ম্যাক্সওয়েল-অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বরেকর্ড

30690_Maxwellসবকিছু যেন পরিকল্পিত। অস্ট্রেলিয়ার মারকুটে ব্যাটসম্যান গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। কিন্তু ৩৪ টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের কখনো ওপেনিংয়ে নামেননি। তবে কী মনে করে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে তাকে নিয়ে ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে গেলেন অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। আর প্রথমবার ওপেনিংয়ে নেমেই একের পর এ রেকর্ড ভেঙে গেলেন ম্যাক্সওয়েল। ব্যক্তিগত এবং দলীয় বেশ কয়েকটি পুরোনো রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়লেন ম্যাক্সওয়েল ও অস্ট্রেলিয়া। দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে শ্রীলঙ্কাকে ৮৫ রানে হারালো সফরকারী অস্ট্রেলিয়া। পাল্লেকেলেতে টস হেরে আগে ব্যাটে গিয়ে ম্যাক্সওয়েলেন সেঞ্চুরিতে অস্ট্রেলিয়া সংগ্রহ করে ৩ উইকেটে ২৬৩ রান। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস এটি। এর আগে সর্বোচ্চ ২৬০ রানের রেকর্ড ছিল শ্রীলঙ্কার। ২০০৭ বিশ্বকাপে কেনিয়ার বিপক্ষে তারা এই রেকর্ড গড়ে। তবে এবার সেটা গেলো অস্ট্রেলিয়ার দখলে রেকর্ড গড়া সেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। শুধু আন্তর্জাতিক নয়, ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতেও সর্বোচ্চ রানের ইনিংস এটি। ভারতীয় প্রিমিয়ার লীগে লীগে (আইপিএল) ২০১৩ সালে সমান- ২৬৩ রান করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টির ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের রকের্ড প্রায় করে ফেলেছিলেন ম্যাক্সওয়েল। তিনি এদিন ৯ ছক্কা ও ১৪ চারে ৬৫ বলে ১৪৫ রানে অপরাজিত থাকেন। টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ১৫৬ রানের ইনিংসে অ্যারোন ফিঞ্চের। ২০১৩ সালে সাউদাম্পটনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি এই রেকর্ড গড়েন। এতে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের শীর্ষ তিনে তিন অস্ট্রেলীয়। ফিঞ্চ ও ম্যাক্সওয়েলের পর ১২৪* রান নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছেন শেন ওয়াটসন। ম্যাক্সওয়েল এদিন ফিঞ্চকে স্পর্শ করতে না পারলেও অন্য একটি বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন। ওপেনিংয়ে নেমে প্রথম ম্যাচেই সর্বোচ্চ রানের ঘটনা এটি। এর আগে প্রথম ওপেনিংয়ে নেমে সর্বোচ্চ ৯৬ রানের রেকর্ড ছিল অস্ট্রেলিয়ার ড্যামিয়েন মার্টিনের। ২০০৬ সাল ব্রিজবেনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেতিনি এই রেকর্ড গড়েন।
অস্ট্রেলিয়ার এই রেকর্ড রান তাড়া করতে নেমে শ্রীলঙ্কা ৯ উইকেটে ১৭৮ রান তুলতে পারে। দলীয় মাত্র ৪৫ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন দিনেশ চন্ডিমাল। এছাড়া চামারা কাপুগেদারা করেন ২৫ বলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৩ রান। ষষ্ঠ উইকেটে তারা সর্বোচ্চ ৪৪ রান যোগ করেন। এতে চলতি বছর টি-টোয়েন্টিতে হার জারি থাকলো শ্রীলঙ্কার। চলতি বছর তারা ১৫ টি-টোয়েন্টির ১২টিই হেরেছে। এক পঞ্জিকা বর্ষে সর্বাধিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হারের ঘটনা এটি। ২০১০ সালে সমান- ১২ ম্যাচ হারের রেকর্ড আছে পাকিস্তানের। তবে পাকিস্তান ওই লজ্জার রেকর্ড গড়ে ১৮ ম্যাচে। শ্রীলঙ্কা-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার দ্বিতীয় ও শেষ ওয়ানডে শুক্রবার।

Developed by: