ধর্মপাশায় ‘দুর্গম হাওরে বঙ্গবন্ধু’ অনুষ্ঠান ও বঙ্গবন্ধু কর্ণারের উদ্বোধন

১৯৭০ সালের জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনের আগে সপ্তাহব্যাপী ময়মনসিংহ, সিলেট এলাকা সফরে সীমান্তবর্তী সুনামগঞ্জ জেলার দুর্গম হাওর এলাকা সুখাইড় রাজাপুর ইউনিয়নে যান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শোকের মাস আগস্টে হাওরের এই প্রত্যন্ত অঞ্চলে বঙ্গবন্ধুর সেই সফরকে স্মরণীয় করতে গতকাল বৃহস্পতিবার ‘ দুর্গম হাওরে বঙ্গবন্ধু’ শিরোনামে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ।

বৃহস্পতিবার বিকালে ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সভাপতি শাহ আব্দুল বারেক ছোটনের সভাপতিত্বে ও জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক জুবের আহমদ অপু’ এবং ধর্মপাশা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম পলাশের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ। অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, বিশেষ অতিথি সহ-সভাপতি সুব্রত পুরকায়স্থ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বের চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষিবিদ আফম মাহবুবুল হাসান, ধর্মপাশা উপজেলা চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রোকন, ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ বিলকিস প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নির্মল রঞ্জন গুহ বলেন, নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে হবে। দেশপ্রেমে শাণিত হতে হবে। এজন্য তাদের বেশি করে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক বই পড়া দরকার।’

প্রধান বক্তার বক্তব্যে একেএম আফজালুর রহমান বাবু বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যা কান্ডে জড়িত জিয়ার মরণোত্তর বিচার চাই। একই সাথে ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলার মামলায় তারেক রহমানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড নয় ফাঁসি চাই।’

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহারাজ মিয়ার ছেলে ও রাজাপুর দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান আমানুর রাজা চৌধুরী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর উপ পানি বিষয়ক সম্পাদক জামিল আহমদ, উপ প্রবাসী বিষয়ক জামিল আহমদ, কার্যকরী সদস্য এডভোকেট কামাল উদ্দিন আহমদ, আবু জাফর, মির্জা মোর্শেদ মিলন, জামিল আহমদ, পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাসমির রেজা, সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কাউন্সিলর আফতাব হোসেন খাঁন, সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাস মিঠু, সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সুয়েব চৌধুরী, মৌলভীবাজার জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নাজমুল হক, ময়মনসিংহ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নুরুজ্জামান, সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি মুজিব মালদার, এম. রশিদ আহমদ, সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট বুরহান উদ্দিন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বঙ্গবন্ধু রাজাপুর এসেছিলেন ১৯৭০ সালের ৯ অক্টোবর। তৎকালীন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহারাজ মিয়ার এই বাড়িতে নোঙর করে বঙ্গবন্ধুকে বহনকারী লঞ্চ তিতাস। সেদিন ছিল শুক্রবার। পার্শ্ববর্তী মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন বঙ্গবন্ধু। বাংলোতে বিশ্রাম নেন ও দুপুরের খাবার গ্রহণ করেন। এরপর এখানে এক নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেন। দুর্গম হাওর এলাকায় বঙ্গবন্ধুর এই আগমন এলাকাবাসীকে দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করে। বৃহস্পতিবার এখানেই বঙ্গবন্ধু কর্ণারের উদ্বোধন করা হয়েছে। উদ্বোধন করেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। বঙ্গবন্ধু কর্ণারে বই উপহার দেন তারা। সবশেষে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত এই বাড়িতে বৃক্ষরোপণ করেন তারা

Developed by: