বিশ্বকাপে মাহমুদউল্লাহর খেলা নিয়ে ছিল অনিশ্চয়তা। মাঝখানে দল থেকেও বাদ পড়েছিলেন। অনেক নাটকের পর অবশেষে বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পান। আর সুযোগ পেয়েই নিজেকে প্রমাণ করার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তবে মঙ্গলবার শতরান করেই দলের ভিতর ঝামেলার ইঙ্গিত দিলেন তিনি।
বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পেলেও প্রথম ম্যাচে তিনি ব্যাট করার সুযোগ পাননি। পরের ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ছিলেন একাদশের বাইরে। এর পর নিউজিল্যান্ড এবং ভারতের বিপক্ষে করেছিলেন চল্লিশের উপর রান। কিন্তু সেই সব ম্যাচে নিশ্চিত হরের মুখে দল। কাঁধে ছিল ডেথ ওভারে রানের গতি বাড়ানোর চ্যালেঞ্জ। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ঠিকঠাক সময় এবং সুযোগ পেতেই সেঞ্চুরি হাঁকালেন মাহমুদউল্লাহ। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে তার চারটি শতরান, সবকটিই এসেছে আইসিসির টুর্নামেন্টে। একটি ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। এছাড়াও মঙ্গলবার প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি সহ বাকি দু’টি সেঞ্চুরিও বিশ্বকাপে।
অথচ এই মাহমুদুল্লাহ হঠাৎ করেই বাংলাদেশ দলে ব্রাত্য হয়ে পড়েছিলেন গত মার্চ মাসে, ইংল্যান্ড সিরিজের পর। সেই সময় থেকে নিজেকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শতরান করার পর সংবাদ সম্মেলনে তাই বললেন।
‘আমি ঠিক জানি না, নিজেকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছি।’ এর পরেই তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, বিশ্বকাপে খেলতে পারবেন বলে কি আশা করেছিলেন? মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘চেষ্টা করেছি ফিটনেস ঠিক রাখতে, কষ্ট করতে, এর বাইরে তো আমার করার কিছু ছিল না।’
বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পেলেও ব্যাটিং অর্ডারের নীচের দিকে ছয় ব্যাট করা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে মাহমুদউল্লাহ ক্ষোভ উগরে দিতে গিয়েও নিংজে সংযত করে নিয়ে বলেন, ‘আমি এখন এই বিষয়ে কিছু বলতে চাই না। যদিও আমার অনেক কিছু বলার আছে। কিন্তু এটা হয়তো ওই সব কথা বলার জন্য সঠিক সময় নয়।’
মাহমদউল্লাহকে দল থেকে বাদ দিয়ে নির্বাচকেরা বলেছিলেন, তাঁকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিশ্রামটা মনে হয় একটু বেশিই হয়ে গিয়েছিল। এটা আমার হাতে নেই। এটা তাঁদের (নির্বাচকদের) সিদ্ধান্ত। আমার কাজটা আমি যদি সততা দিয়ে করতে পারি, এটাই আমার কাজ। আমি এটাই করতে চাই।’
তিনি আপাতত দেশ আর দল নিয়েই ভাবতে চান। বলেন, ‘এই মুহূর্তে এটুকুই বলতে পারি যে, আমি দেশের জন্য খেলতে চাইছি, দলের জন্য অবদান রাখতে চাইছি। যদি দলের জয়ের জন্য কিছু করতে পারি, তাহলে আরও ভালো লাগবে।’