‘অজ্ঞতার কারণে মানুষ শিরিক-বেদআতে লিপ্ত’

সৌদি বংশদ্ভোত, খলিফাতুল মুসলিমিন হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.) বংশধর ড. শাইখ ওহিব আব্দুর রহমান মুহাম্মদ খউজ বলেছেন- অজ্ঞতার কারণে মানুষ শিরিক-বেদআতে লিপ্ত রয়েছে। অনেকে না জেনে আল্লাহর সাথে যে কাউকে শরিক করে ফেলে। প্রত্যেককে মনে রাখতে হবে আল্লাহ এক। তাঁর সাথে কাউকে শরিক করা যাবে না। এটা শিরিক। নিজের সকল চাহিদা, মনের বাসনাসহ সবকিছুই চাইতে হবে একমাত্র আল্লাহর কাছে। তিনি বান্দার সকল নেক চাওয়া পূর্ণ করবেন। কোন মাজারে গিয়ে তার কাছে চাওয়া-সেজদা করা শিরিক। অতচ মানুষ তাই করছে। জেনেশুনে কোন মানুষ শিরিকি কাজ করলে কেয়ামতের ময়দানে তার স্থান হবে জাহান্নামে। তাই সকলকে শিরিক-বেদআতি কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। পূর্ব পুরুষের পথ ধরে নয়, জীবন পরিচালিত করতে হবে কোরআন-হাদিসের আলোকে। তাই সকলকে কুরআন-হাদিসের পথ অনুসরণ করে চলতে হবে।

তিনি সিলেট সদর উপজেলার প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন, মোহাম্মদিয়া-আলহাজ্ব হযরত মাওলানা আব্দুল বারী (রহ.) জামে মসজিদের স্বপ্নদ্রষ্টা, নলকট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব হযরত মাওলানা আব্দুল বারী (রহ.) ২য় ঈসালে সাওয়াব উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

মোহাম্মদিয়া-আলহাজ্ব মাওলানা আব্দুল বারী (রহ.) জামে মসজিদের মোতায়াল্লি হাজী আব্দুল খালিকের সভাপতিত্বে ও আলহাজ্ব মাওলানা আব্দুল বারী ও আবেদা খাতুন ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব, সাংবাদিক মো. ওলিউর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- সিলেট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, কান্দিগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নিজাম উদ্দিন, টুকের বাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শহীদ আহমদ, নলকট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মালিক মামুন।

মাওলানা আব্দুল বারী ও আবেদা খাতুন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এবং সৌদি বংশদ্ভ‚ত শেখ ইব্রাহিম আবুল কাশেমের পবিত্র কোরআন তেলায়াতের মধ্যদিয়ে সূচিত অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সৌদি বংশদ্ভ‚ত শেখ আলি আল গামদি, হাজী নুর মিয়া, হাজী আরমান আলী, হাতিক উল্লাহ, মুক্তিযোদ্ধা ওয়াছিব উল্লাহ, নুরুল ইসলাম, শফিকুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম আলিম মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা ইব্রাহিম আলী, অ্যাডভোকেট ওয়ারিছ আলী, হাফিজ গোলাম রব্বানী, মাওলানা বুরহান উদ্দিন, মাওলানা নুরুল আমিন, হাফিজ আজিজুর রহমান রফিক (অলি মুহাম্মদ), হাফিজ হুসাম উদ্দিন, শাহিন আহমদ, সোহেল আহমদ, নুরুল আলম, হাফিজ আমির আলী প্রমুখ। বাংলা অনুবাদ করেন মাওলানা কাওছার আহমদ।

Developed by: