বিশিষ্ট ছড়াকার ও মঈন উদ্দিন আদর্শ মহিলা কলেজের অধ্যাপক বদরুল আলম খান ৬ নভেম্বর মঙ্গলবার রাত ১.৫০ মিনিটের সময় ওমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। আজ বাদ মাগরিব ভার্থখলা জামে মসজিদে মরহুমের জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্তানে দাফন সম্পন্ন করা হব। জানাজায় অংশগ্রহণ করেন সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান, মইন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. গিয়াস উদ্দিন, জেলা পরিষদের সদস্য মতিউর রহমান, লতিফা শফি মহিলা কলেজের প্রিন্সিপাল আমিরুল আলম দুলাল, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী দুলাল, অধ্যাপক জাকির হোসেন, সিলেট চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক ওয়াহিদুজ্জামান ভূট্টো। এছাড়া জানাজায় বিভিন্ন পেশার বিপুল সংখ্যক লোক অংশগ্রহণ করেন।
বদরুল আলম খান দক্ষিণ সুরমার ভার্থখলা গ্রামের খান মঞ্জিলের বাসিন্দা। তিনি ছাত্র জীবন থেকে লেখালেখির সাথে সম্পৃক্ত হন। সিলেটের ছড়া সাহিত্যের জগতে এক উলেখযোগ্য নাম। ছড়ায় তাঁর রয়েছে শক্তিশালী হাত। তবে তিনি বিষয়ভিত্তিক ছড়া লিখতে সাচ্ছন্দবোধ করতেন। তার প্রকাশিত গ্রন্থসমূহ হলো- আয় ছেলেরা আয় মেয়েরা, জলের প্রাণী মৎস্য, সারার জন্য ছড়া, নিহার জন্য ছড়া, পাখি সব করে রব, বদই বৃত্তান্ত, বউ, ছড়ায় ছড়ায় সন্ধিপদী, ফুলের বনে যার কাছে যাই তারে লাগে ভালো, প্রাণের সবুজ আছে প্রাণে, মামার বাড়ি, ছড়ায় ছন্দে ষড়ঋতু, আয় কে যাবি ভূতের দেশে ও মাহে রমজানের ছড়া। এছাড়া অপ্রকাশিত রয়েছে অনেক পাণ্ডুলিপি।
উলেখ ছড়াকার বদরুল আলম খান ছড়াকার কাদের নেওয়াজ খানের ছোটভাই ও গণ মানুষের কবি দিলওয়ারের ভ্রাতৃষ্পুত্র। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তানসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন রেখে মারা গেছেন।
ছড়াকার বদরুল আলম খানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন কবি ও সংগঠক সাইদুর রহমান সাঈদ, মাসিক বাসিয়া পত্রিকার সম্পাদক গীতিকার মোহাম্মদ নওয়াব আলী, মাসিক মাকুন্দা সম্পাদক গীতিকার মো. খালেদ মিয়া, কবি লায়েক আহমদ নোমান, গীতিকবি হরিপদ চন্দ, কবি আবু জাফর মোহাম্মদ তারেক, কবি মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম।