বিভাগ: বিনোদন

যৌনপল্লীর সন্তান থেকে শিল্পী

জন্ম যাদের আজন্ম পাপ – তারা আজ আদায় করে নিয়েছে স্বীকৃতি। এশিয়ার সবচেয়ে বড় যৌনপল্লীর একটি সোনাগাছিতে বেড়ে ওঠা শিশুরা আলোকিত হয়েছেন সংগীতের আলোয়। তারা গঠন করেছে ‘দুর্বার ইউথস’ নামের একটি ব্যান্ডদল। দশ সদস্যের ব্যান্ডটির প্রথম অ্যালবাম ‘নিঝুম রাতের তারা’ দুর্গা পূজায় প্রকাশিত হয়েছে।

সাতটি আধুনিক বাংলা গানের এই সংকলন নিয়ে যারপরনাই উচ্ছসিত ‘দুর্বার ইউথস’-এর সদস্যরা। ব্যান্ডটির অন্যতম সদস্য রতন বলেন, “এই ব্যান্ডের অধিকাংশ সদস্যই যৌনকর্মীর সন্তান। আবার কেউ কেউ আছে, যাদের যৌনবৃত্তির সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই, কিন্তু তারা সোনাগাছিরই বাসিন্দা। সমাজে আমাদের আলাদা করে দেখা হয় বলে আমরা খুব বেশি প্রচারের আলো পাই না। আর তাই নিজেদের প্রতিভা দেখানোর সুযোগ পেয়ে আমরা দারুণ আনন্দিত।”

রতন নিজেও একজন যৌনকর্মীর সন্তান। ছোটবেলা থেকেই গান গাওয়ায় পারদর্শীতা থাকলেও কখনও আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ পাননি। তিনি আরও বলেন, “আমরা এর আগেও গানের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছি। কিন্তু সবাই যখনই আমাদের পরিচয় জানতে পারে, তখনই মূলধারা থেকে আমাদের আলাদা করে ফেলা হয়।”

যৌনকর্মীদের সন্তানদের নিয়ে অ্যালবাম প্রকাশের এই উদ্যোগ নেয় পশ্চিমবঙ্গের ফোক ব্যান্ড কায়া। এ ব্যাপারে তাদের সহযোগিতা করে প্রদেশটিতে যৌনকর্মীদের সবচেয়ে বড় সংগঠন ‘দুর্বার মহিলা সমন্বয় সমিতি’।

‘দুর্বার ইউথস’-এর আরেক সদস্য মিতা বলেন, “বাড়িতে আমার বাবা আমাকে গান গাইতে দিতেন না। আমার মা নেই। পরে ১৬ বছর বয়সে আমি কাজের খোঁজে চলে আসি সোনাগাছিতে। তখন দুর্বার মহিলা সমন্বয় সমিতি আমাকে উদ্ধার করে। আমাকে যৌনকর্মী হওয়া থেকে নিবৃত্ত করে। তখন থেকে আমি কাজ করছি তাদের সঙ্গেই। অন্য মেয়েদের উৎসাহিত করছি এ পথে না আসার জন্য। পাশাপাশি যেটা করতে আমি সবচেয়ে ভালবাসি, সেই গান আর নাচ চালিয়ে যাচ্ছি পুরোদমে।”

কায়া ব্যান্ডের গীতিকার এবং বেইজিস্ট অরিন্দম জানালেন ব্যান্ডটির অ্যালবাম প্রকাশের শুরুর দিককার কথা।

“আমরা যখন এই শিশুদের ব্যাপারে জানতে পারলাম, তখন আমরা দেখলাম কি অসাধারণ প্রতিভাধর তারা! কিন্তু এতদিন তারা কেবল জনপ্রিয় ধারার গানগুলিই বারবার করে গাইতো। আমরা তাদেরকে বললাম, তোমরা নিজেদের গান গাইছো না কেন? এরপর তাদের জন্য গান তৈরি করে দিলাম আমরা, আর তারা কণ্ঠ দিল সেটাতে।”

অরিন্দমদের কাছেই এখন গিটারের তালিম নিচ্ছেন রতন। তিনি জানালেন, প্রতিবছরই এমনিভাবে একটি করে অ্যালবাম প্রকাশের ইচ্ছা আছে তাদের।

“সামনের বছরই হিন্দি আর বাংলা গানের একটি মিশ্র অ্যালবাম প্রকাশের কথা চিন্তা করছি আমরা। ইচ্ছা আছে, এভাবে দুর্গা পূজার আগ দিয়ে প্রতি বছর একটি করে অ্যালবাম বের করার।”

অ্যালবামটির দাম রাখা হয়েছে ১২৫ রুপি। রতন জানিয়েছেন অ্যালবাম বিক্রির অর্থ ব্যায় করা হবে যৌনকর্মীদের শিশুদের কল্যাণে।

বন্যাদুর্গতদের পাশে সালমান

ভারতের জম্মু এবং কাশ্মিরের বন্যা কবলিত মানুষদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন বলিউড তারকা সালমান খান। দুর্গতদের পুনর্বাসন এবং ত্রাণ বাবদ তিনি দান করেছেন ৫০ লাখ রুপি।

ভারতীয় সাময়িকী ইন্ডিয়া টুডে এক সূত্রের বরাত দিয়ে বলছে, সালমান বরাবরই দাতব্য কাজের জন্য পরিচিত। জাম্মু এবং কাশ্মিরে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়াকে নিজের দায়িত্ব মনে করেছেন তিনি।

অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যায় জাম্মু এবং কাশ্মির এলাকায় এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৪৩ জন। ভেসে গেছে শতাধিক ঘরবাড়ি।

অনেক তারকাই বন্যাদুর্গতদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। শচিন টেন্ডুলকার ১৫ লাখ রুপির ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহ করেছেন। এছাড়াও দিয়েছেন নগদ ২৫ লাখ রুপি।

দুর্গতদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন শাহিদ কাপুর এবং শ্রদ্ধা কাপুরও। সম্প্রতি তাদের নতুন সিনেমা ‘হায়দার’-এর প্রচারণার জন্য অমিতাভ বচ্চনের উপস্থাপনায় গেইম শো ‘কৌন বানেগা ক্রোড়পতি’ – তে অংশগ্রহণ করেন তারা। সেখানে তাদের জেতা সব অর্থ তারা দান করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে, যা কাজে লাগবে দুর্গতদের জন্য।

হলিউডে জ্যাকুলিন

এ বছরের সবচেয়ে ব্যবসাসফল সিনেমা ঝুলিতে পোরার পর দিন বেশ ভালোই কাটছে শ্রীলঙ্কান সুন্দরী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজের। শোনা যাচ্ছে হলিউডেও অভিষেক ঘটতে যাচ্ছে তার।

ভারতীয় সাময়িকী ইন্ডিয়া টুডে বলছে জেমস সিম্পসন পরিচালিত সিনেমায় অভিনয়ে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিনি। খুব শিগগিরই শুটিং করতে এক মাসের জন্য কানাডা পাড়ি দেবেন জ্যাকুলিন।

‘ডেফিনিশন অফ ফিয়ার’ নামের এই সাসপেন্স থ্রিলার ধাঁচের সিনেমাটিতে জ্যাকুলিনের সঙ্গে কারা অভিনয় করবেন তা এখনও জানা যায়নি।

এখন রানবির কাপুরের সঙ্গে নতুন সিনেমা ‘রয়’-এর কাজে এখন ব্যস্ত জ্যাকুলিন। মালয়েশিয়ার লাংকাওয়িতে চলছে সিনেমাটির শুটিং। সিনেমায় আরও দেখা যাবে অর্জুন রামপালকে। সিনেমাটিতে দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করছেন জ্যাকুলিন।

এছাড়াও এই ‘কিক’ তারকাকে দেখা যাবে ‘ব্যাঙ্গিস্তান’ সিনেমায়। এখানে তার সঙ্গে থাকবেন রিতেশ দেশমুখ এবং পুলকিত সম্রাট।

এখনও চলছে নগ্ন ছবি ফাঁস

নগ্ন ছবি ফাঁস কাণ্ডের নতুন শিকার হয়েছেন ‘ব্যাড বয়েজ টু’ অভিনেত্রী গ্যাব্রিয়েল ইউনিয়ন। এছাড়াও প্রকাশিত হয়েছে কিম কারদাশিয়ান, ভেনেসা হাজেন্স, এভ্রিল ল্যাভিনসহ আরও বেশ কিছু তারকার ছবি।
স্বামী ডোয়েইন ওয়েইডকে নিজের কয়েকটি অর্ধনগ্ন ছবি পাঠিয়েছিলেন ইউনিয়ন, যেগুলো পরে মুছেও দেওয়া হয়। কিন্তু তারপরও কিভাবে ছবিগুলো ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লো তার রহস্যভেদ করতে মার্কিন রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের সাহায্য নিতে চান ৪১ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী।

সম্প্রতি এক যৌথ বিবৃতিতে এই তারকা দম্পতি বলেন, “সভ্যতার শুরু থেকেই নারী ও শিশু এবং বিশেষ করে ভিন্ন বর্ণের নারীরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। সারা বিশ্বে প্রতিনিয়ত এ ধরনের ঘটনা ঘটেই চলেছে।”

এদিকে আবারও ফাঁস করা হয়েছে বেশ কিছু নারী তারকার নগ্ন ছবি। টুইটার এবং রেডিটে প্রকাশিত ছবিগুলো দেখে ধারণা করা হচ্ছে এগুলো সেলফি এবং ছবির তারকারা কিম কারদাশিয়ান, এভ্রিল ল্যাভিন, ভেনেসা হাজেন্স, লিলি সবিয়েস্কি এবং লেক বেলমে। তবে কোনো তারকাই এখন পর্যন্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেননি।

তিন সপ্তাহ আগে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে জেনিফার লরেন্স, কাস্টর্েন ডান্সট, কেইট আপটনসহ অন্তত শত নারী তারকার গোপন ছবি। টেক জায়ান্ট অ্যাপলের ফটো শেয়ারিং ওয়েবসাইট হ্যাক করে এই ছবিগুলো হাত করা হয়। এ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে এফবিআই।

‘এই ভণ্ডামি কেন?’ – দিপিকাকে টাইমস অফ ইন্ডিয়া

সম্প্রতি ভারতীয় দৈনিক টাইমস অফ ইন্ডিয়া তাদের অনলাইন সংস্করণে দিপিকার একটি ভিডিও পোস্ট করার পর প্রতিবাদ জানান অভিনেত্রী দিপিকা পাড়ুকোন। এরপর জল গড়িয়েছে বহু দূর। ১৯শে সেপ্টেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে একটি খোলা চিঠির মাধ্যমে এ বিষয়ে নিজের শেষ কথা বলেন এই অভিনেত্রী। এবার টাইমস অফ ইন্ডিয়ার পালা।

গ্লিটজের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো দৈনিকটিতে এ বিষয়ে ছাপা খোলা চিঠি

প্রিয় দিপিকা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গী

টাইমস অফ ইন্ডিয়ার অনলাইন বিনোদন বিভাগে ছাপা একটি ভিডিও ও টুইট নিয়ে দিপিকা পাড়ুকোনের প্রতিক্রিয়ার সমর্থনে গত কয়েকদিনে বিভিন্ন মাধ্যমে টুইট আর খবরের বন্যা বয়ে যাচ্ছে।

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মিডিয়া হাউজগুলোর একটি হওয়ায় এবং প্রিন্ট, টিভি, রেডিও এবং অনলাইনে পদচারণা থাকায়, প্রত্যেকটি মাধ্যম এবং মাধ্যম ব্যবহারকারীদের আমরা আলাদাভাবে দেখি। বিভিন্ন মাধ্যমে সংবাদ পরিবেশন এবং গ্রহণের কোনো সর্বজনগ্রাহ্য ফর্মুলা নেই।

শুক্রবারে ফেইসবুকে দিপিকা লেখেন, “একটি চরিত্রের জন্য হয়তো আপাদমস্তক ঢাকা পোশাক পরলাম, অন্য চরিত্রে সম্পূর্ণ নগ্ন হওয়ারও প্রয়োজন হতে পারে এবং একজন অভিনেতা হিসেবে এটা আমার সিদ্ধান্ত আমি কি করবো। বুঝতে হবে যে এটা চরিত্র, আসল মানুষটা নয় এবং আমার কাজ হচ্ছে যে চরিত্র রূপায়নের দায়িত্ব আমি নিয়েছি তা বিশ্বাসযোগ্যভাবে উপস্থাপন করা।”

‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’ সিনেমার ট্রেইলার প্রকাশ অনুষ্ঠানে (তার বাস্তব জীবনের একটি প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে), দিপিকা পাড়ুকোনকে বড় গলার একটি আনারকালি পরিহিত অবস্থায় দেখা যায়। @টিওআইএন্টারটেইনমেন্ট যে ভিডিওটি টুইট করেছিল, সেটা ইউটিউবে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আয়োজিত হচ্ছে এবং ‘ক্র্যাফট বাজ’ নামে একটি চ্যানেলে ২০১৩ সালে ১৮ই জুন আপলোড করা হয়।

দিপিকা, আমরা আপনার পর্দা বনাম বাস্তবের যুক্তি মেনে নিচ্ছি, কিন্তু পর্দার বাইরে বহুবার আপনি আপনার দেহ প্রদর্শন করেছেন – মঞ্চে নাচার সময়, ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদের জন্য ছবি তোলার সময় অথবা সিনেমার প্রচারে ছবি তোলার সময়। তখন আপনি কোন ‘চরিত্রে’ অভিনয় করছিলেন? কাজেই, এই ভণ্ডামি কেন? বিভিন্ন গণমাধ্যম দিপিকার বুকের ভাঁজ ইচ্ছেমতোই প্রদর্শন করেছে যদিও তার পক্ষে তাদের আওয়াজ বেশ জোরেসোরেই শোনা গেছে – তারাও একইভাবে ভণ্ড। তারা কি ঐ ছবিগুলো ছাড়া প্রতিবেদন ছাপতে পারতো না?

হ্যাঁ, শিরোনাম আরও ভালো হতে পারতো। কিন্তু খবরের কাগজ আর অনলাইনের জগত একদম আলাদা। এটা বিভ্রান্তি এবং বিশৃঙ্খলায় পরিপূর্ণ – আর রগরগে শিরোনাম প্রায়ই হয়ে থাকে।

আমরা সবসময়ই নৈতিক নিয়ন্ত্রণের বিরোধিতা করেছি। আমরা বিশ্বাস করি, দিপিকা নিজের দেহ প্রদর্শন করবেন, তাতে লজ্জার কিছু নেই, কিন্তু এখন কি তিনি চান, তার প্রকাশ্য আয়োজনে তোলা ছবিগুলো ছাপা হবে কি হবে না – সে বিষয়ে তার অনুমতি নেওয়া হোক? এখন কি আরেকটা সমান্তরাল সেন্সর বোর্ড বসানো হবে, যারা তারকাদের পর্দার বাইরে কিন্তু জনসম্মুখে তোলা ছবি, যেমনটা দিপিকার ছবি ছিল, সেগুলো কাটছাট করবে? ছবিগুলো গোপন ক্যামেরা দিয়ে তোলা হয়নি, কেউ তার বাসায় চুরি করে ঢুকে, তার গোপনীয়তা লঙ্ঘন করে, তার অনুমতি না নিয়েও ছবিগুলো তোলেনি।

দিপিকা, যিনি তার ক্যারিয়ার শুরু করেছেন একটি নেশাকর পানীয়ের ‘ক্যালেন্ডার গার্ল’ হিসেবে, লিখেছেন, “হ্যাঁ আমরা বিস্মিত হই, হিংসা করি এবং আমাদের জিভে জল চলে আসে চলচ্চিত্রে একজন অভিনেতার এইট-প্যাক সম্বলিত দেহ দেখে, কিন্তু তিনি যখন জনসম্মুখে আসেন আমরা কি তার গোপন অঙ্গের দিকে ক্যামেরা তাক করে রাখি এবং ‘সস্তা শিরোনাম’ বানাই??!!” দিপিকা, বলে রাখছি, আমরা কোনো নারীর যোনিপথ কিংবা স্তনবৃন্তের দিকে ক্যামেরা তাক করি না। বরং যদি কখনো কোনো ছবিতে তা দেখা যায়, একটি খবরের কাগজ হিসেবে আমরা খেয়াল রাখি যেন তা ঘোলা করে দেওয়া হয়, কিন্তু আপনার বুকের ভাঁজ শাহরুখ খানের এইট প্যাকের মতোই যৌনআবেদনময়। সারা বিশ্বের অনলাইন মাধ্যমের ধরন অনুযায়ী, একটি প্রতিবেদনের শিরোনাম হতেই পারতো, “ওএমজি…শাহরুখের এইট-প্যাক সেক্সি অ্যাব!!!” আপনি আরও লিখেছেন, “সবারই নিজের মত দেওয়ার অধিকার রয়েছে। আমার এটা নিয়ে কথা বলার আর কোনো ইচ্ছা নেই যেহেতু এটা প্রয়োজনের চেয়ে বেশি মনোযোগ পাবে এবং বিষয়টিকে আরও বেশি দুমড়ে মুচড়ে, আরও বদলে দিয়ে অপ্রয়োজনীয় শিরোনাম তৈরি করা হবে যাতে বিক্রি বাড়ে।” টুইটারে নিজের বক্তব্য দেওয়ার পরও আপনি প্রত্যেকটি বার্তা রিটুইট করেছেন এবং যতগুলো সম্ভব সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সম্পষ্টতই এতে আপনার বেশ প্রচার হয়েছে, আর এমন একটা সময়ে যখন আপনার নতুন ছবি মুক্তি পাচ্ছে। ভিডিওটি ইউটিউবে এক বছর ধরে আছে, এখন আপত্তি জানালেন কেন? আর আমাদের গণমাধ্যমের বন্ধুদের জন্য বলছি, তারা কি এখন থেকে বুকের ভাঁজের ছবি ছাপা বন্ধ করে দেবে, দিপিকারটাসহ?

থলের ‘ক্যাট’ বেরুলো

তাদের প্রেম তো বটেই, বিয়ের খবরও চাউর হয়ে গেছে বেশ আগেই। হিন্দি সিনেপাড়ার সবচেয়ে আলোচিত জুটি রানবির কাপুর এবং ক্যাটরিনা কাইফ এরপরও নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে লুকোচুরি খেলেই যাচ্ছিলেন গণমাধ্যমের সঙ্গে। এমনকি কিছুদিন আগে রানবির ‘ক্যাটের জন্য মরতে পারি’ বললেও, মুখ খোলেননি ক্যাটরিনা।

অবশেষে বেরুলো থলের বিড়াল। ভারতের এক শীর্ষ দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্যাটরিনা বললেন, তার জীবনে রানবিরের উপস্থিতির কথা কারও অজানা নয়।

“রানবিরের ব্যাপারে যদি আপনি জানতে চান, তাহলে আমি বলবো,(আমাদের জীবনের নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনাগুলো বাদ দিয়ে) সে আমার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একজন মানুষ। আমার জীবনের অনেক বড় একটা অংশ সে। তার প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা আছে আমার।”

ক্যাটরিনা আরও বলেন, “সে অসাধারণ একজন মানুষ এবং দারুণ এক অভিনেতা। এবং আমার ধারণা বেশিরভাগ মানুষ আমার জীবনে তার উপস্থিতির কথা জানে।”

ক্যাটরিনার মতে, রানবিরের সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে ‘আনুষ্ঠানিকভাবে’ বলার কিছু নেই। কারণ, নতুন করে এ বিষয়ে সবাইকে জানানোর কিছু নেই।

“আনুষ্ঠানিকভাবে এখন যদি কিছু বলি, তাহলে মনে হবে আমি নতুন করে কিছু জানাচ্ছি। আমার মনে হয়, রানবির যে আমার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ- এটা বলাটাই যথেষ্ট। এর বেশি কিছু বলার প্রযোজন আছে বলে আমি মনে করিনা।”

অবশ্য বিয়ের ব্যাপারে পরিস্কার করে কিছুই বলেননি ক্যাটরিনা। তার ভাষ্যে, “বিয়ে খুব বড় একটা ব্যাপার। জীবনে এটা বড় ধরনের পরিবর্তন নিয়ে আসে, যার সঙ্গে মানিয়ে নিয়েই দাম্পত্যজীবনকে সফল করতে হয়। আর তাই অনেক ভালোবাসা, চিন্তা এবং পরিপক্কতা নিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়। যদি সেটা কখনও হয়, তাহলে সবাই জানতে পারবে।”

আরফিন রুমির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ পেছালো

1410441599
২০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে প্রথম স্ত্রী লামিয়া ইসলাম অনন্যাকে নির্যাতনের মামলায় কণ্ঠশিল্পী আরফিন রুমির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ পেছালো। বৃহস্পতিবার ঢাকার ৪ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক আরিফুর রহমান ছুটিতে থাকায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক এনামুল হক ভুইয়া আগামি ২১ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেছেন।
অনন্যা জানান, মামলাটির বিষয়ে আপোষ করে বৃহস্পতিবার আদালতে আপোষনামা দাখিলের জন্য আরফিন রুমিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। আরফিন রুমির সাথে তার এ বিষয়ে কোনো সমঝোতা হয়নি। শর্ত মোতাবেক তাদের একমাত্র সন্তান আরিয়ানের নামে ২০ লাখ টাকাও ফিক্সড ডিপোজিট করেননি। সমঝোতা না হলে তিনি এ মামলায় সাক্ষ্য দেবেন বলেও জানিয়েছেন। আদালতে আরফিন রুমি ও অনন্যা হাজির ছিলেন।
গত ১০ আগস্ট আরফিন রুমির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে আদালত। ২০১৩ সালের ১২ অক্টোবর রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা মামলা গ্রেফতার হন রুমি।  পরদিন ৭ শর্ত পূরণ সাপেক্ষে হলফনামা দিয়ে জামিন পান তিনি। তবে জামিনের শর্ত লঙ্ঘন করায় পুনরায় জামিন বাতিল করে কারাগারে নেয়া হয় রুমিকে। পরবর্তীতে আপোষের শর্তে ফের জামিন পান তিনি। ২০০৮ সালের ৪ এপ্রিলে বিয়ে হয় রুমি ও অনন্যার। আরিয়ান নামে তাদের একটি তিন বছরের পুত্র সন্তান রয়েছে। মামলায় স্ত্রী অনন্যা অভিযোগ করেন,  ২০১২ সালে আমেরিকা প্রবাসী কামরুননেসাকে বিয়ে করেন রুমি। এর কিছুদিন পরই দ্বিতীয় স্ত্রী নিয়ে আমেরিকায় পাড়ি জমান তিনি। পাশাপাশি বন্ধ করে দেন ছেলে ও প্রথম স্ত্রীর ভরণ-পোষণ। শুধু তাই না, আমেরিকা থেকে ফিরে ২০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে নিয়মিত অনন্যার ওপর নির্যাতন চালাতেন তিনি।

বুম্বাদার সঙ্গে ‘পরিচয়’ করলেন বাংলার নিপুণ

nipun-2-_148413ঢালিউডের পর এবার টলিউড মাতাচ্ছেন নিপুন আক্তার। ওপার বাংলার বুম্বাদা ওরফে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ‘পরিচয়’ ছবিতে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী। ছবিটি কবে মুক্তি পাবে তা অবশ্য এখনও স্থির হয়নি। কিন্তু ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন আলোচনার কেন্দ্রে নিপুণ।
বাংলাদেশের সুপারস্টার নিপুণ আক্তার কিন্তু এক সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে স্বীকার করে নিয়েছেন অভিনয় করার আদৌ কোন পরিকল্পনা তাঁর ছিল না। নিপুণ পড়াশোনা করেছেন কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে, তাও আবার সাত সাগরের পাড়ে রাশিয়ার মস্কোতে। অভিনয়ে আসার আগে কাজ করেছেন মার্কিন মুলুকের একটি ওষুধ প্রস্ততকারক কোম্পানিতে।
কিন্তু ২০০৬ সালে বাংলাদেশে বেড়াতে এসে নেহাৎই শখে ঢুকে পরেন সিনেমা জগতে। এর পর আর ফিরে তাকাতে হয়নি নিপুণকে। গত ৮ বছরে ৩৫টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন দু’বার। নিপুণ অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের দুই বড় বড় তারকাদের মধ্যে দু’জন – মান্না এবং সাকিব খানের সঙ্গে।
নিপুণের জানান, তিনি অপেক্ষা করছেন তাঁর ফিল্মি কেরিয়ারের সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিনেমাটির মুক্তির জন্য। আগামী ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে ‘একাত্তরের মা জননী’ সিনেমাটিই তাঁর কেরিয়ারের মাইলস্টোন হতে পারে বলে অনুমান নিপুণের।

 

যেসব কারনে বিতর্কের ঝড় নিয়ে আসছে ওকে!

a0796291ee61e56d6216dc6358b07268‘পিকে’ ছবির পোস্টারে ভূত এখনও সবার মাথা থেকে যায়নি। কারন ওকে ছবির পোস্টার দেখলে আপনার অন্তত সেটাই মনে হবে।

পিকের ঐ বিতর্কিত পোস্টারে আমিরের মতোই ‘ওকে’র পোস্টারে পুনম রাই নামের এক অভিনেত্রী রেলপথে দাঁড়িয়ে আছেন খোলামেলা হয়ে। রেডিওর বদলে লজ্জা ঢেকেছেন ক্যামেরা দিয়ে। এই ছবিটি পরিচালনা করেছেন কান্তি শাহ।

‘ওকে’ ছবির গল্প এরকম, প্রতিবেশী এক দম্পতির মেলামেশা দেখার পর কিশোর কিশোরীর মানসিকতায় পরিবর্তন আসে। এছাড়া ছেলেমেয়ের প্রেমের পাশাপাশি মেয়ে সমকামিতার কথাও আছে এখানে।

পরিচালক কান্তি শাহ বলেন, বালিকা থেকে একটি মেয়ের নারী হয়ে ওঠার চিত্র দর্শকরা উপভোগ করবে আশা করি। দরিদ্র পরিবারে বেড়ে ওঠা মেয়েটি অর্থের লোভে ধীরে ধীরে যৌনকর্মী হয়ে ওঠে। পোস্টার বিষয়ে বলেন, আইন ও সাধারণ মানুষের সব প্রশ্নের উত্তর দিতে আমি প্রস্তুত।

পরিচালক কান্তি শাহ এর আগে ‘এমএমএস কান্ড’, ‘ফ্রি এন্ট্রি’, ‘আঙ্গুর’, ‘ফুলো হাসিনা রামকালী’, ‘জল্লাদ নাম্বার ওয়ান’, ‘মেরি জাং কা এলান’ প্রভৃতি ছবি নির্মাণ করেছেন।

প্রিয়াঙ্কার ‘মেরি কম’ দেখার সময় হয়নি বোন পরিনিতির

সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া প্রিয়াঙ্কা 1410353386চোপড়ার ‘মেরি কম’ মুভিটি দেখার সময় হয়নি বলে জানিয়েছেন তার বোন পরিনিতি চোপড়ার। পরিনিতি বলেছেন, আমি দুঃখিত। ছবিটি দেখার সময় না পাওয়ার জন্য। কাজের জন্য প্রতিদিনই বাসায় ফিরতে দেরি হয়।

এদিকে ‘মেরি কমের’ ব্যবসাটাকে অন্যভাবে দেখছেন এর প্রধান চরিত্রের অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। তিনি বলেছেন, ১০০ কোটি রুপি আয় নিয়ে আমার মাথা ব্যাথা নেই। আমি মনে করি ছবিটি সফল। কারণ নারীও যে কেন্দ্রীয় চরিত্র হতে পারে এটি তার উদাহরণ।

Developed by: