বিভাগ: চিত্র-বিচিত্র

জমানো টাকায় স্কুলে শহীদ মিনার গড়লেন শিক্ষক

আলেয়া ফেরদৌসীর কাছে আমরা  কৃতজ্ঞ। -NM Nahid Ahmed chy

আলেয়া ফেরদৌসীর কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।
-NM Nahid Ahmed chy

২০ ফেব্রুয়ারি- স্কুলটিতে আগে কোনো স্থায়ী শহীদ মিনার ছিল না। ফলে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারত না স্কুলের শিক্ষার্থীরা। তবে এবারের ২১ ফেব্রুয়ারিতে সেটি হবে না। কারণ ওই স্কুলেরই এক শিক্ষক নিজের জমানো টাকা দিয়ে তৈরি করে দিয়েছেন একটি শহীদ মিনার।

টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার প্রতিমাবংকী পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। সহকারী শিক্ষক বেগম আলেয়া ফেরদৌসী এই স্কুলেই কর্মরত। নিজের জমানো ৩৬ হাজার টাকা দিয়ে ২০১৮ সালের মে মাসে তিনি স্কুলে একটি শহীদ মিনার নির্মাণ করেন। ২১ ফেব্রুয়ারি সকালে ওই মিনারে প্রথমবারের মতো ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হবে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলমগীর হোসেন জানান, নতুন এ শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শিক্ষার্থী, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও এলাকাবাসী ওই দিন ভোরে শহীদ মিনারে উপস্থিত থাকবেন।

জানা গেছে, আলেয়া ফেরদৌসী প্রতিমাবংকী মধ্যপাড়া গ্রামের প্রয়াত এস এম আজহারুল ইসলামের স্ত্রী। আজহারুল ইসলাম সখীপুর পিএম পাইলট মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন।

আলেয়া ফেরদৌসী বলেন, ‘আমাদের গ্রাম থেকে সখীপুর উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে। এ গ্রামের মানুষ ও শিক্ষার্থীদের কখনো ওই কেন্দ্রীয় মিনারে গিয়ে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হতো না। ১৯৯৯ সালে ইউনেসকো ২১ ফেব্রুয়ারির শহীদ দিবসকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর আমার মনের ভেতর বিদ্যালয়ে একটি শহীদ মিনার নির্মাণের স্বপ্ন জাগে। এর পর থেকে প্রতি মাসের বেতন থেকে সাংসারিক খরচ মিটিয়ে উদ্বৃত্ত টাকা জমানো শুরু করি।’

আলেয়া ফেরদৌসী জানান, ২০১৭ সালে তিনি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিকে এ বিষয়ে জানান এবং পরে অনুমতি পান। শুরু হয় শহীদ নির্মাণের কাজ। এতে খরচ হয়েছে প্রায় ৩৬ হাজার টাকা। এবারের ২১ ফেব্রুয়ারি প্রথম ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হবে ওই নতুন শহীদ মিনারে।

প্রতিমাবংকী পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেন বলেন, স্কুল চত্বরে শহীদ মিনার নির্মাণ হওয়ায় এখন থেকে এই স্কুলের খুদে শিক্ষার্থীরা এ দিনের তাৎপর্য ও শহীদদের সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারবে।

আলেয়া ফেরদৌসীর একমাত্র ছেলে ও একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আলমগীর ফেরদৌস বলেন, ‘আমার মাকে শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য টাকা দিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু তিনি তা নেননি। তিনি আমাকে বলেন, কষ্টে ও নিজের জমানো টাকা দিয়ে শহীদ মিনার নির্মাণে যে আনন্দ, সেটা তো আর পাওয়া যাবে না।’

স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবদুল গফুর মিয়া বলেন, ‘আলেয়া ফেরদৌসীর কাছে আমরা গ্রামবাসী কৃতজ্ঞ। এবারই প্রথম গ্রামবাসী এবং স্কুলের শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবে।’

সখীপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মানবেন্দ্র দাস বলেন, ‘প্রতিমাবংকী পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বেগম আলেয়া ফেরদৌসী নিজের টাকায় শহীদ মিনার করায় তাঁর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা আরও বেড়েছে।’

মানবেন্দ্র দাস জানান, উপজেলায় ১৪৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। গত বছর মাত্র পাঁচটিতে শহীদ মিনার ছিল। এবার ৭৬টি স্কুলের খুদে শিক্ষার্থীরা তাদের নিজ বিদ্যালয়ের মিনারে ফুল দিয়ে ভাষাশহীদদের প্রতি প্রথম শ্রদ্ধা জানাবে। আগামী বছর উপজেলার ১৪৭টি বিদ্যালয়েই শহীদ মিনার হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

প্রতিদিন ৪০ মিনিট হাঁটা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়

image-136780-1548249256আমাদের প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় হাঁটা হয় না বললেই চলে। তবে প্রতিদিন সকালে যদি কেউ ৪০ মিনিট হাঁটেন তবে তার শরীর ও মন ভালো থাকবে ও ওজন নিয়ন্ত্রেণ থাকবে। মনে রাখতে হবে, যে কোনো রোগের একটা বড় কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত ওজন। এছাড়া সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে হলে হাঁটার কোনো বিকল্প নেই।

হার্ট অ্যাটাক কী?

হার্টের অ্যাটাককে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলে মেডিকোসিস মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন । হার্টে দুটি রক্তনালি থাকে, একটি হলো রাইট (ডান) করোনারি আর্টারি, আরেকটি হলো লেফ্ট (বাম) করোনারি আর্টারি।

এই দুটি রক্তনালিতে যদি কোনো কারণে চর্বি জমে থাকে, একে প্ল্যাক বা ব্লক বলা হয়। এই ব্লকের ওপর যদি আবার রক্ত জমাট বাঁধে, তখন এটি পুরোপুরি ব্লক হয়ে যায়। যখন শতভাগ ব্লক হয় তখন কিন্তু সত্যিই বিপদের কথা।শতভাগ ব্লক হলে বুকে ব্যথা ও হঠাৎ মৃত্যু। এসব ঘটনা হচ্ছে হার্ট অ্যাটাক।

অ্যাটাক কেন হয়?

হার্ট অ্যাটাকের অনেক কারণ রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে তাই অতিরিক্ত ওজন, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, বয়স, পরিবারে যদি কারো ডায়াবেটিস থেকে থাকে ইত্যাদি। এসব কারণে সবচেয়ে বেশি হার্ট অ্যাটাক হয়ে থাকে।

এছাড়া ধূমপান করা, অ্যালকোহল গ্রহণ, দুশ্চিন্তা, অলস জীবনযাপন বা সেডেন্টারি জীবনধারা রয়েছে, যারা চর্বিযুক্ত খাবার বেশি খাওয়া, ব্যায়াম না করা ইত্যাদি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

নিয়ন্ত্রণে করণীয়

ধূমপান করা, অ্যালকোহল গ্রহণ, দুশ্চিন্তা, অলস জীবনযাপন বা সেডেন্টারি জীবনধারা রয়েছে, চর্বিযুক্ত খাবার বেশি খাওয়া যাবে না।

যদি কোনো কারণে হার্ট অ্যাটাক হয়েও যায় তবে তিনি এসব অভ্যাস থেকে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করেন তবে পরবর্তীকালে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেক কমে যায়।

অবশেষে জানা গেলো ব্লু হোয়েল গেমের পেছনের রহস্য

bluhual1

ব্লু হোয়েল চ্যালেঞ্জ একটি অনলাইন ‘সুইসাইড গেম’। এটি তৈরি করা হয়েছিল টিনএজার বা কিশোর কিশোরীদের উদ্দেশ্যে করে। পঞ্চাশ দিনের পঞ্চাশটি কাজ করতে দেয়া হতো। আর এ চ্যালেঞ্জই বিশ্বজুড়ে অনেক মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

প্রথম টাস্কটি আসলে অনেকটাই নির্দোষ- ‘মধ্যরাতে জেগে উঠুন” বা “একটি ভীতিকর সিনেমা দেখো।’

কিন্তু এরপর থেকে দিন দিন কাজগুলো ক্ষতিকর হয়ে উঠতে থাকে। যেমন ধরুন বড় কোনো টাওয়ারে উঠে প্রান্তে উঠে দাঁড়ান, আপনার বাহুর ওপর একটি তিমিকে কাটুন”।
আর শেষ চ্যালেঞ্জ? খেলার শেষ চ্যালেঞ্জ হচ্ছে নিজেকে খুন করা অর্থাৎ আত্মহত্যা। এই অনলাইন গেমটি রাশিয়া থেকে শুরু হয়েছিলো বলে অভিযোগ পাওয়া যায়, যেটি ছড়িয়ে পড়ে ইউক্রেন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রে।

তথাকথিত এই ‘সুইসাইড গেইম’ এর সঙ্গে শোনা যায় শত শত মৃত্যুর ঘটনা। কিন্তু অনুসন্ধানে যা বেরিয়ে এসেছে সেটি কিছুটা কৌতূহলোদ্দীপক।

খেলাটি প্রাথমিকভাবে যেভাবে ছিল, মনে হচ্ছে পুরোপুরিভাবে সেভাবে আর থাকেনি।

পেছনের গল্প
ব্লু হোয়েল চ্যালেঞ্জের গল্পের সূচনা হয়েছিলো রিনা পালেনকোভার মাধ্যমে।

২০১৫ সালের ২২ নভেম্বর রাশিয়ার দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের এই কিশোরী একটি সেলফি পোস্ট করেন।

এই ছবিতে তিনি খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়েছিলেন। নাকে মুখে কালো স্কার্ফ পেঁচানো ছিলো। তিনি তার মধ্যমা আঙ্গুল রেখেছিলেন ক্যামেরা বরাবর। মনে হচ্ছিলো এটা শুকনো রক্তে ঢাকা।

ফটোর ক্যাপশন ছিলেন ‘বিদায়’। পরদিন তিনি আত্মহত্যা করেন।

বিষয়টা আলোচনায় উঠে আসে রাশিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে।

কিছু নির্দিষ্ট গ্রুপে এটি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। চ্যাটরুমগুলোতে আলোচনা হয় স্কুল বা বন্ধুদের সাথে নানা ঘটনা নিয়ে কিংবা হতাশা, একাকীত্ব বা আত্মহত্যার মতো কিছু নেতিবাচক বিষয় নিয়েও।

নানা ভীতিকর গল্প বিনিময় হতে শুরু করে।

রিনা পালেনকোভার ঘটনাও সেখানে আলোচিত হতে থাকে এবং কেউ কেউ তার প্রশংসাও করে জীবন এভাবে শেষ করার জন্য।

পাশাপাশি কিছু সত্যি ঘটনার ভিত্তিতে হরর সিনেমার মতো নানা কাহিনীও সেখানে আলোচিত হতে থাকে।

কিন্তু মজার বিষয় হলো কেউই আসলে জানত না যে আসল ঘটনাটি কী, বলছিলেন ড্যারিয়া রাডশেঙ্কো, যিনি রাশিয়ান একাডেমি অফ ন্যাশনাল ইকোনমি ও পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের গবেষক। তিনি কথিত ব্লু হোয়েল চ্যালেঞ্জের বিষয়টির দিকে দৃষ্টি রাখছিলেন।

কিছু দিন পরই রিনার গল্পের মধ্যে ঢুকে যেতে থাকে একই ধরনের আরও অনেক গল্প।

২০১৫ সালের ক্রিসমাস ডে’তে বার বছর বয়সী ড্যাভিডোভা আত্মহত্যা করে। এরপর ডায়ানা কুজনেতসোভা। কিন্তু যখন তাদের অনলাইন অ্যাকাউন্ট অভিভাবকরা পরীক্ষা করেন তখন তারা একটি বিষয় আবিষ্কার করেন- তা হলো দুটি মেয়েই একই ধরনের অনলাইন গ্রুপে সংযুক্তি ছিলো।

আর এসব গ্রুপে ছিল আত্মহত্যা নিয়ে রিনা পালেনকোভার ড্রয়িং, পোস্ট আর অসংখ্যবার উল্লেখ করা হয়েছে ব্লু হোয়েল বা নীল তিমির কথা।

কিন্তু কেন ব্লু হোয়েল বা নীল তিমি?
এই গ্রুপগুলোতে কিভাবে নীল তিমি আত্মহত্যার সাথে জড়িয়ে গেল তা নিয়ে রয়েছে অনেক জল্পনা কল্পনা। সাংবাদিক, বিজ্ঞানী কিংবা অন্য অনেকেই নানা ধরণের বিবরণ দিয়েছেন।

কেউ বলেন, এটা রাশিয়ান রক ব্যান্ড লুমেনের একটি গানের লিরিকস থেকে এসেছে।

নীল তিমির একটি নির্দিষ্ট ছবি কিভাবে ছড়ালো তা বলা আসলেই কঠিন। রাতের বেলায় তিমি শহরের ওপর দিয়ে ভেসে যাচ্ছে এটি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি প্রচারিত ছবির একটি।

২০১৬ সালের মে মাসের দিকে নীল তিমি ও সুইসাইডের বিষয় রাশিয়াজুড়ে আলোচনার জন্ম দেয়। নোভায়া গ্যাজেট পত্রিকায় সাংবাদিক গালিনা মুরসালিয়েভা একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরি করেন।

তিনি দেখেন এসব অনলাইন গ্রুপগুলোতে কিছু গেইম আছে ‘ওশান হোয়েলস’ এবং ‘এফ৫৭’ নামে।

এসব খেলায় খেলোয়াড়দের জন্য ৫০দিনের ৫০টি করণীয় দেয়া আছে। আর শেষ দিনে ব্যবহারকারীকে নিজের জীবন কেড়ে নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়।

নোভায়া গ্যাজেট দাবি করে, ২০১৫ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৬ সালের এপ্রিল পর্যন্ত অন্তত ১৩০টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে এ খেলা খেলতে গিয়ে।

যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়াতে ১৬ বছর বয়সী একটি মেয়ে মৃত্যুবরণ করে। পরে তার পরিবার জানতে পারে এর পেছনেও সেই নীল তিমি।

বেরিয়ে আসে আত্মহত্যার আরও গল্প- যুক্তরাষ্ট্রে ইসাইয়া গনজালেজ, ভারতের হায়দ্রাবাদে এবং রাশিয়ায় দুটি মেয়ে- জুলিয়া কোন্সটানটিনোভা ও ভেরোনিকা ভলকোভা।

কোন্সটানটিনোভা ইন্সটগ্রাম ব্লু হোয়েলের একটি ছবিও পোস্ট করেছিলেন মৃত্যুর কয়েকদিন আগে।

সন্দেহভাজন
২০১৬ সালের নভেম্বরে ২১ বছর বয়সী ফিলিপ বুদেইকিন টিন এজারদের আত্মহত্যায় প্রলুব্ধ করার অভিযোগে আটক হন। রাশিয়ান মিডিয়াকে তিনি বলেন, আমি সমাজকে পরিষ্কার করছিলাম। কখনো মনে হয়েছে এটা ভুল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মনে হয়েছে আমি ঠিকই করছি।

মনোবিজ্ঞানের সাবেক এই ছাত্র মিডিয়াকে এমন ধারণা দেন যে তিনি অনেক ডেভেলপড কিছু কৌশল ব্যবহার করেছেন টিনএজারদের আত্মহত্যায় প্রলুব্ধ করতে।

তিনি এফ৫৭ নামে ২০১৩ সালে গেমটি তৈরি করেন। যেটি তার নামের প্রথম অক্ষর আর তার ফোন নাম্বারের শেষ দুটি ডিজিট।

২০১৭ সালের মে মাসে তিনি দোষ স্বীকার করলে তার তিন বছরের কারাদণ্ড হয়।

এরপরও নানা গবেষণা হচ্ছে
২০১৫ সালে আত্মহত্যা করা এক কিশোরীর বাবার সাথে কথা বলেছেন এভজেনি বার্গ নামে একজন সাংবাদিক।

মেয়ের মৃত্যুর পর তিনি ও তার স্ত্রী একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছেন সেভিং চিলড্রেন ফ্রম সাইবার ক্রাইম নামে। তাদের একটি প্রকাশনায় বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থার দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে তাদের মেয়ের মৃত্যুর জন্য।

নোভা গ্যাজেট পত্রিকার প্রতিবেদনের জন্য এই পিতা হয়ে উঠেন গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ১৩০ জন এই আত্মহত্যার শিকার হয়েছেন।

এ সংখ্যাটি নোভা গ্যাজেট তার প্রতিবেদনে প্রথম লিখেছিলো। তাই মনে করা হচ্ছে, ওই প্রতিবেদন থেকেই এ সংখ্যাটি ছড়িয়ে পড়ে, যা এখনো অনেকে ব্যবহার করছে।

ব্লু হোয়েল : ফ্যাক্ট নাকি ফিকশন?
রাশিয়ার স্টেট ইউনিভার্সিটির ফোকলোর স্টাডিজের আলেক্সান্দ্রা আরখিপোভা বলছেন, তিনি ও তার এক সহকর্মী যখন এসব অনলাইন গ্রুপগুলোতে ঢোকেন তখন তারা বিস্মিত হওয়ার মতো অনেক কিছু পান।

“যারা গ্রুপগুলো তৈরি করেছে তাদের বয়স ১২ থেকে ১৪ এর মধ্যে”। তারা হয়তো পড়েছে বা শুনেছে এই অনলাইন গেইমটি সম্পর্কে। “এই সবগুলো গ্রুপে প্রধানত তরুণরা খেলাটির জন্য অপেক্ষা করছিলো। কিন্তু সেই গেইম কখনো শুরু হয়নি”।

তাহলে ফিলিপ বুদেইকিন যে গেইমটি তৈরির কথাই স্বীকার করলো? তার এক বন্ধু অবশ্য বলেছেন এটি সত্যি নয়।

প্রকৃত অর্থে সে শুধু রিনার ঘটনা ও এ সম্পর্কিত নানা কিছু অনলাইন গ্রুপগুলোতে পোস্ট করেছে অনেক ফলোয়ার পাওয়ার আশায়।

তবে বাস্তবতা হলো রাশিয়ার তরুণদের মধ্যে আত্মহত্যার হার বিশ্বের সর্বোচ্চ দেশগুলোর মধ্যে একটি। হয়তো কিছু তরুণ অনলাইন গ্রুপে আত্মহত্যা নিয়ে আলোচনা করেছে। এবং এ গ্রুপগুলোতেই ব্লু হোয়েল মেমেস শেয়ার হয়েছে বেশি।

তবে এটিও সত্যি যে টিনএজারদের আত্মহত্যার প্রবণতা ঠেকানোর তাৎক্ষণিক কোনো সমাধান নেই।

পড়শি

পড়শি লেখক : রোকন আহমদ প্রকাশকাল : অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৯ প্রচ্ছদ : মোমিন উদ্দীন খালেদ মূল্য : ১২৫.০০ টাকা পৃষ্ঠা : ৭২

পড়শি
লেখক : রোকন আহমদ
প্রকাশকাল : অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৯
প্রচ্ছদ : মোমিন উদ্দীন খালেদ
মূল্য : ১২৫.০০ টাকা
পৃষ্ঠা : ৭২

 

নাসায় বাংলাদেশী বিজ্ঞানী মাহমুদা সুলতানার দারুণ সাফল্য

nasaনাসাতে কর্মরত বাংলাদেশী বিজ্ঞানী মাহমুদা সুলতানা তার যুগান্তকারী আবিষ্কার দিয়ে জিতে নিয়েছেন ২০১৭ সালের নাসার সেরা উদ্ভাবন পুরষ্কার।

মহাকাশে সহজে ব্যবহার করা যাবে, এমন ছোট ও যুগান্তকারী প্রযুক্তির যন্ত্র আবিষ্কারের জন্যই এ পুরষ্কার দেওয়া হচ্ছে।

নাসার সাময়িকী Cutting Edge এর সর্বশেষ সংখ্যায় তাকে নিয়ে প্রচ্ছদ প্রতিবেদন করা হয়েছে। প্রতিবেদনে মাহমুদাকে নিয়ে নাসার বিভিন্ন বিজ্ঞানীদের নানা উচ্ছাস।

ন্যানো টেকনোলজি, 3D প্রিন্টিং, ডিটেক্টর ডেভেলপমেন্ট এসব নিয়েই মাহমুদার গবেষণা। MIT-এর সাথে মিলে কোয়ান্টাম ডট প্রযুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন আলো তরঙ্গ ডিটেক্টর নিয়ে গবেষণা করছেন তিনি। থ্রিডি প্রিন্টার আরো সহজ করার জন্যও তার আবিষ্কার ‘গ্রাউন্ড ব্রেকিং’ বলে বিবেচিত হচ্ছে।

মাহমুদার বানানো সেন্সর প্লাটফর্ম ২০১০ সালে MIT থেকে কেমিকেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি নেবার আগেই এক জব ফেয়ারে তিনি নাসায় কাজের সুযোগ পান। এর আগে তিনি ইউনিভার্সিটি অফ সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া থেকে কেমিকেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে আন্ডার গ্র‍্যাজুয়েট করে কাজ করেছিলেন বিখ্যাত বেল ল্যাবরটরিতে রিসার্চ একাউন্টেন্ট হিসেবে।

মাহমুদা সুলতানা কিশোর বয়সে পরিবারের সাথে আমেরিকা যান। তার বড় চাচাও নাসার এমস রিসার্চ সেন্টারে ফিজিসিস্ট হিসেবে কাজ করেন।

যে ছবি ভাইরাল বিজিবি মেজর আশিকুরের

bangladesh airmeকক্সবাজার, ২৪ অক্টোবর- কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের আঞ্জুমানপাড়া সীমান্তে ফের রোহিঙ্গাদের ঢল নেমেছে। গত ১৪ থেকে ১৬ অক্টোবর ওই সীমান্ত দিয়ে হাজার হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। আঞ্জুমানপাড়াসহ বিভিন্ন সীমান্তের নো-ম্যানস ল্যান্ডে এখনও হাজার হাজার রোহিঙ্গা আটকা পড়ে আছে। মিয়ানমারের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পায়ে হেঁটে আসায় তাদের অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। সীমান্তে নিয়োজিত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর সদস্যরা, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম), ইউএনএইচসিআর, এমএসএফ, দেশি-বিদেশি এনজিওসহ দেশের বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা রোহিঙ্গাদের নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে আসা এক বৃদ্ধ রোহিঙ্গা নারীকে সম্প্রতি কোলে করে সীমান্ত পার করিয়ে দেন বিজিবির মেজর মো. আশিকুর রহিম। তার এই মানবিক দৃষ্টান্তের ছবি বিশ্ব গণমাধ্যমে প্রশংসা কুড়িয়েছে ।

অসুস্থ রোহিঙ্গা বৃদ্ধাকে কোলে করে চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছেন বিজিবি মেজর আশিকুর বিজিবির মেজর মো. আশিকুর রহিমের ছবিটি ফেসবুক, টুইটারসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। বিজিবি’র অতিরিক্ত পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেও তিনি অসহায় এক রোহিঙ্গার প্রতি যে মমত্ববোধ দেখিয়েছেন, তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। নো-ম্যানস ল্যান্ড থেকে একজন বৃদ্ধ নারীকে কোলে করে নিরাপদে সরিয়ে আনার সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি হয়েছে।

মেজর আশিকুর রহিম বলেন, ‘দেখুন, আমরা তো সবসময় বাড়ি থেকে অনেক দূরে কাজ করি। চাকরির কারণে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে চলে যাই। এ কারণে বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে তেমন থাকার সুযোগ হয় না। এজন্য কোনও বয়স্ক মানুষ দেখলে নিজেদের বাবা-মায়ের কথা পড়ে। ওই দিনও ঠিক এমনটি হয়েছে। আজ আমার মা যদি এই রকম বিপদে পড়েন, তখন তো কেউ না কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসবেন। এজন্য নিজের মায়ের কথায় মনে পড়ে গেল। কারণ, আমার মাও তো একদিন এ রকম বিপর্যয়ে পড়তে পারেন।’
অসুস্থ এক রোহিঙ্গা বৃদ্ধাকে কোলে করে চিকিসা কেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছেন বিজিবি মেজর আশিকুরপ্রসঙ্গত, ২৪ আগস্ট রাতে মিয়ানমারের রাখাইনে সহিংস ঘটনার পর সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে লাখ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয়ের জন্য বাংলাদেশে আসতে শুরু করে। সীমান্ত পরিস্থিতি সামলানোর জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে নিয়ে আসা হয়। একইভাবে সিলেটে কর্মরত বিজিবি’র অতিরিক্ত পরিচালক মেজর আশিকুর রহিমকেও ডেপুটেশনে উখিয়ায় নিয়ে আসা হয়।

মেজর আশিকুর বলেন, ‘আসলে আমরা প্রথম দিন যখন কাজ শুরু করি, তখন আমাদের অন্য সদস্যরা ওখানে কাজ করছিল। মানবিক বিপর্যয় যেটা হয়েছে এটি তো আমাদের সবারই জানা। বৃদ্ধ ওই নারী তো হাঁটতেও পারছিলেন না। তাকে তো আরও বহু পথ পাড়ি দিয়ে হেঁটে যেতে হবে। ওই দিন ইউএনএইচসিআর -এর সঙ্গে আমাদের একটি সমন্বয় হয়। অসুস্থ ও বয়স্ক লোক দেখলে তাদের পৃথক করে গাড়িতে ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হবে বলে সমঝোতা হয়। তখন দেখলাম যে, এক বৃদ্ধ নারী বহুদূর থেকে হেঁটে আসছিলেন এবং কিছু দূরে গিয়ে মাটিতে পড়ে যান তিনি। তখন তাকে প্রথমে ইউএনএইচসিআর -এর একজন কর্মী কোলে করে নিয়ে আসছিলেন। পরে দেখলাম যে, ওই লোকটিও তাকে নিয়ে আসতে ব্যর্থ হচ্ছেন। কারণ, তার হাত ব্যথা করছিল। তখন আমি এগিয়ে গেলাম এবং ওই বৃদ্ধ মাকে সাহায্য করেছিলাম বাকি পথটুকু নিয়ে আসার জন্য।’

‘এই বৃদ্ধ মাকে কোলে নিয়ে আসার বিষয়টি তেমন বড় কিছু নয়’ উল্লেখ করে মেজর আশিকুর আরও বলেন, ‘আমাদের প্রত্যেকের মানবিকতাবোধ আছে। আছে দৃষ্টিভঙ্গি। এই মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে কাউকে না কাউকে এগিয়ে আসতে হবে। আমি যখন ওই বৃদ্ধ মাকে কোলে নিয়ে হাঁটছিলাম, তখন মনে হয়েছিল, আমার মাকে নিয়ে আমি নো-ম্যানস ল্যান্ড পার হচ্ছি।’

পৃথিবীর অষ্টম মহাদেশ ‘জিলান্ডিয়া’ আবিষ্কার

prithybeপৃথিবীর বর্তমান ৭টি মহাদেশের বাইরে আরও একটি মহাদেশ আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা।

যুক্তরাষ্ট্রের একদল বিজ্ঞানী প্রশান্ত মহাসাগরে নয় সপ্তাহ ভ্রমণের পর বুধবার অষ্টম মহাদেশের তথ্য নিশ্চিত করেন।

নতুন মহাদেশটির বেশিরভাগই দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগর ঘিরে অবস্থিত। এর অধিকাংশ বর্তমানে পানির নিচে।

দ্বীপরাষ্ট্র নিউজিল্যান্ড থেকে এটি কাছাকাছি হওয়ায় নতুন এ মহাদেশকে ‘জিলান্ডিয়া’ নামে অভিহিত করা হয়েছে।

বিজ্ঞানীদের ধারণা, প্রায় ৮ কোটি বছর আগে এই অঞ্চলটি পানির উপরে ছিল এবং সেখানে মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর বসবাস ছিল।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সাইন্স ফাউন্ডেশন (এনএসএফ)-এর বিজ্ঞানীদের ৩২ সদস্যের একটি দল ‘গবেষণা জাহাজ’-এ করে প্রায় দুই মাস ওই অঞ্চল ভ্রমণ করে। ভ্রমণ শেষে তারা এ তথ্য প্রকাশ করে।

এনএসএফ’র প্রশান্ত মহাসাগর বিভাগের প্রোগ্রাম পরিচালক জামিয়া আল্লান এক বিবৃতে মহাদেশটি প্রায় ৬ কোটি বছর আগে পানির নিচে তলিয়ে যেতে শুরু করে বলে জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বিজ্ঞানীদের এই অভিযানটি পৃথিবীর ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে পৃথিবীর ইতিহাস, পর্বত গড়ে ওঠার তথ্য এবং ভূখণ্ডের অভ্যন্তরের প্লেটের গঠন পদ্ধতি সম্পর্কে অনেক নতুন তথ্য পাওয়া যাবে।

জিলান্ডিয়ার বেশিরভাগ এলাকা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার পানির নিচে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যার আয়তন আনুমানিক ৪৯ লাখ ২০ হাজার স্কয়ার কিলোমিটার।

জানেন কি মশা কাদের বেশি কামড় দেয়?

mosaমশা তো সবাইকেই কামড়ায়। কিন্তু আপনাকে কি একটু বেশিই কামড়াচ্ছে? চারপাশের মানুষগুলো যখন কোনোরকম অস্বস্তি ছাড়াই বসে আছে, কেবল আপনাকেই কি তখন খানিক পরপর নিজের গায়ে চপেটাঘাত কষাতে হচ্ছে? তাহলে বলতে হবে মশারা একটু বেশিই আপনাকে ভালোবাসে! কিন্তু কেন? এ নিয়ে অনেক তত্ত্ব রয়েছে। তার ভেতর থেকেই নিজেরটা জেনে নিন।

সাধারণেই অসাধারণ : নানা রকম কারণ রয়েছে মশার কাছে আপনার পছন্দনীয় খাবার হয়ে ওঠার পেছনে। পরিসংখ্যান অনুসারে দশজন মানুষের একজন সবসময়ই মশার কাছে প্রিয় হয়ে থাকেন। বিখ্যাত দালাই লামাও এর ব্যতিক্রম ছিলেন না। মশাকে নিয়ে তিনি বলেন মশা আর ছাড়পোকার প্রতি আমার আচরণ শান্তিপূর্ণ বা অনুকূল নয়!

গন্ধ : আমাদের একেকজনের শরীরে একেকরকম গন্ধ রয়েছে। মশাদের ভেতরে পুরুষ নয়, নারী মশারাই সাধারণত রক্ত পান করে। আর তাও নিজেদের ডিমকে পুষ্টি দেয়ার জন্য। ফলে বাজারে কিছু কিনতে গেলে আমরা যেমন সবচেয়ে সেরা জিনিসটাই বাছাই করতে চাই, ওরাও সেরকম সবচেয়ে ভালো আর পুষ্টিসম্পন্ন রক্তই পান করতে চায় নিজেদের সন্তানদের জন্য। সেটা তারা নির্ধারণ করে মানুষের শরীরের গন্ধের ওপর ভিত্তি করে। প্রায় ১০০ ফুট দূর থেকেই এই গন্ধ চিনতে পারে মশারা।

ব্যাকটেরিয়া : আমাদের শরীরে বংশগতভাবেই অনেক ব্যাকটেরিয়া বহন করি আমরা। সেটা আমাদের শরীরের কোষের চেয়েও ১০ গুণ বেশি পরিমাণে। আর সেগুলো এতটাই জড়িয়ে যাকে আমাদের শরীরের রোগ-প্রতিরোধের ব্যাপারের সঙ্গে যে অনেক ধুয়েও সেগুলোকে তাড়ানো যায় না। এই ব্যাকটেরিয়াগুলোই আমাদের শরীরে এমন রাসায়নিক পদার্থের উৎপাদন করে যে মশারা অনেক বেশি আকৃষ্ট হয়।

রক্তের ধরন : রক্তের কোন গ্রুপে আপনার অবস্থান সেটাও অনেক সময় নির্ধারণ করে দেয় আপনি মশাদের কাছে কতটা জনপ্রিয় হবেন। পরীক্ষায় পাওয়া যায় ‘ও’ এবং ‘এ’ রক্তের গ্রুপের মানুষদের দ্বিগুণ বেশি পছন্দ করে মশারা। আপনি কোন গ্রুপের রক্তের অধিকারী সেটা বোঝাতে মোটেও রক্ত খেয়ে দেখতে হয় না মশাদের। দূর থেকেই ৮৫ শতাংশ নিশ্চিত হয়ে যায় আপনার রক্তের ধরন সম্পর্কে।

ঘাম : অতিরিক্ত ঘামেন আপনি বা অনেক বেশি কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হয় আপনার শরীর থেকে? তাহলে বলতে হবে আপনিও আছেন মশাদের পছন্দের খাবারের তালিকায়।

খাবার : খাবারের ধরনের ওপর নির্ভর করে মশারা আপনার রক্ত পছন্দ করে। দেখা যায়- পনির, আচার, সয়া, মিষ্টিজাতীয় খাবার ও সবজি খান যারা তাদের রক্ত ও ত্বকে ল্যাক্টিক অ্যাসিড বেশি তাকে। ল্যাক্টিক অ্যাসিড অনেক বেশি পরিমাণে টানে মশাদের।

ত্বকের বৈশিষ্ট্য : অনেক সময় দেখা যায়, কেবল ত্বকের বৈশিষ্ট্যের কারণেই আপনার মনে হয় মশারা আপনাকে অনেক বেশি কামড়াচ্ছে। আসলে আপনার পাশের ব্যক্তিটিকেও হয়তো আপনার মতন বা আপনার চেয়ে অনেক বেশি কামড়াচ্ছে তারা। কিন্তু কেবল তার ত্বকের বৈশিষ্ট্যের কারণেই সেটা বুঝতে পারছে না সে। আর আপনি বুঝতে পারছেন অনেক বেশি।

Developed by: