গাজার আল-শিফা হাসপাতালের নবজাতক নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে একটি সদ্যোজাত শিশু ঘুমিয়ে আছে। তাকে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। তার শরীরে বেশ কিছু টিউব লাগিয়ে রাখা হয়েছে। তার ডায়াপার প্রায় তার ক্ষুদ্র শরীরকে গ্রাস করে ফেলেছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক ফিলিস্তিনি অন্তঃসত্ত্বা মায়ের মৃত্যুর পর জন্ম নিয়েছে তার সন্তান। হামাস নিয়ন্ত্রিত ভূখণ্ডটির দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত একটি মেডিকেলে ওই শিশুর জন্ম হয়। গাজার দক্ষিণাঞ্চলের আল শিফা হাসপাতালের চিকিৎসকরা নিহত ওই নারীর ডেলিভারির মাধ্যমে সদ্যজাত শিশুটিকে বাঁচাতে সক্ষম হয়েছেন
হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. নাসের বুলবুল বলেন, ১০ দিনের এই শিশুটি ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ‘বিজয়ের প্রতীক’। শিশুটিকে বাঁচাতে সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে। বর্তমানে তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। শিশুটির অবস্থা এখন স্থিতিশীল রয়েছে। সে আমাদেরকে সাহস দিচ্ছে যে, আমরা এই কঠিন দিনগুলো কাটিয়ে উঠতে পারবো। যতবার আমি তাকে চেক-আপ করি, আমি দুঃখ এবং বেদনায় আঁকড়ে পড়ি।
গত ১৩ অক্টোবর কামাল আদওয়ান হাসপাতাল থেকে একটি ফোন পায়। জানতে পারেনি সেখানে একজন অন্তঃসত্ত্বা নারী রয়েছেন যিনি বিমান হামলায় তখন মারা গেছেন। ওই হামলায় তার স্বামীসহ ১০ জন মারা যায় বলে আল জাজিরাকে জানান চিকিৎসক নাসের বুলবুল।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এর পরপরই গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েল সরকারের তথ্য, হামাসের হামলায় ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে, আটক করা হয়েছে ২২২ জন ইসরায়েলিকে।