আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় মহিলা দাবারু রাণী হামিদ দণি সুরমার এক আলোকিত নারী। তিনি জালালপুর ইউনিয়নের রায়খাইল গ্রামে ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা (মরহুম) মো. মমতাজ আলী। রাণী হামিদ দাবায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশেষ স্থান দখল করে আছেন। তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে কৃতিত্বের স্বার রাখেন। তিনি ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে আন্তর্জাতিক মহিলা দাবায় যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন হন।
উপমহাদেশে তিনিই একমাত্র মহিলা যিনি তিনবার ব্রিটিশ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন এবং আটবার জাতীয় চ্যাম্পিয়নের মর্যাদা লাভ করেন। এশিয়ান মহিলা দাবায় তিনি দু’বার চ্যাম্পিয়ান এবং একবার রানার্সআপ হন। কমনওয়েলথ মহিলা দাবায় এবং ইংল্যান্ডের লয়েড মাস্টার্স মহিলা দাবায় রানার্সআপ হন। রাণী হামিদ দু’বার বিশ্ব দাবা অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশ পুরুষ দলের প্রতিনিধিত্ব করে দাবা অলিম্পিয়াডে এক দুর্লভ কৃতিত্বের স্বার রাখেন। তিনি ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে কমনওয়েলথ মহিলা দাবায় রানার্সআপ হন।
তাঁর স্বামী কর্নেল এম.এ হামিদ (অব.) দীর্ঘদিন বাংলাদেশ ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁরই পুত্র কায়সার হামিদ একজন সাড়াজাগানো ফুটবলার ও মোহামেডান দলের সাবেক অধিনায়ক। অপর ছেলে কৃতী ক্রিকেটার সুহেল হামিদ। কৃতী খেলোয়াড় রাণী হামিদের খেলাধুলা নিয়ে অনবদ্য রচনা ‘মজার খেলা দাবা’ নামক একটি চমৎকার গ্রন্থ রয়েছে।