
রিও অলিম্পিকের রিদমিক জিমন্যাস্টিক্সের একক অল-অ্যারাউন্ড ইভেন্টের সোনার পদক জিতেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রাশিয়ান কন্যা জিমন্যাস্ট মার্গারিটা মামুন। তিনবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্বদেশী ইয়ানা কুদ্রিয়াভসেভাকে পেছনে ফেলে সর্বমোট ৭৬.৪৮৩ স্কোর করে সোনা জিতেছেন মার্গারিটা।
এ ইভেন্টে কুদ্রিয়াভসেভা ৭৫.৬০৮ স্কোর করে জিতেছেন রুপা। ব্রোঞ্জ জেতা ইউক্রেনের গানা রিজাতদিনোভার স্কোর ৭৩.৫৮৩।
রিদমিক জিমন্যাস্টিকসে বিশ্ব রেকর্ডটাও মার্গারিটার দখলে। ২০১৬ বাকু বিশ্বকাপে চারটি ইভেন্টে মোট ৭৭.১৫০ স্কোর করে গড়েন এই রেকর্ড। আর এবার অলিম্পিকে জিতলেন সোনা।
২০ বছর বয়সি মার্গারিটা বাবার সূত্রে বাংলাদেশি। তার বাবা রাজশাহীর ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুন পেশায় একজন প্রকৌশলী। ১৯৮৩ সালে শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে রাশিয়া (তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন) যাওয়ার পর সেখানেই বিয়ে করে স্থায়ী হন। মার্গারিটার মা আনা রাশিয়ার প্রাক্তন রিদমিক জিমন্যাস্ট। মার্গারিটার জন্মও রাশিয়াতেই।
দর্শক গ্যালারি থেকে মা দেখছিলেন ছেলের সাইক্লিং। হঠাত এক দুর্ঘটনায় আরও কয়েকজন প্রতিপক্ষের সঙ্গে পড়ে যান এলিয়া ভিভিয়ানি। মা তখন হয়তো চিন্তা করছিলেন আমার ছেলের কিছু হয়নিতো। সেই ছেলেই শেষ পর্যন্ত সোনা জিতলো।
রেসটা প্রায় শেষের দিকে চলে এসেছিল। ৪০ কিলোমিটার পয়েন্ট রেসের মাত্র এক-তৃতীয়াংশ বাকি। ঠিক এমন সময় কিন্তু হাল ছাড়লেন না ইতালিয়ান এই সাইক্লিস্ট। একেবারে শেষ মুহূর্তে অবিশ্বাস্যভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ছেলেদের ওমনিয়াম ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন হলেন ভিভিয়ানি। দেশকে এনে দিলেন মনে রাখার মতো একটা মুহূর্ত। ১৯৯৬ সালের পর এই প্রথম সাইক্লিংয়ের ওমনিয়াম ইভেন্টে পদক জিতল ইতালি।
পরশু দুই দিনব্যাপী এই ইভেন্টের ষষ্ঠ ও শেষ রাউন্ডে ঘটে দুর্ঘটনাটা। ব্রিটিশ সাইক্লিস্ট মার্ক ক্যাভেন্ডিসের ভুলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন ডেনমার্কের লাসে হ্যানসেন, অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ও’শিয়া, দক্ষিণ কোরিয়ার পার্ক স্যাং-হুন ও ভিভিয়ানি। পার্ক স্যাং-হুনকে তো শেষ পর্যন্ত ট্র্যাক থেকেই হাসপাতালে যেতে হয়েছে। একই ভাগ্যবরণ করতে হতে পারত ভিভিয়ানিকেও। কিন্তু হাল না ছাড়ার মানসিকতা শেষ পর্যন্ত জিতিয়েছে তাঁকেই। আর জয়টা এমনভাবে এসেছে বলেই একটু বেশি আবেগাপ্লুত তিনি, ‘আমার বাবা-মাও আজ (পরশু) এখানে ছিলেন। ওরাও দেখেছেন পুরো ব্যাপারটা। আমার কাছে এটা একটা আবেগঘন মুহূর্ত।’
এই ইভেন্টে শেষ পর্যন্ত রুপা জিতেছেন মার্ক ক্যাভেন্ডিস, ডেনমার্কের লাসে হ্যানসেন পেয়েছেন ব্রোঞ্জ। তবে রেসের পর দুর্ঘটনায় নিজের দায়টা স্বীকার করেছেন ক্যাভেন্ডিস, ‘আসলে আমারই ভুল ছিল। কোথায় যাচ্ছি এ বিষয়ে আমার আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল। আশা করছি, পার্কের খুব বেশি কিছু হয়নি। এলিয়া পড়ে যাওয়ার পরই আমি ওর কাছে ক্ষমা চেয়েছি।’
ক্যাভেন্ডিসের প্রতি কোনো রাগ নেই ভিভিয়ানিরও, ‘আসলে ওর দোষ নেই। এটা তো বাইক রেস, আর আমরা সবাই ট্র্যাকে। এখানে যেকোনো সময় যেকোনো কিছু হতে পারে। সাধারণত আমরা সবাই খেয়াল রাখি সামনের জন কোন দিকে যাচ্ছে, তার কী অবস্থা। সেই অনুযায়ী যদি আপনি নিজের দিক পরিবর্তন না করতে পারেন, তাহলে সামনের জন পড়লে আপনিও পড়বেন।’
বিগত দুই বছরে নেইমার বার্সেলোনায় অনেক উন্নতি করেছে বলে মনে করেন রিভালদো। তবে ব্রাজিলের সাবেক এই ফরোয়ার্ডের কাছে কাতালান ক্লাবটির সেরা খেলোয়াড় এখনও লিওনেল মেসিই।
২০১৩ সালে সান্তোস থেকে বার্সেলোনায় নাম লেখানোর পর নেইমার দুটি লা লিগা, একটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, দুটি কোপা দেল রে জেতেন। ব্রাজিলের হয়ে ২০০২ সালের বিশ্বকাপ জেতা বার্সেলোনার সাবেক তারকা রিভালদো ফ্রান্সের পত্রিকা লেকিপকে বলেন, গত দুই বছরে নেইমার যে উন্নতি করেছে একজন ব্রাজিলিয়ান হিসেবে আমি সত্যি তা উপভোগ করেছি। কিন্তু আমার কাছে লিওনেল মেসি এখনও বার্সার তারকা এবং সেরা খেলোয়াড়।
ব্রাজিলের হয়ে ১৯৯৬ সালে আটালান্টা অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ পদক জয়ী রিভালদোর বিশ্বাস এবার তার দেশ অধরা সোনার পদকটা পাবে। আমি মনে করি, বর্তমান দলের মান আর নেইমারসহ ইউরোপের শীর্ষ ক্লাবগুলোর অসাধারণ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন খেলোয়াড়দের উপস্থিতির কারণে নিশ্চিতভাবেই পোডিয়ামের শীর্ষে দাঁড়ানোর সত্যিকারের সুযোগ আছে আমাদের। গোল.কম।
ডেস্ক নিউজঃ আগামী বছর আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। স্বাগতিক আয়ারল্যান্ড ও বাংলাদেশের সঙ্গে খেলবে নিউজিল্যান্ড।
ত্রিদেশীয় সিরিজের সময়সূচি চূড়ান্ত করেছে আয়ারল্যান্ড। ত্রিদেশীয় সিরিজের পাশাপাশি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একটি ওয়ানডে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আয়ারল্যান্ড। আগামী বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর ২০১৭ সালে মুখোমুখি হবে এ দুই দল।
২০১৭ সালের জুনে ইংল্যান্ডে হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। তার আগে মে মাসে ছয় ম্যাচের ত্রিদেশীয় সিরিজে আয়ারল্যান্ড-নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। মূলত ত্রিদেশীয় সিরিজে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি নিবে বাংলাদেশ।
ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে (১২ মে) মুখোমুখি হবে আয়ারল্যান্ড ও বাংলাদেশ। ১৪ মে খেলবে আয়ারর্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। ওয়ানডের বর্তমান রানার্সআপ নিউজল্যান্ডের বিপক্ষে ১৭ মে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ১৯ মে বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। ২১ মে আবারও খেলবে নিউজিল্যান্ড আয়ারল্যান্ড। ২৪ মে নিউজল্যান্ডের বিপক্ষে চতুর্থ ম্যাচ খেলবে মাশরাফির দল।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে ২০১৭ সালে যাত্রা শুরু করবে আয়ারল্যান্ড। দুটি ম্যাচ হবে লর্ডস ও ব্রিস্টলে।
আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে একাদশতম স্থানে আয়ারল্যান্ড। আইরিশদের বিপক্ষে সাত ওয়ানডে খেলে পাঁচটিতে জিতেছে বাংলাদেশ, হেরেছে দুটিতে। ওয়ানডেতে দুই দল সর্বশেষ মুখোমুখি হয়েছিল ২০১১ সালের বিশ্বকাপে।
ঢাকা, ১৩ আগষ্ট- আজকের পর থেকে তার নামের পাশে ব্যবহৃত হবে না ‘নিষিদ্ধ’র মত কোন কদর্য শব্দ। এখন থেকে তিনি আবারও মাঠ মাতাতে পারবেন। আবারও গ্যালারিতে আশরাফুল আশরাফুল বলে চিৎকার উঠবে।
তিন বছর নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আজ থেকে মুক্ত বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল। এখন থেকে খেলতে পারবেন ঘরোয়া ক্রিকেটে।
তবে জাতীয় দলের হয়ে খেলতে হলে তাকে অপেক্ষা করতে হবে আরও দুই বছর। এছাড়াও বিপিএল বা এইধরণের ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্ট ও বাইরের দেশের প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে খেলতে পারবেন কি না তা নিয়ে রয়েছে সংশয়।
বেশ কিছু দিন আগে দেশের একটি নিউজ চ্যানেল প্রচারিত এক রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, আইসিসির কোন এক মুখপাত্র তাদের জানিয়েছেন যে আগামী দুই বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে না পারলেও বিসিবির অধীনে আয়োজিত সব ধরণের ঘরোয়া টুর্নামেন্টে খেলতে পারবেন তিনি। সেক্ষেত্রে বিসিএল, ডিপিএল, এনসিএল এমনকি বিপিএলে খেলতেও কোন বাধা রইবে না আশরাফুলের।
তবে এই সংবাদের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্ন ওঠার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। কেননা মাত্র কয়েকদিন আগেই দেশের অন্যতম প্রভাবশালী ইংরেজি একটি দৈনিক কে আশরাফুলের ব্রিটিশ আইনজীবী ইয়াসিন প্যাটেল স্বয়ং জানিয়েছিলেন, ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরলেও আগামী দুই বছর জাতীয় দলের হয়ে এবং বিপিএল বা এইধরণের ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্ট ও বাইরের দেশের প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে খেলতে পারবেন না তিনি।
তবে সব কিছুর উপরে হচ্ছে তার আবার ক্রিকেটে ফেরা। আশরাফুল বেশ কিছুদিন ধরে ইংল্যান্ডে অবস্থান করলেও মুক্তির দিনে দেশে ফিরছেন তিনি।
লন্ডন থেকে দেশের একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালকে খোদ আশরাফুলই জানান, ‘নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আবারো ক্রিকেটে ফিরতে পেরে আমি আনন্দিত, সেই সঙ্গে কৃতজ্ঞ বিসিবি ও দেশের মানুষের প্রতি। আমার ভুলের কথা মাথায় আছে। এবার সকলের প্রতি আমার দায় পরিশোধের পালা।
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের হয়ে আমার কিছু সেরা ইনিংস আছে। তবে আমি মনে করি আমার এখনও সেরাটা দেওয়ার বাকি। আর আমি সেরাটা দিয়েই সবার মন জয় করতে চাই।’
‘সব কিছু ঠিক থাকলে আজ বেলা ১১টার দিকে দেশে ফিরবো। আর আইসিসির প্রধান কার্যালয় শনিবার বন্ধ থাকায়, রোববার সব কিছু জানা যাবে।’
উল্লেখ্য, বিপিএলের দ্বিতীয় আসরে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের দায়ে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হন ‘আশার ফুল’ বলে খ্যাত এ ক্রিকেটার। ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট থেকে ক্রিকেটে সাময়িক নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েন তিনি।
এরপর ২০১৪ সালের ১৮ জুন থেকে তার উপর আনুষ্ঠানিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। ফলে প্রায় ৩ বছর ধরে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের বাইরে ছিলেন সবচেয়ে কম বয়সে টেস্ট সেঞ্চুরি করা এ ক্রিকেটার।