বিভাগ: খেলাধুলা

কার বল খেলতে ভয় পান কোহলি, জানেন?

f6e8594709e2fd3ac52a065610529badইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) ব্যাট হাতে একের পর এক চমক দেখিয়ে চলেছেন বিরাট কোহলি। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর অধিনায়ক সর্বশেষ ম্যাচেও খেলেছেন অপরাজিত ৭৫ রানের ঝড়ো ইনিংস। সেই কোহলিও একজন বোলারকে খেলতে গেলে বিপদে পড়তেন বলে স্বীকার করেছেন। তিনি পাকিস্তানি কিংবদন্তি সাবেক ফাস্ট বোলার ওয়াসিম আকরাম।

এক সাক্ষাতকারে তিনি এ কথা জানান। দুজন দুই প্রজন্মের হলেও, ওয়াসিম আকরামের স্কিল তাকে ভোগাতে পারতো বলে মনে করছেন কোহলি। কোন বোলার তাকে সমস্যায় ফেলেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে উঠে আসলো আকরামের কথা।

বলেছেন,‘ওয়াসিম আকরামকে নিয়েই আমার যত ভয়। ওনার বিপক্ষে যদি খেলতাম তাহলে তাকেই ভয় পেতাম। কারণ তিনি খুবই দক্ষ।’

এর আগে ওয়াসিম নিজেও প্রশংসায় ভাসিয়েছেন কোহলিকে। বলেছিলেন, ‘সে এই মুহূর্তে তিনফরম্যাটের জন্যই এক নম্বর ব্যাটসম্যান। সবখানেই কতৃত্ব নিয়ে খেলতে পারে।’

জানিয়ে রাখা ভালো, চলতি আইপিএলে এই মুহূর্তে সর্বোচ্চ রানের তালিকার শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছেন বিরাট কোহলি। মোট রান ৬৭৭। রয়েছে তিনটি সেঞ্চুরি ও তিনটি হাফ সেঞ্চুরি।

বাংলাদেশি আম্পায়ারকে গালি দিয়েছেন কোহলি?

মাঠের পারফরমেন্সের সঙ্গে একজন ক্রিকেটারের আচরণও হতে হয় বিশ্বমানের। খেলোয়াড়দের মাঠের আরচণ নিয়ে বেশ কড়া বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসিও। মাঠের বড়কর্তা আম্পায়াররা যে সিদ্ধান্ত নেবেন তাতেই সন্তুষ্ট থাকতে হবে ক্রিকেটারদের। আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত নিয়ে অশোভন কোনো প্রতিক্রিয়া দেখানো যাবে না। আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত নিয়ে ভারতীয়রা সবসময়ই বাড়াবাড়ি করে মাঠে। তাদের শারিরীক অঙ্গভঙ্গিতে আচরণের বহি:প্রকাশ দেখা যায়।

যদিও বিশ্বজুড়ে ক্রিকেট ভদ্রলোকের খেলা বলেই পরিচিত হয়ে আসছে। তারপরও অনেক ক্ষেত্রে অভদ্ররাও এক্ষেত্রে এগিয়ে থাকছেন। অনেকক্ষেত্রে দেখা যায় মোড়লদের ক্ষেত্রে অনেকেই বিষয়টাকে বাড়াবাড়ি দেখছেন না আবার অনেকে সাহসও পাচ্ছেন না অযথা বড়কর্তাদের সাথের ঝামেলায় না জড়ানোর। ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যস্থল ভারত। অগ্রজরা চালাচ্ছেন ক্রিকেটের প্রশাসন পথ, অনুসরণ করে অনুজরাও দাদাগিরি করতে চান মাঠে। তবে ক্ষেত্র বিশেষ তাদের শাস্তি/জরিমানা হলেও অনেক সময়ই তারা পার পেয়ে যান।

আম্পায়ারদের প্রতি ভারতীয়দের সম্মান কতটুকু তা বিশ্বনন্দিত আম্পায়ার সাইমন টোফেলের উক্তিতে প্রমাণ পাওয়া যায়। আম্পায়ারদের প্রতি ভারতীয় ক্রিকেটারদের সম্মান কম, তাই ভারতীয়রা গুণগত আম্পায়ার পান না। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) আম্পায়ারদের পরামর্শক হিসেবেও দায়িত্ব নেয়ার পর তিনি একথা বলেছিলেন। তিনি ভারতীয় ক্রিকেটারদেরকে আম্পায়ারদের প্রতি যথাযথ সম্মান দেখানোর পরামর্শও দেন।

এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে তৈরি হয়েছে আম্পায়ারিং বিতর্ক। বাংলাদেশের আম্পায়ার সারফুদ্দৌলা সৈকতের একটি সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি ভারতের ক্রিকেটাররা। অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি এ নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেছিলেন আম্পায়ারের সঙ্গে। আর ভারতের সহ-অধিনায়ক বিরাট কোহলি সম্ভবত গালিই দিয়েছেন আম্পায়ারকে! ঘটনাটি পাকিস্তানের ইনিংসের পঞ্চম ওভারে। আশিস নেহরার বলে খুররাম মনজুরকে কট বিহাইন্ডের জোরালো আবেদন করেছিলেন ভারতের ক্রিকেটাররা। বেশ কিছুক্ষণ আবেদনের পরও আম্পায়ার আউট না দেওয়ায় কিছুটা ক্ষেপেই গিয়েছিলেন কোহলিরা। ওভার শেষ হওয়ার পর আম্পায়ারের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলতে দেখা গেছে ধোনিকে।

আর কোহলি আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের পর পরই দেখিয়েছেন চরম অসহিষ্ণু আচরণ। টেলিভিশন রিপ্লে দেখে মনে হয়েছে যে, আম্পায়ার সারফুদ্দৌলাকে অশ্রাব্য একটি গালিই দিয়ে বসেছেন ভারতের এই তারকা ক্রিকেটার। কোহলির এই আচরণ ক্রিকেটারসুলভ কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে।

ভারতের বিষয়ে যা বললেন আফ্রিদি

চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডেতে বেশ দাপট দেখালেও টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত খেলা ম্যাচগুলোতে পাকিস্তানের সাফল্য তলানীতে। ভারতের বিপক্ষে মোট ছয়টি টি-টোয়েন্টির মাত্র একটিতে জয় পেয়েছে পাকিস্তান। তবে অতীত পরিসংখ্যান ভুলে ভালো করার প্রত্যয় পাকিস্তান অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদির কণ্ঠে।

দীর্ঘ বিরতির পর ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে আফ্রিদি বলেন, ‘আমি মনে করি এখানকার সবাই পেশাদার ক্রিকেটার। পিএসএলে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজিতে খেললেও তারা খুব সংগঠিত রয়েছে। আমরা আগামীকাল (শনিবার) বড় একটি ম্যাচ খেলতে যাচ্ছি। ভারতের বিপক্ষে আগে কি হয়েছে সেটা আমি ভাবতে চাই না। কেননা আমি অতীতে পড়ে থাকতে চাই না। পরিকল্পনা আমরা অনুযায়ী নিজেদের খেলাটা খেলতে চাই।’

ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপ নিয়ে বুম বুম আফ্রিদির বক্তব্য, ‘ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা সচরাচর স্পিন খুব ভালো খেলে। তাদের বেশ কিছু খেলোয়াড় দারুণ ফর্মে রয়েছেন। তারা কিছু দারুণ ম্যাচ খেলে এখানে এসেছে। তবে আমাদের দলের মোহাম্মদ নেওয়াজ, মোহাম্মদ আমির, ওয়াহাব এবং মোহাম্মাদ ইরফানের মতো পেস বোলাররা দারুণ ফর্মে রয়েছে। আশা করছি ফলাফল আমাদের অনুকূলেই থাকবে।’

ভারতে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর নিজের অবসরের কথা জানিয়েছিলেন আফ্রিদি। আবারও সেই প্রশ্ন উঠতে পাকিস্তান দলপতি বলেন, ‘মনে হচ্ছে এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপ আমার কাছে অবসরের ভাবনার চেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ। আমি সেগুলোর উপরই বেশি নজর রাখছি।’

নিজ দলের বোলিং বনাম ভারতের ব্যাটিং নিয়ে আফ্রিদি বলেন, ‘এটি সর্বদাই বড় একটি ফ্যাক্টর। তারা বড় স্কোর গড়তে চাইবে। পিএসএলে ভাল করা আমাদের ব্যাটসম্যানদেরও একই লক্ষ্য থাকবে। আমরা আশা করবো যেন আমাদের ভুলগুলোর পুনরাবৃত্তি না হয় এবং নিজেদের ধরন ঠিক থাকে।’

ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্ক নিয়ে আফ্রিদি বলেন, ‘খেলাধূলা সর্বদাই দুটি দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে ভূমিকার রাখে। মানুষ এখন দুই দেশের বৈরী সম্পর্ক চায় না। তারা বিনোদন চায়। আমার মনে হয় পাকিস্তানের মানুষ চায় ভারত সেখানে গিয়ে খেলুক। হয়তো ভারতের অনেকেও সেটা চায়। খেলাধুলার উপর আমাদের কোনো রাজনৈতিক প্রভাব কাজে লাগানো উচিত নয়। আমাদের উচিত মানুষের দাবীকে মূল্যায়ন করা এবং সবার কাছে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়া।’

মাশরাফিকে ভয় পান মুস্তাফিজ!

সবাই জানেন বোলিংয়ের সাথে সাথে ব্যাট হাতেও বেশ ভয়ংকর টাইগার দলপতি মশিরাফি বিন মর্তুজা। ছন্দে থাকলে বাঘা বাঘা বোলারদের নাকে জল এনে দেন মাশরাফি। তাই বলে মুস্তাফিজও ভয় করেন মাশরাফিকে!

ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকার মহাপরাক্রমশালী ব্যাটসম্যানদের বলে-কয়ে যিনি আউট করেছেন সেই মুস্তাফিজই নাকি ভয় করেন মাশরাফিকে! এমনটি বললেন খোদ মাশরাফি।

বুধবার ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে এশিয়া কাপে নিজেদের যাত্রা শুরু করবে বাংলাদেশ। ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে টাইগার দলনেতা জানালেন, ‘কারো বিপক্ষে বল করতে ভয় পায় না মুস্তাফিজ।’ এসময় মজা করে ম্যাশ বলেন, ‘ কেবল আমার বিপক্ষেই বল করতে ভয় পায় সে।’

ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে যে মুস্তাফিজই সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টর সেটি অকপটেই স্বীকার করলেন মাশরাফি।

‘ভারত বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা দল। তাই তাদের হারাতে হলে আমাদের তিনটি বিভাগেই ভালো করতে হবে। ফলাফল না ভেবে আমরা আত্মবিশ্বাসের সাথেই ম্যাচটি খেলতে চাই। তবে মুস্তাফিজের মতো বোলার থাকলে অধিনায়কের কাজটা অনেক সহজ হয়ে যায়।’

নতুন এই পেস সেনশেসনের বৈচিত্র্যপূর্ণ বোলিংয়ের প্রশংসা করে মাশরাফি বলেন, ‘ও এমন একজন বোলার, তাকে সামলানো যেকোনো ব্যাটসম্যানের পক্ষে খুব কঠিন। তার মতো বৈচিত্র্যময় বোলিং আমি বিশ্বের খুব কম বোলারের মধ্যে দেখেছি। সে বাংলাদেশ দলের জন্য একটা সম্পদ।’

যাকে নিয়ে এতো আলোচনা। এটা তাকে চাপে ফেলে দিবে নাতো? এমন প্রশ্নের জবাবে মাশরাফি বলেন, ‘মুস্তাফিজ এগুলো সম্পর্কে কিছুই জানে না। আর জানলেও এগুলো নিয়ে চিন্তা করার মতো মানুষ নয় সে। মুস্তাফিজ চাপ নেওয়ার ছেলেও নয়।’

নিভর্রশীলতার সাথে সাথে মাশরাফি এটাও স্মরণ করে দেন, `একা ওর পক্ষে সব কিছু করা সম্ভব নয়। সবাইকে সহায়তা করতে হবে। এটা নিশ্চিত মুস্তাফিজ যা পারবে এটা অন্য কেউ পারবে না। কিন্তু আমরা সবাই যদি সহায়তা করি তাহলে ভারত কেন যে কোনো দলকে হারানো সম্ভব।’

জাতিসংঘের শুভেচ্ছা দূত হলেন মাশরাফি

ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূত হলেন সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। চতুর্থ বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূত হলেন তিনি।

২০১৩ সালে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান, চলচ্চিত্র অভিনেত্রী আরিফা জামান মৌসুমী ও জাদুশিল্পী জুয়েল আইচকে শুভেচ্ছা দূত করে ইউনিসেফ।

আর ২০০৫ সালে ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশরাফুল, হাবিবুল বাশার সুমন ও টেবিল টেনিস খেলোয়াড় জোবেরা রহমান লিনুকে শুভেচ্ছা দূত করে ইউনিসেফ।

জাতিসংঘের অধীনে মা ও শিশুদের কল্যাণে কাজ করে ইউনিসেফ। এবার সেই কাজের সঙ্গে যুক্ত হলেন টাইগার দলপতি মাশরাফি বিন মুর্তজা।

এক নো বলে ১০৬ রান!

ট্রান্স-তাসমান ট্রফির দ্বিতীয় টেস্টে ক্রাইস্টচার্চে মুখোমুখি হয়েছে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ইনিংসে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৩৭০ রান সংগ্রহ করেছে স্বাগতিকরা। জবাবে ১ উইকেট হারিয়ে ৫৭ রান তুলে প্রথম দিন শেষ করেছে অস্ট্রেলিয়া।

প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে রীতিমতো তা-ব চালান ব্রেন্ডান ম্যাককালাম। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে যোগ করেন এক নতুন ইতিহাস। মাত্র ৫৪ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে তিনি টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন।

প্যাটিনসনের বলে তিনি যখন আউট হন তখন তার নামের পাশে জ্বলজ্বল করছিল ৭৯ বলে ১৪৫ রানের ঝড়ো একটি ইনিংস।

কিন্তু ১৪৫ নয়, মাত্র ৩৯ রানেই থেমে যেতে পারত ম্যাককালামের ইনিংস। কিন্তু একটি নো বলের কারণে রক্ষা পান তিনি। এরপর তিনি টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেন। নিজের নামের সঙ্গে যোগ করেন আরো ১০৬ রান।

ম্যাককালাম যখন ৩৯ রানে ব্যাট করছিলেন তখন জেমস প্যাটিনসনের বলে গালিতে স্লাইচ করতে গিয়ে মিশেল মার্শের হাতে ধরা পড়েন। অসাধারণ ডাইভ দিয়ে ক্যাচটি তালুবন্দি করেন মার্শ। কিন্তু আম্পায়ার রিচার্ড ক্যাটেলব্রো থার্ড আম্পায়ারকে কল করেন।

আম্পায়ার চেক করে দেখেন প্যাটিসনের করা বলটি ‘নো’ ছিল। এরপর ম্যাককালাম তার ইনিংসে আরো ১০৬ রান যোগ করেন। শেষ পর্যন্ত সেই প্যাটিনসনের বলেই ১৪৫ রান করে আউট হন কিউই দলপতি। প্যাটিনসনের একটি ‘নো’ বলের কারণে আরো ১০৬ রান করতে সক্ষম হন ম্যাককালাম।

বাজেয়াপ্ত করা হলো নেইমারের সম্পত্তি!

বার্সেলোনার ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমারের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কর ফাঁকির মামলায় ব্রাজিলের কর্তৃপক্ষ কাতালান এ তারকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে।

সাও পাওলোর ফেডারেল কোর্ট নেইমারের প্রায় ১৯২ মিলিয়ন ব্রাজিলিয়ান রিয়াল (মূল্যের ভিত্তিতে) সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে। এর মধ্যে তার একটি ব্যক্তিগত জেট বিমান ও ইয়ট রয়েছে।

২০১১ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত নেইমার ব্রাজিলিয়ার ৬৩ মিলিয়ন রিয়াল কর ফাঁকি দেন বলে জানা যায়। সে সময় তিনি দেশটির বিখ্যাত ফুটবল ক্লাব সান্তোসে খেলতেন। ২০১৩ সালে সান্তোস ছেড়ে নেইমার স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সায় পাড়ি জমান।

এর আগে গত সেপ্টেম্বরে দেশটির আদালত নেইমারকে কর পরিশোধের নির্দেশ দিলেও তার পরিবার থেকে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। কর ফাঁকির মামলা থেকে বাঁচতে নেইমারের বাবা উচ্চ আদালতে আপিল করেন। পরে গত জানুয়ারিতে সেই আপিল খারিজ করে দেন আদালত। আদালত থেকে জানানো হয়, কর পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে নেইমার উক্ত সম্পত্তি ব্যবহার করতে পারবেন না। এছাড়া ব্যক্তিগত সম্পত্তি তিনি কোনোভাবে বিক্রিও করতে পারবেন না।

এদিকে, সান্তোস ছেড়ে বার্সায় আসার সময়ও নেইমার কর ফাঁকি দিয়েছেন বলে মামলা হয়। সেই মামলাটি স্পেনের আদালতে এখনও ঝুলছে। তবে, সেই মামলার বিরুদ্ধে আপিল করেছেন নেইমারের বাবা।

যুব বিশ্বকাপে বাংলাদেশ তৃতীয়

যুব বিশ্বকাপে তৃতীয় হয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। শনিবার তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে তিন উইকেটে হারিয়েছে মেহেদি হাসান মিরাজের দল।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার সেমিফাইনাল ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে ফাইনালের স্বপ্ন ভঙ্গ হয় যুব টাইগারদের। তাই প্রথম সেমিফাইনালে হারা শ্রীলঙ্কার সঙ্গে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী এই ম্যাচে অংশ নেয় বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করে শ্রীলঙ্কা ৪৮.৫ ওভারে ২১৪ রানে অলআউট হয়। জবাবে বাংলাদেশ তিন বল হাতে রেখে তিন উইকেটে ২১৮ রান করে বাংলাদেশ। অবশ্য বাংলাদেশ ফাইনালে না ওঠলেও একটা রেকর্ড হয়েছে। আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে খেলার গৌরব অর্জন করে বাংলাদেশ। তাই যুব বিশ্বকাপে এটিই লাল-সবুজের দলের সেরা পারফরম্যান্স। এর আগে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ পঞ্চম স্থান লাভ করে। ২০০৬ সালে বাংলাদেশ মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বে কোয়ার্টারে হারলেও পঞ্চম স্থান লাভ করেছিল। সেবার পঞ্চম স্থান নির্ধারণী ম্যাচে এই শ্রীলঙ্কাকেই হারিয়েছিল তারা। বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ বলের পর ব্যাটেও পথ দেখান বাংলাদেশকে। করেন হাফ সেঞ্চুরি নিয়েছেন তিন উইকেটও। জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দলীয় ৫৯ রানের মধ্যে দুই ওপেনার জয়রাজ শেখ ও জাকির হাসান সাজঘরের পথ ধরেন। জয়রাজ ২৯ রান করলেও জাকির রানের খাতা খুলতে পারেননি। পরে জাকের আলীকে নিয়ে মিরাজ তখন দলের হাল ধরেন। ব্যক্তিগত ১৯ রানে জাকের রিটায়ার্ড হার্ট করে মাঠে বাইরে চলে যান। এরপর নাজমুল হাসান শান্ত ও মেহেদি হাসান মিরাজ জুটি বাঁধেন। পরে মিরাজ হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তৃতীয় উইকেটে শান্তর সঙ্গে ৮৮ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের পথ দেখান তিনি। ৬৬ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় মিরাজ রান আউট হন ৫৩ রান করে। আর শান্ত করেন ৫৭ বল থেকে এক চারে ৪০ রান। এরপর শেষ দিকে কিছুটা চাপ তৈরি হলেও সাইফুল হায়াত (২১), সাইফুদ্দিন (১৯)ও মোসাব্বেক (১১) ছোট ছোট কিছু ইনিংস খেলে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। এর আগে মেহেদি হাসান মিরাজ, সাইফুদ্দিন ও আবদুল হালিমদের বোলিং নৈপুণ্যে সাত বল বাকি থাকতেই লঙ্কানদের ২১৪ রানে অলআউট করে যুব টাইগাররা। ওপেনিং জুটিতে শ্রীলঙ্কা কিছুটা শক্তিশালী অবস্থান নিলেও পরে তা ভেঙে যায়। শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার কামিন্দু মেন্ডিস ও সালিন্দু পেরেইরা দুর্দান্ত সূচনা করেন। ৬০ রানের ওপেনিং জুটি গড়ে বড় স্কোর গড়ার আভাসই দিচ্ছিলেন তারা। তবে চোখ রাঙাতে থাকা দুই লঙ্কান ওপেনারকে এরপরই ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হন বাংলাদেশ অধিনায়ক মিরাজ। মেন্ডিসকে (২৬) এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তিনি। আর পেরেইরা (৩৪) উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন সেই মিরাজের বলেই। পরে দলীয় ৭০ রানে আভিস্কা ফার্নান্দোকে (৬) বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান মিরাজ। শুরুতেই মিরাজের ট্রিপল আঘাতে রানের গতি কমে আসে লঙ্কানদের। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আরো দুই উইকেট তুলে নেন মেহেদি হাসান রানা ও সালেহ আহেমদ শাওন। রানার বলে আহসান (২৭) উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন। অপরদিকে শাওনের বলে এলবডব্লিউর ফাঁদে পড়েন সিলভা (১০)। বাকি কাজটা সেরে দেন সাইফুদ্দিন ও আবদুল হালিম। শেষ পাঁচ ব্যাটসম্যানের চার জনকেই ফেরান তারা। ব্যতিক্রম ছিলেন শুধু দামিথা সিলভা। তিনি রান আউট হয়েছেন। লঙ্কান ইনিংসে পরবর্তী ব্যাটসম্যানদের মধ্যে চারিথ আসালাঙ্কা সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেন। ওয়ানিদু হাসারাঙ্গা করেন ৩০ রান। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে অধিনায়ক মিরাজ তিনটি এবং সাইফুদ্দিন ও আবদুল হালিম দুটি করে উইকেট নেন। আর একটি করে উইকেট নেন সালেহ আহমেদ শাওন ও মেহেদি হাসান রানা।

রমিজের ব্যাপারে মুখ খুললেন তামিম

বিতর্কিত ধারাভাষ্যকার রমিজ রাজার সেই বিব্রতকর আচরণ নিয়ে মুখ খুলেছেন তামিম ইকবাল। তামিমের দাবি, তিনি ওই সময় তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি ধরতে পারেননি।

বাংলাদেশকে হেয় করার জন্য এটা বলা হয়েছে কি না তাও তিনি বলতে পারবেন বলে জানিয়েছেন দেশের একটি দৈনিকের সঙ্গে আলাপকালে, ‘আমি এটাও বলতে পারব না কাজটা আমাদের হেয় করার জন্য ইচ্ছে করে করা হয়েছে কি না…উনি (রমিজ) কেন এটা করলেন জানি না।’

পিএসএলের দ্বিতীয় ম্যাচে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎকারের জন্য তামিমকে ডেকে রমিজ রাজা বলেন ‘তামিম, আমি তো আপনার ভাষা জানি না। ইংরেজি চলবে তো, নাকি…?’

এসব ব্যাপারে ক্রিকেটাররা সাধারণত বিতর্ক এড়াতে চান। তামিমও তাই কৌশলী উত্তরে বলেছেন ইচ্ছে করে করে থাকলে তা ঠিক হয়নি, ‘ইচ্ছে করে করে থাকলে অবশ্যই তা ঠিক হয়নি। তবে কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে না করে থাকলে অন্য ব্যাপার।’

রমিজের ‘উদ্দেশ্য’ যে আছে, সেটা তামিমের না বোঝার কথা নয়। কেননা তামিম সেদিন প্রথম আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ক্রিকেট খেলতে নামেননি। রমিজের কাছে তিনি অপরিচিতও নন। এমনকি ম্যাচের একদিন আগেও সাইড লাইনে বসে পিএসএল সম্পর্কে ইংরেজিতে নিজের মতামত দিয়েছিলেন বাংলাদেশি এই ক্রিকেটার। তখনও ধারাভাষ্যের দায়িত্বে ছিলেন ওই রমিজ।

রমিজ তার আগের দিন সাকিবকে নিয়েও বিব্রতকর আচরণ করেন। সাকিবকে ম্যান অব দ্য ম্যাচ ঘোষণা করার পরিবর্তে সিমন্সের নাম বলেন!

‘ইংরেজি চলবে তো, নাকি…?’ বলার পর রমিজ এমনভাবে থেমেছিলেন, অনেকের মনে হয়েছে, রমিজ তামিমকে উর্দুতে বলারই নীরব প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তবে তামিম মাথা নেড়ে জানান ইংরেজিতেই বলবেন।

সৌদি সুন্দরী মডেলকে বিয়ে করলেন ইরফান পাঠান

বিয়ে করলেন ইরফান। অসংখ্য নারী অনুরাগীদের মনে দুঃখ দিয়ে বৃহস্পতিবার জেদ্দার এক তরুণীকে বিয়ে করেন ইরফান। সৌদি আরবের মক্কার হারেম শরিফে বছর একুশের সাফা বেগকে নিকাহ করেন তারকা বোলার।

ইরফানের পরিবার সূত্রে খবর, বছর দুয়েক ধরে একে অপরকে চেনেন ইরফান এবং সাফা। আইপিএল নাইনে রাইজিং পুনে দলে জায়গা হয়েছে ইরফানের। সাফা পাবলিকেশন্স ফার্মে মডেল হিসেবে কাজ করেন। জানা গেছে, ৩ মাস পূর্বেই ইরফান ও সাফার এনগেজমেন্ট সম্পন্ন হয়।

Developed by: