন্ধ সংকলন), `চৈতন্যের চাষকথা`(গল্প সংকলন),`অনন্ত আত্মার গান`(গীতি সংকলন)এর জন্য তিনি নন্দিত হয়েছেন পাঠক মহলে। তাঁর লেখা নিয়মিত ছাপা হচ্ছে ঢাকা ,কলকাতা, লন্ডন, নিউইয়র্ক, কানাডা, সুইডেন,ইতালী,অষ্ট্রেলিয়া, জাপানসহ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন দৈনিক, সাপ্তাহিক, ম্যাগাজিন, সাহিত্যপত্রে। ওয়েব, ব্লগ, ই-নিউজ গ্রুপেও তিনি লিখছেন নিয়মিত।

সাহিত্য কর্মের জন্য তিনি `ফোবানা সাহিত্য পুরষ্কার` , `ঠিকানা শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ পুরষ্কার` পেয়েছেন। তিনি দ্যা একাডেমি অব আমেরিকান পোয়েটস, দ্যা এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিষ্টস, আমেরিকান ইমেজ প্রেস, – এর সদস্য।স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন নিউইয়র্কে।

চ্যানেল আই ইউরোপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিলেটে আগমন

06গতকাল রোববার চ্যানেল আই ইউরোপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ইউকে বাংলা প্রেসকাবের আহবায়ক রেজা আহমদ ফয়সল চৌধুরী এক সংক্ষিপ্ত সফরে বাংলাদেশে এসেছেন। সকাল ১০টায় বাংলাদেশ বিমানযোগে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে পৌঁছেন। এসময় তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান চ্যানেল আই ইউরোপ সিলেট প্রতিনিধি ফয়সল আহমদ মুন্না, ক্যামেরা পার্সন আমির হোসেন সাগর ও সিলেট কল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ এহসানুল হক তাহের, কল্যাণ সংস্থার মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক এফ.এ কামাল হোসেন, সদস্য বিক্রম দাস বিশু বিক্রম, আরাফাত হোসেন সোহাগ, মোঃ আনোয়ার হোসেন, মোঃ আলিম উদ্দিন, গাজী আলমগীর হোসাইন, মোঃ আইয়ুব আলী রেনী, সিলেট ফ্রিডম প্রোডাকশনের সভাপতি ইমতিয়াজ কামরুল তালুকদার, সদস্য ফয়সল আহমদ ফখরুল চৌধুরী, দেশ থিয়েটার সিলেটের সভাপতি কামাল আহমদ সহ ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান, এসময় অন্যান্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বাহরাইনে পলাতক অলিদ আহমদের বিরোদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্টিত

003সালেহ আহমদ সাকী, বাহরাইন থেকে বাহরাইনে ভিসা প্রতারক, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী অলিদ আহমদের বিরোদ্ধে বৃহত্তর সিলেটবাসীর ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার রাজধানী মানামায় কিউই রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বৃহত্তর সিলেটবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জসিম আহমদ। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় অলিদ আহমদ। পাসপোর্ট অনুযায়ী তার ঠিকানা ছিল, হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার বাগাউরা গ্রামের ইউনুছ মিয়ার পুত্র। কিন্তু খুজ-খবর নিয়ে যানা যায় সেটা তার শশুর বাড়ীর ঠিকানা ছিল। আসল ঠিকানা হলো মৌলভীবাজার জেলার, কমলগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ছিতলী এলাকার ইউনুছ মিয়ার পুত্র। সে দীর্ঘদিন থেকে বাহরাইনে বিভিন্ন ভাবে প্রতারণা করে আসছিলেন। ভিসার দালালী, জালিয়াতি, চাঁদাবাজী, নারী কেলেঙ্কারী, অর্থ আত্মসাৎ ও সন্ত্রাসীসহ বিভিন্ন প্রকার সম্মানহানীকর কর্মকান্ডে জড়িত ছিল।দীর্ঘদিন থেকে সে মানামায় একটি নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করে নিরীহ মানুষদের হয়রানী করে থাকত। বিভিন্ন ভাবে মানুষকে জিম্মি, ব্ল্যাকমেইল, ভিসা পরিবর্তনের কথা বলে পাসপোর্ট আটক টাকা আদায় করাই ছিল তার পেশা। এছাড়া তার বাহিনী দ্বারা চাঁদাবাজী, চুরি, ছিনতাই, অপহরণ সহ বিভিন্ন অপরাধমুলক কর্মকান্ড করে থাকত। তার ভয়ে এতদিন কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি।
গত ১৭ জুলাই একটি ধর্ষণ মামলায় বাহরাইনি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করলে নির্যাতিত মানুষগণ তাদের প্রয়োজনী তথ্যাবলী নিয়ে বৃহত্তর সিলেট কমিউনিটির নেতৃবৃন্দের নিকট ও বাংলাদেশ দূতাবাসে অভিযোগ দাখিল করতে থাকেন। পরে ১৯ জুলাই সে জামিনে বেরিয়ে বিভিন্ন জনকে হুমকি ধামকি দিতে থাকে। কিন্তু রাষ্ট্রদূত তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অবহিত হওয়ায় এবং বৃহত্তর সিলেট কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ অভিযোগ গুলো খতিয়ে দেখে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সিন্ধান্ত নেয়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তার কাছে থাকা রুহুল আমিন নামের আরেকজনের পাসপোর্ট জাল করে ২৯ জুলাই ভোর রাত ৩.৩৫ মিনিটে বাহরাইন থেকে দেশে পালিয়ে যায়। বাহরাইনে তার স্পনসর সহ বিভিন্ন প্রবাসীদের বাংলাদেশী টাকায় প্রায় দুই কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে তারা অভিযোগ করেন। এ সময় নেতৃবৃন্দ জানান, জাকির সেন্ট্রাল পপুলেশন রেজিষ্ট্রার (সিপিআর) নং ৮২০১৭২৫২২৯। তিনি অলিদ আহমদের কাছে সেন্ট্রাল মার্কেটের মালামাল ক্রয় বাবৎ ১১ হাজার দিনার যা বাংলাদেশী টাকায় ২২লাখ টাকা পান। এছাড়া জসিম উদ্দিন (সিপিআর নং ৭৮০৬৫৭৩৫৭) ৩৪ লাখ টাকা, হাসান ইষ্ট ভেজেটেবিল মার্কেট এবং রেড আলাওয়ায়ী এক্সপোর্ট-ইনপুর্ট নামক দুটি প্রতিষ্ঠান ১৩লাখ ৭৬ হাজার টাকাসহ ৩২ জনের অভিযোগের ভিত্তিতে দেখা যায় মোট ২কোটি টাকা আত্মসাৎ করে তাদের পথে বসিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে গেছে। পালিয়ে যাওয়ার পর বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে খুজ নিয়ে তার রুমে প্রায় ২৫টি পাসপোর্ট পাওয়া যায়। এছাড়া সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে চট্ট্রগাম জেলার শাহজাহান মিয়া যিনি বাহরাইন পুলিশ বিভাগে কর্মরত আছেন। তিন অভিযোগ করেন ৩লাখ ৩০ হাজার টাকার ২টি ভূয়া চেক দিয়ে অলিদ আহমদ তার সাথে প্রতারণা করেছেন। যে চেকে কোন টাকাই নেই। সিলেট জেলার কামাল আহমদ অভিযোগ করেন, প্রায় ২২ বৎসর যাবত বাহরাইনে অবস্থান করছি। কিন্তু গত মে মাসে অলিদ আহমদের নেতৃত্বে তার সহকারী ফরহাদ, মনির, সামছুল, সালমান গংরা তাকে অপহরন করে নিয়ে একটি কক্ষে বন্দি করে মারধর করে। পরে তারা মুক্তিপণের জন্যে ১লক্ষ ৪০ হাজার টাকা দাবী করে। আমি ৬০ হাজার টাকা দিয়ে তাদের কাছ থেকে মুক্তি পাই। মুক্ত হওয়ার পর আরো ৪০ হাজার টাকা ওলিদ আহমদ আমার কাছ থেকে নেয়। বাকী টাকা পরিশোধের জন্যে বিভিন্ন ভাবে চাপ দিতে থাকে। তাই সংবাদ সম্মেলনে সমস্থ্য প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সহযোগীতায় দেশবাসী ও প্রশাসনকে অভহিত করে আর কোন প্রতারণা ও দেশ থেকে অন্য কোথাও পালিয়ে যেতে না পারে এ ব্যপারে সকলের সহযোগীতা কামনা করা হয়। উপস্থিত সকলেই তখন দাবী করেন পূর্বেও একই পদ্ধতিতে সে দুবাই থেকে প্রতারণা করে পালিয়ে বাহরাইনে এসেছিল।
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ দূতাবাসের জনকল্যাণ বিভাগের কর্মকর্তা তাজ উদ্দিন, কমিউনিটি নেতা সুরমান আলী, বিষ্ণ দেব, অভিযোগকারী জাকির, জসিম উদ্দিন, মো.হোসাইন মিয়া, সুন্দর মিয়া, মো. আব্দুর রহমান, মো. সেলিম মিয়া, জাকির মিয়া, কায়সার মিয়া, রুমেল ইসলাম, হারুন মিয়াসহ বাহরাইনে অবস্থানরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

আসন্ন হজের পর ওমরাহ ভিসা পাচ্ছে বাংলাদেশিরা

006আগামী হজ মৌসুমের পরই বাংলাদেশিরা ওমরাহ ভিসা পাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ড. নিজার বিন ওবায়েদ মাদানী। একইসঙ্গে সৌদির আরও অন্য খাতে বাংলাদেশ থেকে জনবল নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

সোমবার (৩ আগস্ট) দুপুরে জেদ্দায় সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠককালে এ আশ্বাস দেন তিনি।

রিয়াদ দূতাবাসের কাউন্সিলর (রাজনৈতিক) মোশাররফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক অত্যন্ত সৌহাদ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বাংলাদেশ এবং সৌদি আরবের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ করেন নেতারা।

বৈঠকে অংশ নেওয়া পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দফতরের পরিচালক দেওয়ান আলী আশরাফ বলেন, দীর্ঘ দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, তথ্যপ্রযুক্তি, সামাজিক নিরাপত্তা নেটওয়ার্কসহ বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন।

এসময় সৌদি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীও শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। তিনি বাংলাদেশের অতি সাম্প্রতিক সামাজিক-অর্থনৈতিক অগ্রগতি ওআইসির অন্য সদস্য দেশগুলোর জন্য অনুকরণীয় বলেও মন্তব্য করেন।

বৈঠকে ২০১৪ সালে সৌদি বাদশার সাধারণ ক্ষমার জন্য সেদেশের সরকারকে ধন্যবাদ জানান শাহরিয়ার আলম। একইসঙ্গে সৌদি আরবের চলতি এবং ভবিষ্যৎ উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে আরও বেশি দক্ষ, আধা দক্ষ ও অদক্ষ বাংলাদেশি জনশক্তি আমদানির অনুরোধ জানান। পাশাপাশি বাংলাদেশিদের ওমরাহ ভিসা চালু করার অনুরোধও জানান তিনি।

জবাবে সৌদি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমকে আশ্বস্ত করে বলেন, ইতোমধ্যে বাংলাদেশ থেকে সৌদি সরকার নারী শ্রমিক আনা শুরু করেছে এবং কিছু দিনের মধ্যে অন্য সব খাতে বাংলাদেশি জনশক্তি আমদানি করা হবে। এছাড়া, আগামী হজ মৌসুমের পর বাংলাদেশিদের ওমরাহ ভিসা দেওয়া হবে।

শাহরিয়ার আলম দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্ককে আরও বেশি শক্তিশালী করতে বাংলাদেশ থেকে সহনীয় মূল্যে ওষুধ, তৈরি পোশাক, পাট ও পাটজাত দ্রব্য, চামড়া, প্লাস্টিক এবং সিরামিক পণ্য আমদানির জন্য সৌদি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

বৈঠক শেষে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সম্মানে মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করেন সৌদি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ড. নিজার।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ, জেদ্দা কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল এ কে এম শহীদুল করিম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (মধ্য-পশ্চিম এশিয়া বিষয়ক) মো. নাজমুল ইসলাম, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দফতরের পরিচালক দেওয়ান আলী আশরাফ, জেদ্দা কনস্যুলেটের কাউন্সিলর (শ্রম) মোকাম্মেল হোসেন, দূতাবাসের কাউন্সিলর (রাজনৈতিক) মোশাররফ হোসেনসহ দু’দেশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

প্রফেসর মোঃ রফিক আহমদকে প্যারিসে সংবর্ধনা

00011এনায়েত হোসেন সোহেল ,প্যারিস থেকে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে বিয়ানীবাজার কলেজের সাবেক অধ্যাপক,কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের সাবেক বিভাগীয় প্রধান,মৌলভীবাজার সরকারী কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ,সিলেট কমার্শিয়াল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ,সিলেট শিক্ষা বোর্ডের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শিক্ষাবিদ প্রফেসর মোঃ রফিক আহমদকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে । গতকাল রোববার বিকেলে প্যারিসের গার দো নোর্দের ক্যাফে প্যারিজিযানে বিয়ানীবাজার উপজেলা সমাজ কল্যাণ সমিতি এ সংবর্ধনার আয়োজন করে।
সমিতির উপদেষ্ঠা আব্দুল খালিক সুনাম উদ্দিনের সভাপতিত্বে সাবেক দপ্তর সম্পাদক পারভেজ আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন,হাজী জাহেদ আহমদ,সাবেক সভাপতি আমিনুর রশিদ টিপু ,সহ সভাপতি আহমদ খালেদ মুছা,সহ সহ্ভাপতি সুহেল আহমদ,সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন,সহ সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মনসুর,সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মুকিত,অর্থ সম্পাদক সুমন উদ্দিন, সাংস্মৃতিক সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন কামাল, আইন সম্পাদক জামাল হোসেন,বাবর হোসেন,হোসেন আহমদ প্রমুখ ।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, শিক্ষকরা সমাজের আদর্শ ও আলোকবর্তিকা। সমাজের অন্ধকার দিকগুলোকে আলোকে রুপান্তরিত করা শিক্ষকদের কাজ।যদি শিক্ষকরা জয়ি হতে চান তাহলে তাদের আলোকের যোদ্ধা তৈরি করতে হবে।ছোট মনের মানুষ কখনো বড় জাতিতে পরিনত হতে পারে না।জাতি হিসেবে বড় হতে হলে আমাদের মানুষ হিসেবেও বড় হতে হবে।শিক্ষকদের দায়িত্ব হলো ছাত্রদের বিকশিত করা,আদর্শবান করা,ছাত্রদের মননকে সমৃদ্ধ করা,তাদের স্বপ্নকে শক্তিশালী করা ও তাদের যোগ্য মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা।শিক্ষকের প্রধান দায়িত্ব জাতিকে বড় করে তোলা।শিক্ষক যদি বড় হন জাতি বড় হবে। আর এরূপ এক আলোক বর্তিকা প্রফেসর মোঃ রফিক আহমদ। তার হাতে গড়া শিক্ষার্থীরাই এখন পুরো বাংলাদেশে বিভিন্ন পদে স্ব -মহিমায় আলোকবর্তিকা হিসেবে ভাস্বর হয়ে আছেন।
পরে সমিতির পক্ষ থেকে প্রফেসর মোঃ রফিক আহমদকে উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়।

ফ্রান্সে কুশলায়ন ইন্টারন্যাশনাল বুড্ডিস্ট সেন্টার উদ্বোধন

008এনায়েত হোসেন সোহেল, ফ্রান্স থেকে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে কুশলায়ন ইন্টারন্যাশনাল বুড্ডিস্ট সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সেইন্টডেনিসস্থ রুই দো লা ভিয়েইললে অনারম্ভর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ সেন্টারের যাত্রা শুরু হয়। এ সময় নতুন বিহার,প্রব্রজ্যা গ্রহণ অনুষ্ঠান,বর্ষাবার্ষিক চীবর দান ও পবিত্র শুভ আষাড়ি পূর্নিমা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

ফ্রান্সস্থ ইন্টারন্যাশনাল বুড্ডিস্ট সেন্টারের পরিচালক ভেনারেবল চান্দারাত্না নায়াকার সভাপতিত্বে ও বিহারাধ্যক্ষ জ্যোতিসার ভিক্ষুর পরিচালনায় পূজনীয় ভিক্ষু সংঘের মধ্যে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কে আনান্দা নায়াকা থেরো।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,ভেনারেবল রাহুলা খেরো,অনমদস্বী খেরো, ভেনারেবল জিনানন্দ খেরো প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন,বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য মহামানব বুদ্ধের শিক্ষা গ্রহণ করে তা মনে প্রাণে অনুশীলন করতে হবে। পরে বিহারাধ্যক্ষ জ্যোতিসার ভিক্ষু এই বৌদ্ধ বিহার প্রতিষ্টার অনন্য অবদানের জন্য শ্রীমতি
চম্পা বড়ুয়া,জিনপদ বড়ুয়া,টুটুল বড়ুয়া,সোমা বড়ুয়া ও আকাশ বড়ুয়াকে ধন্যবাদ জানান।অনুষ্ঠানের শেষে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় পবিত্র ত্রিপিটক থেকে পাঠ করা হয় এবং প্রদীপ জ্বালানো হয়

লন্ডনের ব্রিকলেইন ছাড়ছেন বাঙালিরা

003বাড়ি ও দোকান ভাড়া অধিক মাত্রায় বৃদ্ধির কারণে ব্রিটেন টাওয়ার হ্যামলেটের বাঙলা টাউন-খ্যাত ব্রিকলেইন বাঙালিদের হাতছাড়া হতে চলেছে। ষাটের দশক থেকে বাঙালিদের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে থাকা সেই ব্রিকলেইন এখন ইউরোপীয় ধনাঢ্য ব্যক্তিদের পদচারণায় মুখরিত। বাঙালিরা ব্রিকলেইন ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন আর সেখানে বসবাস শুরু করেছেন ইউরোপের ধনী দেশগুলোর লোকজন।
ব্রিকলেইন বাঙলা টাউনকে একসময় কারি ক্যাপিটাল হিসেবে আখ্যা দেয়া হতো। এ খ্যাতি শুধু ব্রিটেনজুড়েই ছিল না, সমগ্র ইউরোপে কারি ক্যাপিটাল হিসেবে ব্রিকলেইনের সুনাম ছিল। ইংল্যান্ড ভ্রমণে আসা বিদেশীরা দলে দলে ব্রিকলেইন বেড়াতে আসতেন। দল বেঁধে তারা বাংলাদেশী তথা ভারতীয় খাবারের স্বাদ নিতে রেস্টুরেন্টগুলোতে ভিড় করতেন। এতে বাংলাদেশী খাবারের সুনামও ছড়িয়ে পড়ে।
ক্রমবর্ধমান জীবনযাপনের ব্যয় বৃদ্ধি মেগাসিটি লন্ডনের পাশের ব্রিকলেইনবাসীর ওপরও চেপে বসে। এখানে অধিকাংশ বাংলাদেশীর বসবাস। এখানকার ব্যবসা বাণিজ্যও বাংলাদেশীদের নিয়ন্ত্রণে ছিল।
হোয়াইট চ্যাপেল এলাকায় ব্রিকলেইনে ১০ বছর আগেও বাংলাদেশীদের অর্ধশতাধিক রেস্টুরেন্ট ছিল। ছিল বাংলাদেশীদের মালিকানায় ট্রেভল এজেন্সি, শাড়ি কাপড়ের দোকান, জীবনযাত্রায় ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং সম্প্রতি ব্রিটেনের অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবে এসব রেস্টুরেন্টের অধিকাংশ হাতবদলে অন্য জাতি-গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। বর্ধিত ব্যয়ে অনেক বাঙালিই আর রেস্টুরেন্ট পরিচালনা করতে না পারায় অন্যদের কাছে তা বিক্রি করে দেন।
ফলে একসময়ে বাংলাদেশী খাবার বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত রেস্টুরেন্টগুলো অন্য জাতি-গোষ্ঠীর লোকজন কিনে নিয়ে তাদের দেশীয় খাবার দোকান খুলে বসেছেন। এখন তাই সেখানে ইতালিয়ান, ফ্রেন্স ইত্যাদি খাবারের দোকান খোলা হয়েছে। ব্রিকলেইনে গেলে বাংলাদেশী খাবারের ঘ্রাণে প্রাণ জুড়াত, সেখানে এখন পিৎজা বা গ্রিল করা পোড়া খাবারের ঘ্রাণ আসে। বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা একে একে রেস্টুরেন্ট ছেড়ে দিয়ে চলে যাচ্ছেন। অন্যদিকে ঐতিহ্যবাহী বাঙলা টাউন ইউরোপিয়ান ধনীদের দখলে চলে যাচ্ছে। দাম আকাশছোঁয়া হওয়ায় যেসব বাসাবাড়ি ব্যক্তি মালিকানাধীন ছিল তা বিক্রি করে অপেক্ষাকৃত সস্তা এলাকায় আরও বড়সড় বাসা নিয়ে তারা চলে যাচ্ছেন।
লন্ডন বারা অব রেডব্রিজ ব্রিকলেইন এলাকায় কার পার্কিং সুবিধার কড়াকড়ি থাকায় এখানে খেতে আসা লোকজনকে অতিরিক্ত মাশুল গুনতে হয়। বারা অব বাকিং অ্যান্ড ড্যাগেন হ্যাম, বারা অব নিউহ্যাম, এগেক্স, কেন্ট এলাকায় বাংলাদেশীরা চলে যাচ্ছেন। এসব এলাকার বাসাবাড়িগুলো টাওয়ার হ্যামলেটসের বাসাবাড়ি থেকে অর্ধেক দামে পাওয়া যাচ্ছে। তুলনামূলকভাবে বড়, সামনে-পেছনে গাড়ি পার্কিং এবং বাগানও রয়েছে। তাই বাংলাদেশীরা পাশের এসব এলাকার দিকে চলে যাচ্ছেন। বাংলাদেশী রেস্টুরেন্টগুলো ব্রিকলেইন থেকে সরে যাওয়ায় বা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আরও কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। ব্রিটেনের সর্বত্র রেস্টুরেন্টগুলোতে এখন কর্মচারীর সংকট। দক্ষ সেফ পাওয়াও অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। তাছাড়া বৈধ কাগজপত্রধারীরা অন্য পেশায় চলে যাচ্ছেন। অবৈধ কাগজপত্রধারীরা সস্তায় রেস্টুরেন্টের চাকরিতে স্থান করে নিচ্ছেন। মালিকপক্ষও দুপয়সা কমে কর্মচারী পেয়ে কিছুটা সাশ্রয় করে থাকে। কিন্তু ইমিগ্রেশন পুলিশের রেড রেস্টুরেন্ট থেকে অবৈধ ইমিগ্রান্টদের ধরে নিয়ে যাওয়া মালিকপক্ষকে মোটা অংকের জরিমানা করায় এ পথে এখন আর কেউ এগোতে চান না। ফলে কর্মচারী সংকট লেগেই থাকে। ব্রিকলেইন, হোয়াইট চ্যাপেল এলাকায় বেশ কয়েকবার ইমিগ্রেশন পুলিশের রেডের ফলে সেখানে বৈধ কাগজপত্র ছাড়া কাউকে চাকরিতে রাখা হয় না। আর যারা অবৈধভাবে অবস্থান করছেন তারা সব সময় আতংকের মধ্যে কাজ করছেন।
তাছাড়া ব্রিকলেইন বাঙলা টাউনে রেস্টুরেন্টগুলোর সামনে বাঙালিরা কাস্টমারদের টেনে-হিঁচড়ে তাদের দোকানে নিয়ে যেতেন। অধিক রেস্টুরেন্ট থাকায় শ্বেতাঙ্গ কাস্টমারদের কে কার আগে ডাকবেন, কে নিজেদের দোকানের সস্তা অফারটির কথা জানাবেন তা নিয়ে প্রতিযোগিতা লেগে থাকত। কাস্টমাররা এ দেখে ঘৃণা জানাতেন, প্রতিবাদ করতেন। একসময় আতংকে এলাকায় তারা খাবার খেতে আসা ছেড়ে দেন। এতে রেস্টুরেন্টগুলো আস্তে আস্তে কাস্টমার সংকটে পড়ে। বাধ্য হয়ে টাওয়ার হ্যামলেট কাউন্সিল গ্রাহক টানাটানি বন্ধ করতে বিধিমালা প্রণয়ন করে।

বাহরাইনে রহস্যজনকভাবে বাংলাদেশীর মৃত্যু

35464বাহরাইনে রহস্যজনকভাবে এক বাংলাদেশীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিহত ব্যক্তির নাম মফিজ খান। তাঁর সেন্ট্রাল পপুলেশন রেজিষ্ট্রার (সিপিআর) নং ৮২৬৩৫৪২৬০। তিনি চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার ফনিসার গ্রামের ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে।

জানা যায়, তিনি একটি ক্লিনিং কোম্পানীতে চাকরী করতেন। বুধবার কাজ শেষে দুপুর ১২টার দিকে রুমে যাওয়ার পথে হঠাৎ পথিমধ্যে পড়ে যান। সহকর্মী ও স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে নেয়ার পথেই তিনি মৃত্যুর কুলে ঢলে পড়েন। প্রাথমিকভাবে এখনো তার মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। তবে অতিরিক্ত গরমের কারণে হিটস্ট্রোকে তিনি মারা যেতে পারেন বলে অনেকে ধারনা করছেন।

বর্তমানে তার লাশ সালমানীয়া মেডিকেল কমপ্লেক্সের মর্গে রাখা হয়েছে।

একটি সূত্র জানায়, প্রায় ৪/৫মাস পূর্বে তিনি বাহরাইনে আসেন। তার লাশ দেশে প্রেরণের চেষ্টা চলছে।

তুরস্কে বাংলাদেশির হাতে বাংলাদেশি খুন

006তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে কর্মরত এক বাংলাদেশিকে ছুরিকাঘাতে খুন করেছেন অপর এক বাংলাদেশি।

খুন হওয়া মো. ফরিদ নামে ওই শ্রমিকের সঙ্গে গত শনিবার (২৫ জুলাই) রাতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার রুমমেট মুসার কথাকাটাটি হয়।

এরপর ফরিদ ঘুমিয়ে পড়লে রাত ২টার দিকে তার পেটে ছুরি মেরে পালিয়ে যায় মুসা। ফরিদকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রোববার সকালে তার মৃত্যু হয়।

এদিকে, তুরস্ক পুলিশ অভিযুক্ত মুসাকে আটক করেছে। এছাড়া তাদের আরো দুজন রুমমেটকেও আটক করা হয়েছে বলে ইস্তাম্বুলে অবস্থিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট এবং স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশিরা জানিয়েছেন। অভিযুক্ত মুসার বাড়ি নরসিংদী জেলায় বলে জানা গেছে।

মৃত শ্রমিক ফরিদের মরদেহ দেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মো. বোরহান উদ্দিন।

এদিকে, ফরিদের মৃত্যুর খবরে শরীয়তপুরে তার গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।

নিহতের ভাই মিজান বলেন, তার ভাইয়ের মৃত্যুতে পুরো পরিবার ভেঙে পড়েছে। পরিবারের স্বচ্ছলতার জন্য তাকে ৪ বছর আগে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা খরচ করে ইরাকে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ইউরোপে যাওয়ার লোভ দেখিয়ে দালালরা তাকে তুরস্কে নিয়ে ছেড়ে দেয়। পথে ২ বার জিম্মি করে আরো ২ দফায় ৮ লাখ টাকা আদায় করে দালালরা। এসব দালালরাও ছিল বাংলাদেশি।

এভাবে সে বিদেশ যাওয়ার পর থেকে কয়েক দফায় মোট ১৫-১৮ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। অথচ আমরা দরিদ্র পরিবারের সন্তান। পরিবারের স্বচ্ছলতার জন্য ফরিদকে বিদেশে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু দেশের মানুষের হাতেই তাকে প্রাণ দিতে হল। আমরা অপরাধীর বিচার চাই।

ফরিদের মৃতদেহ দেশে আনতে প্রায় ৪০ হাজার তুর্কি লিরা খরচ হবে। ইস্তাম্বুলে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা চাঁদা তুলে এ খরচ বহন করছেন বলে জানিয়েছেন বাদল নামে এক প্রবাসী।

Developed by: