# ভালোবাসি বলেই ভালোবাসা #
ভলোবাসা দুরে নয়, পৃথিবীর সব কষ্ট
ভালোবাসাহীনতায়
নিঃশব্দে কানে কানে যদি বলো
ভালোবাসি
ভেঙ্গে যাওয়া সমস্ত শূন্যতা
জোড়া তালি দিয়ে সাজাবো
খোলা জানালার মিষ্টি হাওয়ায়।
পৃথিবীর সবচেয়ে স্ধুসঢ়;ন্দর দৃশ্যের বর্ননা
আমি তোমাকে চুলচেরা দিতে পারবো
যদি বিশ্বাসী হতে পারো
আমার কাছে।
দ্বিধা আর দ্বিধায় কেটেছে
ভৌগলিক অনেক সীমারেখা
এতো দ্বিধায় থেকে
চোখ বুজে চেয়েছি বিধাতা
একবার ভালোবাসা হাতের মুঠোয় দাও
আমি না পাবার অনেক ব্যথা ভুলে যাব
আমি আমার প্রতিবেশীর নোনাজল মুছে দেব।
এরকম শতেক শব্দের মায়াজালে
নিজেকে আচ্ছন্ন করি
অবশেষে একাই গুমড়ে মরি
এ মরণ শুধুই আমার একার।
# জ্যোছনায় মধ্যরাত #
আধখানা চাঁদ জুড়েছে শহরতলী
নিশি পাখিদের ছটফটানি
জোনাকী পোকা নিভছে আর জ্বলছে
আমাদের পান্থনিবাসে
আজ বড় দুঃখের দিন
বাগানের ফুলগুলো রুগ্ন মূমুর্ষ
কান্নাগুলি ছুটছে দিক্বিদিক অরন্যে,
লেবু গাছের বাহারি খুশবু
সুগন্ধি নেয়ার মানুষ নেই,
আমাদের আজ বড় দুঃখের দিন
গত বসন্তের সমীরন নেই
তাল ছিড়ে গেছে কোথাও
সুতোটুকু নেই আঁধারপুরীতে
জ্যোছনাটুকু বৃত্তের বাইরে
বাতাসে প্রেতাত্বার কঠিন নৃত্য,
একরকম স্মৃতি নিয়ে
বছরের পর বছর বেঁচে থাকা
পুরনো দিন পুরনো ভুল
কিংবা তারচেয়ে ভয়ংকর
জীবন বদলে দেয়া।
তীব্র মমতা মাখানো
এ বাড়ীর বড় ছেলেটি
সাতাশ বছর বয়সে মৃত্যুকে টেনে নিল
পেছনে ছিল সেই মেয়েটির জন্য
প্রগাঢ় ভালোবাসা
জীবন তার সুবিশাল বাহু বাড়ায়নি
তাই অভিমানী ছেলেটি নিরবে নিঃশব্দে
আকাশ ভরা জ্যোছনায়
মধ্যরাত বেছে নিল।
# কয়েকটি নিঃশব্দ রাত #
আমার কয়েকটি নিঃশব্দ রাত ছিল, চোখে জল ছিল, আমি জলের জন্য
তৃষ্ণার্ত ছিলাম, ব্যর্থতা হতাশায় জীবন ঢেকে ছিল, কপালে ঘাম শুকানোর
আগেই আমি ক্লান্ত হয়ে পড়তাম, শেষ কবে হেসেছি মনে নেই, ভন্ড পীরের
পানি পড়া জ্যোতিষের হাত দেখা অসহ্য। রাত্রিরে বইয়ের পাতা ওল্টাই ঘ্রান
নেই পড়া হয়না, এ শহরটা মাঝে মাঝে বিষম ব্যথা হয়ে বাজে অথচ এ শহরের
কোন এক সন্ধ্যা কত প্রিয় ছিল, গরম চায়ে চুমুক, বৃষ্টিতে আটকে পড়া,
ভীষন ধুলো মাখা বাতাস, দিন দুপুরে কবিতায় টেবিল কাঁপানো, কথা
রাখার সুখ কথা না রাখার সুখ, নদীর মাঝে সমুদ্রের ডাক, সাহিত্য নিয়ে
নাড়াচাড়া না করলে শব্দেরা হারিয়ে যায়, এরকম শতেক অনুভূতি- লঘু ছন্দে
আমাকে অস্থির করে তুলে –
আমি পুরনো বন্ধুর খুঁজে সমালোচকের দৃষ্টিকে কটাক্ষ করি, শৃংখলার মাঝে
আকাশ নীলের খবর রাখি, আমি মমতা মাখানো অসহায় শিশুর জন্য অশ্রু করি
ফালি ফালি, কোমল জ্যোস্নায় দক্ষিন দুয়ারে উত্তরাধিকারের সুখ খুঁজি,
আমি একবার শুধু একবার শুদ্ধ কান্নায় ভেঙ্গে পড়ি, সরু নদীর বাঁক আমাকে
ভাবায়, আমি শব্দ ভাঙ্গি গড়ি অথচ আমার গোপন দুঃখ ছিল অনেক।