গীতিকার পীর শাহ মোহাম্মদ ইসকন্দর মিয়ার দাফন সম্পন্ন

0000মোহাম্মদ নওয়াব আলী :: গীতিকার পীর শাহ মোহাম্মদ ইসকন্দর মিয়া আজ ১৪ আগস্ট ভোর ৬টার সিলেটের নিজ বাসায় ইন্তেকাল করেন! (ইন্নালিল্লাহি ——–রাজিউন)। বিকাল সাড়ে ৫টায় জগন্নাথপুরের তেরাউতিয়া মোকাম বাড়িতে নামাজের জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মরমি কবি গীতিকার পীর শাহ মোহাম্মদ ইসকন্দর মিয়া বার্ধক্যজনিত কারণে মৃতুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
বাউল কবি পীর মোহাম্মদ শাহ ইসকন্দর মিয়া গান লিখতেন প্রাণের টানে। শৈশব থেকেই গান লিখে আসছেন। প্রায় দুই সহস্রাধিক গানের জনক তিনি। তাঁর গান নিয়ে ইতিপূর্বে তেরো খণ্ডে ইসকন্দরগীতি প্রকাশিত হয়েছে। চতুর্দশ খণ্ডটি অপ্রকাশিত ছিল।
পীর মোহাম্মদ শাহ ইসকন্দর মিয়ার কঠোর সাধনা ও নিরন্তর ভাবের রাজ্যে ডুবে থাকার ফসল এই গানগুলো আমাদের জন্য অমূল্য সম্পদ। আমাদের লোকসঙ্গীতের ভাণ্ডার তাঁর গানে আরও সমৃদ্ধ হবে। কিন্তু তিনি তাঁর কর্মের কোনও স্বীকৃতি পাননি। বাংলাদেশ বেতার কিংবা বাংলাদেশ টেলিভিশনের গীতিকার হিশেবে অনুমোদন লাভ করতে পারেননি জীবনের শেষ মুহূর্তেও।
পীর মোহাম্মদ শাহ ইসকন্দর মিয়া সুনামগঞ্জ জেলার ঐতিহ্যবাহী জনপদ জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের অন্তর্গত তেরাউতিয়া মোকামবাড়িতে ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দের ১৫ জুন জন্মগ্রহণ করেন। পিতা শাহ মোহাম্মদ আবদুল হামিদ পীর ও মাতা সৈয়দা মিরজান বিবি। তিনি ৪ ছেলে ও ১ কন্যা সন্তান ও নাতি নাতনি রেখে যান।
পীর শাহ মোহাম্মদ ইসকন্দর মিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন মাসিক বাসিয়া পত্রিকার সম্পাদক গীতিকার মোহাম্মদ নওয়াব আলী, সাংবাদিক ও কবি সাইদুর রহমান সাঈদ, কবি লায়েক আহমেদ নোমান, গীতিকার এমরুল কয়েস, কবি কামরুন নাহার চৌধুরী শেফালী, গীতিকার শাহ আব্দুল ওদুদ, কবি এম মোসাইদ খান, শিল্পী সাজ্জাদ হোসেন, কবি সুব্রত দাশ, প্রভাষক ও কলামিষ্ট জ্যোতিষ মজুমদার, করি রাশিদা বেগম, কবি ফজলুররহমান বাবুল, সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দীন প্রমুখ।

Developed by: