বিভাগ: প্রবাস

১০ হাজার শরনার্থী আশ্রয় দিবে কানাডা

6a689b4a56e806dbb76bb596df59f88a
অভিবাসন আবেদন প্রক্রিয়া সহজতর ও দ্রুত করার মাধ্যমে আগামী এক বছরের মধ্যে ১০ হাজার সিরীয় শরণার্থীকে আশ্রয় দিবে বলে জানিয়েছে কানাডার রক্ষণশীল সরকার।
কানাডার অভিবাসন ও নাগরিকত্ব মন্ত্রণালয় শনিবার এক বিবৃতিতে জানায়, ‘শরণার্থীদের জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে না যে তারা শরণার্থী এবং ভিসা কর্মকর্তারা তাদেরকে এটা প্রমাণ করতেও বলবেন না। এর পরিবর্তে সংঘর্ষের কারণে পালিয়ে আসা লোকজনকে শরণার্থী হিসেবে গণ্য করা হবে। ফলে গোটা প্রক্রিয়া দ্রুত হবে।’
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘কানাডা ১০ হাজার সিরীয় শরণার্থী নেওয়ার যে অঙ্গীকার করেছিল তা পরিকল্পিত সময়সীমার ১৫ মাস আগেই ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্য পূরণ করা হবে। এছাড়া ২৩ হাজার ইরাকি শরণার্থী নেয়ার যে অঙ্গীকার কানাডা করেছিল তা চলতি বছরের শেষ নাগাদের মধ্যেই পূরণ করা হবে।’
ভিসা কর্মকর্তারা নিরাপত্তা, অপরাধের বিষয় ও মেডিকেল চেকআপের ওপর গুরুত্ব দেবে। অভিবাসন মন্ত্রী ক্রিস আলেকজান্ডার বলেন, শরণার্থীদের আবেদন প্রক্রিয়াকরণ করতে আগামী কয়েকদিন ও সপ্তাহের মধ্যে আরো কর্মী নিয়োগ দেয়া হবে।
ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপগামী সিরীয় শরণার্থীদের সাহায্য করতে ধীর পদক্ষেপের জন্য গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কানাডার ক্ষমতাসীন রক্ষণশীল দলের সমালোচনা হচ্ছে। বিরোধী দলগুলো অঙ্গীকার করেছে, আগামী ১৯ অক্টোবরের নির্বাচনে তারা ক্ষমতায় এলে সিরীয় শরণার্থীদের জন্য আরো উদার নীতি গ্রহণ করা হবে।

হজে সন্তান প্রসব!

f6530ad8a28b351a5a41122dd9f4d800মক্কা, ২৩ সেপ্টেম্বর- প্রথমবারের মতো হজ চলাকালে মিনায় সন্তান জন্ম দিলেন পাকিস্তানি এক নারী।

মঙ্গলবার মিনা আল-ওয়াদি হাসপাতালে ওই ছেলে শিশুটির জন্ম হয়। শিশুটির নাম রাখা হয়েছে মোহাম্মদ আলী।

শিশুটির বাবা জানান, হজের আনুষ্ঠানিকতার শুরুতে মিনায় পৌঁছানোর পরপরই তার স্ত্রীর প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে মিনা আল-ওয়াদি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তিনি সন্তানের জন্ম দেন।

হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ মালাইবারি জানিয়েছেন মা ও শিশু উভয়ই সুস্থ আছেন। হজের মুহূর্তে শিশু জন্ম হওয়ায় মা-বাবা উভয়েই খুশি।
– See more at: http://www.deshebideshe.com/news/details/57030#sthash.vzAPQjQx.dpuf

ব্রিটেনে শেফ সংকটে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ইন্ডিয়ান রেস্তোরাঁ

curry_105226ব্রিটেনে ভারতীয় কুইজিন রান্না করার জন্য প্রফেশনাল শেফ কমে যাচ্ছে। রাঁধুনি বা শেফের অভাবের কারণে রেস্তোরাঁগুলো বড়ো ধরনের সঙ্কটে পড়েছে।

ব্রিটেনে চিকেন টিক্কা মাসালা বা তান্দুরি চিকেনের মতো ডিশ খুবই জনপ্রিয়। ইন্ডিয়ান রেস্তোরা বলে পরিচিত হলেও এই শিল্পের সাথে মূলত বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরাই জড়িত।বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শেফ টমি মিয়া বলছেন, প্রতি সপ্তাহেই এধরনের রেস্টুরেন্ট বন্ধের খবর পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বলেন, অভিজ্ঞ শেফ না পাওয়ার পেছনে ব্রিটেনে সাম্প্রতিক সময়ে অভিবাসনে কড়াকড়ি একটি অন্যতম কারণ। তিনি আরও বলছেন, এছাড়া ব্রিটেনে বসবাসরত নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশি বা ভারতীয়রা কারি শিল্পে আসতে আর আগ্রহী নয়।

ভাল রাঁধুনি খুঁজতে রেস্তোরাঁ মালিকরা আন্তর্জাতিক ইন্ডিয়ান শেফ প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছে। রান্নাবান্নায় নতুন প্রজন্মকে আগ্রহী করা এর অন্যতম উদ্দেশ্য। এছাড়া রেস্টুরেন্টের শেফদের জন্য কাজের পারমিট সংক্রান্ত নিয়মকানুন সহজ করার বিষয়ে লবি করবেন বলে জানিয়েছেন টমি মিয়া। বিবিসি বাংলা।

প্যারিস-বাংলা প্রেসক্লাবের সাথে সাংবাদিক মাহমুদ হাফিজের মতবিনিময়

এনায়েত হোসেন সোহেল,প্যারিস,ফ্রান্স থেকে 003প্যারিস-বাংলা প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দের সাথে প্যারিসে আগত বাংলাদেশের বিশিষ্ট সাংবাদিক মাহমুদ হাফিজের মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে গার দো নোর্দে অবস্থিত প্যারিস-বাংলা প্রেসক্লাবের কার্যালয়ে এ মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।
প্যারিস-বাংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক আবু তাহিরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক এনায়েত হোসেন সোহেলের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন আমি ভয়েজের চেয়ার ম্যান এইচ এম হায়দার , লেখক খান আনোয়ার হোসেন,প্যারিস-বাংলা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক লুত্ফুর রহমান বাবু, বিশিষ্ট পুথি শিল্পী কাব্য কামরুল,প্যারিস-বাংলা প্রেসক্লাবের প্রচার সম্পাদক নয়ন মামুন,প্রকাশনা সম্পাদক দোলন মাহমুদ, ফরিদ আহমদ পাটুয়ারী রনি প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন
প্রচেষ্টা এড মিডিয়া চেয়ারম্যান মোজাফফর হোসাইন দিপু।
মতবিনিময় কালে বক্তারা বলেন, প্রবাসে কিংবা দেশে যেখানেই একজন সাংবাদিক অবস্থান করেন না কেন দেশ ও মাতৃকার জন্য তার রয়েছে অতীব ণ্ডরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তাই প্রবাসেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারন ও লালন করে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে । জাতি হিসেবে সেটাই আমাদের গৌরবপূর্ণ প্রতিভূ এবং কৃতজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ।

মালয়েশিয়ায় আট বছরে সাড়ে তিন হাজার বাংলাদেশির মৃত্যু

01মালয়েশিয়াপ্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকদের অনেকেরই জীবনের চাকা থেমে যাচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ বছরের কোঠায়। গত সাড়ে আট বছরে দেশটিতে ৩ হাজার ৩১২ জন বাংলাদেশি মারা গেছেন। প্রায় সব ক্ষেত্রেই মৃত্যুর কারণ কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা, স্ট্রোক কিংবা অসুস্থতা।

প্রবাসী বাংলাদেশিরা বলছেন, এমন মৃত্যুর অনেকাংশে কারণ কর্মক্ষেত্র ও থাকার অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, সব সময় দুশ্চিন্তা, অতিরিক্ত কাজের চাপ।

বিভিন্ন দেশ থেকে আসা মৃত ব্যক্তিদের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বিভিন্ন দেশ থেকে যত লাশ আসছে, তার মধ্যে প্রায় ২০ শতাংশই আসছে মালয়েশিয়া থেকে। এর মধ্যে গত বছর মালয়েশিয়া থেকে এসেছে ৫১০ জন বাংলাদেশির মরদেহ, যা এযাবৎকালের সর্বোচ্চ। গত বছর মৃত্যুর কারণ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, তাঁদের ৩৩ শতাংশই স্ট্রোকে মারা গেছে। ৩৫ শতাংশ মারা গেছে হার্ট অ্যাটাক, যক্ষ্মাসহ নানা অসুখে। দুর্ঘটনায় মারা গেছে ২০ শতাংশ। বাকিরা অন্যান্য কারণে মারা গেছেন।

মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশন ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৭ সালে মালয়েশিয়া থেকে ২১৬ জন, ২০০৮ সালে ৪১১ জন, ২০০৯ সালে ৪৭২ জন, ২০১০ সালে ৩৬১ জন, ২০১১ সালে ৩৫৬ জন, ২০১২ সালে ৩৪০ জন, ২০১৩ সালে ৩৮৭ জন, ২০১৪ সালে ৫১০ জন ও ২০১৫ সালের প্রথম ছয় মাসে ২৫৯ জন বাংলাদেশির লাশ এসেছে।

মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশন ও ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্র বলেছে, বছরে এমন দিন খুব কমই গেছে, যেদিন মালয়েশিয়া থেকে এক বা একাধিক বাংলাদেশির লাশ আসেনি। গত ১৭ জুলাই ঢাকায় পাঠানো হয়েছে চারজন প্রবাসীর লাশ। তাঁরা হলেন রংপুরের রাশেদুল ইসলাম, ইহসানুল হক, ঢাকার আশিক আহমেদ ও আরিফা সুলতানা। চারজনই দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।

মাস দুয়েক আগে মালয়েশিয়া থেকে লাশ হয়ে দেশে ফেরেন ৩০ বছরের তরুণ মাদারীপুরের শরিফ মোল্লা। তাঁর মৃত্যুর কারণ লেখা আছে—স্ট্রোক। শরিফের ভাই গিয়াসউদ্দিন বলেন, ‘২০০৮ সালে শরিফ যখন মালয়েশিয়ায় যান, তখন তাঁর বয়স ছিল ২২ বছর। জীবিত অবস্থায় দেশে আসেননি, এলেন লাশ হয়ে। সুস্থ ভাইটা শুনলাম স্ট্রোক করে মারা গেছেন। এমন মৃত্যু আমরা মেনে নিতে পারছি না।’

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার আবদুল মজিদ (২৭) মালয়েশিয়া যাওয়ার তিন মাস পর হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তাঁর ভাই নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আগে তো তার এমন কোনো অসুখ ছিল না। মালয়েশিয়ায় গেল। তিন মাস পরই লাশ হয়ে ফিরল।’

২৯ বছরের এনামুল হকের বাড়ি কুমিল্লায়। তিনি মারা গেছেন স্ট্রোকে। ২৮ বছরের আলম মোর্শেদ মারা গেছেন দুর্ঘটনায়। ৩১ বছরের কবির হোসেন স্ট্রোকে। তাঁর বাবা বাবুল সরকার আজও ছেলের মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি।

গাইবান্ধার বাবুল মিয়া (৩৮), নোয়াখালীর আবদুর রহমান শেখ (৩৭), কিশোরগঞ্জের রমজান (২৯) ও মুন্সিগঞ্জের সেলিম হোসেনও (৩২) মারা গেছেন স্ট্রোকে। গত বছরের ডিসেম্বরে তাঁদের লাশ এসেছে দেশে। তাঁদের পরিবারের সদস্যরা এমন মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

দক্ষিণ এশিয়ার অভিবাসনবিষয়ক বেসরকারি সংস্থাগুলোর জোট কারাম এশিয়ার সমন্বয়ক হারুন-আল-রশিদ প্রথম আলোকে জানান, বাংলাদেশ থেকে দু-তিন লাখ টাকা খরচ করে অনেক স্বপ্ন নিয়ে একেকজন মালয়েশিয়া আসছেন। কিন্তু এখানে বেশির ভাগ জায়গাতেই কাজের পরিবেশ ভালো নয়। খরচের টাকা তোলার জন্য অনেকে দিনে ১৮ থেকে ২০ ঘণ্টাও কাজ করেন। কাজ শেষে কারখানার পেছনে বস্তির মতো গাদাগাদি করে থাকেন। নির্ধারিত সময়ে খরচের টাকা ওঠে না। ফলে অতিরিক্ত সময় থেকে তাঁকে অবৈধ হয়ে যেতে হয়। অতিরিক্ত পরিশ্রম, সব সময় মানসিক দুশ্চিন্তা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকা-খাওয়া, পরিবারের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা—এসব কারণে তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থ হলেও যথাযথ চিকিৎসা পান না। ফলে ৩০ কিংবা ৪০ বছর পেরোনোর আগেই একেকজন মারা যাচ্ছেন।

মালয়েশিয়ার ক্লাং জেলায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার বাংলাদেশি আছেন। ক্লাং সিটি কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্য মানিভানান আল ভেলুই বলেন, ‘বাংলাদেশি শ্রমিকেরা যেখানে থাকেন, সেখানকার পরিবেশ একেবারেই অস্বাস্থ্যকর। আমরা বিভিন্ন সময়ে কারখানার মালিকদের এ বিষয়ে বলেছি। এমন পরিবেশে থাকলে যেকোনো সময় অসুস্থতা অস্বাভাবিক কিছু নয়।’
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রথম সচিব (শ্রম) মুশাররাত জেবিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় প্রতি মাসে গড়ে ৩০ থেকে ৩৫ জন বাংলাদেশি মারা যান। তাঁদের অধিকাংশই মারা যান স্ট্রোক, হৃদ্রোগ কিংবা দুর্ঘটনায়। আমরা লাশগুলো দেশে তাঁদের স্বজনদের কাছে পাঠাই। এসব মৃত্যু আসলেই মেনে নেওয়া যায় না। তবে যাঁরা কাজ করতে আসেন, তাঁরা যদি মানসিক দুশ্চিন্তা কমাতে পারেন, অসুস্থ হলে শুরুতেই যদি চিকিৎসক দেখান, তাহলে মৃত্যু অনেক কমে আসবে।’

অপহরণ মালয়েশিয়ায়, মুক্তিপণ আদায় দেশে!

02প্রায় এক মাস আগে একটি সংঘবদ্ধ চক্র ঢাকার দক্ষিণখান এলাকার ব্যবসায়ী ফয়েজ আহম্মেদকে মালয়েশিয়ায় অপহরণ করে। অপহরণকারীরা দেশে ফয়েজের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ২৮ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করে তাঁকে ছেড়ে দেয়।
র‍্যাব এ অভিযোগ পাওয়ার পর দেশের তিন জেলা থেকে ওই চক্রের সঙ্গে জড়িত সাতজনকে আটক করে। আজ শুক্রবার র‍্যাব-১১ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

র‍্যাব বলেছে, এই অপহরণের মূল পরিকল্পকের নাম লোকমান হোসেন। অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়ে সহযোগিতা করার জন্য লোকমানের স্ত্রী শাকিলা আক্তার, বোন আলেয়া বেগম, ভগ্নিপতি আবুল কালাম আজাদ, ভাগনে আল আমিন আসিফ, দূরসম্পর্কের ভাই আব্দুল্লাহ, লোকমানের সহযোগী জনির মা মাহমুদা পারভীন ও মো. আওলাদ হোসেন নামের এক হুণ্ডি ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত বুধ ও বৃহস্পতিবার দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
র‍্যাবের সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ২৩ জুলাই ব্যবসায়ী ফয়েজ আহম্মেদ মালয়েশিয়া যান। সেখানে তাঁকে লোকমান, তাঁর সহযোগী জনি ও এক মালয়েশীয় ব্যক্তি রাস্তা থেকে অপহরণ করে আটকে রাখেন। ১৭ দিন পর তাঁরা বাংলাদেশে ফয়েজের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে মুক্তিপণ হিসেবে এক কোটি টাকা দাবি করেন। ঘটনা জানতে পেরে ফয়েজের পরিবার দক্ষিণখান থানায় জিডি করে। কিন্তু অপহরণকারীদের চাপের মুখে তাঁরা প্রথমে অপহরণকারীদের ১৩ লাখ টাকা দেন। নারায়ণগঞ্জ শহরের দুই নং রেলগেট এলাকায় লোকমানের স্ত্রী শাকিলার কাছে ওই টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু অপহরণকারীরা পরে আরও ৫০ লাখ টাকা দাবি করে। পরে আরও দুই দফায় লোকমানের বোন আলেয়ার উকিল ভাই আবদুল্লাহর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়।

অপহরণকারীরা মুক্তিপণের ২৮ লাখ টাকা আদায়ের পর গত ১৮ আগস্ট ব্যবসায়ী ফয়েজ আহম্মেদকে ছেড়ে দেয়। তিনি ১৯ আগস্ট মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরে আসেন। দেশে ফিরে তিনি জানান, মালয়েশিয়ায় বন্দী থাকা অবস্থায় তাঁকে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব আরও জানায়, গত ১৬ আগস্ট অপহৃতের পরিবার র‍্যাব-১১ এর কার্যালয়ে এসে অপহরণের বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করে। এরপর র‍্যাব এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে শুরু করে। একপর্যায়ে তারা আসামিদের শনাক্ত এবং ব্যাংক লেনদেনের বিষয়ে নিশ্চিত হয়। এরপর র‍্যাব গত বুধ ও বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও মুন্সিগঞ্জ থেকে ওই সাতজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ১৪ লাখ ৯৯ হাজার ৮১৪ টাকাও উদ্ধার করা হয়।

র‍্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল আনোয়ার লতিফ খান আরও বলেন, এটি একটি সুপরিকল্পিত অপহরণ। অপহৃত ফয়েজ আহমেদ ব্যবসায়িক কাজে দুই বছর ধরে নিয়মিতভাবে মালয়েশিয়া যাতায়াত করতেন। আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে তাকে অনুসরণ করে এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিয়ে তাঁকে অপহরণ করে। তিনি আরও জানান, মূল অপহরণকারী লোকমান হোসেন, ফখরুদ্দীন আলী আহমেদ জনি ও মো. শরিফ এখনো মালয়েশিয়ায় পলাতক রয়েছেন।

ময়নূর রহমান বাবুল – এর সদ্য প্রকাশিত দু’টি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠান আগামী ২৫শে আগস্ট

01সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘পলল’ এর উদ্যোগে আগামী ২৫শে আগষ্ট মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় পূর্ব লন্ডনের বেথনালগ্রীনস্থ ডারবীশায়ার ষ্ট্রীট-এর অক্সফোর্ড হাউসে কবি ও গল্পকার ময়নূর রহমান বাবুলের সদ্য প্রকাশিত ‘নীল জলে নীল বিষ’ ‘নিগূঢ় পরম্পরা’ নামক দুইটি গল্পগ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব ও পাঠ উন্মোচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ও লেখক প্রফেসর অমর্ত্য সেন।

প্রকাশনা উৎসব আয়োজিত অনুষ্ঠান মালায় রয়েছে- বইয়ের মোড়ক উন্মোচন, আলোচনা এবং গল্পপাঠ ইত্যাদি।

অনুষ্ঠানকে প্রানবন্ত ও সফল করতে বিলাতে কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী, সাংস্কৃতিক কর্মী ও অনুরাগীদের সবান্ধব উপস্থিতি কামনা করা হয়েছে।
বিস্তারিত জানার জন্য যোগাযোগ: গোলাম আকবর মুক্তা- ০৭৯৮৪৪৭২৪০৩, আব্দুস সামাদ-০৭৫৩৮৩০৩৮৬৩।অথবা সাংস্কৃতিক সংগঠন পলল এর সভাপতি, ফারুক যোশী-০৭৯৫৮৪৯৩২৩৬, সম্পাদক, আনোয়ারুল ইসলাম

বাহরাইনে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

001সালেহ আহমদ সাকী, বাহরাইন থেকে :বাহরাইনে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার রাত ৮টায় বাহরাইনস্থ হুরা এলাকার আল আনারত হলে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ,যুবলীগ ও শ্রমিকলীগের উদ্যোগে ওই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বাহরাইন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হাসেম ও শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক

ফজলুল হক তালুকদারের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ‍উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সমাজের সভাপতি ফজলুর করিম বাবলু।

আওয়ামী লীগ সভাপতি জহির উদ্দিন বাবরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ

সমাজের সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন বাবুল, জালালাবাদ কমিউনিটির সভাপতি মোহাম্মদ কয়েছ

আহমেদ, আওয়ামী যুবলীগ সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান, সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান, যুগ্ম

সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, মো. সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক নজির আহাম্মদ, সহ-সভাপতি

জিয়া উদ্দীন ভূঞা, শ্রমিকলীগ সভাপতি আইয়ুবুর রহমান আকাশ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি সানোয়ার

হোসেন কাশেম, আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি মন্জুর আহমেদ আইয়ুব আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ

আহমেদ, প্রচার সম্পাদক আবুল কালাম, বাংলাদেশ সমাজের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মুসা, বঙ্গবন্ধু

পরিষদ আহ্বায়ক আবদুর শহীদ, সহ-সভাপতি মোস্তফা কামাল, আবদুল্লা আল মামুন, ওবাইদুল

রওশান প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বাহরাইন আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ সমাজ, অনলাইনে আমরা মুজিব সেনা, শ্রমিকলীগ ও

যুবলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আবার সুযোগ আসছে ওয়ার্ক পারমিটে ব্রিটেনে স্থায়ীভাবে বসবাসের

02ওয়ার্ক পারমিটে ব্রিটেনে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ আসছে আবার! আগামী বছর থেকে এ নিয়ম কার্যকর হওয়ার কথা। ওয়ার্কপারমিট ভিসায় যারা ব্রিটেনে স্থায়ী ভাবে বসবাস করতে চান তাদেরকে বার্ষিক ৩৫ হাজার পাউন্ড আয় দেখাতে হবে। শুধু তাই নয়, এখন থেকে ৫ বছর ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কাজ করার পর স্থায়ীভাবে বসবাসের আবেদনের যোগ্য হবেন।

হোম সেক্রেটারী তেরেসার বরাত দিয়ে বিবিসি জানায় ২০১৬ সালের এপ্রিল থেকে এই নিয়ম চালু হবে। এ নিয়মের ফলে নন ইউরোপিয়ানরা ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় এসে সেটেল্টমেন্টের আবেদন উল্লেখ যোগ্য হারে কমে যাবে।

অতীতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় এসে ৫ বছর থাকার পরই স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য আবেদনকরার সুযোগ ছিল। ২০১০ সালে এ সুযোগ কম করে দেওয়া হয়। নতুন করে আবার ২০১৬ সাল থেকে এই নিয়ম চালু করা হচ্ছে।

তবে, এবার ৫ বছর বসবাসের পাশাপাশি বাধ্যতামূলক ভবে বছরে ৩৫ হাজার পাউন্ড আয় দেখাতে হবে। এ নিয়মের পর ওয়ার্কপরমিট ভিসায় ব্রিটেনে যাওয়ার সুযোগ বাড়লেও স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ কমে যাবে।

উল্লেখ্য, ব্রিটিশ কোয়ালিশন সরকার ক্ষমতায় এসেই ঘোষণা দিয়েছিলো, গণহারে অভিবাসী আগমন ঠেকাতে। এ লক্ষ্যে লিবডেম-কনজারভেটিভ জোট সরকার বেশকিছু পদক্ষেপও গ্রহন করে। সরকারের এই পদক্ষেপ ফলপ্রসূ হয়েছে বলে সম্প্রতি দাবী করেছেন, দেশটির হোম সেক্রেটারী থেরেসা মে এমপি। সম্প্রতি এক জরিপে উঠে এসেছে, ব্রিটেনে অভিবাসীদের আসা ও যাওয়ার হার এক তৃতীয়াংশ হ্রাস পেয়েছে।
অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্স (ওএনএস) এ তথ্য জানিয়েছে। ওএনএস এর তথ্য মতে, আগের বছরের ২ লাখ ৪৭ হাজার অভিবাসীদের তুলনায় ২০১৩ সালে নিট মাইগ্রেশন কমে ১ লাখ ৬৩ হাজারে দাঁড়িয়েছে। ব্রিটেনে আগত অভিবাসীদের সংখ্যা আগের বছরের ৫ লাখ ৫৮ হাজারের তুলনায় এ সময় কমে ৫ লাখ ১৫ হাজারে নেমে আসে। একই সঙ্গে ব্রিটেন ত্যাগকারী অভিবাসীদের সংখ্যা আগের বছরের ৩ লাখ ৪২ হাজারের তুলনায় ৩ লাখ ৫২ হাজারে উন্নিত হয়েছে। নিট মাইগ্রেশন ৩৪ শতাংশ কমে যাওয়ার পেছনে এই হিসেব গুলোই মূখ্য ভূমিকা পালন করেছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

সিলেট লেখক ফোরাম’র এসএসসি এ প্লাস প্রাপ্তদের সংবর্ধনা সাহিত্য আড্ডা মেধাবীদের আরও বেশি পৃষ্টপোষকতা প্রয়োজন

04সিলেট লেখক ফোরাম’র উদ্যোগে শেকড়ের সন্ধানে আধ্যাত্মিক কবি শিতালং শাহ, মরমী কবি হাসন রাজা, জ্ঞানের সাগর দুরবীন শাহ, রাধা রমন, বাউল স¤্রাট শাহ আব্দুল করিম, মুহম্মদ নূরুল হক, কালের স্বাক্ষী সুরমা নদী, এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম হ্যারিটেজ টাঙ্গুয়ার হাওরসহ উপমহাদেরশের শ্রেষ্ঠ লেখক কবি সাহিত্যিক গীতিকার আউল বাউল সাহিত্যসেবিদের স্মৃতিধন্য ঐতিহাসিক স্থানসমুহে সফল সাহিত্য আড্ডার আয়োজন সত্যিই প্রশংসনীয়। তারা লন্ডন সৌদিআরবের পবিত্র মক্কা নগরী দুবাই কাতারসহ আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে সাহিত্য আড্ডার আয়োজন করে আমাদের গৌরব সম্মান ও মর্যাদা বিশ্ব দরবারে তুলে ধরছেন। শেকড়ের সন্ধানে তাদের এসব অভিযাত্রা ও দেশ বিদেশের ঐতিহাসিক স্থানসমুহে সাহিত্য আড্ডার আয়োজন ইতিহাসের পাতায় স্বর্নাক্ষরে লেখা থাকবে। শুধু তাই নয় গ্রাম বাংলার প্রচীণ ঐতিহ্যকে লালন করতে পিঠা উৎসব, লেখক কবি সাহিত্যিকদের উৎসাহ দিতে গ্রন্থ প্রকাশনা অনুষ্ঠান, রত্মগর্ভা মা-বাবাদের সম্মান দিতে রত্মগর্ভা মা-বাবা সম্মাননা, গরিব অসহায়দের চিকিৎসা সহায়তা, ক্রীড়াক্ষেত্রে পৃষ্টপোষকতা, পরিবেশ উন্নয়নে বৃক্ষ রোপনের পাশাপাশি প্রতি বছর তারা মেধাবীদের আরও উৎসাহিত করতে ও ভবিষ্যত পরীক্ষার্থীদের ভালো ফলাফলে উৎসাহ দিতে বোর্ড পরীক্ষায় এ প্লাস প্রাপ্তদের সংবর্ধনা দিয়ে যাচ্ছেন। ফোরামের নজরকাড়া এসব ব্যতিক্রম ও ভিন্নধারার অনুষ্ঠান আয়োজন সত্যিই প্রশংসনিয়।
সিলেট লেখক ফোরাম আয়োজিত বিগত এসএসসি পরীক্ষায় এ প্লাস প্রাপ্তদের সংবর্ধনা ও সাহিত্য আড্ডায় বক্তারা এসব কথা বলেন। তারা আরও বলেন মেধাবী ছাত্র ছাত্রীরাই জাতির আগামী দিনের কর্ণধার। তাদেরকে রাষ্ট্রিয় সামাজিক ও পারিবারিকভাবে আরও বেশি পৃষ্টপোষকতা প্রয়োজন।
ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি গীতিকার সুরকার কবি নাজমুল ইসলাম মকবুল’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন, কামাল বাজার আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মুফতি এ.কে.এম মনোওর আলী।
কবি ও গীতিকার মাস্টার আজম আলীর পরিচালনায় গতকাল সিলেটের কামালবাজার এলাকার লালটেকস্থ আলহাজ্ব তাহির আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন লন্ডনের বেতার বাংলা শ্রোতা ফোরাম সভাপতি আবিদ হোসেন অপু। প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন রম্য লেখক গীতিকার ও লন্ডনের জনপ্রিয় পুথিসাহিত্যিক হাসনাত মুহা. আনোয়ার।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বেতার বাংলা শ্রোতা ফোরাম, ইউ.কের সিনিয়র সহ সভাপতি ফখরুল হক লুকু, সহ সভাপতি কমেডিয়ান জিয়ার আহমেদ ও বেতার বাংলা ইউ.কের প্রেজেন্টার কবি ও আবৃতিকার নজরুল ইসলাম অকিব।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আলহাজ্ব তাহির উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক প্রদীপ কুমার চৌধুরী, সহ. প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন, তালিবপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক মোঃ মাশুক আহমদ, গীতিকার ও শিল্পী হেলাল খান, শিক অজিত কুমার শীল, মোঃ গোফরান হোসেন, মোঃ মনিরুজ্জামান, জুয়েল আহমদ, আব্দুল কুদ্দুছ, ফোরামের ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মো. ফখর উদ্দিন, নাহিদ আহমদ প্রমূখ।
শুরুতে পবিত্র কালামে পাক থেকে তিলাওয়াত করেন ছালেহ আহমদ। সঙ্গীত পরিবেশন করেন জাগরণ ইসলামী সংস্কৃতিক দলের সহকারী পরিচালক আরিফ রব্বানী, বিদ্যালয়ের ছাত্র ছালেহ আহমদ। অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করেন জেসমীন বেগম, সালমা বেগম, লিজা বেগম।

Developed by: