১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন শহিদ নেওয়ার আলী ছিলেন টকবগে কিশোর। দেশমাতৃকার টান ছিল তাঁর রক্তকণিকায়। তাই সকলের অজান্তে মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং নিতে ভারতে চলে যান এবং ট্রেনিং গ্রহণ করে দেশে এসে সম্মুখ সমরে যোগ দেন। মেজর সি.আর দত্তের অধীনে ফেঞ্চুগঞ্জ, কুলাউড়া সীমান্তে যুদ্ধ করে পাকসেনাদের ঘায়েল করতে থাকেন। তিনি শ্যামবাজারে পাক সেনাদের অবস্থান জানতে পেরে তাঁর বন্ধু মানিককে নিয়ে শ্যামবাজারে পাশে একটি ব্রিজ উপড়ে ফেলার প্রস্তুতকালে একজন বিশ্বাসঘাতক মুক্তিযোদ্ধার গোপন আতাঁতে তারা পাকসেনাদের হাতে ধরা পড়ে যান। পাক সেনারা তাদেরকে আটক করে নির্যাতন করতে থাকে এবং এক পর্যায়ে মেরে ফেলে। তাদের সমাধিস্থল পাওয়া যায়নি। তাঁর গেজেট নং ২১৫, মুক্তিবার্তা নং ০৫০১০১০৩৫৮। মুক্তিযোদ্ধা ভারতীয় নং ২২৩৮৯।
শহিদ নেওয়ার আলী মোগলাবাজার ইউনিয়নের সরিষপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা (মরহুম) হাজি আকবর আলী ও মাতা সোনাবান খানম। সাত ভাইয়ের মধ্যে নেওয়ার আলী দ্বিতীয়।