বিভাগ: খেলাধুলা

সাকিবের শাস্তি কমল

27-02বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, এমপি এর আগেই এমন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। গতকাল সেই অনুযায়ীই সাকিব আল হাসানের আবেদনের প্রেক্ষিতে তার নিষেধাজ্ঞা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি।
বোর্ডের বৈঠক শেষে সভাপতি জানিয়েছেন, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের পর থেকে আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার জন্য সাকিবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। আগে ঘোষিত ছয় মাসের শাস্তি কার্যত কমিয়ে দুই মাসে পরিণত করা হয়েছে। তবে দেশের বাইরের বিভিন্ন লিগে খেলার ব্যাপারে বোর্ডের যে দেড় বছরের আপত্তি, সেটি এখনও প্রত্যাহার করা হয়নি।
এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ফলে সাকিব আসছে এশিয়ান গেমস ও জিম্বাবুয়ে সফরেই খেলার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। এছাড়া তিনি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও অংশ নিতে পারবেন।
বোর্ড সভাপতি বলেছেন, মূলত সাকিবের আবেদনের ভাষা এবং নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকে তার আচার-আচরণে যে পরিবর্তন এসেছে, তাতেই সন্তুষ্ট হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। তবে খেলা শুরু করার পর সাকিবের আচরণ পর্যবেক্ষণে রেখে এই সিদ্ধান্ত কমানো বা বাড়ানোও হতে পারে।
এর আগে গত ৭ জুলাই নবনিযুক্ত কোচ চন্দিকা হাতুরুসিংহের সাথে খারাপ ব্যবহার, জাতীয় দলের হয়ে না খেলার হুমকি ও সামপ্রতিক সময়ে একজন দর্শককে মারধরের মতো আচরণগত সমস্যার প্রেক্ষিতে সাকিব আল হাসানকে ছয় মাসের জন্য সকল ধরনের ক্রিকেটে ছয় মাসের জন্য নিষিদ্ধ করে বিসিবি। এছাড়াও আগামী বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত তার বিদেশে খেলার অনুমতিও বাতিল করে বোর্ড।
ওই শাস্তির ফলে চলতি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যেতে পারেনি সাকিব। এ ছাড়া শাস্তি বহাল থাকলে আগামী বছর অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপের এক মাস আগেই কেবল খেলায় ফিরতে পারতেন।
বিসিবি’র জরুরি সভায় ৭ জুলাই সর্বসম্মতভাবে এ সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এবার সে সিদ্ধান্ত বদলের কারণ বলতে গিয়ে সভাপতি পাপন বলেছেন, ‘সাকিব যে আবেদনটি করেছে, আমরা তার ভাষা পড়ে সন্তুষ্ট হয়েছি। যদিও মাঠে খেলা শুরু না করলে সেটা কতোটা পরিবর্তিত হয়েছে, বোঝা যাবে না। তবে এটা ঠিক যে, এই সময়কালে তার আচরণে এক ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন আমরা লক্ষ্য করেছি।’
যদিও ওয়েস্ট ইন্ডিজে দলের খারাপ পারফরম্যান্সের পর জিম্বাবুয়ে সফরের আগে সাকিবকে পাওয়াটা দলের জন্য খুব প্রয়োজনীয় হবে। তবে পাপন বললেন, দলের খারাপ পারফরম্যান্স এই সিদ্ধান্ত নিতে তাদের কোনোরকম অনুপ্রাণিত করেনি।

শেষ পর্যন্ত হারই হলো!

21-2শেষ পর্যন্ত স্বাগতিকরাই জিতলো। প্রথম ওয়ানডেতে তিন উইকেটের জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর এ জয়ে বড় অবদান রামদিনের সঙ্গে পোলার্ডের ১৪৫ রানের বড় জুটির। তবে এনামুল হকের শতকে স্বাগতিকদের সামনে মোটামুটি লক্ষ্য দাঁড় করিয়েছিল বাংলাদেশ।

বুধবার গ্রেনাডার সেন্ট জর্জে ন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ২১৭ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে ৩৯ ওভার ৪ বলে ৭ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২১৭/৯ (তামিম ২৬, এনামুল ১০৯, ইমরুল ৯, শামসুর ৮, মুশফিক ১২, মাহমুদুল্লাহ ১১, নাসির ২৬, সোহাগ ২, মাশরাফি ৩, তাসকিন ০*; ডোয়াইন ব্র্যাভো ৪/৩২, গেইল ১/১৯, হোল্ডার ১/৩৯, রামপল ১/৪৮)

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৩৯.৪ ওভারে ২১৯/৭ (গেইল ৩, এডওয়ার্ডস ১০, ড্যারেন ব্র্যাভো ৭, সিমন্স ০, রামদিন ৭৪, ডোয়াইন ব্র্যাভো ৫, পোলার্ড ৮৯, হোল্ডার ২২*, নারাইন ৩*; আল-আমিন ৪/৫১, মাহমুদুল্লাহ ১/২০, মাশরাফি ১/২২, সোহাগ ১/৪৬)

10-1বিতর্কিত ‘প্লেয়ার বাই চয়েস’ পদ্ধতি এবার আর নেই। আজ শুরু হওয়া ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের দলবদল হবে পুরোনো পদ্ধতিতেই। খেলোয়াড়দের নিয়ে ক্লাব কর্মকর্তারা ঢাকঢোল পিটিয়ে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের সিসিডিএম কার্যালয়ে আসবেন। উৎসব-উত্তেজনায় মিশে থাকবে কৌতূহল—কে কোন দলে যাচ্ছেন? কে কোন দল ছাড়ছেন?
তবে আজ দলবদল শুরু হয়ে আপাতত সেটি শেষ হয়ে যাবে কালই। এই দুই দিন হবে পুলভুক্ত ২৩ ক্রিকেটারের দলবদল। আগামী ২৭ ও ২৮ আগস্ট পুলের বাইরের বাকি ক্রিকেটারদের। দু-তিনজনকে নিয়ে একটু অনিশ্চয়তা থাকলেও পুলের কোন খেলোয়াড় কোন দলে নাম লেখাচ্ছেন, তা মোটামুটি ঠিকই হয়ে আছে। কাল পর্যন্ত ক্লাব নিশ্চিত হয়নি একমাত্র সোহাগ গাজীর। এ ছাড়া ইমরুল কায়েস বা এনামুল হকের (বিজয়) মধ্যে একজনকেও ক্লাব পাওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে দলবদল শেষ হওয়া পর্যন্ত।ক্রিকেট খেলায় ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা থাকায় পুলে রাখা হয়নি সাকিব আল হাসানকে। যদিও শোনা যাচ্ছে, বোর্ডের আসন্ন সভায় তাঁকে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হতে পারে। সে ক্ষেত্রে সাকিবের দলবদলের প্রক্রিয়াটা কীভাবে হবে, সেটাও তখনই জানা যাবে। তবে তাঁর খেলার সম্ভাবনা গাজী ট্যাংকেই (লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ) বেশি।‘প্লেয়ার বাই চয়েস’ পদ্ধতিতে খেলোয়াড়দের ক্লাবের সঙ্গে দরদামের সুযোগ ছিল না। একজন খেলোয়াড়ের মূল্য সর্বোচ্চ কত হবে, সেটা বেঁধে দিয়েছিল বিসিবি। ২৫ লাখ টাকার ওপরে পাননি কোনো ক্রিকেটারই। সেই টাকাও আবার ক্লাবগুলো দিয়েছিল কে কয়টা ম্যাচ খেলেছে সেটা হিসাব করে। পুলের ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে ম্যাচ ধরে ধরে টাকা দেওয়ার নিয়মটা এবারও চালু থাকছে। তবে মূল্যসীমার নিয়ম উঠে যাওয়ায় ক্রিকেটারেরা যে যাঁর মতো টাকা দাবি করতে পারছেন। যত দূর জানা গেছে, এবারের দলবদলে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ দাম উঠেছে মুশফিকুর রহিমের। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব থেকে জাতীয় দলের অধিনায়ক নাকি ৫০ লাখ টাকায় চলে যাচ্ছেন প্রাইম দোলেশ্বরে।

গতবারের তিন নম্বর দল প্রাইম দোলেশ্বর মুশফিকের সঙ্গে নিচ্ছে মুমিনুল হক আর শফিউল ইসলামকেও। গতবারের চ্যাম্পিয়ন গাজী ট্যাংক নিচ্ছে তামিম ইকবাল, রুবেল হোসেন আর সাব্বির আহমেদকে। আবাহনী আল-আমিন আর জিয়াউর রহমানকে নিশ্চিত করলেও পুলের তৃতীয় ক্রিকেটারের ব্যাপারে কাল পর্যন্তও সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিল। তবে তা ইমরুল কায়েস অথবা এনামুল হকের (বিজয়) মধ্যে কেউ একজন হবেন বলেই নিশ্চিত করেছে ক্লাব সূত্র।

নাঈম ইসলাম ও মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গে মোহামেডান গতবারের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকেও ধরে রাখতে চায় বলে খবর। যদিও মাশরাফির দিকে দৃষ্টি আছে কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমিরও। কলাবাগানের এ ক্লাবটি কাল পর্যন্ত নাসির হোসেন আর আরাফাত সানিকে নিশ্চিত করলেও পুলের খেলোয়াড়দের তৃতীয় জায়গাটি খালি রেখেছে। তবে কলাবাগানের আরেক দল কলাবাগান ক্রীড়াচক্র মার্শাল আইয়ুব, শামসুর রহমান ও রবিউল ইসলামকে নিশ্চিত করে ফেলেছে। এ ছাড়া প্রাইম ব্যাংক নিয়েছে মাহমুদউল্লাহ, ফরহাদ রেজা ও তরুণ পেসার তাসকিন আহমেদকে। আর গতবারের রানার্সআপ শেখ জামাল এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করেছে শুধুই আবদুর রাজ্জাককে।

গতবার বঞ্চিত হওয়ার কারণেই কি না এবার ​তারকা ক্রিকেটাররা চড়া দাম হাঁকাচ্ছেন। জাতীয় দলের মধ্যম সারির ক্রিকেটারদের দাবির অঙ্কও ছুঁয়ে ফেলছে ৩০-৩৫ লাখ টাকা।

মুশফিক পেলেন বর্ষসেরার পুরস্কার

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের হাতে উঠেছে ২০১৩ সালের গ্রামীণফোন-প্রথম আলো বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদের পুরস্কার। রানারআপ হয়েছেন সোহাগ গাজী ও গলফার সিদ্দিকুর রহিম।
সোনারগাঁও হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে অনুষ্ঠিত এবারের গ্রামীণফোন-প্রথম আলো ক্রীড়া পুরস্কার অনুষ্ঠানে শুরুতেই দেওয়া হয় আজীবন সম্মাননা পুরস্কার। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে অবদানের স্বীকৃতিসূচক এই পুরস্কারটি পেয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রথম অধিনায়ক শামিম কবির।

বর্ষসেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কার পেয়েছেন মমিনুল হক। বর্ষসেরা নারী ক্রীড়াবিদ নির্বাচিত হয়েছেন শাহনাজ পারভিন। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অনুষ্ঠান চলছে।

চুলের ছাঁট পছন্দ হয়নি ভক্তদের

7-1অন্তত এ দিকটায় তিনি বরাবরই সাদামাটা ছিলেন। চুলের ছাঁট নিয়ে লিওনেল মেসি কখনোই খুব বেশি পরীক্ষায় যাননি। ক্যারিয়ারের শুরুতে মাথাভর্তি সিল্কি চুলেই চেনা যেত তাকে। এরপর বছরদুয়েক আগে চুল ছোট করে ফেলেন আর্জেন্টাইন এ সুপারস্টার। কিন্তু এবার একেবারে ভিন্ন ছাঁট দিয়েছেন মেসি। কাঁধের ওপর থেকে ছোট করে ফেলেছেন তিনি। বিশ্বকাপের পর নতুন এ হেয়ারস্টাইল নিয়েই স্প্যানিশ লীগে হাজির হচ্ছেন মেসি।
তার এই নতুন হেয়ারকাট নিয়ে এরই মধ্যে ঝড় উঠেছে ভক্তকুলে। অনেকেই মনে করছেন, রোনালদোর মতো স্টাইল করতে গিয়েই তিনি এ কাজ করেছেন। কেউ বলছেন, উত্তর কোরিয়ার সরকারপ্রধান কিম জং উনের সঙ্গে মিল রয়েছে। তবে স্যোশাল মিডিয়ায় একেবারেই প্রশংসা পাচ্ছে না মেসির এই নতুন ছাঁট। স্পেন ও ইংল্যান্ডের সংবাদমাধ্যমগুলো রীতিমতো বিশ্লেষণে নেমেছে- কেন মেসি এমন হেয়ারকাট দিলেন?
ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডগুলোর ধারণা, রোনালদো-নেইমারদের মতো বিজ্ঞাপনবাজার মাতাতেই মেসি তার চেহারায় কিছুটা পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেছেন। তবে ব্যাপার যাই হোক মেসি কিন্তু এই হেয়ারকাট নিয়ে বেশ হাসিখুশি মেজাজেই রয়েছেন।

বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নয়নে সহযোগিতা করবে ব্রাজিল

5-14বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নয়নে ব্রাজিল সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত ওয়ানজা কম্পোস নবরিগা। রোববার সকালে বিভিন্ন রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে অনুষ্ঠিত ‘ব্রাজিলিয়ান পররাষ্ট্রনীতি এবং ব্রাজিল-বাংলাদেশ সম্পর্ক’ বিষয়ক প্রবন্ধ পাঠকালে তিনি এ কথা জানান। রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিআইআইএসএস’র (বিস) চেয়ারম্যান মুন্সি ফয়েজ আহমেদের সভাপতিত্বে ওয়ানজা কম্পোস নবরিগা বলেন, বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নয়নে ব্রাজিল সহযোগিতা করতে চায়। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের ব্রাজিলে প্রশিক্ষণেরও সুযোগ দেয়া হবে। এছাড়া ব্রাজিলের খেলোয়াড়রাও বাংলাদেশে এসে এদেশের খেলোয়াড়দের উদ্বুদ্ধ করবে। এ সময় বাংলাদেশের ঘরে ঘরে ব্রাজিলের পতাকায় ওড়ায় বিস্ময় ও আনন্দ প্রকাশ করেন তিনি। এছাড়া বাংলাদেশকে ধর্মনিরপেক্ষ দেশের উদাহরণ হিসেবেও উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত ওয়ানজা। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এবং ব্রাজিল দুই দেশই একে অপরকে দারিদ্র্য বিমোচন ও অন্যান্য সমস্যা মোকাবেলায় সহযোগিতা করে যাচ্ছে। ফলে উভয় দেশই মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোলস (এমডিজি) অর্জন করেছে। ১৯৬৪ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত সামরিক শাসনের যাতাকলে

রাণী হামিদ

2-19আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় মহিলা দাবারু রাণী হামিদ দণি সুরমার এক আলোকিত নারী। তিনি জালালপুর ইউনিয়নের রায়খাইল গ্রামে ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা (মরহুম) মো. মমতাজ আলী। রাণী হামিদ দাবায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশেষ স্থান দখল করে আছেন। তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে কৃতিত্বের স্বার রাখেন। তিনি ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে আন্তর্জাতিক মহিলা দাবায় যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন হন।
উপমহাদেশে তিনিই একমাত্র মহিলা যিনি তিনবার ব্রিটিশ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন এবং আটবার জাতীয় চ্যাম্পিয়নের মর্যাদা লাভ করেন। এশিয়ান মহিলা দাবায় তিনি দু’বার চ্যাম্পিয়ান এবং একবার রানার্সআপ হন। কমনওয়েলথ মহিলা দাবায় এবং ইংল্যান্ডের লয়েড মাস্টার্স মহিলা দাবায় রানার্সআপ হন। রাণী হামিদ দু’বার বিশ্ব দাবা অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশ পুরুষ দলের প্রতিনিধিত্ব করে দাবা অলিম্পিয়াডে এক দুর্লভ কৃতিত্বের স্বার রাখেন। তিনি ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে কমনওয়েলথ মহিলা দাবায় রানার্সআপ হন।
তাঁর স্বামী কর্নেল এম.এ হামিদ (অব.) দীর্ঘদিন বাংলাদেশ ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁরই পুত্র কায়সার হামিদ একজন সাড়াজাগানো ফুটবলার ও মোহামেডান দলের সাবেক অধিনায়ক। অপর ছেলে কৃতী ক্রিকেটার সুহেল হামিদ। কৃতী খেলোয়াড় রাণী হামিদের খেলাধুলা নিয়ে অনবদ্য রচনা ‘মজার খেলা দাবা’ নামক একটি চমৎকার গ্রন্থ রয়েছে।

লুৎফুর রহমান লালু

2-20এক সময়ের তুখোড় ফুটবলার লুৎফুর রহমান লালু ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের দণি সুরমাস্থ ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভার্থখলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা (মরহুম) মো. কাছিম ও মাতা নছিরা বিবি।
মাঝমাঠের সাড়া জাগানো কৃতী ফুটবলার লুৎফুর রহমান লালু ছোটবেলা থেকে খেলাধুলায় ঝুঁকে পড়েন। তিনি সরকারি পাইলট হাইস্কুল, রাজা জি.সি হাইস্কুল ও সবশেষে দি এইডেট হাই স্কুলে ফুটবলের নেতৃত্ব দেন। দি
এইডেট হাইস্কুলে তিনি ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে ইসমাইল স্পোর্টিং কাব প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি সে দলের খেলোয়াড়, ক্যাপটেন ও বর্তমানে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সিলেট স্টেডিয়ামের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে সিলেট স্টেডিয়ামের অবস্থা ছিল খুবই শোচনীয় ছিল। মাঠে প্রচুর কাদা জমে থাকতো সব সময়। তখন তিনি সিলেটের অন্যান্য কাবের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে সংস্কারের আন্দোলনে নামেন। তাঁর আন্দোলনের ফলে কর্তৃপ মাঠের সংস্কার কাজে হাত দেন। ইতোপূর্বে লুৎফুর রহমান লালু ফুটবল টুনামেন্টের সেক্রেটারি ও সিলেট জেলা ফুটবলের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে তিনি সিলেট জেলা দলের খেলোয়াড় হিসেবে দেশের বিভিন্ন জেলা ও ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে দারুণ ক্রীড়া নৈপুণ্য প্রদর্শন করে অসামান্য খ্যাতি লাভ করেন। গত ২৪ অক্টোবর ২০১২ খ্রিস্টাব্দে তিনি ইন্তেকাল করেন।

Developed by: