বিভাগ: খেলাধুলা

রাণী হামিদ

2-19আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় মহিলা দাবারু রাণী হামিদ দণি সুরমার এক আলোকিত নারী। তিনি জালালপুর ইউনিয়নের রায়খাইল গ্রামে ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা (মরহুম) মো. মমতাজ আলী। রাণী হামিদ দাবায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশেষ স্থান দখল করে আছেন। তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে কৃতিত্বের স্বার রাখেন। তিনি ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে আন্তর্জাতিক মহিলা দাবায় যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন হন।
উপমহাদেশে তিনিই একমাত্র মহিলা যিনি তিনবার ব্রিটিশ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন এবং আটবার জাতীয় চ্যাম্পিয়নের মর্যাদা লাভ করেন। এশিয়ান মহিলা দাবায় তিনি দু’বার চ্যাম্পিয়ান এবং একবার রানার্সআপ হন। কমনওয়েলথ মহিলা দাবায় এবং ইংল্যান্ডের লয়েড মাস্টার্স মহিলা দাবায় রানার্সআপ হন। রাণী হামিদ দু’বার বিশ্ব দাবা অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশ পুরুষ দলের প্রতিনিধিত্ব করে দাবা অলিম্পিয়াডে এক দুর্লভ কৃতিত্বের স্বার রাখেন। তিনি ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে কমনওয়েলথ মহিলা দাবায় রানার্সআপ হন।
তাঁর স্বামী কর্নেল এম.এ হামিদ (অব.) দীর্ঘদিন বাংলাদেশ ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁরই পুত্র কায়সার হামিদ একজন সাড়াজাগানো ফুটবলার ও মোহামেডান দলের সাবেক অধিনায়ক। অপর ছেলে কৃতী ক্রিকেটার সুহেল হামিদ। কৃতী খেলোয়াড় রাণী হামিদের খেলাধুলা নিয়ে অনবদ্য রচনা ‘মজার খেলা দাবা’ নামক একটি চমৎকার গ্রন্থ রয়েছে।

লুৎফুর রহমান লালু

2-20এক সময়ের তুখোড় ফুটবলার লুৎফুর রহমান লালু ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের দণি সুরমাস্থ ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভার্থখলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা (মরহুম) মো. কাছিম ও মাতা নছিরা বিবি।
মাঝমাঠের সাড়া জাগানো কৃতী ফুটবলার লুৎফুর রহমান লালু ছোটবেলা থেকে খেলাধুলায় ঝুঁকে পড়েন। তিনি সরকারি পাইলট হাইস্কুল, রাজা জি.সি হাইস্কুল ও সবশেষে দি এইডেট হাই স্কুলে ফুটবলের নেতৃত্ব দেন। দি
এইডেট হাইস্কুলে তিনি ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে ইসমাইল স্পোর্টিং কাব প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি সে দলের খেলোয়াড়, ক্যাপটেন ও বর্তমানে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সিলেট স্টেডিয়ামের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে সিলেট স্টেডিয়ামের অবস্থা ছিল খুবই শোচনীয় ছিল। মাঠে প্রচুর কাদা জমে থাকতো সব সময়। তখন তিনি সিলেটের অন্যান্য কাবের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে সংস্কারের আন্দোলনে নামেন। তাঁর আন্দোলনের ফলে কর্তৃপ মাঠের সংস্কার কাজে হাত দেন। ইতোপূর্বে লুৎফুর রহমান লালু ফুটবল টুনামেন্টের সেক্রেটারি ও সিলেট জেলা ফুটবলের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে তিনি সিলেট জেলা দলের খেলোয়াড় হিসেবে দেশের বিভিন্ন জেলা ও ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে দারুণ ক্রীড়া নৈপুণ্য প্রদর্শন করে অসামান্য খ্যাতি লাভ করেন। গত ২৪ অক্টোবর ২০১২ খ্রিস্টাব্দে তিনি ইন্তেকাল করেন।

Developed by: