বিভাগ: প্রবাস

৩ লাখ বাংলাদেশী নেবে কানাডা, সপরিবারে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ! যেভাবে আবেদন করবেন…

a1২০১৬ সালে ৩ লাখ ৫ হাজার পেশাজীবী কানাডায় ইমিগ্রেশনের সুযোগ পাচ্ছেন। দেশটির ১১টি প্রদেশে- হাই স্কিলড, ট্রেড স্কিলড, ফ্যামেলি স্পন্সরশিপ, বিজনেস, এক্সপ্রেস এন্ট্রি, পিএনপি, এফএসডব্লিউ, সেল্ফ অ্যাম্প্লয়েডসহ ১১টি ক্যাটাগরিতে ইমিগ্রেশনের ঘোষণা দিয়েছে কানাডিয়ান সরকার।

শুধু কানাডার কুইবেক প্রদেশেই ১০ হাজার পেশাজীবী ইমিগ্রেশন করার সুযোগ পাবেন। এক্ষেত্রে ট্রেড স্কিলড অ্যাসেসমেন্ট সার্টিফিকেট ও প্রোভিন্সিয়াল নমিনেশন ছাড়া কোনো আবেদন জমা নেয়া হয় না।

আবেদনের যোগ্যতা : আইইএলটিএস পরীক্ষায় ন্যূনতম ৪.৫ (সাড়ে চার) পয়েন্ট, যেকোনো বিষয়ে ডিপ্লোমা অথবা গ্র্যাজুয়েশন। কর্মক্ষেত্রে কমপক্ষে ২ বছরের অভিজ্ঞতা। বয়স ২১ থেকে ৫৩ বছরের মধ্যে থাকতে হবে।

বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইমিগ্রেশন আইন বিশেষজ্ঞ ও সাউথ এশিয়ান ল’ ইয়ার্স ফোরামের সভাপতি ড. শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ (রাজু) বলেন, এটিই কানাডার সর্বশেষ ফার্স্ট-কাম-ফার্স্ট-সার্ভ পদ্ধতির ইমিগ্রেশন প্রোগ্রাম। তাছাড়াও বিভিন্ন প্রোভিন্সিয়াল প্রোগ্রামে আবেদন করে যেকেউ সহজেইএক্সপ্রেস এনিট্র প্রোফাইলে অতিরিক্ত ৬০০ পয়েন্ট যোগ করে দ্রুত কানাডায় ইমিগ্রেশন করতে পারবেন।

২০১৬ সালের জানুয়ারিতে Manitoba Province Exploratory Trip/Recruitment Mission শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে সেদেশের সরকার।

এছাড়াও কানাডায় ইমিগ্রেশনের জন্য Ontario Provincial Nominee Program চালু আছে।
Quebec Immigrant Investor Program (QIIP)-Canada
কানাডায় ইনভেস্টর প্রোগ্রামের আওতায় কুইবেক প্রদেশে অতি দ্রুত বিজনেস অথবা ইনভেস্ট প্রোগ্রামের মাধ্যমে পরিবার সহ স্থায়ীভাবে বসবাস এবং নাগরিকত্ব লাভের সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে ১.৬ মিলিয়ন ডলার ইনভেস্টকরার সামর্থ থাকতে হবে। বয়স, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও IELTS এর শর্ত শিথিলযোগ্য।

এ সংক্রান্ত যবিতীয় তথ্যসেবা www.wwbmc.com ঠিকানায় দেয়া আছে। আরো তথ্যের জন্য ই-মেইলে advahmed@outlook.com এবং raju.advocate2014@gmail.com যোগাযোগ করে জানা যাবে।

এছাড়া ফেসবুকে Sheikh Salahuddin Ahmed Raju অথবা WorldwideMigrationConsultantsltd, স্কাইপিতে Advocate Raju Ahmed Phd তে যোগাযোগ করে বিশেষজ্ঞ মতামত জানা যাবে।
এছাড়া 01966041555, 01966041888, 01977014778-এ ফোন করে প্রয়োজনীয় সেবা পাওয়া যাবে।

প্রবাসে একজন সফল ব্যবসায়ী মো. মখলিছ মিয়া

ssssমকসুদ আহমদ বাসিত: প্রবাসীরা বিপুল পরিমান অর্থের যোগান দিয়ে এদেশের অর্থনীতিকে ঠিকিয়ে রেখেছেন। প্রবাসীদের পরিশ্রয়ে আমাদের অর্থনীতির চাকা সচল থেকে সচল হচ্ছে দিন দিন। আমরা সমৃদ্ধ হচ্ছি অর্থনৈতিকভাবে। দেশ হচ্ছে স্বনির্ভর। ফলে আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারছি।
শুধু ইউরোপ আমেরিকা নয় মধ্যপ্রাচ্যের অনেক প্রবাসীরা আমাদের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করছেন। তাঁদের প্রাণপণ প্রচেষ্টায় আমাদের দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন তড়ান্বিত হচ্ছে।
এমনি একজন প্রবাসী সফল মো. মখলিছ মিয়া। মধ্যপাচ্যের কাতারে ১৯৮৪ সালের ১৫ জানুয়ারি চাকরির সুবাদে পাড়ি জমান। চার বছর চাকরি শেষে নিজ উদ্যোগে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন। পরিচ্ছন্ন ব্যবসায়ী হিসেবে বেছে নেন ডেকোরেশন ব্যবসা। গড়ে তুলেন কাতারের দোহা নিউ রোডের ২নং সিটি আলখোর সপ মার্কেটে মুহা. আপহোলস্টরি সপ নামের ডেকোরেশন ব্যবসা। যা দিন দিন জনপ্রিয়তা অর্জন করে। আর একজন সফল ও জনপ্রিয় ব্যবসায়ী হিসেবে মখলিছ মিয়ার সুনাম দিন দিন প্রসারিত হয়। এখন তিনি সেখানে একজন সুনামধন্য ও সফল ব্যবসায়ী। তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশীদের কর্মসংস্থান হচ্ছে। সাথে সাথে বাংলাদেশ থেকে জনবল নিয়ে তিনি বিভিন্ন কোম্পানীতে চাকরির সুযোগ করে দিচ্ছেন। ফলে প্রবাসে বাঙালিরা যেমন উপকৃত হচ্ছে তেমনি বাংলাদেশ থেকে বাঙালিরা সেখানে গিয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছে।
সর্বদা হাস্যজ্জোল ও প্রাণচঞ্চল মখলিছ মিয়া সিলেটের দণি সুরমার লালাবাজারস্থ আকিলপুর গ্রামের অধিবাসী। পিতা মৃত সুনু মিয়া। জন্ম ১ জানুয়ারি ১৯৬২ সালে।
মখলিছ মিয়া সদা কর্মব্যস্ত একজন সরলমনা মানুষ। দেশ বিদেশে বিভিন্ন সামাজিক, মানবকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে তিনি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। প্রচারবিমুখ মখলিছ মিয়া আকিলপুরস্থ হযরত ওমর শাহ হাফিজিয়া মাদ্রসার কোষাধ্যরে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর সফলতার পিছনে তাঁর স্বদিচ্ছা, কঠোরপরিশ্রম ও ধৈর্য কাজ করেছে বলে তিনি জানান।

যুক্তরাষ্ট্রের যে শহরে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ!

4a6f191346fa7615d6fad6201966d123এমন শহর কি এখনো আছে? যে শহরে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা বারণ? ওয়াই-ফাই সংযোগ দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহারেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা? সেই শহরে তাই স্মার্টফোন নিয়ে পড়ে থাকার বদলে একজন আরেকজনের সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা দেন। পুরো শহরটি যেন পড়ে আছে কয়েক দশক পেছনে? কিন্তু কেন? একটু পরই বিষয়টি পরিষ্কার হবে আপনাদের কাছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম ভার্জিনিয়ায় অবস্থিত এই শহরের নাম গ্রিন ব্যাংক। এই শহরে বাস করেন মাত্র ১৪৩ জন। তবে বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য তাঁরা কোনো সেলফোন বা ওয়াইফাই সংযোগ ব্যবহার করতে পারেন না।

১৩ হাজার স্কয়ার মাইলের এই এলাকা পরিচিত ‘ন্যাশনাল রেডিও কোয়াইট জোন’ হিসেবে। বিশ্বের সর্ববৃহৎ রেডিও টেলিস্কোপ অপারেট করা হয় এই শহর থেকেই। এ খবর জানিয়েছে টুডে ডটকম।

৪৮৫ ফুট লম্বা ও ১৭ মিলিয়ন পাউন্ড ওজনের এই রেডিও টেলিস্কোপ একটি ছোটখাটো স্টেডিয়ামের সমান। আর এই টেলিস্কোপের জন্যই ওয়ারল্যাস সিগন্যাল উৎপন্ন করতে পারে এমন ইলেকট্রনিক পণ্য ব্যবহার নিষিদ্ধ এই শহরে। টেলিস্কোপটি ব্যবহার হয় মহাকাশ গবেষণার কাজে। তরঙ্গভিত্তিক গবেষণার কাজ যেন নিশ্ছিদ্রভাবে করা যায়, সে জন্যই এমন নিষেধ বারণ।

রেডিও টেলিস্কোপটির দেখভাল করে ‘ন্যাশনাল রেডিও অ্যাস্ট্রনোমি অবজারভেটরি’। এই প্রতিষ্ঠানের বিজনেস ম্যানেজার মাইকেল হোলস্টাইন বলেন, ‘টেলিস্কোপটি যেন ঠিকভাবে সংকেত নিতে ও পাঠাতে পারে সে জন্য ইলেকট্রনিক পণ্যের ব্যবহার এখানে সীমিত।’

শহরটিতে বিভিন্ন রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি দেখভাল ও নিয়ন্ত্রণ করার জন্য রয়েছে ‘রেডিও পুলিশ’। এমনিতে কেউ নিয়ম ভঙ্গ করেন না, তারপরও সাবধানের মার নেই! আর সতর্ক থাকার জন্যই এই তদারকির কাজটি করে থাকেন ‘রেডিও পুলিশ’। তারা সব সময় পরীক্ষা করতে থাকেন অবাঞ্ছিত তরঙ্গ আছে কি না ওই অঞ্চলে।

যেহেতু মোবাইল ফোন নেই তাই ওই শহরের বাসিন্দারা একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ল্যান্ডফোনের মাধ্যমে। তারা ইন্টারনেট সংযোগও ব্যবহার করে থাকেন তবে সেটা ডায়াল আপ বা ইথারনেট ক্যাবল কানেকশনের মাধ্যমে। শহরের কিশোর-কিশোরীরাও এ রকম জীবনযাপনের ক্ষেত্রে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে, আর বাকিরা বেশ ভালোই আছেন।

শহরের পুরোনো বাসিন্দা শেরি চেস্টনাট বলেন, ‘একদিক থেকে আমরা ভালোই আছি। অন্যদের মতো স্মার্টফোনের স্ক্রিনের দিকে না তাকিয়ে আমরা মুখের দিকে তাকিয়ে কথা বলি। কারো সঙ্গে দেখা করতে হলে তার বাসায় চলে যাই, সেখানে গিয়ে আড্ডা মারি।’

এফ/০৮:৫৭/১৪জুলাই

সিঙ্গাপুরে এস আলমের সোয়া দুই হাজার কোটি টাকা ‘বিনিয়োগ’

818d193e75130aa80e9e24b410df4c06বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপ সিঙ্গাপুরে সোয়া দুই হাজার কোটি টাকা ‘বিনিয়োগ’ করেছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। সিঙ্গাপুরের একটি প্রভাবশালী পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের এ শিল্প গ্রুপটি সম্প্রতি লিটল ইন্ডিয়া এলাকায় সেন্ট্রিয়াম স্কয়ার নামের একটি বাণিজ্যিক ভবনে প্রায় ১৩ কোটি ৫০ লাখ সিঙ্গাপুরি ডলার বা ৭৮৬ কোটি টাকা ‘বিনিয়োগ’ করছে এস আলম গ্রুপ। এ ছাড়া দুই বছর আগে ২৪ কোটি ৮০ লাখ সিঙ্গাপুরি ডলার বা এক হাজার ৪৪৫ কোটি টাকায় একই এলাকায় একটি হোটেলও কেনে প্রতিষ্ঠানটি।

বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, কোনো প্রতিষ্ঠান অথবা ব্যক্তির পক্ষে বিদেশে পুঁজি বা মূলধন স্থানান্তরের সুযোগ নেই। সিঙ্গাপুরের পত্রিকা বিজনেস টাইমস জানায়, এস আলম গ্রুপ যে ভবনের জায়গা কিনছে তার বর্তমান নাম সেরাঙ্গুন প্লাজা। পরে এর নাম হবে সেন্ট্রিয়াম স্কয়ার। ২০২০ সাল নাগাদ এর কাজ শেষ হবে। এখানে প্রতি বর্গফুট জায়গার দাম চার হাজার ৯৬৭ সিঙ্গাপুরি ডলার বা দুই লাখ ৮৯ হাজার টাকা। এই দামে ভবনটির নিচের দুটি তলায় ২৭ হাজার ১৭৯ বর্গফুট জায়গা বা ৪৯টি ইউনিট কিনবে এস আলম গ্রুপ।

ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, সেন্ট্রিয়াম স্কয়ারের স্পেস কেনার দায়িত্বে রয়েছে এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলমের সিঙ্গাপুরের প্রতিষ্ঠান ক্যানালি লজিস্টিকস। এর আগে ২০১৪ সালে ক্যানালি লজিস্টিকসের মাধ্যমে ২৪ কোটি ৮০ লাখ সিঙ্গাপুরি ডলার বা এক হাজার ৪৪৫ কোটি টাকায় লিটল ইন্ডিয়া এলাকায় বেলিলিওস রোডে হোটেল গ্র্যান্ড চ্যান্সেলর কিনেছিলেন এস আলম। পরে হোটেলটির নাম বদল করে রাখা হয় গ্র্যান্ড ইম্পেরিয়াল হোটেল সিঙ্গাপুর। এই নামটিও শিগগিরই পাল্টে রাখা হবে ‘হিলটন গার্ডেন ইন’।

এ প্রসঙ্গে বুধবার জানতে চাওয়া হলে এস আলম গ্রুপের গণমাধ্যম কর্মকর্তা মোহাম্মদ হোসেইন জানান, ক্যানালি লজিস্টিকস নামে এস আলম গ্রুপের কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। সিঙ্গাপুরে এই ধরনের বিনিয়োগের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। অফিশিয়াল বক্তব্যের জন্য প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার বা তাঁর ব্যক্তিগত সহকারীর সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি।

এস আল গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলমের ব্যক্তিগত সহকারী আকিজউদ্দিন বলেন, বিভ্ন্নি গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত যে খবর আসছে তা সঠিক নয়।

সিঙ্গাপুরের ওই প্রকল্পে এস আলম গ্রুপ বিনিয়োগ করেছে কি না জানতে চাইলে আকিজউদ্দিন বলেন, ‘অল্প কিছু বিনিয়োগ করেছি। তবে এটা বাংলাদেশি টাকা না। এটা ওখানে আমাদের স্বতন্ত্র একটি প্রতিষ্ঠান আছে নাম ক্যানালি লজিস্টিকস। সেই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ওখানকার স্থানীয় ব্যাংক থেকে ফাইন্যান্স নিয়ে ওখানেই ব্যবসা করছি। বিষয়টা প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সবার নলেজে আছে। এটা নিয়ে কেউ নিউজ করে নাই। একমাত্র প্রথম আলো সরকারবিরোধী বলে এই তারা বিষয়টা নিয়ে রিপোর্ট করেছে।’

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর খবরের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে এস আলম গ্রুপের মালিকের এই ব্যক্তিগত সহকারী বলেন, ‘সেন্ট্রিয়াম স্কয়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ইনফ্লুয়েন্স (প্রভাবিত) করার জন্য এই নিউজ করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘ক্যানালি লজিস্টিকসের মাধ্যমে যে স্পেসটি আমরা নিয়েছি, সেখানে আরো অনেক স্পেস খালি পড়ে আছে। লোকাল ব্যবসায়ীরা যাতে উৎসাহী হয় সে জন্য বিজ্ঞাপনের মতো করে এই নিউজ করা হয়েছে। যেন বাংলাদেশি বা ইন্ডিয়ার ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের খবর শুনে স্থানীয়রাও ওখানে বিনিয়োগ করে। এটা তো পজিটিভ নিউজ। বাংলাদেশের মানুষের উচিত ফুলের তোড়া নিয়ে আমাদের স্বাগত জানানো।’

বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প গ্রুপগুলোর মধ্যে এস আলম গ্রুপ অন্যতম। এ গ্রুপের ব্যাংক, বিমা, ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ভোগ্যপণ্য, সিমেন্ট, বিদ্যুৎ-জ্বালানি, শিপিং, পরিবহন, আবাসন, স্টিল ও গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন খাতের ব্যবসা রয়েছে।

এফ/০৭:৩০/১৪জুলাই

অবশেষে বাংলাদেশিদের জন্য খুললো সৌদির ভিসা

daudiarabic-bdallnews24প্রবাসী প্রতিবেদকঃ সৌদিতে আবারো পুরুষ শ্রমিক পাঠানোর দুয়ার খুলল। বাংলাদেশি পুরুষ শ্রমিক নিয়োগে সকল বাধা সৌদি আরব সরকার তুলে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব খন্দকার ইফতেখার হায়দার চৌধুরী।

সোমবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান!

সচিব আরো জানান, এখন থেকে দেশটিতে নারী শ্রমিকের পাশাপাশি বিভিন্ন খাতে পুরুষ শ্রমিক যেতে পারবেন। একই সঙ্গে নারী শ্রমিক নিরাপত্তা ও বেতন বৃদ্ধির বিষয়েও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সৌদি আরব!

তিনি জানান, গত সপ্তাহে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসি সৌদি আরব সফরে গেলে দেশটির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আশ্বস্ত করা হয়।
তিনি আরো বলেন, গত বছরের রোজার ঈদের আগে সৌদি আরব বাংলাদেশ থেকে ৫০ হাজার গৃহকর্মী চেয়েছিলো।

ওই সময়ের মধ্যে আমরা মাত্র ৫ হাজার নারী কর্মী পাঠাতে সক্ষম হয়েছিলাম। সৌদি আরবের পক্ষ থেকে বেশি সংখ্যক নারী কর্মী না পাঠালে পুরুষ কর্মী নিয়োগের বিষয়ে একটা অলিখিত নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। এখন পর্যন্ত দেশটিতে থেকে -২০ হাজারের মতো নারী শ্রমিক পাঠানো হয়েছে। সে প্রেক্ষিতে পুরুষ কর্মী নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্বের শীর্ষ ২০ যুবকের একজন রকিবুল

368be7d201d645e1210a7f3045a43d9e368be7d201d645e1210a7f3045a43d9eবাংলাদেশি যুবক রকিবুল হাসান। কিন্তু এখন তাঁর নাম অন্যান্য দেশের, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এনজিও উইমেন ডেলিভারের বিশ্বব্যাপী ২০০ জন ‘ইয়াং ফেলো’ তো জানেনই। রকিবুলও একজন ফেলো। এর বাইরেও ২০০ ফেলো থেকে আলাদাভাবে অনুদানের জন্য নির্বাচিত ২০ জনের মধ্যেও রকিবুল একজন। অনুদান হিসেবে তিনি পাবেন পাঁচ হাজার ইউএস ডলার। এ অনুদান দিয়ে ‘পিস এম্পায়ার’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়ন করবেন। ছয় মাসব্যাপী এ প্রকল্পের মাধ্যমে বাল্যবিবাহ ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধে কাজ করবেন তিনি।

সম্প্রতি উইমেন ডেলিভার অনুদানপ্রাপ্ত (সিড গ্র্যান্টস) ২০ জনের তালিকা প্রকাশ করেছে। এ তরুণেরা স্বাস্থ্য অধিকার, বিশেষ করে নারী ও শিশুর যৌন এবং প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করছেন।

তরুণদের নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলোর মধ্যে বিশ্বে চতুর্থ স্থানে অবস্থানকারী উইমেন ডেলিভার ১৫টি দেশ থেকে এ ২০ জনকে নির্বাচিত করেছে। নির্বাচিতদের মধ্যে নাইজেরিয়া থেকেই সর্বোচ্চ তিনজন রয়েছেন। তা ছাড়া ভারত, জিম্বাবুয়ে ও কেনিয়া থেকে দুজন করে এবং বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া, ক্রোয়েশিয়া, বতসোয়ানা, নেপাল, ফিলিপাইন, ঘানা, জর্ডান, ক্যামেরুন, মালাউই ও ইন্দোনেশিয়া থেকে একজন করে ফেলো আছেন এ তালিকায়।

ফেলো হিসেবে গত মে মাসে রকিবুল ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার নিয়ে ‘চতুর্থ উইমেন ডেলিভার সম্মেলনে’ অংশ নেন। আঞ্চলিক ককাস, জাতীয় সম্মেলন, প্যানেল অধিবেশন, সংলাপ ও সচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মসূচিতে রকিবুল প্রতিনিধিত্ব করেন।

রকিবুল সিড গ্র্যান্টস পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন ২০১৪ সালের শেষ দিকে। অনলাইনে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে ১০ মাস ক্লাস করতে হয়। নিজ নিজ দেশের সমস্যা চিহ্নিত করতে বললে রকিবুল বাল্যবিবাহ ও নারী নির্যাতন বেছে নেন। অনেক যাচাই–বাছাইয়ের পর এ অনুদান মেলে।

রকিবুল জানালেন, ‘পিস এম্পায়ার’ প্রকল্পে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে তিনটি কলেজ, ১০টি স্কুল ও পাঁচটি মাদ্রাসার ১৫ থেকে ২৫ বছর বয়সী শিক্ষার্থীসহ প্রায় এক হাজার জন ক্যাম্পেইনার থাকবে। ৩৫ জন কমিউনিটি সাংবাদিক, ২৫ জন পিয়ার এডুকেটর এবং ইয়াং অ্যাডভোকেটও সম্পৃক্ত থাকবেন। সবাই মিলে এলাকায় বাল্যবিবাহ ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরির মাধ্যমে তা প্রতিরোধের চেষ্টা করবেন।

প্রকল্পের মাধ্যমে ডিজিটাল স্টোরিটেলিং, প্রামাণ্যচিত্র, ব্লগিং, অ্যাডভোকেসি ওয়ার্কশপ, রচনা প্রতিযোগিতা ও সামাজিক ক্যাম্পেইন-পথনাট্য, মূকাভিনয় ও জনসমাবেশের আয়োজন করা হবে। মুঠোফোন অ্যাপস ও অন্যান্য সামাজিক মিডিয়ার মাধ্যমে কমিউনিটি সাংবাদিকেরা যেকোনো বাল্যবিবাহ ও নারী নির্যাতনের ঘটনা স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করবেন। এতে ওয়েবসাইট ও ডকুমেন্টারি ফিল্ম তৈরি করতে হবে। উইমেন ডেলিভারকে প্রজেক্ট রিপোর্ট জমা দিতে হবে। রকিবুলের সঙ্গে এ প্রকল্পে বাংলাদেশ থেকে নির্বাচিত অন্য তিনজন ফেলোসহ মোট ছয়জন সহায়তা করবেন।

রকিবুলের বাবা বখতিয়ার হোসেন শিক্ষকতা করেন। মা শামীমা সুলতানা গৃহিণী। তিন ভাইয়ের মধ্যে রকিবুল সবার বড়। রকিবুল ছাত্রজীবন থেকেই স্বেচ্ছাসেবক কর্মকাণ্ডে অংশ নিচ্ছেন। তিনি রাজধানীর নটর ডেম কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। ২০১৩ সালে তিনি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের নিরাপত্তা গবেষক হিসেবে পেশাদার জীবন শুরু করেন। তবে সম্প্রতি এ কাজটি ছেড়ে দিয়েছেন।

রকিবুল জানালেন, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও সাময়িকীতে তাঁর ১৫টির বেশি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন ও প্রকাশিত হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি, উন্নয়ন ও শান্তিবিষয়ক ‘ম্যানোক্রাসি’ নামে তাঁর প্রথম বইও প্রকাশের পথে। তা ছাড়া ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, মিয়ানমারসহ দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় ২০টি সংবাদপত্রে রকিবুল এখন পর্যন্ত ৭০টির বেশি কলাম/উপসম্পাদকীয় লিখেছেন।

দক্ষিণ এশিয়া ও বাংলাদেশি সমাজে ভিন্ন ধারায় নেতৃত্ব বিকাশে ভূমিকা রাখায় ২০১৪ সালে ভারতের মণিপুর রাজ্য থেকে ‘বিশ্ব যুব অ্যাওয়ার্ড-২০১৪’ পান। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী ভি কে দুগোলের হাত থেকে এই সর্বোচ্চ মর্যাদা গ্রহণ করেন। একই বছর ‘উদীয়মান ৪৬ দক্ষিণ এশীয় পেশাজীবীদের’ একজন হিসেবে শান্তি প্রতিষ্ঠাবিষয়ক নেপালে এক আঞ্চলিক কর্মশালায় অংশ নেন। বিভিন্ন কাজের পাশাপাশি তিনি এক হাজারের বেশি তরুণ প্রজন্মকে নাগরিক সাংবাদিকতায় উদ্বুদ্ধ করেছেন। তৃণমূলে এ ধরনের সাংবাদিকতার মাধ্যমে প্রজনন ও যৌন স্বাস্থ্যের বিষয়টি তুলে ধরছেন।

রকিবুল নারায়ণগঞ্জে বড় হয়েছেন। এখানকার রূপগঞ্জ থানাকে প্রকল্প এলাকা হিসেবে বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে বলেন, ‘রূপগঞ্জ আয়তনে ছোট্ট হলেও বিপুল জনগোষ্ঠীর একটি শিল্প এলাকা। এখানে সর্বোচ্চসংখ্যক কর্মজীবী নারীর বসবাস। এখানে নারী নির্যাতনের ব্যাপকতাও বেশি। অভিজ্ঞতার আলোকে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বেশ সহায়ক হবে বলে মনে হয়।’

গত বছর রকিবুল দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক ইউনিভার্সাল পিস ফেডারেশনের আমন্ত্রণে রকিবুল থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অনুষ্ঠিত এশীয় মহাদেশীয় শান্তি সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন।

একই বছর তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন বিভাগ থেকে শান্তিরক্ষার ওপর বেসামরিক প্রশিক্ষণ নেন। রানি এলিজাবেথের নামে চালু হওয়া ‘কুইন্স ইয়ং লিডার’ প্রোগ্রামের আওতায় যুক্তরাজ্যর বিখ্যাত কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘লিডিং চেঞ্জ’ নামক স্বতন্ত্র অনলাইন লিডারশিপ কোর্সে অংশগ্রহণ করছেন। বৃহত্তম আঞ্চলিক যুব সংগঠন ‘সাউথ এশিয়ান ইয়ুথ সোসাইটি’র সংবাদ ও গণমাধ্যম বিভাগের প্রধান হিসেবে স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করছেন।

সম্প্রতি আমেরিকার বিল অ্যান্ড মিলিন্ডা গেটস ইনস্টিটিউট আয়োজিত ‘ফ্যামিলি প্ল্যানিং ইয়াং লিডার’ নির্বাচনেও রকিবুল মনোনয়ন পেয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছেন। এ বছর প্রথমবারের মতো বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৪০ জন তরুণ এতে নির্বাচিত হবেন। তারই প্রক্রিয়া হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে ভোট চাওয়া ও ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। এখন ফলাফলের অপেক্ষা।

৭৫ বছর বয়সে প্রেমের বিয়ে করছেন কিংবদন্তি পেলে

3e4d27090c5b4005a9781eaca72f9f48আবারও সাতপাকে বাঁধা পড়তে চলেছেন পেলে৷ আজ রাতেই তৃতীয়বারের জন্য বিয়ে করছেন ৭৫ বছরের ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি৷

এবার পাত্রী তাঁর চেয়ে ২৫ বছরের ছোট৷ নাম মার্সিয়া সিবেলে আওকি৷ ৬ বছর প্রেম করার পর ৫০ বছরের এই রমনীকে জীবনসঙ্গী করতে চলেছেন পেলে৷ বিয়ের রিসেপশন হবে সাও পাওলো বন্দরের গুয়ারুজাতে৷

তাঁর এই বিয়ের অনুষ্ঠানের সাক্ষী থাকতে আত্মীয় পরিজনদের সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন প্রচুর ভক্ত৷ ১৯৮০ সালে প্রথম নিউইয়র্কে প্রথম পরিচয় হলেও, ২০১০ সালে পেলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে মার্সিয়ার৷ এর মধ্যে আরও দু’বার বিয়ে করেন পেলে৷ কিন্তু সেই বিয়ে বেসি বছর টেঁকেনি৷

পেলের প্রথম পক্ষের স্ত্রী’র নাম রোজিমেরি ছোলবি৷ এই পক্ষে পেলের তিন সন্তান৷ দ্বিতীয় পক্ষের দুটি সন্তান৷আগেই অবশ্য পেলে এবং তাঁর বর্তমান বান্ধবী মার্সিয়ার মধ্যে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু কিংবদন্তির অসুস্থতার জন্য তা পিছিয়ে যায়৷

এখনও পেলে সম্পূর্ণ সুস্থ্য নন বলেই জানিয়েছেন তাঁর চিকিৎসকরা৷ জাপানি বংশোদ্ভুত মার্সিয়া নিজে একজন মেডিসিনের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী৷

Auto Draft

1464517084জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে ইতালি যাওয়ার পথে গত কয়েক দিনে ৭০০ জনেরও বেশি শরণার্থী সাগরে ডুবে প্রাণ হারিয়েছেন। শরণার্থীদের বহনকারী তিনটি নৌকা ডুবে এই বিপুল সংখ্যক মানুষ মারা গেছে বলে জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর।

জেনেভায় আল জাজিরাকে দেয়া সাক্ষাতকারে সংস্থাটির ইউরোপীয় মুখপাত্র উইলিয়াম স্পিন্ডার বলেন, এই সপ্তাহে ভূমধ্যসাগরে বেশ কয়েকটি প্রাণঘাতী নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে।

স্পিন্ডার বলেন, ‘এর মধ্যে প্রথম নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে গত বুধবার। প্রায় ৬০০ জনকে বহনকারী একটি নৌকা তখন ডুবে যায়। ওই ঘটনায় বেশ কয়েকজন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।’

এর পর বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ও শুক্রবার শরণার্থীদের বহনকারী তৃতীয় নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে বলে জানান জাতিসংঘের ওই কর্মকর্তা। এতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৭০০ ব্যক্তির কোন হদিস পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে এরা সবাই সাগরে ডুবে গেছে।

ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, শরণার্থীদের নিয়ে বেশ কিছু নৌকা এই মুহূর্তে ভূমধ্যসাগরে অবস্থান করছে। লিবিয়া থেকে ইতালি পৌঁছানোর চেষ্টা করছে তারা। তাদের জন্য উদ্ধার তৎপরতা চলছে।

সৌদি আরবে ফেসবুক মেসেঞ্জার নিষিদ্ধ

25b33505bed1edeb9769009847655ff9জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকের ‘ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার’ এবং ‘ইমো’ বন্ধের আদেশ দিয়েছে সৌদি আরব। অ্যাপ দুটির মাধ্যমে কথা এবং ভিডিও বার্তা আদানপ্রদান এখন থেকে নিষিদ্ধ বলে দেশটিতে আদেশ জারি করা হয়েছে।

এই আদেশটি কেন জারি করা হয়েছে এই ব্যাপারে কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি সৌদির সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। তবে দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে দ্য ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, দেশটির মোবাইল ফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর ‘ব্যবসায়িক আয়’ ধরে রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, শুক্রবার থেকে ফ্রি ভিডিও এবং ভয়েস কল সার্ভিস অ্যাপ ‘ইমো’র মতো দেশটিতে ফেসবুক মেসেঞ্জারের ভিডিও ও ভয়েস কল ব্যবহার করা যাচ্ছে না। গ্রাহকদের প্রশ্নের জবাবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো জানিয়েছে, ‘আইনগত জটিলতা’ র কারণে এমনটি হচ্ছে।

এর আগে চলতি মাসের শুরুতে ‘হোয়াটস অ্যাপ’ ও ‘ভাইবার’র মাধ্যমে দেশটিতে ইন্টারনেট কলিং সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যদিও ‘ট্যাংগো’, ‘লাইন’-এর মতো আরও অনেক ইন্টারনেট সেবা এখনো সৌদি আরবে উন্মু্ক্ত রয়েছে।

বিশ্বনাথে লন্ডনির তৃতীয় বিয়ে নিয়ে তোলপাড়

59747বিশ্বনাথে নাতনির বয়সী কন্যা স্বপ্নাকে বিয়ে করায় আকদ্দুস আলী নামের এক লন্ডন প্রবাসীকে নিয়ে তোলপাড় চলছে। এটি তার তৃতীয় বিয়ে। এর আগে তিনি দুই বিয়ে করলেও তৃতীয় বিয়েতে স্ত্রীদের অনুমতি নেননি। এ কারণে আকদ্দুস আলীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছে দ্বিতীয় স্ত্রী রাহেলা বেগম।

আর নববধূ স্বপ্না জানিয়েছেন, বিয়ের আগে আকদ্দুস জানিয়েছেন তার পূর্বের স্ত্রীরা মারা গেছেন। এবং বিয়ের আগে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাকে লন্ডনে নিয়ে যাবেন।

বিশ্বনাথ উপজেলার বিশ্বনাথ ইউনিয়নের মুফতিরগাঁও গ্রামের মৃত হরমুজ আলীর পুত্র আবিদ আলী ওরফে আকদ্দুস আলী তারই স্বজন ইদ্রিস আলীকে পিতা দেখিয়ে দীর্ঘ প্রায় তিন দশক পূর্বে লন্ডনে পাড়ি জমান। আর সেই সুবাদে বর্তমানে তিনি বৃটেনের একজন স্থায়ী নাগরিক। যুবক বয়সে আকদ্দুস আলী দেশে এসে বিয়ে করেন কল্যাণপুর গ্রামের কাছামালা বেগমকে।

প্রথম স্ত্রীর ঘরে আকদ্দুস আলীর রয়েছে ৬ সন্তান ও প্রায় এক ডজন নাতি-নাতনি। সন্তানরা প্রায় সকলেই বিবাহিত। এরপর আকদ্দুস আলী প্রথম স্ত্রী কাছামালার অনুমতি না নিয়ে আপন খালাতো বোন রাহেলা বেগমকে বিয়ে করেন। এই স্ত্রীর ঘরে রয়েছে তার ৩ সন্তান।

পূর্বের স্ত্রীর সন্তানদের মতো এই স্ত্রীর সন্তানরাও বৃটেনের স্থায়ী নাগরিক। দুই স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও গত প্রায় ৩ বছর পূর্বে আকদ্দুস আলী দেশে এসে তৃতীয়বারের মতো বিয়ের পিঁড়িতে বসেন।

এবার তার পছন্দ হয় নাতনির বয়সী সুন্দরী কিশোরী স্বপ্না বেগমকে। দিনমজুর পরিবারের মেয়ে স্বপ্না প্রবাসী আকদ্দুস আলীর মিষ্টি কথায় আর স্বপ্নের দেশ লন্ডনের কথা ভেবে বিয়েতে সম্মতি দেয়। প্রবাসী আকদ্দুস আলী এই স্ত্রীকে উপজেলার নতুন বাজারে নিজ বাসায় তুলতে না পারায় তার পিত্রালয় পূর্ব শ্বাসরাম গ্রামে রেখে দেন।

এ দফায় প্রায় দুই মাস আগে দেশে আসেন আকদ্দুস আলী। এসেই তিনি দ্বিতীয় স্ত্রী রাহেলাকে বিয়ের কথা জানান। এবং স্বপ্নাকে বাসায় তুলতে অনুমতি চান। এতে বাধ সাধেন স্বপ্না। তিনি স্বামীর উপর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। বিশ্বনাথ থানায় দিয়েছেন এজাহার।

এতে তিনি উল্লেখ করেছেন, গত কয়েক বছর ধরে আকদ্দুস আলী বিয়ের অনুমতি দেয়ার জন্য চাপ দিয়ে আসছেন। এতে তিনি সম্মতি না দেয়ায় তাকে লন্ডনে থাকা তার ৩ বৃটিশ সন্তানদের যোগাযোগের কোনো সুযোগ দিচ্ছেন না আকদ্দুস আলী। বরং বিভিন্নভাবে মানসিক নির্যাতন করছেন এবং তাকে তালাক দিয়ে বাসা ছাড়ার হুমকি এমনকি মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছেন। এতে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

এদিকে, আকদ্দুস আলীর নতুন স্ত্রী স্বপ্না বেগম জানিয়েছেন, বিয়ের পূর্বে আমাকে লন্ডন নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এবং বর্তমানে আমি ছাড়া তার আর কোনো স্ত্রী নেই।

লিখিত অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ থানার এসআই মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Developed by: