বিভাগ: খেলাধুলা

মাশরাফি বাহিনীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ রাহুল দ্রাবিড়

২০১৫ সালটা বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে সোনালি অধ্যায় হয়েই থাকবে। টাইগারদের ধারাবাহিক সাফল্যে মুগ্ধ ভারতের ব্যাটিং কিংবদন্তি রাহুল দ্রাবিড়। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে নিজের ছাত্রদের নিয়ে বাংলাদেশে অবস্থান করা দ্রাবিড় প্রশংসায় পঞ্চমুখ সাকিব-তামিম-মুশফিক-মাশরাফিদের।

যুব বিশ্বকাপে ভারতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ হয়ে বাংলাদেশে আসা দ্রাবিড় সোমবার শিষ্যদের পরিকল্পনা জানানোর জন্য মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন। সেখানেই এক পর্যায়ে বাংলাদেশ জাতীয় দল সম্পর্কে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়।

রাহুল দ্রাবিড় জানান, সন্দেহ নেই গত বছরটি বাংলাদেশ দারুণ ক্রিকেট খেলেছে। মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, মাশরাফি বিন মর্তুজাদের নিয়ে বাংলাদেশ এখন বেশ গোছালো এবং অভিজ্ঞ একটি দল। মাহামুদুল্লাহ রিয়াদও গত একটি বছর দারুণ পারফর্ম করেছে। নতুন করে উঠে এসেছে মুস্তাফিজুর রহমান। তাদের সাফল্যের পেছনে দলের সবাই অন্যতম ভূমিকা রাখছে।

টাইগারদের কাটার মাস্টার খ্যাত মুস্তাফিজ সম্পর্কে আলাদা করে বলতে গিয়ে দ্রাবিড় বলেন, অভিজ্ঞদের পাশাপাশি বাংলাদেশ দলে বেশ কিছু তরুণ ক্রিকেটার এসেছে। তাদের মধ্যে মুস্তাফিজ একজন। বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজের মতো তরুণ ক্রিকেটাররা দলে আসায় বাংলাদেশ দলটিই ভালো একটি দলে পরিণত হয়েছে।

আমলার আপত্তি! ‘খাটো’ পোশাক বদলাতে হল মহিলা সঞ্চালককে

খাটো পোশাক পরেছিলেন এক ভারতীয় টেলিভিশন সঞ্চালক। তাই তাঁকে সাক্ষাত্কার দিতে অস্বীকার করলেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন টেস্ট অধিনায়ক তথা ব্যাটসম্যান হাসিম আমলা।বিশেষ সূত্রে এমনটাই জানানো হয়েছে। ধর্মপ্রাণ মুসলিম আমলা। সঞ্চালকের খাটো পোশাক ও লো-নেক টপ দেখে তিনি খুবই অসন্তুষ্ট হন বলে জানা গেছে।

সাক্ষাত্কারের আয়োজকদের সাফ জানিয়ে দেন, সঞ্চালক এমন পোশাক পরে থাকলে তিনি সাক্ষাত্কার দেবেন না। তাঁর কথা মেনে নেন আয়োজকরা। অন্য পোশাক পরে আমলার সাক্ষাত্কার নেন সঞ্চালক।

জন্মসূত্রে গুজরাতি আমলা লম্বা দাড়ি রাখেন। ইসলামের শিক্ষার প্রতি তাঁর অনুরাগ আগেও জানা গিয়েছে। একটি কোম্পানির বিয়ারের বিজ্ঞাপন লেখা দলের জার্সি পরতেও তিনি অস্বীকার করেছিলেন। এ জন্য ৫০০ ডলারের জরিমানা দিতেও প্রস্তুত ছিলেন তিনি।

২০০৬-এ অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ব্যাটসম্যান তথা টেন স্পোর্টসের ধারাভাষ্যকার ডিন জোন্স আমলাকে ‘টেররিস্ট’ বলে চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছিলেন। কলম্বোতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচের সময় ধারাভাষ্য দিতে গিয়ে ওই মন্তব্য করেছিলেন জোন্স। – সূত্র : এবিপি

মুস্তাফিজের মূল্য ১ কোটি ৬২ লাখ টাকা!

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) নবম আসরে দল পেয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। বাংলাদেশের তরুণ এই পেসারকে দলে নিয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।

মুস্তাফিজের দাম ধরা হয়েছে ১ কোটি ৪০ লাখ রুপি, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ কোটি ৬২ লাখ টাকার মতো। সানরাইজার্স হায়দরাবাদে মুস্তাফিজ সঙ্গী হিসেবে পাচ্ছেন যুবরাজ সিংকে।

নিলামে মুস্তাফিজের ভিত্তি মূল্য ছিল ৫০ লাখ রুপি। শনিবার নিলামে তার নাম ওঠার পর তাকে প্রথম ডেকেছিল হায়দরাবাদই। পরের ডাকেই প্রতিযোগিতায় যোগ দেয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।

মুস্তাফিজের দাম ৫০ লাখ থেকে তর তর করে বাড়তে থাকে। একসময় ছাড়িয়ে যায় কোটি রুপি। শেষ পর্যন্ত জয় হয় হায়দরাবাদের, তারা ১ কোটি ৪০ লাখ রুপি ডাকার পর হাল ছেড়ে দেয় বেঙ্গালুরু।

মাশরাফি বিন মুর্তজা, তামিম ইকবাল, মোহাম্মদ আশরাফুল, আবদুর রাজ্জাক ও সাকিব আল হাসানের পর এবার ষষ্ঠ বাংলাদেশি হিসেবে আইপিএলে সুযোগ পেলেন মুস্তাফিজ।

মিরাজের বিশ্বরেকর্ড

অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটে নাজমুল হোসেন শান্তর সবচে’ বেশি রানের রেকর্ডের পর এবার সবচে’ বেশি উইকেটের রেকর্ড ভাগাভাগি করলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ।

এর আগে ২০০৮ সাল থেকে অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ের ক্রিকেটে সবচে’ বেশি উইকেটের রেকর্ডটি ছিল পাকিস্তানের ইমাদ ওয়াসিমের। ২০০৫ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত মোট ৭৩টি উইকেট শিকার করেছিলেন এই বাঁহাতি স্পিনার। নামিবিয়ার একটি উইকেট তুলে নিয়ে মিরাজের উইকেট সংখ্যাও দাঁড়িয়েছে ৭৩।

ম্যারাডোনার চেয়েও বড় ফুটবলার ছিল বাংলাদেশে

ফুটবল জাদুকর সামাদকে বলা হয় কিংবাদন্তির মহানায়ক। তিনি যাদুকর উপাধি পেয়েছিলেন জাদুবিদ্যা জানার জন্য নয়, ফুটবল খেলার অপূর্ব দক্ষতা এবং উন্নতমানের কৌশল প্রদর্শনের জন্যই তার এ উপাধি। উপমহাদেশের প্রখ্যাত কিংবদন্তি ফুটবলার সামাদ ম্যারাডোনার চেয়েও বড় জাদুকর ছিলেন বলে অনেকেই মনে করেন। আজ ২ ফেব্রুয়ারি তার ৫২তম মৃত্যুবার্ষিকী।

১৯১৫ সাল থেকে ১৯৩৮ সাল এই ২৩ বছর ছিল সামাদের খেলোয়ার জীবন। তিনি ছিলেন একজন রেল কর্মচারী। সে সময় ইবিআর নামে যে রেলওয়ে ফুটবল টিম ছিল সামাদ তাতে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। সেই কারণে ইবিআরএ সামাদ নামে পরিচিত ছিলেন তিনি। সামাদের ২৩ বছর খেলার জীবনে এমন সব বিস্ময়কর ঘটনা ঘটেছে যা ক্রীড়া জগতে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে আছে। দেশে এবং দেশের বাইরেও তার অভিনব খেলা দেখে মানুষ হতবাক হয়েছে। তার জাদুকরী খেলার কৌশল দেখে দর্শকরা উল্লাসে ফেটে পড়েছে। করতালি দিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছে।

একবার খেলার আগে মাঠের চারদিকে পায়চারী করে এসে সামাদ সেখানকার কমিটির কাছে অভিযোগ করলেন যে, এ মাঠ আন্তর্জাতিক মাপ হিসেবে ছোট আছে বিধায় এ মাঠে আমাদের টিম খেলতে পারে না। পরে মাঠ মাপার পর তার অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে।

আরেকবার মাঠের মধ্যস্থল থেকে বল নিয়ে সব খেলোয়াড়কে বোকা বানিয়ে বল ড্রিবলিং করে নিক্ষেপ করলেন গোলে। বল গোলে প্রবেশ না করে পোস্টের কয়েক ইঞ্চি উপর দিয়ে বাইরে চলে গেলে রেফারি বাঁশি বাজিয়ে বলকে আউট ঘোষণা করলেন। কিন্তু সামাদ তা গোল হয়েছে বলে চ্যালেঞ্জ করে বসেন। তিনি বলেন, ‘আমার শটে নিশ্চিত গোল হয়েছে। সামাদের শটের মেজারমেন্ট কোনোদিন ভুল হয় নাই। গোলপোস্ট উচ্চতায় ছোট আছে।’ পরে তার চ্যালেঞ্জ অনুযায়ী মেপে দেখা গেলো সত্যিই গোলপোস্ট কয়েক ইঞ্চি ছোট আছে।

তার খেলোয়াড় জীবনের এরকম বহু ঘটনা আজও দেশ-বিদেশের খেলার জগতে অগণিত সামাদ ভক্তের মুখে মুখে শোনা যায়। জাদুকর সামাদ ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানে চলে আসেন ও বসবাস করতে শুরু করেন দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুরে। রেলওয়ে জংশনের জন্য খ্যাত বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলীয় জোনের বৃহৎ রেলওয়ে জংশন পার্বতীপুরে ফুটবল জাদুকর সামাদ ছিলেন।

যদিও রেলওয়ের কোনো প্লাটফর্ম ইনস্পেক্টর পদ নেই তবুও জাদুকর সামাদের জন্য রেল কর্তৃপক্ষ এই পদ সৃষ্টি করেছিলেন। পরে তাকে বাংলাদেশ রেলওয়ে পার্বতীপুর জংশনে প্লাটফর্ম ইনস্পেক্টর হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। তিনি রেলওয়ে সাহেবপাড়া কলোনিতে টি-১৪৭ নম্বর বাসায় থাকতেন এবং মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি এই বাসাতেই ছিলেন।

ভারত বর্ষের বিহার এলাকার পুর্নিয়ায় ফুটবল জাদুকর সামাদের জন্ম হয়। তার পুরো নাম সৈয়দ আব্দুস সামাদ। তিনি ১৯৬৪ সালে ২ ফেব্রুয়ারি পার্বতীপুরে মৃত্যুবরণ করেন। পার্বতীপুর শহরের ইসলামপুর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

আজ আমরা বিদেশি খেলোয়াড়দের নিয়ে গর্ব করে তাদের ছবি গায়ের জামাতে ছাপিয়ে ঘুরে বেড়াই। শোনা যায়, ফুটবলার জাদুকর সামাদের সোনার মূর্তি ব্রিটিশ মিউজিয়ামে রক্ষিত আছে। আমরা বিশ্বনন্দিত ফুটবল জাদুকর সামাদকে কতটুকু মূল্যায়ন করছি? পার্বতীপুরে রেলওয়ের নির্মিত একটি মিলানায়তন আছে। যা ফুটবল জাদুকর সামাদের নামে রাখা হয়েছে।

পার্বতীপুর শহরের ইসলামপুর কবরস্থানে সমাহিত করার দীর্ঘ ২৫ বছর অবহেলিত অরক্ষিত থাকার পর ১৯৮৯ সালে ৫২ হাজার টাকা খরচ করে নির্মাণ করা হয় স্মৃতিসৌধ। এখনো সেখানে রয়েছে সামাদ রেলওয়ে মিলনায়তন যা ১৯৪৯ সালে ফুটবল জাদুকর সামাদের নামে উৎসর্গ করা হয়েছিল। রয়েছে তার বসবাসকৃত রেলের বাসাসহ বেশকিছু স্মৃতিচিহ্ন। কিন্তু প্রয়োজনীয় সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে তার স্মৃতিচিহ্নগুলো হারিয়ে যেতে বসেছে।

যদি সরকার স্কুলের পাঠ্যপুস্তকে ফুটবল জাদুকর সামাদের ছবিসহ জীবনী তুলে ধরা হয় তাহলে হয়তো ভবিষ্যতে তার নাম চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। নতুন প্রজন্মের কাছে তিনি বেঁচে থাকবেন যুগযুগ।

৬৫ রানে গুড়িয়ে গেল নামিবিয়া ,গ্রুপ সেরার পথে বাংলাদেশ

মিজান মোহাম্মদ : কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের যুব বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে স্বাগতিক বাংলাদেশের বোলারদের বোলিংতোপে ৬৫ রানেই গুটিয়ে যায় নামিবিয়ার ইনিংস। মিরাজ-শাওন-আরিফের স্পিনজালে দিশেহারা নামিবিয় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ডেভিন (১৯) ও লরেন্স (১৭) ছাড়া কেউই দুই অংকের কোঠায় যেতে পারেননি।

গ্রুপ সেরার লড়াই মাঠে নেমে স্বাগতিকদের যুবাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে যায় প্রতিপক্ষ নামিবিয়া।

বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ধাক্কাটা দিলেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। এটনকে শান্তর ক্যাচ বানিয়ে ফিরিয়ে দেন তিনি। দলীয় ৬ রানের মাঠায় ওপেনারদের জুটি ভাঙার পরপরই দলীয় ১০ রানের মাথায় গ্রিন ফিরে যান রান আউটের শিকার হয়ে। দলীয় ৩৭ রানের মাথায় শাওন গাজীর মায়াবি স্পিনে কাটা পড়লেন ওপেনার নিকো ডেভিন। দুই প্রান্তে স্পিন আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়ে নামিবিয়ার ব্যাটসম্যানরা। তৃতীয় উইকেটের ধাক্কা সামলাতে না চতুর্থ বারের মতো আঘাত হানেন অধিনায়ক মিরাজ। লিঙ্গেনকে এলবিডাব্লিউর ফাদে ফেলেন তিনি।

শাওনের দ্বিতীয় শিকার লিন্ডে ফেরেন দলীয় ৫১ রানের মাথায়। ব্যক্তিগত ৪ রান করেন তিনি। এরপর অধিনায়ক মিরাজ নিজেকে সরিয়া আরিফের হাতে বল দেন। প্রথম ওভারেই লরেন্সকে সরাসরি বোল্ড করে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান তিনি। ৫৯ রানে নেই ৬ উইকেট।

রানের চাকা ৫৯-এর রেখেই সপ্তম উইকেটের পতন ঘটে। ব্রিটসকে শান্তর ক্যাচ বানিয়ে ফেরান আরেক স্পিনার সাঈদ সরকার। এরপর ৬১ রানে ৮, ৬৪ রানে ৯ ও ৬৫ রানে অলআউট হয়ে যায় নামিবিয়া।

সকালে টস জিতে বাংলাদেশের দলনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান নামিবিয়াকে।

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল: মেহেদি হাসান মিরাজ, পিনাক ঘোষ, জয়রাজ শেখ, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাইফ হাসান, জাকির হাসান, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, সাঈদ সরকার, আরিফুল ইসলাম, আব্দুল হালিম, সালেহ আহমেদ শাওন।

নামিবিয়া অনূর্ধ্ব-১৯ দল: লফটি এটন, নিকো ডেভিন, জ্যান গ্রিন, লোহান লরেন্স, জারগেন লিন্ডে, মাইকেল ভ্যান লিঙ্গেন, কার্ল ব্রিটস, অলিভিয়ার, ফার্নকুইচ রাউটেনবাচ।

যুব ওয়ানডের রান চূড়ায় শান্ত

যুব ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন বাংলাদেশের নাজমুল হাসান শান্ত। ছাড়িয়ে গেছেন পাকিস্তানের সামি আসলামকে।

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭৩ রান করে ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন শান্ত। দ্বিতীয় ম্যাচে কক্সবাজারে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামার সময় রেকর্ড ছুঁতে প্রয়োজন ছিল ৬১ রান। বাংলাদেশ ১৭ রানে ২ উইকেট হারানোর পর উইকেটে গিয়েছিলেন শান্ত। টানা দ্বিতীয় অর্ধশতকে অস্বস্তি থেকে উদ্ধার করেন দলকে। এরপর নিজের করে নেন রেকর্ডটিও।

১ হাজার ৬৯৫ রান নিয়ে আগের রেকর্ড ছিল পাকিস্তানের ওপেনার সামি আসলামের। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশ ইনিংসের ৩৮তম ওভারে আসলামকে ছাড়িয়ে যান শান্ত। ৬০ রান থেকে ফ্রি হিটে স্কটিশ অধিনায়ক নিল ফ্ল্যাককে মিড উইকেট দিয়ে চার মেরে পা রাখেন চূড়ায়।

আসলামের রান ছিল ৪০ ম্যাচে, শান্ত ছাড়িয়ে গেলেন ১৪ ম্যাচ বেশি খেলে। যুব ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ৬টি শতকের রেকর্ডও আসলামের। শান্তর শতক একটি।

১ হাজার ৪০৯ রান নিয়ে যুব ওয়ানডেতে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান কুইন্টন ডি ককের। এখন দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান মাত্র ৩০ ম্যাচেই ৪ শতকে করেছিলেন ওই রান। ৩৬ ম্যাচে ১৪০৪ রান নিয়ে রানের তালিকায় চার নম্বরে ভারতের বিজয় জোল।

বাংলাদেশের এনামুল হক ৩৮ ম্যাচে ১ হাজার ৩২৬ রান নিয়ে আছেন রান তালিকার পাঁচ নম্বরে।

কেন্ডালে মজেছেন রোনালদো-নেইমার

সেলিব্রিটিদের নিয়ে গসিপ যাদের পছন্দের তালিকায় সবার উপরে বিচরণ করে তাঁদের কাছে কেন্ডাল জেনার নামটা নতুন নয়। ভিক্টোরিয়া সিক্রেট সুপারমডেল কেন্ডালের আরও একটা পরিচয় রয়েছে।

তিনি স্বয়ং কিম কার্দাশিয়ানের বোন। এহেন কেন্ডালেই মজেছেন ফুটবলের দুই মহারথী। একজন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, অপরজন নেইমার দ্য জুনিয়র।

দিন কয়েক আগেই সিআর সেভেন কেন্ডালের ইনস্টাগ্রাম পেজের ‘হট অ্যান্ড সাল্ট্রি’ ছবি দেখে মোহিত হয়েছেন। পটাপট লাইক করতেও ভোলেননি সোশাল মিডিয়ার সম্রাট। কিন্তু কেন্ডালকে যে গোপনে নেইমারও চান সেকথা জানা যায়নি এতদিন।

গণমাধ্যমে যা খবর তাতে বার্সেলোনার ওয়ান্ডার বয় এখন ব্রাজিলিয়ান অক্টাগন গার্ল জেনি আনদ্রাদের সঙ্গেই চুটিয়ে ডেট করছেন।

কিন্তু সম্প্রতি কেন্ডাল বার্সেলোনায় এসেছিলেন একটি বিজ্ঞাপনী প্রচারে। সেখানেই নেইমার তাঁর সঙ্গে দেখা করেন ও ইনস্টাগ্রামে দু’জনে ঘনিষ্ঠ হয়ে ছবিও পোস্ট করেছেন। নেইমার ছবির ক্যাপশন দিয়েছেন, ‘নাইস টু মিট ইউ টু’।

রোনালদো যেখানে ইনস্টাগ্রামে ছবি লাইক করেই থেমে গেলেন সেখানে নেইমার সেখানেই ছবি পোস্ট করে জিতে গেলেন। আপাতত দৃষ্টিতে সকলেই বলবেন যে, রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে জিতে গেল বার্সেলোনা। কিন্তু খেলাটা এখানেই শেষ নয়। রোনালদোর সুপারহট এক্সদের তালিকায় আছেন কেন্ডালের বোন কিমও।

নেইমার-সুয়ারেসের নৈপুণ্যে শেষ চারে বার্সা

কাম্প নউয়ে শুরুতে এগিয়ে গিয়ে অঘটন ঘটানোর স্বপ্ন দেখা শুরু করলেও অদম্য বার্সেলোনাকে আটকাতে পারেনি আথলেতিক বিলবাও। চোট কাটিয়ে ফেরা নেইমার ও লুইস সুয়ারেসের নৈপুণ্যে ঘরের মাঠে প্রত্যাশিত জয়ই পেয়েছে লুইস এনরিকের দল। সেই সঙ্গে দুই লেগ মিলিয়ে বড় ব্যবধানে জিতেই কোপা দেল রের সেমি-ফাইনালে উঠেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

কাম্প নউয়ে বুধবার রাতের ফিরতি লেগে ৩-১ গোলে জেতে বার্সেলোনা। চ্যাম্পিয়নদের অন্য গোলটি জেরার্দ পিকের। দুই লেগ মিলিয়ে বার্সেলোনার জয় ৫-২ ব্যবধানে, প্রথম পর্বে ২-১ গোলে জিতেছিল তারা।

হ্যামস্ট্রিং পেশির চোটের কারণে গত শনিবার লা লিগায় মালাগার বিপক্ষে খেলেননি নেইমার। এই ম্যাচের আগে সুস্থ হয়ে উঠলেও তারকা ফরোয়ার্ডকে নিয়ে কোনোরকম ঝুঁকি না নেওয়ার কথা বলেছিলেন লুইস এনরিকে।

তবে প্রথম একাদশেই সদ্য সেরে ওঠা ব্রাজিলিয়ান তারকাকে নামিয়ে দেওয়ায় এনরিকের সতর্ক অবস্থানেরই প্রমাণ মেলে, যা মোটেও অযৌক্তিক ছিল না। পুরো কাম্প নউকে থমকে দিয়ে একাদশ মিনিটে এগিয়ে যায় বিলবাও।

মাঝ মাঠের কাছ থেকে বল ধরে স্পেনের ফরোয়ার্ড আরিৎজ আদুরিস লম্বা করে বল বাড়িয়েছিলেন স্বদেশি ইনাকি উইলিয়ামসের উদ্দেশে। তাকে রুখতে সামনে এগিয়ে আসেন বার্সেলোনা গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগান। কিন্তু দারুণভাবে তাকে কাটিয়ে বাঁ পায়ের কোনাকুনি শটে আসরে তৃতীয় গোলটি করেন উইলিয়ামস।

এগিয়ে গিয়ে বার্সেলোনার রক্ষণে আরও চাপ বাড়ায় বিলবাও। ১০ মিনিটের মধ্যে তিনটি দারুণ আক্রমণ করে তারা। সপ্তদশ মিনিটে দ্বিগুণ ব্যবধানে এগিয়ে যেতে পারতো অতিথিরা, উইলিয়ামসের কোনাকুনি শট একটুর জন্যে লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে সে যাত্রায় বেঁচে যায় স্বাগতিকরা। ২১তম মিনিটে সুযোগ নষ্ট করেন আদুরিস।

দ্রুতই অবশ্য নিজেদের গুছিয়ে নেয় বার্সেলোনা। প্রথমার্ধের শেষ পাঁচ মিনিটে একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে দলটি, বেশ কবার প্রতিপক্ষের ডি বক্সে ঢুকে পড়েন নেইমার। কিন্তু সাফল্য না মেলায় পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যেতে হয় চ্যাম্পিয়নদের।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে স্বাগতিকরা। ৫১তম মিনিটে ডি বক্সের মধ্যে ফাঁকায় বল পেয়েছিলেন ইভান রাকিতিচ, কিন্তু বল আকাশে উড়িয়ে মারেন।

পরের মিনিটেই সমতাসূচক গোল পেয়ে যায় বার্সেলোনা। ডি বক্সের মধ্যে বাঁদিক থেকে লিওনেল মেসির আড়াআড়ি পাসে প্রথম শটেই লক্ষ্যভেদ করেন লু্ইস সুয়ারেস। স্প্যানিশ কাপের এবারের আসরে এটা তার প্রথম এবং চলতি মৌসুমে ক্লাবের হয়ে ৩০ ম্যাচে ৩০তম গোল।

এরপরেও অধিকাংশ সময় একচেটিয়া আক্রমণ করে যেতে থাকে মেসি-নেইমার-সুয়ারেসে গড়া আক্রমণত্রয়ী। কিন্তু নিশ্চিত কোনো সুযোগই মিলছিল না।

৭৯তম মিনিটে ডি বক্সের ঠিক বাইরে থেকে জোরালো শট করেছিলেন ব্রাজিল অধিনায়ক কিন্তু ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক। পরের মিনিটে জেরার্দ পিকের হেড আবারও কর্নারের মাধ্যমে ফেরান স্প্যানিশ গোলরক্ষক ইয়াগো। কিন্তু পরেরবার আর পারলেন না; ফিরতি কর্নারে দুই সতীর্থের পা ঘুরে পাওয়া বল ডান দিক থেকে উঁচু করে বাড়ান দানি আলভেস, তা থেকেই হেডে দলকে এগিয়ে দেন পিকে।

জেরার্দ পিকের এই গোলে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-২ ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়া বার্সেলোনার সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যায়। যোগ করা সময়ে ব্যবধান বাড়ান নেইমার; এক জনের বাধা এড়িয়ে ডি বক্সে ঢুকে সামনে থাকা আরও দুজনের মধ্যে দিয়ে জোরালো শটে বল জালে জড়ান আগামী মাসে ২৪-এ পা দিয়ে যাওয়া এই তারকা।

প্রতিযোগিতার দিনের অন্য ম্যাচে আতলেতিকো মাদ্রিদকে ৩-২ গোলে হারিয়ে সেমি-ফাইনালে উঠেছে সেল্তা দি ভিগো। সেল্তার মাঠে প্রথম পর্বের ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়েছিল।

আন্তর্জাতিক ভেন্যুতে অভিষিক্ত হল সিলেট জেলা স্টেডিয়াম

অনুর্ধ ১৯ বিশ্বকাপের সিলেট পর্বের খেলা শুরু হয়েছে আজ বৃহস্পতিবার। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়ামে আফগানিস্তান বনাম পাকিস্তান ও সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কা ও কানাডার মধ্যকার খেলা শুরু হয়।

আর শ্রীলঙ্কা ও কানাডার খেলার মধ্যদিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অভিষিক্ত হল সিলেট জেলা স্টেডিয়াম। টসে জিতে ব্যাট করছে শ্রীলংকা দল।

এর আগে অনুর্ধ্ব-১৬ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ফুটবল টুর্নামেন্ট, বঙ্গবন্ধু কাপ ফুটবল, বাংলাদেশ-নেপাল প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হলেও এবারই প্রথম জেলা স্টেডিয়ামে গড়ালো আন্তর্জাতিক কোন ম্যাচ।

সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়ামে ২০১৪ সালের টি-২০ বিশ্বকাপের কয়েকটি ম্যাচের মধ্য দিয়ে অভিষিক্ত হয়েছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে।

এবারের অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে সিলেটে অনুষ্ঠিত হবে পাচটি ম্যাচ। লাক্কাতুরাস্থ সিলেট বিভাগীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৩টি ও রিকাবীবাজারস্থ সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে ২টি খেলা অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, সিলেট জেলা স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভেন্যু হিসেবে তৈরী করার জন্য প্রায় ৯৫ লাখ টাকা ব্যয়ে স্টেডিয়ামের সংস্কার করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এনএসসি।

Developed by: