আইরিন খান

indexমানবাধিকার সংস্থা এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এর সপ্তদশ মহাসচিব আইরিন খান। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আলোকিত এই সফল নারী হচ্ছেন এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রথম এশীয় মুসলিম নারী। সর্বোপরি প্রথম বাংলাদেশি মহাসচিব। আইরিন খানের জন্ম ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দে ঢাকায়। তাঁর গ্রামের বাড়ি দক্ষিণ সুরমার সিলাম ইউনিয়নের বিরাহিমপুর গ্রামে। পিতার নাম সিকান্দর আলী খান। দক্ষিণ সুরমার উজ্জ্বল নক্ষত্র আইরিন খান ম্যানচেস্টার
বিশ্ববিদ্যালয় ও হার্ভার্ড ল স্কুল থেকে পাবলিক ইন্টারন্যাশনাল ল অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস বিষয়ে পড়াশোনা করেন। তিনি দীর্ঘদিন বিভিন্ন মানবাধিকার বিষয়ক আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দে তিনি জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনে যোগদান করেন। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার সাদাকো ওগাটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে কসোভো সংকটের সময় যুগোশ্লোভিয়ায়ও একই দায়িত্ব পালন করেন এবং ওই বছরের শেষের দিকে তিনি এই.এন.এইচ.সি.আর এর উপপরিচালক নিযুক্ত হন। তিনি এ পর্যন্ত বিভিন্ন একাডেমিক পুরস্কার লাভ করেছেন। ফোর্ড ফাউন্ডেশন ফেলোশিপ পেয়েছেন। ২০০২ খ্রিস্টাব্দে তিনি ওম্যান অব দ্যা ইয়ার পুরস্কারে ভূষিত হন। তিনি ২০০৬ খ্রিস্টাব্দে সিডনি শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন। আমাদের গর্ব আমাদের অহংকার আইরিন খান বাঙালি জাতির জন্য অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব।

Developed by: